মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ার রাগদৈল শিশু একাডেমীতে বার্ষিকী ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে একাডেমীর আয়োজনে এ পুরস্কার বিতরণ ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও শিশু একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমেনা আক্তার। প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়শনের সভাপতি মানিক ভৌমিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন মজুমদার, শিক্ষা সচিব মো. আলমগীর চৌধুরী, সাচার ইউনিয়ন কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়শনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরদার সহ আরো অনেকে।
এসময় সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু, মাসুদ রানা, বিল্লাল মাসুম, শিশু একাডেমীর সিনিয়র শিক্ষক মাহমুদুল হাসান সৌরভ, আরিফুল ইসলাম সোহাগ সহ অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ কেজি গাঁজা এবং মাদকের কাজে ব্যবহৃত ১টি এ্যাম্বুলেন্স সহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর এর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর হতে ১টি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে ১০০ কেজি গাঁজা সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো -ভোলা সদরের ধনীয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২১) এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঠাকুরতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৯)।
আসামি সাইদুলের বিরুদ্ধে আগে আটটি ও রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
বর্ণিত ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আইনানুগ ব্যবস্হা প্রয়োগ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবিতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বরসহ আরও তিনজন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জলি আক্তার (২৩) ও সাহানা আক্তার (৫০)। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বর শান্ত, শাওন ও হৃদয়। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে লঞ্চযোগে আটজনের একটি বরযাত্রীর দল শরীয়তপুরের কোদালপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছান আজ শুক্রবার সকালে। সেখান থেকে একটি ট্রলার ভাড়ায় নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন বরযাত্রীসহ ১১ জন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। পরে চালকসহ স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে ডাঙায় উঠতে পারলেও বরযাত্রীদের কেউ সাঁতার জানতেন না। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ পাঁচজনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলি ও সাহানাকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারকৃত বাকি তিনজনের মধ্যে পারভীন ও সুফিয়া চিকিৎসাধীন থাকলেও সুস্থ রয়েছেন আকাশ। অন্যদিকে, বর শান্তসহ নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধার করতে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এখনও বরসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ১৪ টন খেজুর জব্দ করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জব্দকৃত খেজুরের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায়
সাড়ে ২৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার
(১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে বিপুল
পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ এ খেজুরগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযানের
নেতৃত্ব দেন, ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.
সেলিমুজ্জামান।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান জানান, বিপুল পরিমাণ
এ খেজুরের পুরোটাই মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা অভিযান পরিচালনা করে এটি জব্দ করেছি। এখানকার
মালিক আসার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের
বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ
যুবক।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে যেন তার
লড়াইটা জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন
ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক
দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও
পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজের
অনুপ্রেরণা নিজেই।
১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ।
বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও
ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে
এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।
নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার
স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর
একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। একপর্যায়ে এ
নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি
লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ
চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে
নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও
টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।
নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা
ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই
করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন।
রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও
অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, দৃষ্টি
প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে
কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী
রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের
প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। তাকে খুব দ্রুত
একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাকাতির
মালামালসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোবাবার (১০ নভেম্বর)
রাতে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে
তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে এনড্রয়েড
ও বাটন মোবাইল ফোন, স্মার্ট টিভি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা
হলেন- নাঙ্গলকোটের আদ্রা উত্তর ইউপির শাকতলী মুন্সি বাড়ীর ওসমান গণির ছেলে মো. আবু
বক্কর (৫০), জোড্ডা পশ্চিম ইউপির নোয়াপাড়া মিস্ত্রি বাড়ির ওলি মিয়া প্রকাশ দেলু মিয়ার
ছেলে বাবুল (৪৫), আদ্রা দক্ষিণ ইউপির ভোলাইন গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে শাহিন (৩৯),
বটতলী ইউপির জিনিয়ারা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মোস্তফা (২৮), জোড্ডা পূর্ব ইউপির
পানকরা গ্রামের মোকছুদের ছেলে মো. রাবিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ
পরির্দশক মো: ওবাইদুল হক বলেন, গত ৬ নভেম্বর নাঙ্গলকোটের জোড্ডা ইউপির তালতলা এলাকায়
নাছিমা আক্তার পাখির রান্না ঘরের টিন কেটে ঘরে ডুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার,
টাকা ও বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত
৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে
বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এ বছর ৭শ ৭৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পুজামন্ডপ রয়েছে মুরাদনগর উপজেলায় ১শ ৪৪টি। সবচেয়ে কম পূজামন্ডপ রয়েছে মেঘনা উপজেলায় ৯টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিন উপজেলায় ৩০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, হোমনা উপজেলায় ৪৯টি এবং তিতাস উপজেলায় ১৩টি।
পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে আর যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
আর এসব বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎসবমুখর দুর্গাপূজা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের সাথে সেনা বাহিনীর প্রতিটি সৈনিক আছে, প্রতিটি অফিসার আছে। আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিবেন-আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা প্রতিটি জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আগত অতিথিরা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দুর্গোৎসব সবার মাঝে আনন্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য করুন
ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর
উপজেলার মেরাসানি গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের ছেলে রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান
(৪৫)।
এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম নামে আরও একজন
আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি টেলিভিশনের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি জেলা
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়,
রবিউল খান ও হুমায়ুন খান ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা তিনজন মিলে
মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ
হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে
পাঠালে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা আশীষ কুমার বলেন, নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া
শেষ হলে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বার্ষিক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কলেজ মিলনায়তনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মজুমদার জয়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের,রঙ্গলাল দত্ত, প্রভাষক সিহাদ হোসেন শিহাব ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ সহ আরো অনেকে।
এসময় পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম ভুইয়া, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাম্মেল তালুকদার, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান অভিসহ কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পালাখাল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আজিজুল হক।
মন্তব্য করুন
যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন