নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর মানামা হোটেলের সামনের মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল, হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে, তারপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসটি জব্দ হলেও চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, প্রতিবেদক:
বিশ্বশান্তি
ও মানব জাতির মঙ্গল কামনায় রবিবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরস্থিত শ্রী
শ্রী রাজ-রাজেশ্বরী কালী মায়ের বাড়ীর নাটমন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী অনুষ্ঠিত
হবে।
তদুপলক্ষে
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের শুভ অধিবাস। পরদিন রবিবার
সকাল ৮টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা আরম্ভ, ভোগ বিরাগ শেষে দুপুরবেলা
আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং সবশেষ বিকেল ৫টায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজার
পূর্ণাহুতি।
ওই
মহতী অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন
শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী কালী মাতার মন্দির কমিটি।
এদিকে,
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট
তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার রেশ কাটতে না কাটতে চলে
এলো জগদ্ধাত্রী পুজো। মা কালীর বিসর্জনের পরই হৈমন্তিকার জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মেতে ওঠবেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন সকলের নজর থাকে অষ্টমী তিথির দিকে;
তেমনই জগদ্ধাত্রী তিথি ঘিরে সকলের নজর থাকে নবমীর দিকে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) দুপুর ২টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. মোছলেহ উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এমদাদুল হক মামুন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন ও নাসির আহমেদ মোল্লা।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাম, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মোতাহের আলী দিলাল, কাজী নজির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও শাহাদাত হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি করেন। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২৫,৮০০ পিস বাজি জব্দ করেছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কটকবাজার পোস্টের বিশেষ টহলদল, হাবিলদার মোঃ মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করে।
অভিযানে, সীমান্ত পিলার ২১০০/২-এস থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেকে নগর নামক স্থান থেকে ভারত থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা এই বিপুল পরিমাণ বাজি জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লেসহ যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন ১০ বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় কটকবাজার পোষ্টের বিজিবির বিশেষ টহল দল। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।
এসময় সন্দেহভাজন মিনি কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে ১৩ হাজার ৫শ ২৭ পিস অবৈধ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে ও গাড়িটি জব্দ করা হয়।
আটক হওয়া ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লের মূল্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন বিজিবি । জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়ন ২৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় মদ এবং বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত প্রায় ১২ টার দিকে কুমিল্লা বিজিবির ১০ ব্যাটালিয়ন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আওতাধীন বিবিরবাজার বিওপি’র অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিষ্ণুপুর নামক স্থান হতে মালিক বিহীন অবস্থায় অবৈধ ভারতীয় ৬০ বোতল মদ এবং ১১ হাজার ৩ শত ৪০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থিত ময়নামতি গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাবে ' প্রথম রানার কাপ গলফ টুর্নামেন্ট - ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (
২ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত উক্ত টুর্নামেন্টে বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে শতাধিক গলফার অংশগ্রহণ করেন। ময়নামতি গলফ কান্ট্রি ক্লাবের মাঠে রঙিন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন, ময়নামতি গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাবের সভাপতি এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। টুর্নামেন্ট শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন, জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সেনাবাহিনীর এর বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেন (৫৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮টি ছুরি, ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ৩টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি-কুমিল্লার উদ্যোগে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযানে ১২ বোতল বিলাতীমদ
এবং মাদক বিক্রির ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩ শত টাকাসহ দুইজনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা এর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাঙ্গলকোট ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আবু শাদনান সৈকতসহ ১৮ জন সশস্ত্র সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১ টায় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন বাঙ্গড্ডা উত্তর উত্তর পাড়া গ্রামস্থ আতর ইসলাম প্রকাশ আতিক(৫৩) এর বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল বিলাতীমদ এবং মাদক বিক্রির ১,১৮,৩০০ টাকাসহ মুর্শিদা বেগম (৪৯) কে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মুর্শিদা বেগমের স্বামী টাস্কফোর্স টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আটককৃত আসামি মুর্শিদা বেগম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের আতর আলী প্রকাশ আতিক এর স্ত্রী।
টাস্কফোর্স অভিযানে কুমিল্লা ডিএনসির অন্যান্য সদস্য এবং নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক তোকিক আহমেদ এর নেতৃত্বে ৪ পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
#একাই কে'ড়ে নিলেন ৭ জনের প্রা'ণ !
মন্তব্য করুন