কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় বিজয় র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকাল ৪.০০ টায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এ দিনটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাংলোর গেইট, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন দেয়াল সমূহ, প্রধান গেইট থেকে গোল চত্বর পর্যন্ত এবং হল সমূহের সম্মুখভাগে আলোক সজ্জিত করা হয়েছে।
বিজয় র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ সমূহ।
পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে কেক কেটে মার্কেটিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত‘মার্কেটিং প্রিমিয়ার লীগ’শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
নাঙ্গলকোটে আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ০৯/০১/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন নুরপুর সাকিনস্থ সেবাখোলা বাজারের খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গনধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম লাকি বেগম (৪০) বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গনধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জানুয়ারী দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ধামতী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী মোঃ খোকন (৪২), পিতা-আলী মিয়া, সাং-করের ভোমরা, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মায়া খাতুন (২০) এর সাথে ১ নং আসামী
সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
ভিকটিমকে দেখা করার জন্য আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি
বেগম (৪০)’কে নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব
দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে
আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক
সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদ’সহ
অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ
করে এবং কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা
গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৮৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কৌশলে পিকআপের
পিছনে মালামাল পরিবহণের ক্যারেটের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। জুয়েল
রানা এবং ২। মোঃ আকাশ নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামী’দ্বয়ের
কাছ থেকে ৮৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। জুয়েল রানা (৩১) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে এবং ২। মোঃ আকাশ (৩২) একই থানার উত্তর বাসুদেরপুর গ্রামের মোঃ খোকন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে দিনাজপুর সহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ
করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
ঢুলিপাড়া চৌমুহনী এলাকায় অবস্থিত নিউ যত্ন মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে
এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত
যুবকের নাম সোহেল। তিনি বরুড়া উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আজ
শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর
দেয়।
এ
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও রোগীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চিকিৎসাধীন
রোগীরা কেন্দ্রটির ভবন ভাঙচুর করছে।
এদিকে
নিহত সোহেলের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিবারের
দাবি, নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীরা নির্যাতনের মাধ্যমে সোহেলকে হত্যা করেছে।
এ
বিষয়ে কুমিল্লা ইপিজেড ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে
উপস্থিত ছিলাম, তবে কাজ করার সুযোগ পাইনি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো
হবে।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আজ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ চৌয়ারা বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা ডিমসহ নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা
করেন। এসময় অনিয়মের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ তদারকি কার্যক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে রাফেয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ গলায়
ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের প্রবাসী ওবায়দুল ইসলামের স্ত্রী।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে
ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ।
স্বাস্থ্য কপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩ টায় রাফেয়া আক্তারকে তার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম ও প্রতিবেশী এক নারীসহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার গলায় কালো জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাফেয়ার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আর স্বামীর বিয়ের খবর প্রথম স্ত্রী রাফেয়া সোমবার দুপুরে জেনে যায়। ক্ষোভে তিনি বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রাফেয়ার চাচা শ্বশুর খোকন মিয়া বলেন, ওবায়দুল ইসলাম ১৫ দিনের ছুটিতে ওমান থেকে দেশে আসে। দেশে আসার আগে ওবায়দুল মুঠোফোনে ঢাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে।
বিষয়টি সোমবার তার প্রথম স্ত্রী জেনে যায়। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি এই বাড়িতে তুমি ছাড়া অন্য কোনো নারী আসতে পারবে না। তারপরও সে সবার অজান্তে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রাফেয়ার মৃত্যু হয়। তার গলায় কালো জখমের দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম আক্তার উজ জামান জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ, কোনোটি বেগুনি রঙের। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। কারণ এগুলো রঙিন ফুলকপি। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায়। এই জেলার ১৭টি উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
শিবপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের গ্রামের উৎসুক মানুষ রঙিন ফুলকপির জমির পাশে ভিড় করছেন। কেউ ফুলকপি কিনতে এসেছেন। কেউ জানতে এসেছেন কোথায় এর বীজ পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি ধরে দেখছেন। হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন- রং আসল না কৃত্রিম!
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেছেন, দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এ্ই প্রথমবার ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রতিটি ফুলকপি বড়গুলো ৭০-৮০ টাকা, ছোটগুলো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। এ চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেছেন, আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও মাদক বিক্রির
নগদ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একটি চৌকস টিম।
কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মীর সিরাজুল ইসলাম, এএসআই(নি:) মোঃ ইলিয়াস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন শাহপুর পূর্বপাড়া মো: সহিদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল বিদেশি মদ, ৪৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯৩ বোতলের স্কাপসিরাপ, ৭৯ বোতল বিয়ার, ৭৭৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১০,৮২,০৭০ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, কোতয়ালী মডেল থানার শাহপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো: আব্দুল সাত্তার (৫২) ও সদর দক্ষিণ মডেল থানার লালমাই দক্ষিণ কাছার গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে মোঃ পারভেজ (১৫)।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল সাত্তার ও মোঃ পারভেজ এর বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন