

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঘর থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ধারণায় পুলিশ বলছে, তারা আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবে তারা।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জালালাপুর গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ প্রধান।
উদ্ধার হওয়া লাশ দুটির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন ওই গ্রামের মৃত জীবন চন্দ্রের স্ত্রী নমিতা পাল (৪২) ও তার মেয়ে তন্নী রাণী পাল (১৮)।
পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ঋণগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, ঋণের কারণে বিষপানে মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফাঁড়ি ইনচার্জ শহীদুল্লাহ প্রধান জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লাশ দুটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জন নিরাপত্তা বিঘ্ন ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে কুমিল্লা জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধমুলক কার্যকলাপের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করা এসব সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর পূর্বালী চত্বরে “সচেতন নাগরিক” ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. আরিফ হোসেন, মোস্তফা জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল লতিফ, আব্দুল ওয়াদুদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “মেডিকেল কলেজে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ডা. আরিফ হায়দার ও তার সহযোগীরা যে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এতে শুধু একজন চিকিৎসকই নয়, বিএনপির ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “সংগঠনের ভেতরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা দলীয় ঐক্য বিনষ্ট ও বিভাজন সৃষ্টির যেকোনো চেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
৪৩ তম জাতীয় জেলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ রানার্সআপ প্রাইজমানি খেলোয়ার ও টিম কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের পানি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এড হক কমিটির সদস্য সচিব আফাজ উদ্দিন, এডহক কমিটির সদস্য কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, মাহির তাজওয়ার ওহী, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কোচ হাবিব মোবাল্লেক জেমস, ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম উল্লাস, মানিক কুমার দে প্রমুখ।
সভায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন দল, বিভাগীয় কমিশনার কাপ ফুটবলের রানার্সআপ খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী ইউনিয়নে নানা পন্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ক্রয় করা বসত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এমপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। বসতজমির কলাগাছ কেটে নেয়া, বসতঘর কুপিয়ে ঘরের বাসিন্দাদের মারধর-মালামাল লুট, আবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আওয়ামী দোসর বানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে বির্তকিত করে তার ক্রয় করা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ছোট ভাই মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমার বড় ভাই ধামতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিগত ২০২২ সালের ২২ জুন দুয়ারিয়া এলাকায় ৫২ শতক জায়গা হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে কেনার জন্য বায়নাপত্র করে এবং সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার চেক তাদের প্রদান করেন। তারা পরে টাকা বুঝে নিয়ে আমাদেরকে জায়গা ভোগ দখল বুঝাইয়া দিলে আমরা গত দুই বছর যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে সেখানে কলার বাগান করি। আমরা বহুবার তাদেরকে সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকার বাহানা দিয়া ‘অদ্যবধি তারা আমার ভাইয়ের নামে উক্ত সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। চলতি বছরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারি ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের বায়না করা ৫২ শতক জমির ৫ পাঁচ শতাধিক কলা গাছ কেটে নিয়ে জমির চারপাশে তার কাটা বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আলামিন বাশার ও আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা । পরে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিন তারা চুপচাপ থাকে। এছাড়া আমরা এই বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
সোহরাব আরো জানান, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় আমাদের জমিতে নির্মিত দুটি ঘরে বসবাসরত মো: জুয়েল (১৮) ও মো: হোসাইনকে (১৮)মারধর করে দুটি ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয় হুমায়ুন কবির বাহিনী। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় ৭ জনের উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামের মো: বাচ্চু মিয়ার ৩ ছেলে মো: হুমায়ুন কবির, মকবুল হোসেন ও মহসিন, মৃত. খোরশেদ মিয়ার ছেলে এছাড়া আবু বকর ও আবু সাইদ, হোসেন মেম্বারের ছেলে আল আমিন ও মো: খলিল, জসিমের ছেলে মো: রিফাত এবং শাহ জালালের ছেলে মো: সিয়াম প্রমুখ। হামলা–ভাংচুর করেও জায়গা দখল করতে না পেরে ১৪ নভেম্বর আমার ভাইকে আওয়ামী দোসর বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবির বাহিনী। আমরা তো বসতজমি দখল করিনি, জমিটি ক্রয় করেছি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদ এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়েও তিনি যেতে পারতেন না এমপি আজাদ সমর্থিত নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে। এরপরই চেয়ারম্যান মিঠুর লোকজনকে একাধিকবার মারধর করা হয়। সম্প্রতি তার বসতজমিটিও দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিউদ্দিন মিঠু দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চেয়ারম্যান । বর্তমানে মহিউদ্দিন মিঠু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কল দিলে মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ইন্সপেক্টর শাহীন ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি হয়তো এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ জানান, মিঠু সাহেবের বসতজমিতে হামলার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। পরিবেশ যাতে ঘোলাটে না হয় সে জন্য সর্তক করা হয়েছে।আর বসতজমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
"শৃঙ্খলাই জীবন" এ শ্লোগান সামনে রেখে আস্থার স্বাস্থ্যসেবার ব্রত নিয়ে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর মুন্সেফ কোয়ার্টারস্থিত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনেযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মিস শারমীন এস মুরশিদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্স এর চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এ. বি. এম মশিউজ্জামান, কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সারোয়ার আকবর, প্রফেসর হাজেরা মাহাতাব, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, সিরডাপের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এটিএম শামসুল হক এর সহধর্মিণী মিসেস রাবেয়া হক, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম এ সামাদ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক ব্যক্তি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ঔষধ কোম্পানির বিপনন প্রতিনিধি, শিক্ষক, এলাকার জনসাধারণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিস শারমীন এস মুরশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বল্প খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কুমিল্লায় উদ্ভোধন হলো একশত শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হসপিটাল। কুমিল্লায় আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই কুমিল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এই হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান আস্থার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ বিশেষায়িত হসপিটাল হবে দেশের অন্যতম সেরা মানবিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এই হসপিটাল দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সবার জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হলেও এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন হয়নি। এই হাসপাতালের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য আর ঢাকা যেতে হবে না। এখানে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার রয়েছে। ভালো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়াই মানুষের আস্থা অর্জনের মূল ভিত্তি। চিকিৎসা খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। বিশ্বের উন্নত মানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে কারো চিকিৎসা বন্ধ থাকবে না এবং মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ভালো সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন- এ ধরনের একটি হসপিটাল কুমিল্লার মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিলো। আজ তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। একদিন এই হসপিটালটি ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যা উন্নতি হবে। এ বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তারা বলেন- হাসপাতাল একটি ভবন নয়; এটি একটি মানবেতর প্রতীক। এর মাধ্যমে কুমিল্লার মানুষ সঠিক সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন), সাবেক সচিব এটিএম শামসুল হকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে দেয়া লিফলেট সূত্রে জানা যায়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শর্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়াবেটিসসহ সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা। এরমধ্যে রয়েছে মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন, সার্জারি, গাইনী, শিশুরোগ, কিডনি, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, চক্ষু ও দন্ত বিষয়ক রোগের চিকিৎসাসেবা এবং সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল্যাবরেটরিতে সুলভ মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা, কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে মানসম্মত ও নির্ভুলভাবে ইকো, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, কালার ডপলার, ইসিজি, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন এবং অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) গাইনোকোলজিক্যাল এন্ড অবস্টেট্রিক্যাল অপারেশনসহ সবরকমের সার্জিক্যাল ও ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশনের সুব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে চোখের বিভিন্ন অপারেশনসহ ২৪ ঘন্টা (দিবা-রাত) জরুরি বিভাগ, এ্যাম্বুলেন্স ও ফার্মেসি সার্ভিস।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং কুমিল্লাকে নিয়ে হাজী ইয়াছিনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে একটি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে নগরীর ছাতীপট্টি অজিত গুহ কলেজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় হাজী ইয়াছিন উপস্থিত না থাকলেও তার পক্ষে নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন। কর্মসূচিটি ছাতীপট্টি থেকে শুরু হয়ে চকবাজার–তেলিকোনা হয়ে গুধীরপুকুর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।
গুধীরপুকুর পাড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া এখন সময়ের দাবি। জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ৩১ দফার লক্ষ্য।
তারা জানান, হাজী ইয়াছিন কুমিল্লার মানুষের পাশে থেকে যে উন্নয়ন–ভিশন দিয়েছেন, তা আগামী দিনে কুমিল্লার আধুনিক নগর বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
বক্তারা আরো বলেন, কঠিন সময়েও হাজী ইয়াছিন দলের প্রতি যে নিষ্ঠা ও ত্যাগ দেখিয়ে গেছেন তা কুমিল্লার বিএনপিকে প্রেরণা দেয়। সংগঠনের প্রতিটি নেতা–কর্মীর মাঝে তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রয়েছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এস এ বারী সেলিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, আতাউর রহমান ছুটি, মাহাবুবর রহমান দুলাল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রোমান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাসা সিদ্দিকী রাকিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মহরম, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজী শাহিনুর, সদস্য সচিব ইকরাম হোসেন তাজ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী নোমান, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সায়েম মজুমদার, সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া জুয়েল—সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আয়োজকরা জানান, আগামী দিনগুলোতে এই কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে আরও বিস্তৃত আকারে পরিচালিত হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার:
ভাই-বোনের
সম্পর্ককে মজবুত করতে রাখইর থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা
দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতেও জেলা ঐক্য পরিষদ
নেতা এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার এভাবেই রাখি বন্ধনের
মাধ্যমে তাঁর ছোট ভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ
ভাইও বোনের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ঐদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে
বিশেষ খাবার দাবার ও উপহার এর ব্যবস্থা করা হয় এবং সকলে মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
এই বিশেষ দিনে পরিবেশে “যম” তত্ত্ব বেশি থাকে, এতে ভাইয়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে
কিন্তু রাখি বন্ধনের ফলে তা দূর হয়ে যায়।
জানা
যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন।
রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর
জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের
পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির
জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়
আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত
হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির
সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানি পণ্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার ও আমানগন্ডা সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে তারা এসব পণ্য আটক করে।
বিজিবি থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকা থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির বিশেষ টহলদল চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোনো মালিকানা ছাড়া পড়ে থাকা অবস্থায় ২০২ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৫৫৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ বোতল বিদেশি মদ, ২০২ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৪৮ বোতল বিয়ার, ৫০০টি স্কিন সাইন ক্রিম এবং ২০ হাজার ৭৭৬ পিস অবৈধ ভারতীয় বাজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্য ও পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টাকা।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে পদুয়ার বাজার এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি কাভার্ডভ্যান চালক মো. আরিফ হোসেন (২৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ইউটার্নে এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৬৫) এবং দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)।
এ ঘটনায় একই দিন সদর দক্ষিণ থানায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা (নং-৩৩, তারিখ: ২২/০৮/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-৮-৮১-১৪৪৩) চালক আরিফ হোসেন দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদারের নেতৃত্বে একটি টিম ফেনী সদর থানাধীন ফতেপুর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হোসেন নোয়াখালীর সুধারাম থানার চন্দ্র ভল্লব গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই গাড়িতে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন