

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, ও গুলি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম মোট ৩০টি মামলার আসামি বলে জানায় র্যাব।
তাছাড়া, র্যাব-১১-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার একটি মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল।
র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের দলটি স্পিডবোডে করে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫ টি হাইস্পিডি ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলা, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক, ও ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
১৪ উপজেলাতেই লেগেছে বন্যার ছোবল। স্মরণকালের ভয়াবহতার শিকার হয়েছেন কুমিল্লাবাসী।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা অন্তত
আড়াই শ’ গ্রাম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলাজুড়ে ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে গোমতী, সালদা ও ঘুংঘুর নদীর ভাঙনের মাঝে পড়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ এখন পানির তলায়। ডুবছে দেবিদ্বারও। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, তিতাস উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বন্যায় বাড়ছে প্রাণহানি, ভাঙনের তোড়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর খেত খামার, মাছের প্রজেক্ট।
সরকারি হিসেবে, বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ শিশুসহ ৪ জন। বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৭ হাজার। বেসরকারি হিসেবে, এসব সংখ্যা ছাড়িয়েছে বহু গুণ।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত হওয়ায় খোঁজও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না দুর্গত এলাকাগুলোর।
এ দিকে কৃষি বিভাগের তথ্য, ৬০ হেক্টর কৃষি জমি আক্রান্ত হয়েছে বন্যায়। পনিতে তলিয়ে যাওয়া সবজির আবাদ সবই বিনষ্ট হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বেচ্ছাসবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়। তবে নৌকা ও স্পিডবোট কম থাকার কারণে সেসব ত্রাণও সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে প্রকটভাবে।
পানি
উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, বিপৎসীমার
১ সেন্টিমিটার ওপরের পানিও ঝুঁকির। বর্তমানে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘণ্টায় দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার পানি কমছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বিপুল উৎসাহউদ্দীপনায় আনন্দঘন পরিবেশে কুমিল্লা ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয়, শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী মাতার মন্দির গীতা শিক্ষালয়, চন্দ্রিকা গীতা শিক্ষা কেন্দ্র, শ্রী শ্রী গুপ্ত জগন্নাথ মন্দির গীতা শিক্ষালয় ও মহেশাঙ্গণ নিষ্কাম কর্মযোগ গীতা শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌথ আয়োজনে শ্রী শ্রী দুর্গোৎসবের পুণ্যময় সূচনা হয় মহালয়া উৎসবের মাধ্যমে।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ৭টায় নগরীর মনোহরপুর অবস্থিত শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী মাতা মন্দির প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়।
তদুপলক্ষে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে বেদ মন্ত্র পাঠ, শ্রী শ্রী চণ্ডী পূজা, শ্রী শ্রী চণ্ডী পাঠ ও আগমনী গান। সবশেষে উৎসবে আগত ভক্ত শ্রোতার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয় এর উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক জেলা জিপি অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ, বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা ইউনিট এর সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ঐক্য ফ্রন্ট কুমিল্লা মহানগর শাখার আহবায়ক শ্যামলকৃষ্ণ সাহা, বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা মহানগর শাখার আহবায়ক কমল চন্দ খোকন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত দাশ টিটু, ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয় এর উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রোটাঃ নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট স্বর্ণকমল নন্দী পলাশ, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তাপস কুমার নাহা ও উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয়ের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য ও তত্ত্বাবধায়ক ড. বিশ্বজিৎ দেব, ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয় এর সভাপতি (কর্ণধার) আশিষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক অনন্য ভৌমিক, জাগো হিন্দু পরিষদ কুমিল্লা'র সভাপতি সাগর দাস, চন্দ্রিকা গীতা শিক্ষালয়ের পরিচালিকা তিথী চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন গীতা শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং হাজারো ভক্ত-শ্রোতার।
জানা যায়- আজ বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া।
এদিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের। শ্রী শ্রী চণ্ডী পাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত: মহালয়া থেকেই দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যায়। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পর প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে দুর্গোৎসবের। সনাতনীদে কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত।
পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও বধ করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
অটোরিক্সা চালক মেহেদী হাসান হত্যাকান্ডের মূল আসামী গ্রেফতার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
রবিবার (১৯/১১/২০২৩ইং) সকালে মেহেদী হাসান (১২) অটোরিক্সা নিয়ে তাঁর নিজ বাড়ি হতে প্রতিদিনের
ন্যায় বের হয়ে বরুড়া থানাধীন ইলাশপুরস্থ চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর
পৌঁছালে নাজমুল হোসেন (২৫) নামের একজন মেহেদী হাসান (১২)কে চাকুর ভয় দেখিয়ে তার অটোরিক্সাসহ
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন কালির বাজার হাতিগাড়া কবরস্থানে পাশে ঝোপের ভিতর নির্জন
জঙ্গলে নিয়ে যায়। গভীর জঙ্গলে নিয়ে নাজমুল হোসেন এর হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে মেহেদী
হাসান এর পেটে ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেহেদী হাসান এর চালিত অটোরিক্সা
নিয়ে তার শশুর বাড়ি দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর ওগোলিয়া এলাকায় চলে যায়।
পরবর্তীতে
মেহেদী হাসান এর বাবা বরুড়া থানায় অভিযোগ করেন। অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন এর
দিক নির্দেশনায় এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম এর নেতৃত্বে বরুড়া থানার
১টি চৌকস দল বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ
পর্যালোচনা করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে দাউদকান্দি থানধীন
গৌরিপুর ওগোলিয়া এলাকায় নাজমুল হাসানের শশুর বাড়িতে থেকে নাজমুল হাসান কে আটক করেন
বরুড়া থানা পুলিশ। কোতয়ালী মডেল থানাধীন হাতিগাড়া কবরস্থানে ঝোপঝাড়ের মধ্য হতে মেহেদী
হাসান এর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
উক্ত
ঘটনায় বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭৬ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বাগরা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
অভিযানে আসামী ১। মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) ও ২। সাইফুল আব্বাস (২২) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার আলমখালী গ্রামের মৃত মনির হোসেন এর ছেলে মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) এবং চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী জেলার দুহিনকুল গ্রামের আলী আব্বাস টিটু এর ছেলে সাইফুল আব্বাস (২২)।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য সীমান্তের এক বাড়িতে এনে রাখা এক নারীকে উদ্ধার করেছে ( বিজিবি) । এ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়।গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার তুলুইগাছা সীমান্তের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল “মো. আশরাফুল হক “ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আটক ০২ পাচারকারী হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আবুল কালাম (৭৪) ও আবুল কালামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৩)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ তলুইগাছা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি এক নারীকে ভারতে পাচার করা হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে সেতু আক্তার নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে বাড়িতে রাখার অভিযোগে বাড়ির মালিক আবুল কালাম ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। উদ্ধারকৃত সেতু আক্তার নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দাশেরডাঙ্গা গ্রামের জিয়া শেকের মেয়ে।
বিজিবির সূত্র আরও জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নারী এবং ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মানবপাচারকারী মো. আবুল কালাম ও তার ছেলে মো. ইমরান হোসেন এবং মানবপাচার চক্রের আরও ১৫ জন পলাতক আসামির সহায়তায় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতায় তারা পাচার করতে না পেরে সুযোগের অপেক্ষায় বাড়িতে এনে রাখে। দ্রুত বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ও ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর এবং মানবপাচারের সাথে জড়িত পলাতক ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্বের কারনে যাত্রীদের দাবির মুখে এবার বেনাপোল-মোংলা রেলপথে আজ থেকে যাত্রী সেবা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত দিনে একটি ও সপ্তাহে ৬ দিন রেল চলবে এ রুটে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এপথে উপকৃত হবেন যাত্রীরা।
জানা যায়, বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে
রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে চালু করেছে যাত্রী সেবা।
ট্রেন চলাচলের জন্য চার হাজার
কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল
পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনটি ফেরার পথে খুলনার
ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি
‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে।
ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন
মঙ্গলবার।
খুলনা থেকে ভোর ৬টায় বেনাপোলে
পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় । পরে বেনাপোল থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে
দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পরে দুপুর ১ টায় মোংলা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি বেনাপোল পৌছাবে বিকাল
সাড়ে ৪ টায়।
২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের
প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন।
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক জানান, বানিজ্যিক কারনে মোংলা বন্দর। যেতে হয়। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দ্রুত পণ্য খালাস কাজে বিঘ্ন ঘটতো। এখন রেল সেবা চালুতে দ্রুত পণ্য খালাসে সহায়ক হবে।
বেনাপোল রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ আসাদুজ্জামান রানা জানান, বেনাপোল-মোংলা রেল সেবা চালুতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশনের ব্যস্তত বাড়বে। এতে যাত্রীদের নিরপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে মোংলা কমিউটার চালু হয়েছে। বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে সকাল ১০টায় ৭১৬ জন যাত্রী নিয়ে মংলার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
"শৃঙ্খলাই জীবন" এ শ্লোগান সামনে রেখে আস্থার স্বাস্থ্যসেবার ব্রত নিয়ে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর মুন্সেফ কোয়ার্টারস্থিত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনেযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মিস শারমীন এস মুরশিদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্স এর চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এ. বি. এম মশিউজ্জামান, কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সারোয়ার আকবর, প্রফেসর হাজেরা মাহাতাব, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, সিরডাপের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এটিএম শামসুল হক এর সহধর্মিণী মিসেস রাবেয়া হক, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম এ সামাদ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক ব্যক্তি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ঔষধ কোম্পানির বিপনন প্রতিনিধি, শিক্ষক, এলাকার জনসাধারণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিস শারমীন এস মুরশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বল্প খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কুমিল্লায় উদ্ভোধন হলো একশত শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হসপিটাল। কুমিল্লায় আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই কুমিল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এই হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান আস্থার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ বিশেষায়িত হসপিটাল হবে দেশের অন্যতম সেরা মানবিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এই হসপিটাল দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সবার জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হলেও এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন হয়নি। এই হাসপাতালের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য আর ঢাকা যেতে হবে না। এখানে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার রয়েছে। ভালো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়াই মানুষের আস্থা অর্জনের মূল ভিত্তি। চিকিৎসা খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। বিশ্বের উন্নত মানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে কারো চিকিৎসা বন্ধ থাকবে না এবং মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ভালো সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন- এ ধরনের একটি হসপিটাল কুমিল্লার মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিলো। আজ তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। একদিন এই হসপিটালটি ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যা উন্নতি হবে। এ বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তারা বলেন- হাসপাতাল একটি ভবন নয়; এটি একটি মানবেতর প্রতীক। এর মাধ্যমে কুমিল্লার মানুষ সঠিক সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন), সাবেক সচিব এটিএম শামসুল হকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে দেয়া লিফলেট সূত্রে জানা যায়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শর্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়াবেটিসসহ সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা। এরমধ্যে রয়েছে মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন, সার্জারি, গাইনী, শিশুরোগ, কিডনি, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, চক্ষু ও দন্ত বিষয়ক রোগের চিকিৎসাসেবা এবং সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল্যাবরেটরিতে সুলভ মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা, কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে মানসম্মত ও নির্ভুলভাবে ইকো, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, কালার ডপলার, ইসিজি, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন এবং অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) গাইনোকোলজিক্যাল এন্ড অবস্টেট্রিক্যাল অপারেশনসহ সবরকমের সার্জিক্যাল ও ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশনের সুব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে চোখের বিভিন্ন অপারেশনসহ ২৪ ঘন্টা (দিবা-রাত) জরুরি বিভাগ, এ্যাম্বুলেন্স ও ফার্মেসি সার্ভিস।
মন্তব্য করুন


ঝালকাঠিতে
প্রেমিকার রান্না করা নুডুলস খাওয়ার পর সজল দেবনাথ (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের রহস্যজনক
মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার
(১১ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। সজল
দেবনাথ ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার
বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের
পরিবার জানায়, রবিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে
দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথি খাটের নিচে লুকিয়ে আছেন।
দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও
তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সজলের
বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই
সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে
পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এ
বিষয়ে প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন
তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয়
এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে
কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
ঝালকাঠি
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এটিএম মেহেদী হাসান সামি বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে
আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর
সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ঝালকাঠি
সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের ছোট্ট খালের ওপর পাশাপাশি ৩২ ও ৪৪ মিটার দীর্ঘ দুটি সেতু নির্মাণ হয়েছিল প্রায় আড়াই বছর আগে। নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সংযোগ রাস্তা না থাকায় আজও সেতু দুটির ওপর দিয়ে একটি যানবাহনও চলাচল করে না। অব্যবহৃত ওই সেতু এখন স্থানীয়দের জন্য গোবরের ঘুঁটে, ধান ও খড় শুকানোর জায়গায় পরিণত হয়েছে।
এই দুটি সেতুকে ঘিরে থাকা কুড়ালিয়া দিয়ার–একডালা সড়কটি প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। রাস্তাটি দিয়ে রতনকান্দি ও কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিয়মিত চলাচল করেন। কিন্তু তিন বছর আগে রাস্তাটির একটি বড় অংশ ভেঙে খালে তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে চলাচল কার্যত বন্ধ। ভাঙা অংশের পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় এলাকা দুটি যাতায়াত সংকটে পড়েছে।
২০২৩ সালে এলজিইডি সেতু দুটি নির্মাণ করলেও ভেঙে যাওয়া রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় পুরো প্রকল্পই অকার্যকর হয়ে আছে। ফলে রোগী পরিবহন, কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, এমনকি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুল–কলেজে যাতায়াত—সবকিছুতেই চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব আলী, বেবি খাতুন, আমিনুল ইসলাম ও জহুরা খাতুন জানালেন, ২৫ বছর আগে বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর আর কখনো তা ঠিক হয়নি। কর্মকর্তারা কয়েকবার এলেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেতু হয়েছে, কিন্তু রাস্তা না থাকায় এখনো গাড়িতে চড়ার সুযোগ মেলেনি। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে গেলেও বিপাকে পড়তে হয়।
কৃষক হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা বলেন, রাস্তা না থাকায় সার–বীজ আনতে কষ্ট হয়, আবার নিজেদের উৎপাদিত ফসল হাটে নিতে গেলেও পথে ঘুরপথে যেতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যায়, ন্যায্য দামও পাওয়া যায় না।
এলাকার কয়েকজন কলেজছাত্র শিহাব বাবু ও সাগর আলী বলেন, খারাপ রাস্তার কারণে সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানোই বড় চ্যালেঞ্জ। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে যায়—তখন যাতায়াত প্রায় অসম্ভব।
শতবর্ষী হযরত আলী জানান, কুড়ালিয়া, চিলগাছা, একডালা, কুড়িপাড়া, মহিষামুরাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তাই ব্যবহার করতেন। এখন হাটে যেতে হলেও দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।
কৃষক মো. ভুট্ট আলী বলেন, যানবাহন চলাচল না করায় সেতুর ওপর ধান, খড় ও ঘুঁটে শুকানো ছাড়া তাদের আর উপায় নেই।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান জানান, কুড়ালিয়া–একডালা সড়কের ৩৭৭৬ মিটার অংশের মধ্যে প্রায় ৭০০ মিটার তিন বছর আগে ভেঙে খালে পড়ে গেছে। ওই অংশে সরকারি রাস্তা না থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তিনি বলেন, এলাকাবাসী যদি যৌথভাবে প্রয়োজনীয় জায়গা দিতে রাজি হন, তাহলে রাস্তা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন