

মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভায় ৫নং ওয়ার্ডের কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে লোডশেডিংয়ের কারনে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধানের পানি সেচ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকরা ভালো ফলন নিয়ে খুবই চিন্তিত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ওই বিলের কৃষকরা ইরি ধানের ফলন ঘরে তোলা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের পূর্ব বিলে প্রায় ৫শ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। চলতি বছরের ওই বিলের বোরো ধানের থোর বের হলেও পানি না থাকার কারনে ভালো ফলন নিয়ে ঘরে ফেরার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া সরকারি খাস ভূমিগুলো ইচ্ছে মত দখল করে নেয়ায় পানি চলাচল করতে পারছে না। এসব খাস ভূমিগুলো অসাধু দখলদারীদের কাছ থেকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল আউয়ালসহ একাধিক কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে এই মাঠে আমরা বোরো ধান চাষ করেছি। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সেলু মেশিন থেকে আমাদের ফসলী জমিতে পানি আসছে না। তারা আরো জানান, পার্শ¦বর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও আমাদের এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকেনা। তাই কৃষি জমির ফসলী উৎপাদনের লক্ষে জনস্বার্থে বিদ্যুতের ঘাটতি কমিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেয়ার জোড় দাবী করছি।
ওই মাঠের আলী হোসেনের সেলু মেশিনের লাইনম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই সেলুতে লাইন ম্যানের কাজ করছি। কিন্তু এবারের মত এত ভয়াবহ লোডশেডিং কখনো দেখিনি। বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার নাম থাকে না। কখনো কখনো বিদ্যুৎ আসলে সেলু মেশিন চালু দিলে ড্রেইনে পানি প্রবেশের আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
কচুয়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা টিটু মোহন সরকার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফসলী জমি দেখতে পরিদর্শনে আসি। চাহিদা মত বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ ফসলী জমিতে পানি নেই। ফসলী ধানের জমিতে পানি না থাকলে কৃষকদের ক্ষতি সাধন হবে।
মন্তব্য করুন


ময়মনসিংহে বিশেষ অভিযানে আন্ত:জেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ। এ সময় ৫টি মোবাইল ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
এর আগে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার জয়দেবপুর সিঁড়ির চালা কাইয়াপাড়া এলাকায় এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা থানাধীন গোপীনাথপুর বংশীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চোরদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরচক্রের সদস্যরা হলো- ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর বাঘমারা এলাকার মো. পিয়াল হাসান (২৫), বড়বাড়ী এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), বলাশপুর পাওয়ার হাউজ কলোনি এলাকার মো. আসাদুল ইসলাম (৩০) এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার মূছা মিয়া (৩৫)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এই চোরচক্রের সন্ধান পাওয়া যায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে। তারা আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন এ চক্রটি। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় অসংখ্য মামলা চলমান আছে বলেও জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৪৭
বোতল ফেন্সিডিল ও
২০ কেজি
গাঁজাসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১,সিপিসি-২।
র্যাব জানায়, গতকাল ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর, রহমত নগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সাগর (৩২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ১৪৭ বোতল ফেন্সিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। আসামী চৌদ্দগ্রাম থানার ঘাসীগ্রাম গ্রামের নান্টু সরকার এর ছেলে।
র্যাব-১১,সিপিসি-২,
কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ
কমান্ডার মাহমুদুল হাসান
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সাগর
জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে,
সে দীর্ঘদিন ধরে
জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যানটি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা
ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে
কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায়
পাইকারি ও
খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সদর
দক্ষিন থানায়
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা গ্রামে হৃদয়বিদারক ও আনন্দঘন এক ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু সাইফুল ইসলাম অবশেষে ফিরে এসেছে তার বাবা-মায়ের কোলে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
সাইফুল দরিদ্র কৃষক পরিবার আব্দুল লতিফ ও আমেনা বেগম দম্পতির চতুর্থ সন্তান। নয় বছর বয়সে পরিবারের অভাব অনটনের কারণে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে চট্টগ্রামে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে। কিন্তু পথে ট্রেন থামলে শৌচকর্ম সারতে নেমে যায় সাইফুল। মুহূর্তেই ট্রেন ছেড়ে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ছোট্ট সাইফুলের।
ভাগ্যের খেলায় সাইফুল আশ্রয় পায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি রেলস্টেশনের এক চায়ের দোকানে। সেখানেই কাটে তার দীর্ঘ ২৮ বছর। সম্প্রতি নেফরা গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বাবা-মায়ের নাম ও গ্রামের নাম বলতে পারায় ধীরে ধীরে সাইফুলের খোঁজ মেলে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান ভাটিয়ারি গিয়ে সাইফুলকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে বাড়ি ফেরার পর শতশত মানুষ ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে।
অশ্রুসিক্ত বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, “ছেলেকে পেয়ে আমি আল্লাহর দরবারে সেজদায় পড়েছি। বহু বছর দোয়া করেছি, আজ আল্লাহ তা কবুল করেছেন।”
মা আমেনা বেগম বলেন, “সংসারের অভাবে ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। পথে হারিয়ে যায়। খুঁজেছি বহু জায়গায়। আজ আল্লাহর রহমতে সন্তানকে ফেরত পেলাম।”
এলাকাবাসী জানান, সন্তান হারিয়ে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। দাদী আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে নাতির ফেরার প্রার্থনা করলেও তা আর দেখে যেতে পারেননি।
চায়ের দোকানের মালিক মোস্তাকিন জানান, সাইফুল দীর্ঘদিন তার দোকানে কাজ করেছে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিখিতভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “পরিবারটি অসহায়। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা খুবই প্রয়োজন।”
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “২৮ বছর পর সন্তানকে ফিরে পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের লিডারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, গাঁজা, মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারদের প্রিজন ভ্যানে করে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর পাঁচটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার ইয়ার হোসেন (২০), জামগড়ার সোনা মিয়া (৪৫), একই এলাকার আশরাফুল (১৮), বড় বাবু (১৯), আকাশ (১৮) ও ১৭ বছরের এক কিশোর।
যৌথ বাহিনী জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন, মাদক ব্যবসায়ী সোনা মিয়াসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইয়ার হোসেন ও সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, অনলাইন বেটিং, মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। অভিযানে ১৬টি দেশীয় অস্ত্র, ৫টি ধারালো অস্ত্র ও কাঁচি, ৪৮টি মোবাইল সিম এবং ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, দেশীয় অস্ত্র, গাঁজা, মোবাইল ফোন ও অপরাধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ৬ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে যৌথ বাহিনী। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” আদর্শ-সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জি এম হেলাল এবং সদস্য সচিব হয়েছেন মো: রাজিবুল ইসলাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদর্শ- সদর উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক জি.এম হেলাল বলেন, “আমরা আদর্শ-সদর উপজেলায় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।” সদস্য সচিব মো: রাজিবুল ইসলাম বলেন, “কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।”
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ম আহ্বায়ক : মো: জালাল হোসাইন, মো:আলামিন, মো: মহিউদ্দিন ফরহাদ, জোবায়ের আহমেদ হ্রদয়, ইসমাইল হোসেন শুভ, নূর মোহাম্মদ জীবন, শামসুল আরেফিন জিসান ও মো: আফ্রিদি, সদস্য: মো: রাকিবুল ইসলাম, আনোয়ার রেজা সাকি, রুহুল আমিন হাসান রাব্বি, আহফাজুল কবির নেজামি, এনামুল হক জিসান, মো: কাইয়ুম হোসেন ও মো: মাহফুজুর রহমান
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


সিলেটে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের
সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটির অবস্থা
ভয়াবহ।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে ভারতের
মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে
আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা
দেখা দেয়। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ
ভেঙে ও উপচে পড়ে ওই পাঁচ উপজেলর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার
থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকতে থাকে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন স্থান দিয়ে।
ফলে এ দুই উপজেলাও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল
হাসান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে
আমরা সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বন্যা কবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে
নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো সিলেটের
নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার
নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি
বিপৎসীমার দুই মিটার ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী,
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের ৭ উপজেলার ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন। এর
মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার
৩ ইউনিয়নের ৯৩ হাজার জন, কানাইঘাট উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুরের
৩ ইউনিয়নের ৬৫ হাজার জন, জকিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের ৩৯ হাজার ৮৫২ জন, বিয়ানীবাজারের ৫ ইউনিয়নের
৫ হাজার ৫০০ জন ও গোলাপগঞ্জের ১ ইউনিয়নের ৩৫০০ জন পানিবন্দি হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার
মধ্যে ৭টি বন্যাকবলিত হলেও সবকটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার
১৩টি উপজেলায় মোট ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এতে
আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
জকিগঞ্জের ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৫ জন, জৈন্তাপুরের ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৭৫ জন,
গোয়াইনঘাটে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৫৬ জন, কানাইঘাটে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪৬৬ জন,
কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩৫ জন, বিয়ানীবাজারের ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন,
গোলাপগঞ্জের ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্রের
সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
মন্তব্য করুন


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি মো: হোসেন মিয়া (২৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার শুভপুর গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। অপর আসামী শারমিন আক্তার(২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার আড়াইওড়া গ্রামের জনি মিয়ার স্ত্রী।
আটককৃত আসামীরা প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে ডিএনসি টীমকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মাদক পাচার করছিলো। একপর্যায়ে প্রকৃত স্বামীকে মুখোমুখি করলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। আটকৃত আসামি শারমিন তার স্বামীর অগোচরে মোবাইলের মাধ্যমে আসামি হোসেন মিয়ার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলে। কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার কৌশল হিসেবে লোকাল বাসে কুমিল্লা হতে গাঁজা নিয়ে প্রথমে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। তারপর অন্যবাসে করে ঢাকা নিয়ে যেতো।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা এবং রক্তদানে ভূমিকা রাখায় ৫৫জন সংগঠনের দায়িত্বশীল এবং গুনীজনকে সংবর্ধনা,গরীব দু:স্থ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,মাদ্রাসায় কোরআন শরীফ ও টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও কচুয়া উপজেলা পরিবারের টিম মেম্বার সাইফুল ইসলাম রনির পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিআরবি কেবলসের ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রনি।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ এমরান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইকবাল উদ্দিন আহমেদ মিঠু,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন,শ্রীবাস সাহা,ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদ,শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ সাজেদুল হাসান কামাল,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,বাংলাদেশ স্কাউট কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী লিডার ট্রেইনার একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন সুমন প্রমুখ। পরে গুনী ব্যক্তিদের মাঝে সন্মননা ক্রেষ্ট ও অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,টিউব ওয়েল ও পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অজিত সাহা,আবু সুফিয়ান সহ রেড রিলেশন সংগঠনের সদস্য ও জেলার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন