"রুখে
দিয়ে ড্রেজার,
নিশ্চিত করি
বাঁচার অধিকার"
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিন
ফসলী কৃষি
জমির ক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন মুরাদনগর উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধ ভেকু,
ড্রেজার মেশিন
দিয়ে মাটি
উত্তোলনের দায়ে
একই দিনে
৫টি স্থান
থেকে ৪ টি অবৈধ
ড্রেজার মেশিনসহ
৩ হাজার
ফুট পাইপ
বিনষ্ট ও অপসারণ করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আক্তার হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদন্ড প্রদান ও ২ টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
দুপুরে
উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম
ইউনিয়নের কুরবানপুর, জানঘর, খোঁশঘর, হাটাশ,
মালিপাড়া এলাকায়
ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করেন
উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান
খাঁন। এ অভিযানে বাঙ্গরা
বাজার থানা
পুলিশ উপস্থিত
ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন
বলেন, তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধভাবে মাটি
কাটা, বালু
উত্তোলনের দায়ে
ভেকু ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের
মাধ্যমে ড্রেজার
মেশিন, পাইপ,
ব্যাটারি অপসারণ
জব্দসহ জেল
ও জরিমানা
করে এসেছি।
উপজেলার কৃষি
জমি রক্ষায়
অসাধু ড্রেজার
ব্যবসায়ী চক্রকে
নির্মূল করার
লক্ষ্যে আমাদের
এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে।
সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান
খান যোগদানের পর থেকে প্রায়
৭ মাসে
১৭০ টি
ড্রেজার ও ১ লক্ষ
২০ হাজার
ফুট পাইপ
অপসারণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আন্তর্জাতিক
ভলান্টিয়ার দিবস উপলক্ষে ‘বেস্ট ভলান্টিয়ার’
এওয়ার্ড অর্জন করেছেন কুমিল্লা জেলার মো: নাঈমুল হাসান মজুমদার নাঈম।
কুমিল্লা জেলা থেকে তিনিই প্রথম এই
এওয়ার্ড অর্জন করলেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে প্রথম হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের
পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ
ও অপারেশনাল কার্যক্রমে ২২জনকে স্বীকৃতি সনদ ক্রেস্ট তুলে দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল
ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ডে-২০২৪
এর শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
অনুষ্ঠানে ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণে
সাজ-সরঞ্জামের বাস্তব ব্যবহার ভিত্তিক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার বিষয়ে প্রশিক্ষণ মহড়া
অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে এবারের অনুষ্ঠানে ২ শতাধিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর পরিচালকগণ, উপপরিচালকগণ, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ
বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (২ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মনাগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ পাভেল মিয়া (৩০) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ পাভেল মিয়া (৩০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দ্বিতীয় মুরাদপুর গ্রামের মৃত আবাদ মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী আজ বৃহস্পতিবার। সারাদেশের ন্যায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার কুমিল্লা মহেশাঙ্গণসহ জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সকাল ৬টা ১০মিনিট থেকে সপ্তমীপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে পূজা, দেবীদর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান শেষে প্রসাদ গ্রহণের মতো আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। মণ্ডপে মণ্ডপে সকাল থেকেই ছিল পুণ্যার্থীদের ভিড়।
এ বছর কুমিল্লা মহানগরী সহ জেলায় ৭৯৪ টি পূজা মন্ডপে শারতীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
এদিকে পূজাকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে যাতে না পারে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ প্রতিটি পূজা মন্ডপে ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১৯ নভেম্বর) দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন জাগুরজুলি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী
মোঃ রেজাউল ইসলাম নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ রেজাউল ইসলাম (৪০) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার জুলগাঁও গ্রামের মৃত মফিজুল হক
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে জব্দকৃত মাইক্রোবাস যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২ ঘন্টার মধ্যে ছোট ভাইয়ের
হাতে বড় ভাই হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক গ্রেফতার এবং আলামত(একটি লোহার তৈরী রক্তমাখা বটি)
উদ্ধার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানায় পুলিশ।
গত ২৬ জুন বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার
১০নং বাতিসা ইউনিয়ন চাঁন্দকরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াছ(৫০) ও তার আপন ভাই মোঃ বাহার
(৩৩) এর মধ্যে তাদের বাড়ির উঠানে ছাগল পালনকে
কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামী বাহার তার ঘর হতে লোহার ধারালো বটি এনে
পরিকল্পিতভাবে মোঃ ইলিয়াছকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাম দিকের পাজরে স্বজোরে গুরুতর আঘাত
করে। উক্ত আঘাতের ফলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাৎক্ষণিকভাবে মোঃ
ইলিয়াছকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যুবরণ
করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পাওয়া সাথে সাথে চৌদ্দগ্রাম
থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম স্থানীয় সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম থানার
বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ বাহারকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারক আসামী হলো-কুমিল্লা জেলার
চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চাঁন্দকরা গ্রামের মৃত শফিকুর রহমান এর ছেলে মোঃ বাহার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ বাহার
হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা বটি তার দেখানো স্থান
হতে উদ্ধার করা হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা
রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী ও পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ০৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫), ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) এবং ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) নামক ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৬,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) ও ২। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৩,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে, ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারা গ্রামের মৃত জহির মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ খায়ের মিয়া এর ছেলে, ৪। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত দুলা মিয়া এর ছেলে এবং ৫। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৭ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব (২৭) হত্যা এবং ৬ জনকে গুলিবিদ্ধ করার মামলার আসামী ১। মোঃ হালিম (৫৫), পিতা- মৃত মনু মিয়া, সাং-শাসনগাছা (মোল্লা বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ২। মোঃ সজল (৩০), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-শাসনগাছা (দক্ষিণ বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ৩। মোঃ ওমর ফারুক (২৪), পিতা-কালু মিয়া, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৪। মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩৫), পিতা-রাজ্জাক (মিস্ত্রি), সাং শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৫। মোঃ ইব্রাহীম (২৫), পিতা- রফিকুল ইসলাম, সাং-বেলাশ্বর, থানা-চান্দিনা, সর্ব জেলা-কুমিল্লাদের’দের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে অর্নাসে অধ্যায়নরত। শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে শাসনগাছা মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ১৫ মার্চ ২০২৪ তরিখ মধ্যমপাড়ার আবুল কাশেমের দলের সঙ্গে মোল্লা বাড়ির ফজলে রাব্বি ও আলাউদ্দিনের দলের সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলে ১ নং আসামী ফজলে রাব্বি ও ২ নং আসামী খলিলুর রহমানের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল দ্বারা গুলি বর্ষন করে এবং অন্যান্য সহযোগীরা ইট-পাটকেল দিয়ে আক্রমন করে। ঘটনার একপর্যায়ে, জামিল হাসান অর্নব এর বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং মোঃ অনিক (২৮), নাজমুল (২৮), মোঃ দিপু (৩৫), নিশু (২২), মোঃ মোহন (২০) ও রিনা (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাদের কে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জামিল হাসান অর্নবকে মৃত ঘোষনা করে এবং বাকীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ভিকটিম মারা যাওয়ার পর এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধের কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব জানান, র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লা বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন