মো মিজানুর রহমান মিনু:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সৈয়দপুর এলাকায় হোটেল ব্যবসার অন্তরালে গাঁজার বাণিজ্য করছে একটি চক্র।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে হোটেল বা দোকানের বাহিরে ঝোপ ও মাটির স্তুপের মধ্যে ছোট ছোট পুটলি করে গাঁজার লুকিয়ে রাখে। মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, যাত্রীবাহী বাসের কিছু চালক ও হেলপারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মাদকসেবীরা ওইসব হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন হোটেল বা চা দোকানের লোকজন লুকানো স্থান থেকে চাহিদা মাফিক গাঁজার পুটলি তাদের হাতে তুলে দেয়।
শনিবার বিকেল ৩ টা ২২ মিনিটে ঢাকাগামী সিডিএম পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশের জোনাকি হোটেল সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশে) একটি দোকানের সামনে দাঁড়ায়। পরে গাড়ির সুপারভাইজার থেকে ২০০ টাকা নিয়ে হেলপার সাইনবোর্ড বিহীন হোটেলে যায়। হেলপার যাওয়ার পরে ওই হোটেলের মালিক পাশের মাটির স্তুপ থেকে কয়েকটি গাঁজার পুটলি বের করে নিয়ে আসে।
এমন একটি সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ওসমান গণি সঙ্গীয় অফিসারসহ পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৮)কে আটক করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ও ডান হাতে থাকা নীল রংয়ের পলিথিনের ভিতর রক্ষিত পেপার দ্বারা মোড়ানো ৫০টি গাঁজার রোল উদ্ধার করা হয়। যাহা কাগজ সহ প্রতিটি রোলের ওজন ২০ গ্রাম করিয়া মোট ১০০০ গ্রাম বা ০১ কেজি।
আটককৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের উত্তর বাবুচির্র (বসুন্ডা বাড়ি) মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি ত্রিনাথ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারকারী আপন
মিয়াসহ তার সহায়তায় ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে যাওয়ার সময়
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি), কুমিল্লা তাদের আটক করে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শশীদল বিওপির টহল দল
সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে সীমান্ত পিলার ২০৫৮/এম হতে আনুমানিক ১০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নারায়নপুর নামক স্থানে মানব পাচারকারী সদস্য মোঃ আপন মিয়াকে আটক করে। এসময়
তার সহায়তায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মোঃ বজলুল আমিন, মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ
তারিকুল ইসলামকে মৌলভীবাজার এলাকা থেকে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিজিবি টহল দল আটক করে।
আটককৃতরা হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানার নারায়নপুর গ্রামের মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ এর ছেলে মোঃ আপন মিয়া (২২), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার
শতকবাজার গ্রামের জয়তুন মিয়ার ছেলে মোঃ বজলুল আমিন (২০), একই এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান
এর ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (১৯) এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার নারায়নপুর গ্রামের
মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ তারিকুল ইসলাম (২২)।
উক্ত আটককৃত ব্যক্তিদেরকে বিজিবি টহল
দল প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, মানব চোরাচালানকারীর সদস্য মোঃ আপন মিয়া
এর সহায়তায় উল্লিখিত ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে তাদের ব্যবহৃত ৪টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করে।
আটককৃতদের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তর, কুমিল্লা অভিযান
পরিচালিত হয়েছে। এই সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ফুড কালার দিয়ে বেকারী
পন্য ও পার্টি কেক তৈরী করায় মাঈনউদ্দিন বেকারিকে ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী
২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর
পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরী ও বাজারজাত করতে ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
ভোক্তাদের
স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মাদক প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা খুব সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষ অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজা এবং একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৩:১০ মিনিটে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন ঢাকা মুখী পাকা সড়কের উপর চেকপোস্টে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করে মাদকদ্রব্য এবং আসামীদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন - মোঃ নাজমুল (২৭), বর্তমান ঠিকানা- নরসিংহপুর, আশুলিয়া, ঢাকা এবং মোঃ হাসেম (৪০), বর্তমান ঠিকানা- জামগড়া, আশুলিয়া, ঢাকা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ৪৫ ,ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) তে মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় বকশিশের টাকা
ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে আরেক সহকর্মীকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরবেলা
এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ
ফরিদা ইয়াসমিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ
রাব্বি হোসেন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়-
২০২৩ সালের ১০ মে বিভিন্ন যানবাহনের মালিক/চালকের কাছ থেকে প্রাপ্ত বকশিসের টাকা ভাগাভাগি
নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃ রাব্বি হোসেন (২২) এর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মোঃ মারুফ
হোসেন (১৯) কে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘাই মারিলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায়
মাটিতে লুটাইয়া পড়ে। তার আত্ম চিৎকার শুনে ফিলিং স্টেশনের স্টাফরা তাঁকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঘোষগাঁও কাজী বাড়ীর মৃত মোঃ হাফিজুর
রহমানের স্ত্রী মোসাঃ মিনুয়ারা বেগম (৫০) বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ১৩ মে আসামি
মোঃ রাব্বি হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি
রাব্বি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তৎপর আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার
বিধানমতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪২২)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৪ সালের
৪ নভেম্বর আসামি মোঃ রাব্বি হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠন করলে রাষ্ট্রপক্ষে
১৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ
অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ শ্রী শ্রী লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভিপি চিত্তরঞ্জন ভৌমিক এর গর্ভধারিনী মাতা এবং চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাবস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম, শিব মন্দির ও কালীমাতা বিগ্রহ বাড়ী পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্বর্গীয় গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক এর সহধর্মিণী এবং শ্রী শ্রী মা নয়নমণি শ্রীধাম পরিচালনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মিহির কান্তি নাথের শাশুড়ী মাতা স্বর্গীয় কিরণ বালা ভৌমিক এর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মৃতার নিজ বাসায় শ্রাদ্ধকার্য অনুষ্ঠিত হয়।
তদুপলক্ষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে পরদিন শুক্রবার দুপুরবেলা কুমিল্লা মহেশাঙ্গণে শাকান্নভোজ এর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ যে, চলতি বছর ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রয়াত কিরণ বালা ভৌমিক বার্ধক্যজনিত কারণে ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন। তিনি মৃত্যুকালে হারাধন ভৌমিক, চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, অমূল্য ধন ভৌমিক, পূর্ণধন ভৌমিক, জর্নাধন ভৌমিককে ০৫ (পাঁচ) পুত্র এবং বর্ণানী ভৌমিক ও জয়ন্ত ভৌমিককে (০২) দুই কন্যা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মন্তব্য করুন
এমদাদুল
হক সোহাগ, কুমিল্লা:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন খাল দিয়ে অপসারিত স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালীর তরল বর্জ্যের কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের পাশাপাশি ফসলী জমি পতিত জমিতে পরিণত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তত সাতটি পয়েন্টে থেকে নমুনা সংগ্রহের পর সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা শেষে সেই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়।
জানা যায়, কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবকে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাল সমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালী তরল বর্জ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল কুমিল্লা এসে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যেমন রেইসকোর্স, টমসনব্রিজ, ইপিজেড সীমানার বাহিরের সিটি কর্পোরেশনের খাল, ইপিজেড সীমানার ভেতরের খাল, সিইটিপি আউটলেট ও সিটি কতর্পোরেশনের খালের পানির মিশ্রণের পয়েন্ট, রাজাপাড়া এলাকার ব্রীজ এর নিচ দিয়ে প্রবাহীত খাল এবং দীশাবন্দ এলাকা সহ মোট সাতটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিনিধি দলটি। চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার বিশ্লষেণে দেখা যায়, দ্রবীভূত অক্সিজেন, সাসপেন্ডেড সলিডস,জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা, রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন, ফসফেট এর মান পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর মৎস চাষে ব্যবহার্য ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানিতে নির্গমনের এবং পয়: নির্গমনের জন্য নির্ধারিত মান মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন। গত ০৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২২.০২.১৫০০.১৮৬.০০২.১৯ স্মারকে নমুনা সংগ্রহের গুণগত বিশ্লষন ফলাফল কুমিল্লা কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।
রিপোর্ট
বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেইসকোর্স খালে ময়লা পানিতে COD অর্থাৎ রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা
পাওয়া গেছে ২২৯, টমছন ব্রিজ এলাকায় ২০৭, ইপিজেড সীমানার বাইরে ২৭৩, ইপিজেড সীমানার
ভিতরে ৩১২, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৬৯, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ১৭৭ যার মানমাত্রা
৫০ এবং ১২৫ এর নিচে থাকার কথা।
BOD অর্থাৎ জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৪৯.৩, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৪৬.১, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৫৯.২, ইপিজেড সীমানার ভিতরে ৫২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৩২.১, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৩১.৫ যার মানমাত্রা ৬ এবং ৩০ এর নিচে থাকার কথা। PO4 বা ফসফেট পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ২০.২, টমছন ব্রিজ এলাকায় ১৮.২, ইপিজেড সীমানার বাইরে ১৯.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৩২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৫.৫, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৯.৯ যার মানমাত্রা ০.৫ এবং ১৫ এর নিচে থাকার কথা। NH3-N মানে অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৩৭.৫, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৩০.৫, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৪১.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৫০.৬, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৩.১৬, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ২৪.৯ যার মানমাত্রা ০.৩ এর নিচে থাকার কথা। এই রিপোর্ট অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থী বর্জ্যের কারনেই খাল সমূহে মাছ সহ অন্যান্য জলজপ্রাণী বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন ( সিনিয়র সহকারী সচিব) মুঠোফোনে জানান, তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারীতে সিটি কর্পোরেশনে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর তেমন কিছু জানা নেই।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের খালের পানির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার রিপোর্ট ভালো আছে। আমাদের পানির কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীন, কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে বিষয়টি ঠিক না। আপনারা এসব ভুয়া খবর কোথায় পান? রিপোর্ট আমাদের পক্ষে বলে ফোন কেটে দেন।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের নমুনা সংগ্রহের পর যে রিপোর্ট এসেছে তাতে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের প্রমাণ মিলেছে। গত ০৮ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার এর মুঠোফোনে কল করলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন এবং পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে জানান।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমরা
জেনেছি। গত আইন শৃঙ্খলা সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে দ্রুত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই মোঃ মেহেদী হাসান, এএসআই মোঃ হারুন
অর রশিদ, এএসআই মোঃ এমরান ভুইয়া, এএসআই মোঃ
নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৬ নং ঘোলপাশা
ইউনিয়নের আমানগন্ডা সাকিনে আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম
মহাসড়ক সংলগ্নে ১ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল সহ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতেছে এবং অপর ২ জন
ব্যক্তি আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের পাশে গাঁজার বস্তাসহ লুকিয়ে আছে। অতঃপর
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর সময়
মোটরসাইকেল সহ আসামী মোঃ বিজয় কে আটক করেন। অপর ২ জন ব্যক্তি কবরস্থানের পাশে ৩টি
বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন ও মোঃ সাদেক মিয়া কে আটক করেন।
এ সময় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:
১।
মোঃ বিজয় (১৮), পিতা- সালেক মিয়া, মাতা- সাহেদা আক্তার, সাং- কাশিপুর, ইউপি- রতনপুর,
থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি- দুলালপুর, থানা- ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা- কুমিল্লা।
২।
মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪), পিতা- আব্দুল মতিন, মাতা- রিজিয়া বেগম, সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর,
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
মোঃ সাদেক মিয়া (২০), পিতা- মোঃ মজিদ আলী, মাতা- মোছাঃ রহিমা বেগম, সাং- কাশিপুর,
ইউপি রতনপুর, থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর, থানা-
ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য
যে, গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ৩ টি মাদক মামলা
ও ৩নং আসামী মোঃ সাদেক মিয়া (২০) এর বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে দেড় কোটির
বেশি মূল্যমানের চোরাইপণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেস
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাহিদ
পারভেজ।
বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, জেলার
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা বিওপির বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় একটি চোরাচালান বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নোয়াপুর নামক স্থান হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ১০৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয়
মোবাইলফোন এবং ২৭০০টি মোবাইলফোনের ডিসপ্লে আটক করা হয়। যার মূল্য- ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৩
হাজার ৭০০ টাকা। জব্দকৃত সকল অবৈধ দ্রব্যসামগ্রী আইনি প্রক্রিয়া শেষে কাস্টমসে জমা
করা হবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) দুপুর ২টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. মোছলেহ উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এমদাদুল হক মামুন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন ও নাসির আহমেদ মোল্লা।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাম, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মোতাহের আলী দিলাল, কাজী নজির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও শাহাদাত হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি করেন। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন