লক্ষ্মীপুরে
অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় মজিবুর রহমান ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে
ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান
চালিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত
মজিবুর রহমান ফারুক সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর করইতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের
ছেলে। ফারুক ওই এলাকার মোল্লার হাটে সরকারি রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে সড়ক দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় পরিবেশ আইনে
ফারুকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (দারুস সালাম জোন) মফিজুর রহমান পলাশ জানান,রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৬০০ রাউন্ড গুলি সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো ব্লাঙ্ক ফায়ারের জন্য ব্যবহৃত গুলি বিশেষ ।
তিনি আরো বলেন, আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে শাহ আলীর চিড়িয়াখানা রোডে সড়ক বিভাজকের ওপরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কাগজের প্যাকেটের মধ্য রাখা গুলি সদৃশ বস্তু জব্দ করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, গুলি সদৃশ এসব ধাতব বস্তু শনাক্তে আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে সিআইডির ব্যালেস্টিক শাখায় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবো হবে এবং যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (২১ জুন)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোজাম্মেল
হোসেন অমি (২৭) এবং সাইমন হোসেন (২৩) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোজাম্মেল হোসেন অমি (২৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শিমপুর গ্রামের মৃত
ফতে আলী এর ছেলে এবং ২। সাইমন হোসেন (২৩) একই গ্রামের শহিদ আলম এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে ১ কিশোরসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন বেতিল চর এলাকায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো: বেতিল চরের তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪)।
অপরদিকে সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সালাম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের জয়নালের ছেলে কৃষক আব্দুস সালাম।
বজ্রপাতে আহত শিশুরা হলো- বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান (৮) ও বেতিল চরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। এসময় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত হলে দুই শিশু, এক কিশোরসহ চারজনের দেহ ঝলসে যায়। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে এক কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান, বিকেলে ক্ষেত থেকে কাটা ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাতে ছিল ছোট
ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট । তাই তাকে নিয়ে বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন নিকটাত্মীয় কয়েকজনসহ
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে সায়েদাবাদ
থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দেন তিনি কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হলোনা তাঁর ।
পথিমথ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেন মারা যান। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়
যার কারণে সুপারভাইজারসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের
টেকনাফ উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নর্থসাউথ
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বদরুল হাসান রিয়াদ (২৫), নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নাসির
উদ্দিন পলাশ (৩৬), বাসের সুপারভাইজার ময়মনসিংহের চণ্ডিমুণ্ডা গ্রামের মাসুদ (২২) ও
হেলপার লক্ষ্মীপুর জেলার আবু তাহের খোকন (৪৮)।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস
ও মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে
রিল্যাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (যশোর ব-১১-০২৫১) যাত্রা করে। পথিমধ্যে গতকাল
সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পুরাতন সড়কে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ডাবল ডেকার বাসটির ভেতরে আটকে পড়ে সব যাত্রী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বাসের সুপারভাইজার
মাসুদ ও হেলপার খোকনসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪
জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড়
ভাই আহত ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়।
আদরের ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে
পৌঁছে দিতে পারলেও বড় ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি
দুর্ঘটনার শিকার হয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত
যাত্রী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাবিল হোসেন জানান, গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফায়ার সার্ভিস
ও পুলিশের সঙ্গে আটকে পড়াদের বের হতে সহায়তা করি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চিকিৎসাসেবা প্রদান
করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব-ইনচার্জ বিপ্লব
কুমার নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায়
বাসের ভেতর থেকে নিহত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসটি সকালে মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও নিহতদের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৭ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব (২৭) হত্যা এবং ৬ জনকে গুলিবিদ্ধ করার মামলার আসামী ১। মোঃ হালিম (৫৫), পিতা- মৃত মনু মিয়া, সাং-শাসনগাছা (মোল্লা বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ২। মোঃ সজল (৩০), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-শাসনগাছা (দক্ষিণ বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ৩। মোঃ ওমর ফারুক (২৪), পিতা-কালু মিয়া, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৪। মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩৫), পিতা-রাজ্জাক (মিস্ত্রি), সাং শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৫। মোঃ ইব্রাহীম (২৫), পিতা- রফিকুল ইসলাম, সাং-বেলাশ্বর, থানা-চান্দিনা, সর্ব জেলা-কুমিল্লাদের’দের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে অর্নাসে অধ্যায়নরত। শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে শাসনগাছা মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ১৫ মার্চ ২০২৪ তরিখ মধ্যমপাড়ার আবুল কাশেমের দলের সঙ্গে মোল্লা বাড়ির ফজলে রাব্বি ও আলাউদ্দিনের দলের সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলে ১ নং আসামী ফজলে রাব্বি ও ২ নং আসামী খলিলুর রহমানের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল দ্বারা গুলি বর্ষন করে এবং অন্যান্য সহযোগীরা ইট-পাটকেল দিয়ে আক্রমন করে। ঘটনার একপর্যায়ে, জামিল হাসান অর্নব এর বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং মোঃ অনিক (২৮), নাজমুল (২৮), মোঃ দিপু (৩৫), নিশু (২২), মোঃ মোহন (২০) ও রিনা (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাদের কে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জামিল হাসান অর্নবকে মৃত ঘোষনা করে এবং বাকীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ভিকটিম মারা যাওয়ার পর এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধের কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব জানান, র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লা বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন বন্যাদুর্গত জেলা ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার
বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে পানিতে আটকে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে ।
সেই সাথে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী ।
সেনাবাহিনীর
এই অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার
থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন জেলায় এ উদ্ধার অভিযানের এ তথ্য নিশ্চিত
করে সেনাবাহিনী সূত্র আরো জানিয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের
জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বন্যাদুর্গত এলাকায়
উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেনাবাহিনী
সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, এছাড়া প্রায় ২০ জন রোগিকে হেলিকপ্টারে করে ফেনী থেকে
কুমিল্লা সিএমএইচ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রসূতিও
রয়েছে। তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুইজনেই সুস্থ্য রয়েছেন বলে
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন