

মোঃ বিল্লাল হোসাইন, মুরাদনগর:
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে গুনজর গ্রামে দাদীর জানাজা শেষে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নাতির মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়। নিহত মো. সাকিবুল হাসান (২১) উপজেলার নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়নের গুঞ্জর সরু মিয়া হাজী বাড়ির মো. মৃদন মিয়ার ছেলে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বাখরনগর ফুলমালা ব্রিকসের সামনে ভয়াবহ এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য,সে দাদীর জানাজা পড়ার জন্য চট্রগ্রামের পতেংগা (তার কর্মস্থল) থেকে গতকালই এসেছিল।
এ বিষয়ে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: মঞ্জুরুল আবছার বলেন, মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ ও আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকা হতে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: বাগেরহাট জেলার কঢ়ুয়া থানার বড় আন্দার মানিক গ্রামের মৃত আঃ হামিদ শেখ এর ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান (৫০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে বাগেরহাট, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দেউশ মন্দভাগ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর সালদা নদীতে প্রথম আক্রমণের পর ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওহাবের ৭ নং প্লাটুনকে দেউশ-মন্দভাগ এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দলা খাল ও দক্ষিণ-পূর্বে সালদা নদী ঘিরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২টি এমজি, ৭-৮টি এলএমজি এবং ৬০ মি.মি. মর্টারসহ দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করেন।
শত্রুপক্ষ ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ১৭ অক্টোবর রাতে সালদা নদী পথে অগ্রসর হয়। ১৮ অক্টোবর ভোরে চান্দলা খালে মাছ ধরায় নিয়োজিত আবু মিঞা প্রথমে শত্রুর নৌবহরের শব্দ শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুর প্রথম নৌকাটি প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলে নায়েক আতাউর রহমান গুলি চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। মুহূর্তেই মুক্তিবাহিনীর সব পোস্ট সক্রিয় হয় এবং সুবেদার ওহাব নিজে এমজি পজিশনে থেকে ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়াবহ গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সেনাদের ৭-৮টি নৌকা ধ্বংস হয়, বহু সেনা নিহত ও আহত হয়। ভোরের আলো ফোটার পর সুবেদার ওহাব ও তাঁর সহযোদ্ধারা লে. সীমাসহ প্রায় ১৫-২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত এক হাবিলদারের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লেখা ছিল- “এখানে মুক্তিবাহিনী নামক বাহিনী আচমকা এসে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, এদের দেখা যায় না।”
এই চিঠি মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সার্থকতা প্রকাশ করে।
আহতদের মধ্যে হাবিলদার আকরাম নামের এক সৈনিক জানায়, তাদের নৌকায় মেজর আফ্রিদি ছিলেন যিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। সুবেদার ওহাব আহত আকরামকে হত্যা না করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে পাঠান—যা মুক্তিবাহিনীর মানবিক আচরণের উদাহরণ।
অতঃপর সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিআক্রমণ শুরু করে। সুবেদার ওহাবের এমজি ও এলএমজি পোস্ট থেকে গুলি ও মর্টার বর্ষণে শত্রু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটে যায়। এরপর শুরু হয় আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ, যা অধিকাংশই খাল ও বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের দৃঢ় অবস্থান শত্রুকে হতাশ করে।
দুপুরে শত্রু ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ থেকে গুলি বর্ষণ করে। এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সুবেদার ওহাব পরে হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠান।
এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৫০-৫২ জন নিহত ও ৫০-৫৫ জন আহত হয়, যার মধ্যে ২ জন অফিসারও ছিলেন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একক অভিযানে শত্রুপক্ষের সর্বাধিক হতাহতের অন্যতম নজির। পাকিস্তানি সেনারা পরবর্তীতে সুবেদার ওহাবকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
দেউশ-মন্দভাগ অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যেখানে সুবেদার ওহাবের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশল, সাহস ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করেছিল যে আধুনিক অস্ত্র নয়, স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষাই বিজয়ের মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রাকের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা লতিফ সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহত দুই শিশু হলেন; ফাতেমা ইয়াসমিন (৯), তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং জান্নাতুল ফেরদৌস (১০), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তারা উভয়েই চিওড়া ইউনিয়নের নগর শরীফ গ্রামের বাসিন্দা।
লতিফ সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে দুই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। দীর্ঘ সময়েও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এটি একটি হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। পরিবার চাইলে প্রয়োজনে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জের ধরে মো: নজরুল ভূঁইয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ প্রেমিকা স্মৃতি ও তার স্বামী মো: হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত নজরুল ভূঁইয়া উপজেলার সাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ট্রাক্টর গাড়ির চালক ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট রাত ১০ টায় নজরুল ভূঁইয়া (৩৫) দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ৮ আগস্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিতাস থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের সিম দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে রবিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো: হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে (২৭) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৪ টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের হাত দুটো উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, নজরুল (৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি, পরে (৮ আগস্ট) নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন, তারই সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত সৃতি আক্তারকে শনাক্ত করে তাকে এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চার টুকরো করে চারটি বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দিয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ নিহতের হাত দুটো খাল থেকে উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন


রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার গন্ডামারা এলাকায় ট্রাক চাপায় ইসমাইল হোসেন পরান (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছে। এতে তার দুই বন্ধু আহত হয়েছে।
লাকসাম পৌরসভার ফতেহপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে নিহত ইসমাইল। নিহত ইসমাইল স্থানীয় উম্মুল কোরান মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত দুজনের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মাদরাসা থেকে বের হয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল ইসমাইল ও তার দুই বন্ধু। এসময় রাস্তায় পানি ছিটানো একটি ট্রাক পেছন থেকে তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইসমাইলের। এতে তার দুই বন্ধু আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন


মিথ্যা মামলায় কুমিল্লা আদালত থেকে
জামিন পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য সাদেকুর
রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ( আমলী আদালত নং ১১) মুমিুনুল হকের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন আবেদন
করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতে বাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিনিয়র সাংবাদিক সাদেকুর রহমানের
বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে
ডিআরইউ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে
সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাংবাদিক সাদেকুর
রহমান জানান, সম্প্রতি জনৈক শাহিনূর বেগম আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট ৮নং আমলী আদালতে ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দ.বি. আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায়
মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। তাকে আমি চিনি না। তার সাথে আমার কখনো দেখা বা কথা হয়নি।
বিজ্ঞ আদালতের আদিষ্ট হয়ে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ কথিত তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১ জুলাই
আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিপি-৮৮১৪১৬৭৬৫৮,
সাব-ইনস্পেক্টর (নিরস্ত্র), জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা, আমার সাথে কথা বলেন নি বা
কোনো প্রকার যোগাযোগ করেন নি। মামলার আর্জি ও আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষা
প্রায় একই রকম, যেন অভিযোগকারী ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। আমি খোঁজ
নিয়ে জানতে পারি বাদী ও সাক্ষীগণ পতিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার পুরো
প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত হয়। আমার দাদার বাড়ি
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হলেও জন্ম, বেড়ে উঠা ও কর্মসূত্রে
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় বসবাস করে আসছি। চাচারা আমাদের জায়গা-সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। এ
মামলায় তাদের ইন্ধন থাকতে পারে।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সাদেকুর রহমানকে আদম বেপারী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এই মামলা থেকে সাদেকুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহীনির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা ৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও ক্যন্টনম্যান্ট) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থনে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপির আয়োজনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নগরীর টমছমব্রীজ থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন মোড় হয়ে কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মহানগর বিএনপি নেতা সোহেল মজুমদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিলা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ড. শাহ মোহাম্মদ সেলিম, কৃষক দলের সভাপতি মোস্তফা জামান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হক ভুঁইয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুস সালাম মাসুক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুব, খলিলুর রহমান, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, বিএনপি নেতা জাফর ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ খোকা প্রমুখ। এসময় মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন কুমিল্লা ৬ আসনের জন্য মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনীত করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ মনিরুল হক চৌধুরীর তথা ধানের শীষের প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। তারা বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই ধানের শীষের বিজয় আটকাতে পারবেনা। আগামী ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এই শ্লোগানে ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতুলি ধীতপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যানার হাতে ঝটিকা মিছিল করে বেশ কিছু নেতা-কর্মী। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা-কর্মীরা সরকার বিরোধী মিছিল ও শ্লোগান দিয়ে অপরাধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্ন করে সরকারের প্রতি জনমনে ঘৃনা ও আতংক সৃষ্টি করার অপরাধ করে তারা। ওই ঘটনায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর আহমেদ ।
মঙ্গলবার রাতে দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জন এবং এর আগে মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সোহেল মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফয়সাল এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী ৪জন । আজ ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, নাশকতার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তাকৃত সাতজনকে আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন