

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় মরহুম রোস্তম আলী মিয়া স্মৃতি গোল্ড কাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে উপজেলার পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ও কচুয়ার সাংসদ ড. সেলিম মাহমুদ।
এসময় ড. সেলিম মাহমুদ হাজারো দর্শকদের সাথে মাঠ ঘুরে কুশল বিনিময় করেন এবং খেলোয়ারদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন, বি.আর.বি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম রনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নবীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোসনা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন, সাংবাদিক রাকিবুল হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ সাজেদুল হাসান কামাল, ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত, আব্দুস সালাম সওদাগর, আলমগীর হোসেন, কবির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান জেমস ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার সহ আরো অনেকে। উদ্বোধনী খেলায় হাজারো দর্শক ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাঁন্দপুর সাকিনস্থ চাঁন্দপুর ব্রীজ সংলগ্ন মা ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে ৩২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাঁন্দপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ রংপুর জেলার গঙ্গাচর থানার তালুকভুবন গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে মোঃ আব্দুল কাফী (৩৫), কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আমরাতলী গ্রামের মৃত জুলফু মিয়া এর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩২)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে রংপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


যারা উদ্যমী এবং প্ররিশ্রমী কোন বাধা বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তার এক উজ্জল দৃস্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী সজীব। লেখাপড়া শেষ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় সে। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দরিদ্রতা। আদেও কি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
সজীব মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্র। ২০২০ সালে মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২২ সালে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে এ বছর স্নাতক পাশ কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে সে শিক্ষক হয়েই শিক্ষার মানোউন্নয়ন এবং সমাজ গঠনে অবদান রাখতে চায়। এখনো প্রর্যন্তু পঙ্গুত্ব এবং অভাব তার শিক্ষার অগ্রযাত্রা কে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। তবে আদৌকি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের।
সজীব মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাদুনা গ্রামের হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রী সুনীল মন্ডলের ছেলে। বাবা-মাসহ ৫ সদস্যের সংসারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে মেজো। বড় বোন চন্দ্রিকা মন্ডলের বিয়ে হয়েছে গেছে। ছোট বোন অনিন্দিতা এ বছর এইসএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। টাকার অভাবে এখনো সে ভর্তি হতে পারেনি। বাবা সুনীল মন্ডল মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়ে। মা স্বপ্না রাণী মন্ডল গৃহীণি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে এবং মেয়ের লেখাপড়ার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। অনেকেই সহযোগিতা করেছে। আমি আমার ছেলে এবং মেয়ের লেখা পড়ার জন্য মানুষের বাড়িতেও কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্টো করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা চাই। কারন, কারন, সজীবের বাবারও আগের মত কাজ করার শক্তি এখন আর নাই।
বাবা সুনিল মন্ডল বলেন, ছেলের লেখাপড়ার করার ইচ্ছা আমাকে সাহস যোগায় কিন্তু সামর্থের কাছে বারবার হেরে যায় আমি। তবু তার তার ইচ্ছে পূরণে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমার ছেলেটা তার শিক্ষা জীবন শেষ করে হয়ত কিছু একটা করতে পারতো। তারপর আবার মেয়েটা বড় হয়ে হয়ে গেছে তাকেও সময় মত বিয়ে দিতে হবে। নানান চিন্তায় মাঝেমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি।
প্রতিবন্ধী সজীব মন্ডল বলেন, ছোট বেলায় মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে গিয়েছি। বড় হয়ে ভ্যানে। কলেজে উঠলে ভগ্নিপতির সহযোগিতায় একটি ব্যাটারি চালিত হুইল চেয়ার কিনে আসাযাওয়া করতাম। এখনো হুইল চেয়ার চালিয়েই কলেজে আসা যাওয়া করি। নিজের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা আছে তা দিয়ে এবং বাবার সহযোগিতায় ডিগ্রীতে ভর্তি হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে লেখাপড়া শেষ করে একজন আদর্শবার শিক্ষক হওয়ার। তার ইচ্ছে পূরণে সে সমাজের মানবিক বিত্তবান এবং সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারি তরুণ কুমার গুহ পিকিং বলেন, উদ্যমি সজীবের আগ্রহের কথা জেনে আমরা সীমিত খরচে তাকে ডিগ্রীতে ভর্তি করে নিয়েছি। অধ্যক্ষ শওকত বিপ্লব রেজা বিকো বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইউএনও পলাশ মন্ডল বলেন, আমি তার খবর পেয়ে অফিসে আসতে বলেছে। তার লেখা পড়া চালিয়ে যেতে সর্বচ্চো সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পোলট্রি ফিডের দোকানে দুই কর্মচারীর দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকবর হোসেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভান্ডার খোলা গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় মিজানুর রহমান মিন্টুর মালিকানাধীন পোলট্রি ফিডের দোকানে কাজ করতেন আকবর ও লিমন। সকাল ১১টার দিকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত লিমন পেয়ারা কাটার ছুরি দিয়ে আকবরকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্থানীয়রা ঘাতক লিমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় আকবরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
বিশেষ টহলদল চোরাচালান বিরোধী আভিযান পরিচালনা করে ৩০ বোতল ভারতীয়
মদ সহ তিনজন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারীকে আটক করে।
আজ (৭ অক্টোবর) ১২:৩০ মিনিটে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের বিশেষ টহল দল দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী সদর উপজেলাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বারাইপুর নামক স্থানে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের সময় ভারতীয় ৩০ বোতল মদসহ ৩ জন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারী মোঃ আবুল কাসেম, (৬৫) মোঃ তুহিন মিয়া, (২২) মোঃ সাইফুল ইসলাম (২০) আটক করে।
স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা যায়, উক্ত মাদক চোরাকারবারীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় অবৈধ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, আটককৃত ৩ (তিন) জন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারীদ্বয়কে গোলাবাড়ী পোষ্ট কর্তৃক কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লায় হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নূর নবী (২৩) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৭০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ নূর নবী (২৩) ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার দক্ষিণ ভাটামারা গ্রামের মোঃ মান্নান
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


বিপ্লব চক্রবর্ত্তী:
প্রতিনিয়তই কেউ না কেউ চলার পথে কিংবা হঠাৎ করেই সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে দুঃচিন্তায় ভুগতে হচ্ছে দিনের পর দিন। দুঃচিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সকল হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল (২ ডিসেম্বর ) শনিবার কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম গত দুইবছর আগে অশোকতলার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্ত্তীর ছোট ছেলে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি জিডি মূলে উদ্ধার করে হস্তান্তর করেন।
দুই বছর পর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর দুচোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
সদ্য স্নাতক পাশকৃত ছাত্র গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী বলেন, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফেরত পেয়ে আমি প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। শিক্ষাবস্থায় টিউশনির টাকা জমিয়ে এই মোবাইলটি ক্রয় করেছিলাম। টিউশনি করিয়ে কান্দিরপাড় হয়ে বাসায় এসে দেখি আমার শখের ও কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কিনা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি সাথে সাথে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হারানো জিডি করে আসি।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে এ এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে প্রতিদিনেই অনেক মোবাইল হারানোর জিডি আসে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্যার এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার কাছে আসা প্রতিটা জিডিই গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করছি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অধঃস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা-২০২৫ উপলক্ষে ক্যাম্প প্রশিক্ষণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় কনস্টেবল হতে নায়েক/এটিএসআই এবং নায়েক হতে এএসআই (সশস্ত্র) পদে পদোন্নতির জন্য অংশগ্রহণকারীরা নির্ধারিত নিয়মে প্রশিক্ষণ পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা বোর্ডের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। তিনি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ক্যাম্প অনুশীলন পরিদর্শন করেন এবং শৃঙ্খলা ও দক্ষতা যাচাই করেন।এ সময় বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কুমিল্লা রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কুমিল্লা পংকজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবু সাঈদ মোঃ গাওছাল আজম (পিপিএম) এবং কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের আরআই মোঃ ফরিদুজ্জোহা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
কুমিল্লা -৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার উন্নয়নের নামে আপনার-আমার টাকা লুটপাট করেছে। লুটপাট করা সেসব অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে চিকন চিকন রাস্তা করেছে। এসব রাস্তা রাস্তা নয়, যেন মরণফাঁদ। সেসব রাস্তায় লড়ি চালানো যায় না, ট্রাক চালানো যায় না। শুধু অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল চলে। এসব চিকন রাস্তার ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেককে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার আলী নজিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে হাসনাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে এই মনোহরগঞ্জকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করব। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত করব। মনোহরগঞ্জ টু ঢাকা সরাসরি এসি বাস সার্ভিস চালু করব। ডাকাতিয়া নদীর দখলকৃত অংশ পুনরুদ্ধার করে আগের যে রূপ এবং প্রবাহ ছিল, পরিবেশবান্ধব সেই রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কার্জনখালসহ আরও যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো খনন করে প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, মনোহরগঞ্জে যত কৃষিজ জমি আছে, আমরা ক্ষমতায় এলে কৃষিকে প্রাধান্য দিব। মনোহরগঞ্জের অনেক সম্ভাবনা, সেই সম্ভবনাকে কাজে লাগাবো। আমরা ক্ষমতায় এলে মনোহরগঞ্জকে স্বর্গীয় নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। আমরা নিরাপদ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ গঠন করবে। মা বোনেরা যাতে পদে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, হাটবাজারে যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এই দুই উপজেলাকে মাদকমুক্ত করা হবে। এই সমাজে যারা মাদক সেবন করেন, তাদের দেখলেই চেনা যায়। মাদকসেবীদের বাবা-মা যারা আছেন আপনারা আপনার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমাদের সহযোগিতা নেবেন, আমরা তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ করবো ইনশাল্লাহ।
এসময় মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ইলিয়াস পাটোয়ারী, মনোহরগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সরোয়ার জাহান দোলনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে জেলা আইনজীবী
সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১১টায় ক্যাটাগরিতে আইনজীবীদের সন্তানদের চিত্রাঙ্কন
প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন।
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র
সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে রিক্রিয়েশন, কালচারাল এন্ড সোশ্যাল
ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি এডভোকেট কাজী আবদুল কাইয়ুম মিন্টু'র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুস সা'দাত, আসন্ন জেলা আইনজীবী
সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও এডভোকেট মোঃ
কামরুল হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও এডভোকেট
খন্দকার মোঃ মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পদে পদপ্রার্থী আইনজীবীরা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীদের সন্তানসন্ততিরা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিতায়
অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম
ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন
বলেন- এধরনের অনুষ্ঠান দেখে সত্যি আমি অভিভূত। আমি আশাবাদী এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত
থাকবে। এরফলে আইনজীবীদের সন্তানদের সুন্দর মনমানসিকতা গড়ে ওঠবে।
এদিকে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
করতে প্রভাত ফেরিতে সামিল হলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির শতাধিক আইনজীবী। এরপর
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতি ও বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। এরআগে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে
নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে ফুলেল শুভেচছা জানান কুমিল্লার
বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির
অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীগণ।
মন্তব্য করুন


আমডা বাংলাদেশের উদ্যোগে ১১ তম জাতীয় ও ১৯ তম বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপিত ।
আমডা বাংলাদেশ তার সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও দাবী আদায়ে সোচ্চার এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ের কন্ঠস্বর আরও জোরালো ও জাগ্রত করতে সারাবিশ্বে জাতিসংঘ ঘোষিত ২১শে মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম পালন করে আমডা বাংলাদেশ।
বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৪ এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘চিরাচরিত ধারনা শেষ, প্রবেশগম্যতায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আমডা বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ ২৮শে মার্চ ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার সকালে বনশ্রীর ওয়াটার গার্ডেন রেষ্টুরেন্টে এক সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ শাহ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব মোঃ লিয়াকত আলী। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসাইন চৌধুরী, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত যুব সংগঠক ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী জনাব মোঃ সাইফুর রহমান খোকনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আমডা বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সরদার এ নাঈমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমডা বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সরদার এ রাজ্জাক।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আমডা বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার আহমাদ ইবনে সালেহ।
অনুষ্ঠানের শেষে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন