মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, ও গুলি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম মোট ৩০টি মামলার আসামি বলে জানায় র্যাব।
তাছাড়া, র্যাব-১১-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার একটি মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল।
র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের দলটি স্পিডবোডে করে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫ টি হাইস্পিডি ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলা, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক, ও ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
যশোরের চৌগাছায় দাঁত দিয়ে কামড়ে স্বামী
সোহাগ হোসেনের (২৪) জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলেছেন তার স্ত্রী সীমা খাতুন (২৩)।
এ ঘটনায় পরে সোহাগ হোসেনকে হাসপাতালে
নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর প্রেরণ করেন।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী সোহাগের পিতা মোজাম্মেল হক
ও নানা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে সোহাগ ও সীমার
মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে স্ত্রী সিমা দাঁত দিয়ে কামড়ে
স্বামী সোহাগের জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলে। এ সময় বাড়ির লোকজন সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট
জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর পরিবারকে ডেকে পুত্রবধূ সীমাকে তার বাবার
বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের পর পুনরায় তারা সংসার করবে।
বর্তমানে সোহাগ যশোর জেনারেল হাসপাতালের
সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
চৌগাছা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জারফিন
জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
আজ রবিবার (৬ জুলাই) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল
থানাধীন জীবন্তপুর (মিস্ত্রী পুকুরপাড়) এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে নাজমুল
হাসান (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী নাজমুল হাসান (৩৮) কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দিশাবন্দ পশ্চিমপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজিবাইক
ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে
কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে
উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর
অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে মুসল্লিদের নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি রিজার্ভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পাচারের সময় গাঁজাসহ আঙুর হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার।
এর আগে গতকাল (বুধবার) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছন্মবেশে বিশ্ব ইসতেমার রির্জাভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পরিবহন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ওই বাসের মুসল্লিদের সহায়তায় নাগেশ্বরীর আঙ্করনগর (নতুন বাজার) গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ আঙ্গুল হোসেন (৩০) কে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার হয়েছে। আটককৃতদের
থেকে মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার শেষে অপরাধীদের স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় সোপর্দ
করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর
২৩ বীর ক্যাম্প জানায়, ৯ মে ভোর ৪ টায় খাটরা এলাকা থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ শাহাবুদ্দিন
বাবু (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস
মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে।
অপর
এক অভিযানে একই দিন ভোরে গুনবতী ইউনিয়নের খাটরায় অভিযান চালিয়ে সুজন মিয়া (২৩) নামের
এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি তল্লাশি করে ১টি চাইনিজ কুড়াল,
১টি সাধারণ কুড়াল এবং ১টি দা উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে
সে বিভিন্ন গ্যাং-সম্পর্কিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
তৃতীয়
অভিযানে, খাটরা এলাকা থেকে আরেক কিশোর গ্যাং সদস্য জাহিদ হাসান (২২) কে গ্রেফতার করা
হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তাকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা যায় এবং
পরে সে গুনবতী ইউনিয়নে গ্যাং কার্যক্রমে জড়িত হয়। সে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তুয়ানের
সহযোগী ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে জড়িত বলেও জানা যায়।
চৌদ্দগ্রাম
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে আটককৃত তিনজনকে
থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে
জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১২পিচ স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে এ স্বর্নের চালানটি আটক করা হয়। এসময় ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম (১১৯.৯৮ ভরি) ওজনের ১২পিচ স্বর্ণের বার এবং ০১টি মোটর সাইকেলসহ ৩ জন আটক।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের আজমীর, জালাল ও নুরুজ্জামান।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিএসসি, জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি স্বর্ণের একটি চালান বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দৌলতপুর বিওপি’র একটি টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৭০ আর পিলার হতে আনুমানিক ৭.৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দৌলতপুর গ্রামস্থ রাস্তার পার্শ্বে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়।
কিছু সময় পর বিজিবি টহল দল বেনাপোল হতে দৌলতপুর অভিমুখে ০১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে এবং টহল দলের নিকটবর্তী আসলে মোটর সাইকেল থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের তল্লাশী করে ০১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আটককৃত স্বর্ন ১,২৫,৯৮,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেল ১,৫০,০০০/- টাকা। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারী অফিসে এবং আসামী ও মোটর সাইকেল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে কোরবানির পর পশুর মাংস হাড় কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এছাড়া দুপুরে একটা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা বেশিরভাগই যুবক। শখের বশে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজন পেশাদার কসাইরাও আছেন।
আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় হাত পা কেটেছে তাদের। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ আহমেদ বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙুলে লাগে। প্রথমে টের পাইনি, পরে দেখি রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আসার পর তিনটি সেলাই দিয়েছে।
সদর উপজেলার ভুবনঘর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে- আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।
ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহঙ্গীর আলম বলেন, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের জানান, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই একদিনের জন্য মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙুলে ও পায়ে আঘাত। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে।
বুধবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামি জানু মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়।
লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ২৮ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় ওই গ্রামের মৃত বন্দে আলী মিয়ার ছেলে জানু মিয়া (৭০) তার নাতনির খেলার সাথী ওই শিশু কন্যাকে একা পেয়ে ঘরে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশুটি তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১০
হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর
রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌপুলিশের
এএসআই মো. সাইফুজ্জামান।
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত
যাত্রী পরিবহন করছে। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। এমন অভিযোগে
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায়
অভিযান চালানো হয়। স্পিডবোডে চড়ে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর
ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামে গাছে কথা বলছে' এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকদিন গাছটি দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। গাছটিতে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককে।
জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো: সবুর মিয়ার রয়েছে একটি গাছের বাগান।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, গত ১৪ জুন ওই বাগানের একটি গাছ কাটতে যায় স্থানীয় জুয়েল মোল্লার ছেলে নীরব (১০) সহ কয়েকজন শিশু। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাছটির গায়ে আঘাত করার সাথে গাছটি কথা বলে ওঠে। এ সময় ওই শিশুরা ভয় পেয়ে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরে বিষয়টি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে গাছে কথা বলার গুজব। অনেকের দাবি গাছের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে গাছ।
স্থানীয় রাঘদি ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন জানায়, মানুষ গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন। শুধু বড়রাই নয়, কথা শোনার চেষ্টা করে শিশুরাও। অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনতে পান দাবি করে এটি ‘অলৌকিক' বলে আখ্যা দেন। তবে ওই গ্রামের লোকজনই শুনতে পারেন।
উৎসুক কয়েকজন জানায়, গাছে কান পেতে কিছু শুনতে পাননি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানা মসজিদের ইমাম বলেন, এ ধরনের ঘটনাকে ইসলাম সমর্থন করে না। তবে গাছের প্রাণ আছে, কিন্তু কথা বলতে পারবে না।
সারা জেলায় গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। আজ ২২ জুন ওই গুজব গাছটিকে কেটে ফেলেন স্থানীরা।
মন্তব্য করুন