

কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
আজ
(৬ জানুয়ারী) রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৪নং আমরাতলীর
বাসমঙ্গল চৌমুনী পাকা রাস্তায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রাফিন ফার রহমান প্রঃ
মাটি(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ রাফিন ফার রহমান প্রঃ মাটি(২৫), পিতা মৃত-শাকিল আহম্মেদ প্রঃ নিজাম
উদ্দিন, মাতা-মরিয়ম বেগম প্রঃ মারিয়া আক্তার, সাং-কুচাইতলী (মধ্যপাড়া, লিটন মেম্বারের
বাড়ী সংলগ্ন), থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৬ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ময়নামতি সাহেবের বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাহজাহান (৫২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে করে। এ সময় আসামী কাছ থেকে ৫২ কেজি গাঁজা ও ০১ টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহজাহান (৫২) গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার মাছিমপুর গ্রামের মৃত এনতাছ আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ১ বোতল মদসহ মো: ইসমাইল মিয়া (২৩) নামে এক মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
সোমবার (৫ মে) দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথপুর বিওপির ডিমাতলী এলাকা থেকে
আটক করেছে। আটককৃত ইসমাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া এলাকার ডিমাতলী গ্রামের মৃত আব্দুর
রবের ছেলে।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি)
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত
এলাকা প্রহরার মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও
সফলতার সাথে পালনের পাশাপাশি পেশাদারিত্বের সাথে যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন
এবং চোরাচালানি ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন জগন্নাথদিঘী বিওপির বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক সীমান্ত শূন্য লাইন হতে আনুমানিক
৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডিমাতলী নামক স্থান হতে মো. ইসমাইল মিয়া (২৩)কে আটক করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল এবং ০১ বোতল মদসহ আটক করা হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য-৩ লাখ ৪৫ হাজার৪’শ
টাকা। আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্যসহ চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় বিজয় র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকাল ৪.০০ টায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এ দিনটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাংলোর গেইট, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন দেয়াল সমূহ, প্রধান গেইট থেকে গোল চত্বর পর্যন্ত এবং হল সমূহের সম্মুখভাগে আলোক সজ্জিত করা হয়েছে।
বিজয় র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ সমূহ।
পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে কেক কেটে মার্কেটিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত‘মার্কেটিং প্রিমিয়ার লীগ’শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী।
মন্তব্য করুন


একটি শিশুর শৈশবের চিত্রাঙ্কন হচ্ছে অভিভাবক বা শিক্ষক।
আমরা যেভাবে চাইব সেভাবে তারা গড়ে উঠবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে রূপদান করবে। তাই বলে ভূল রূপদান যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আমাদের ভালোবাসা তাদের দিতে পারি কিন্তু চিন্তাভাবনা নয়, কারণ তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। আসলে কোমল শিশুরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দিলে তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়। নিজে থেকে কিছু করার বা চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হারিয়ে ফেলে তার সৃজনীশক্তি।
তাদের মানসিক বিকাশ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চিত্রাঙ্কন হতে পারে তার অন্যতম মাধ্যম।
শিশুরা
তার আশপাশের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, পরিবেশ তার ছবির ভাষায় তুলে ধরবে ।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় -এর উদ্যোগে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগিতায় ‘বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও বাংলাদেশের বাস্তবতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান জীবল এবং ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
এছাড়া লোকপ্রশাসন এবং আইন বিভাগের শিক্ষকগণও উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথকীকরণ এবং পৃথকীকরণ পরবর্তীতে বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে- এ বিষয় নিয়ে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'বাংলাদেশের চালিকাশক্তির তিনটা স্তম্ভ হলো-আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ। এ তিনটা বিভাগের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগিতা হওয়া দরকার ছিল, কোন বিভাগ কত ভালো করবে। স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে হলে বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। যারা নির্বাহী বিভাগে কাজ করেন তাদেরও স্বাধীন হতে হবে। অন্যথায় আবার সেই ফ্যাসিজম আরও ভয়ানকভাবে ফিরে আসবে।'
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন বলেন, 'কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামো হবে এর ওপর অনেকে তাদের বিজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। আপনি একটা রাষ্ট্রের সংবিধান করবেন, আইন করবেন কিন্তু সেটা জনবান্ধব অথবা সেটা জনগণের জন্য কল্যাণকর কি-না, সংবিধান সেটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট কে। কোনো আইন যদি জনকল্যাণকর না হয় তাহলে সুপ্রিমকোর্ট সেই আইন ডিক্লাইন করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, '১৭৩১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ বছরে ১৮২ বার বিচার বিভাগকে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ রাজা যে শাসন চালাবে, কেউ যদি তাকে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সে তো এটা স্বাভাবিকভাবে নিবে না। ২০০৭ সালে আমার মামলায় (মাসদার হোসেন মামলায়) বিচার বিভাগকে কাগজ-কলমে আংশিক স্বাধীন করা হলেও আসলে এটি স্বাধীন হয়নি। তবে এখন সংস্কার কমিটির কাজ চলমান আছে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমরা আশা করি বাংলাদেশ একটি উন্নত বিচার ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাবে। যেখানে মানুষ মনে করবে এটা তার শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে গিয়ে সে ন্যায় বিচার পাবে, সে যেই রাজনৈতিক দলের হোক, যে ধর্মের হোক, দুর্বল কিংবা শক্তিশালি হোক।'
সেমিনারটির সভাপতি মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণের কারণে প্রশাসক ও বিচারকদের স্বাধীনতা আমাদের দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মাসদার হোসেন মামলা ২০০৭ সালে ফয়সালা হয়েছে। উনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি, নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান। দেশে-বিদেশে মাসদার হোসেন মামলা এখন পঠিত বিষয়। তিনি একজন বিচারক এবং আইন সংস্কার কমিশনেরও একজন সদস্য।'
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় নৌকা ডুবিতে
সামিয়া আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নামের দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার
রামকৃষ্ণপুর কানাই শাহ ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সামিয়া ইসলাম (১২) বাঞ্ছারামপুর
উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের আবু মুছার মেয়ে ও সামিয়া আক্তার (১২) একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার
মেয়ে। তারা উভয়েই রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে স্কুল
ছুটি হলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া ও কলাকান্দি কানাই লাল সাহার খেয়া ঘাট দিয়ে
৩০ থেকে ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ছেড়ে যায়। চরলহনীয়া গ্রামের কাছাকাছি গেলে
একটি বালুবাহী ট্রলারের ঢেউ লেগে নৌকাটি ডুবে যায়।
অনেকে সাঁতার কেটে পাড়ে পৌঁছালেও সামিয়া
আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নদীতে তলিয়ে যায়। পরে দু'জন কে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা
চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা:
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার সকালে নগরীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এ প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ম্যারাথনটি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন আর মুখে গণচেতনার স্লোগান—এমন প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, এই প্রতীকী ম্যারাথনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস, তাৎপর্য ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নিজেদের সচেতন ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বলদাখাল খিলাল ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ছিনতাইকালে তাকে আটক করা হয়েছে।এ বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আফসার জানান, ৩/৪ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করার সময় মোটরসাইকেল চালকের আত্ম চিৎকারে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এসময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয় এবং কয়েকজন পালিয়ে যায়।আটককৃত ছিনতাইকারী মোঃ আনন্দ (১৮) দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দী গ্রামের মোঃ আক্তার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা নয়দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীতে বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন বলে আয়োজকরা দাবি করেন।
সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। এরপর মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে এসে সমাবেশ করে। পুরো সমাবেশ ও মিছিলজুড়ে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন— “কুমিল্লা–৬ জনতার দাবি, ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন এবার চাই”, “ত্যাগীর মর্যাদা দিতে হবে, ইয়াছিন ভাইকে মনোনয়ন দিতে হবে”,
"১৭ বছর যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "জেল জুলুম জামিনে যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "এই কুমিল্লার মাটি ইয়াছিন ভাইয়ের ঘাটি","এক দুই তিন চার মনির চৌধুরী, কুমিল্লা ছাড়", "উড়ে এসে নমিনেশন, মানি না মানবো না"।
মিছিলের একাধিক অংশে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সমর্থকরা জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মশাল মিছিল বের করা হয়। ৫ নভেম্বর নারী সমর্থকদের উদ্যোগে নারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৬ নভেম্বর নফল রোজা রেখে সমর্থকেরা সন্ধ্যায় গণ–ইফতারের আয়োজন করেন। ৭ নভেম্বর জুমার নামাজের পর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৮ নভেম্বর কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে মনোনয়ন দাবিতে চাপ বাড়ানো হয়।
৯ নভেম্বর কারা–নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মানবিক ও রাজনৈতিক যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর ১০ নভেম্বর স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা ইয়াছিনকে “সৎ, ত্যাগী ও এলাকার উন্নয়ন–বান্ধব নেতা” হিসেবে তুলে ধরে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
টানা কর্মসূচির নবম দিনে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবারের মশাল মিছিল। নেতাকর্মীদের দাবি, কুমিল্লা–৬ আসনে ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য এবং শ্রমীচেতন রাজনীতিক হিসেবে হাজী ইয়াছিনই হচ্ছেন এলাকার মানুষের পছন্দের প্রার্থী।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন