কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি জব্দ করেছে।
আজ
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শিবের বাজার
বিওপি এর বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ২১০২ থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোনাপুর
এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন প্রকার
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি আটক করা হয়।
আটককৃত
শাড়িগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঢাকা-কচুয়া সড়কের উপজেলার শায়েস্তানগরের কাছে বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টর উল্টে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি কৌশিক আহমেদ দুর্ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৭টার দিকে শায়েস্তানগরের কাছে একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টরকে ঢাকাগামী আল আরাফা পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে ইটভাটার দুই শ্রমিক নিহত হন। তারা হলেন- উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান (২৮) ও জামালপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩২)।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৌলতপুরের কাছে ঢাকাগামী অর্ণিবান পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার এক যাত্রী মারা যান। তার নাম জানা যায়নি। এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি কৌশিক আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার পর অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। তবে লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. হেলাল বলেন, মরদেহগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। (৩ সেপ্টেম্বর) বুধবার রাতে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউষ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন এর নির্দেশে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান জুয়েল ও উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার আচার্য্যা সঙ্গীয় ফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউষ এলাকায়। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন নারী এবং একজন পুরুষকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো পটুয়াখালী সদর উপজেলার টাউন বহাল গাছিয়া গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন হাওলাদার প্রকাশ সাগর (২০) এবং মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার খালিয়া গ্রামের মো. ওহাব আলী বেপারীর মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৫)।
আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান ও তমালিকা পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইটভাটাগুলো হলো: ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকস।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিনটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২টি ইটভাটা থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, জুবায়ের হোসেন, বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ শাহান, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান ও থানা পুলিশের একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচটি ইটভাটাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক:
নিটোল
পায়ে রিনিক ঝিনিক,পায়েলখানি বাজে
মাদল
বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা
মেয়ে নাচে...
এস
ডি বর্মণের কণ্ঠে সেই প্রখ্যাত গান। বলছিলাম উপমহাদেশের সংগীতের রাজপুত্র কুমার শচীন
দেববর্মণের কথা।
শচীন
দেববর্মণ (১ অক্টোবর, ১৯০৬-৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫) বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী
গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত। আগরতলার বাসিন্দা হলেও শচীন দেবের শৈশব কেটেছে কুমিল্লায়
এবং শেষ জীবন মুম্বাইতে। তাঁর সহধর্মিণী মীরা দেবী এবং একমাত্র পুত্র রাহুল দেববর্মনও
মুম্বাই চিত্রজগতের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী।প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ
করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন
কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক।
তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পুত্র রাহুল
দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর ছাত্রী এবং পরবর্তীতে
সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রবি গুহ মজুমদার এর
অনেক গানে সুর দিয়েছেন এবং তা শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি ২ বার (১৯৫৫ ও ১৯৭৪)
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করেন।
শচীন
দেব বর্মণ তার যুগের তুলনায় অনেকাংশে আধুনিক ছিলেন। তার অনেক গানই আজকাল রিমিক্স হচ্ছে
এবং জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানছেন না, গান গুলোর আসল
সুরকার এবং গায়ক শচীন দেববর্মণ। শচীন দেব অনেক বাংলা গানে সুর দিয়েছেন। ১৯৩৪ সালে
নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মিলনে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৩৭ সাল থেকে পরপর
কয়েকটি বাংলা ছায়াছবিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য
ছায়াছবি হলো: রাজগী, ছদ্মবেশী, জীবন-সঙ্গিনী, মাটির ঘর ইত্যাদি। তার বিখ্যাত কিছু
গান যেমন-
শোনো
গো দখিন হাওয়া
হৃদয়ে
দিয়েছো দোলা
কে
যাসরে
ঝিল
মিল ঝিল মিল
তুমি
আর নেই সেই তুমি
রজ্গীলা
তুমি
এসেছিলে পরশু ইত্যাদি।
প্রতি
বছর দু-তিন দিন জুড়েই পালিত হয় 'শচীন মেলা'। স্নিগ্ধতা এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ব্যাখ্যা
দেয় সোনালী অতীতের। শচীন দেববর্মণের মতো মানুষরা অমর প্রজন্মের পর প্রজন্মে।
বাংলা ও হিন্দি গানের কিংবদন্তি সুরকার শচীন দেববর্মণ এর জন্মভিটা কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায়। একসময় রাজবাড়ি হলেও এখন সেটি ইতিহাসের কান্না বয়ে চলা এক পরিত্যক্ত ভবন।
সরকারি উদ্যোগে ‘সংস্কৃতি কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে বাড়িটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়।
আমরা কি তবে শচীন কর্তার সুরের স্মৃতি হারাতে বসেছি?
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বলদাখাল খিলাল ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ছিনতাইকালে তাকে আটক করা হয়েছে।এ বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আফসার জানান, ৩/৪ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করার সময় মোটরসাইকেল চালকের আত্ম চিৎকারে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এসময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয় এবং কয়েকজন পালিয়ে যায়।আটককৃত ছিনতাইকারী মোঃ আনন্দ (১৮) দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দী গ্রামের মোঃ আক্তার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৮৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন মিরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মিনারুল ইসলাম (৩১) এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি প্রাইভেটকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ মিনারুল
ইসলাম (৩১) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট থানার হিচমী দক্ষিণপাড়া
গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চান্দিনায় একটি ফুড প্রডাক্ট
কোম্পানিকে অবৈধভাবে ড্রামের সয়াবিন তেল বোতলজাত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি ও ভেজাল
পণ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার হারঙ
ইউনিয়নের উদিলার পাড় এলাকায় “রহমান কনজিউমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড”-এর কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ড্রামের
সয়াবিন তেল কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই বোতলে ভরে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি
করছে। এছাড়া, “রূপচাঁদা”
ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি “কেওড়া
জল” নামে একটি পণ্য তৈরি করছে, যাতে সুগন্ধি
ও সাধারণ পানি মিশিয়ে লেবেলবিহীনভাবে বাজারজাত করা হয়। পাশাপাশি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যপণ্য উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীনে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিধি ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযান সহযোগিতা করেন বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার ইকবাল আহমেদ, জেলা স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর মো. শওকত আলী, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি
টিম।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ রবিবার (১১ মে)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর সামারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) নামক দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বড় আলমপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) একই গ্রামের টিপু সুলতান এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন