

অভিনব
কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ
আটক দুই নারী।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক মো:
মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজন নারী
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের
বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী Asia Aircon নামের
বাসে তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজাসহ জাহানারা (৫০) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত
আসামি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শরীফ আলীর মেয়ে। একই বাস তল্লাশি
করে ৬ কেজি গাঁজাসহ জুবেদা বেগম (৪৭) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি গোপালগঞ্জ
জেলার মকসুদপুর থানাধীন গোবাহাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মোল্লার মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেন বাদী
হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে এক কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
সোমবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাক থেকে এসব মালামাল আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা সীমান্ত এলাকার নোয়াপুর কাচিগাং মাঠ থেকে মালিক বিহীন অবস্থায় ৫২ লাখ টাকা মূল্যর অবৈধ ১২১টি মোবাইল ফোন আটক করে।
অন্য অভিযানে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৬ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার বাজি, শাড়ীসহ অন্যান্য চোরাচালানী পণ্য আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার
সদর ঝাউতলা এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এই
সময় জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট পাওয়া যাওয়ায় উক্ত অনুষ্ঠানকে
২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং SPICY
BURG ফাস্টফুডে তেলাপোকা ও ছাড়পোকা পাওয়া যায় ফলে এই প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০ টাকাসহ মোট ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থে
এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা।
অভিযান
পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
কাউছার মিয়া। উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা
পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এ বছর ৭শ ৭৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পুজামন্ডপ রয়েছে মুরাদনগর উপজেলায় ১শ ৪৪টি। সবচেয়ে কম পূজামন্ডপ রয়েছে মেঘনা উপজেলায় ৯টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিন উপজেলায় ৩০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, হোমনা উপজেলায় ৪৯টি এবং তিতাস উপজেলায় ১৩টি।
পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে আর যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
আর এসব বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎসবমুখর দুর্গাপূজা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের সাথে সেনা বাহিনীর প্রতিটি সৈনিক আছে, প্রতিটি অফিসার আছে। আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিবেন-আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা প্রতিটি জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আগত অতিথিরা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দুর্গোৎসব সবার মাঝে আনন্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় সড়ক মহাসড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে জুলাই ঐক্যমঞ্চের নেতাকর্মীরা। শহরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য কর্মসূচি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে দুই দিনের পরিকল্পিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা মহানগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, দেশে নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র রোধ করতে হবে। আমরা পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার বিকাল ৪টা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নিয়েছে ঐক্যমঞ্চের নেতাকর্মীরা। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়ক পেট্রোল টিমের মাধ্যমে পাহারা চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জুলাই ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন, মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম সাইফ, এছাড়াও কুমিল্লা মহানগরের ছাত্রশিবির সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, ইনকিলাব মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক গোলাম সামদানী, ছাত্র অধিকারের জেলা সভাপতি আজহারুল আমিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র শিবিরের সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


দেশে ফিরছেন হেঁটে হজে যাওয়া
কুমিল্লার ছেলে আলিফ মাহমুদ আদিব।
রোববার (৭ জুলাই) দেশে ফেরার
কথা জানান আলিফ মাহমুদ।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে
১২টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা তার।
২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম বাতাবাড়িয়া থেকে আলিফ রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে।
নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস হেঁটে ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি পবিত্র
হজ পালন করেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম
বাতাবাড়িয়া থেকে হেঁটে রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে। দীর্ঘ ৯ মাসের পথচলায়
ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, দুবাই হয়ে পৌঁছান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে।
হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালনের
সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আলিফ জানান, হাজার বছর আগের ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্যের এই একমাত্র
পথ আকৃষ্ট করে তার ভ্রমণ পিপাসু মনকে। শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও,
পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করেন।
এদিকে হেঁটে হজে যাওয়ায় আলিফ
মাহমুদের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যে যেভাবে
পেরেছেন তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী
বাংলাদেশিরা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা নিয়ে
মাহমুদ বলেন, ইচ্ছে আছে আরো বহু দেশ ভ্রমণ করবো, নিজের মত করে একটি মাদরাসা ও মসজিদ
প্রতিষ্ঠা করবো, অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াবো। পথশিশুদের জন্য কিছু করবো।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী ব্যাপক গণসংযোগ ও একাধিক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
বিকাল ৩টা থেকে তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ লক্ষিনগর চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দিশাবন্দ এলাকায় আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা বিশ্বরোড অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
ওয়ার্ড সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও দিশাবন্দের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান, দিশাবন্দ কেন্দ্র পরিচালক আরিফুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা হারিস, ওমর ফারুক, মাস্টার এনায়েত উল্লাহ, সগির আহমদ, আব্দুর রহিম, জামাল হোসেন, রবিউলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন— “দেশের রাজনীতি থেকে অন্যায়, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হলে ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এরপর তিনি কুমিল্লা নগরীর ১২নং ওয়ার্ডে আয়োজিত আরেক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১২নং ওয়ার্ড আমীর জাফর আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি হাফেজ হুমায়ুন কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অঞ্চল সহকারী পরিচালক মো. নুরে আলম বাবু, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল নোমান, মনিরুজ্জামান, আকবর হোসেন, কাইয়ুম খন্দকার, মাহবুবুর রশিদ, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩নং গলিয়ারা ইউনিয়নের বাটেরা গ্রামে অনুষ্ঠিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা আমীর মো. মিজানুর রহমান এবং ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান।
বৈঠকে ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু তাহের, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হালিম, ১নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি আবুল কালাম, শ্রমিক কল্যাণ ওয়ার্ড সভাপতি জিয়াউর রহমান, সমাজসেবক সফিকুল ইসলাম, আব্দুল মুমিন মাস্টার, মগবুল মিয়া, ফিরোজ মিয়া, মাওলানা আব্দুল মুমিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সদর উপজেলার ঈশ্বর পাঠশালার মহেশাঙ্গন প্রাঙ্গণে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক, ২৩ বীর। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর এডমিন ডিএডি মহসিন, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলার আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সাহা।
সভায় বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবসময় আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সমন্বয় সভা সেই সম্পর্কেরই প্রতিফলন। পূজাকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই সবার অঙ্গীকার।
নিরাপত্তা জোরদার ও পূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ এলাকায় ব্যাগ চেকিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যবেক্ষণ, দ্রুত যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ চিহ্নিতকরণ ও নজরদারি বাড়ানো, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণের কথা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১০ কেজি
গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন
নাজিরা বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ নূর নবী এবং ২।
মোঃ আব্দুর রহীম উল্লা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ নূর নবী
(৬৫) চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর
ছেলে এবং ২। মোঃ আব্দুর রহীম উল্লা (২৬) একই জেলার আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনী কাচাঁবাজার
গ্রামের মোঃ আজিজুল হক এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর
যোগসাজসে জব্দকৃত মিনি ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ মো. টিপু নামে এক যুবককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। টিপু গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
চৌদ্দগ্রাম সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম শনিবার রাতে গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর-কর্তাম এলাকায় টিপুর বাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিপুর বসতঘর থেকে দেশে তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অস্ত্রসহ আটককৃত টিপুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন