

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে কার্যপত্র পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. জাফর সাদিক চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান, কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট কাইউমুল হক রিংকু, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোতালেব হোসাইন, জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক এমদাদুল হক মামুন, এনসিপির কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম হানিফ, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জামিল খন্দকার, জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রধানরা।সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ঠিক থাকে সে দিকে সভায় উপস্থিত সকলকে নজর রাখার জন্য জোর তাগিদ দেয়া হয়। যেন জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং কোন কারণে তার অবনতি হয়ে জনসাধারণের জান-মালের ক্ষতি সাধন না হয়। এই বিষয়ে সভার সকলকে সজাগ থাকার বিশেষ তাগাদা দেয়া হয়েছে।সভার কার্যপত্রে জানানো হয়, কুমিল্লায় সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদাবাজি, চুরি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও অপমৃত্যু মতো অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ডাকাতির পরিমান বেড়েছে। স্থিতি রয়েছে ছিনতাই, খুন ও চোরাচালান। অপরদিকে কিছু অপরাধ প্রবণতায় সামান্য হলেও কমতির ধারা লক্ষ্য করা গেছে। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান বলেন, কার্যপত্রে দেখলাম আইনশৃঙ্খলা সূচক কিছু ক্ষেত্রে কমেছে, কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে। জেলা পুলিশ ডাকাতি প্রতিরোধে গত মাসরমে বেশ কয়েকটি অভিযান করেছে। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ জনের একটি ডাকাতের টিম আটক করেছি। মাদক নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ করছে।
বিজিবি কুমিল্লার সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত অপারেশন অব্যাহত আছে। গোমতী নদীকে ব্যবহার করে অনেকে মাদক চোরাকারবার করছে। আমরা এমন কয়েকটি চালান সনাক্ত করে ধরতে পেরেছি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইনউদ্দিন চিশতী বলেন, পলিথিন ব্যবহারে সর্বত্র সয়লাব। আপাতত ব্যবহৃত পলিথিন সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হয়। কিন্তু যেসব পলিথিন ড্রেনে বা খালে ফেলা হয় সেগুলো ডাম্পিংয়ের সুযোগ থাকে না।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা কাজ করছি, আগামী তিনদিনের মধ্যে সড়কে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশা করছি। মহাসড়কে ইউটার্নগুলো নিয়ে আমরা পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। ডিসেম্বরের মধ্যেই সুফল আসবে বলে আশা করছি। উল্টোপথে গাড়ি চলাচল রোধে কাজ করছি, অনেকাংশে কমে এসেছে। বর্ষায় মোটামুটি অনেক রাস্তাই বেহাল দশা। বর্ষায় মেরামত করলে টেকসই হয় না। এখন বর্ষার মৌসুম শেষের দিকে, এখন অনেক রাস্তাই মেরামত শুরু হয়েছে। কিছু রাস্তায় নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই ওঠানামা নিয়ে আমাদেরকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ডাকাতি, দস্যুতা ও অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা বেড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এসব প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা আজ কুমিল্লা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে।
শনিবার ১৭ই আগস্ট কুমিল্লা সদর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে হাসপাতালে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কিছু অনিয়ম, লোকবল সংকট এবং রোগীদের থাকা নানা অভিযোগ নিয়ে এই আলোচনা করা হয়েছে।
কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে কিভাবে কি কি সমাধান আনা যাবে সে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়।
আজকের
আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা: নাসিমা আক্তার,
কুৃমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার
ডা: আব্দুল করিম খন্দকারসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ ।
সদর
হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান, ইব্রাহিম খালিদ হাসান এবং
মোঃ রফিকুল ইসলাম (রকি) উপস্থিত ছিলেন।
আজকের এই আলোচনা সভায় সমস্যার সমাধানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান আনয়নে তারা কাজ করবেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১০ বিজিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, চোরাচালান প্রতিরোধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ ভোরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের যশপুর বিওপি’র টহলদল সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে সীমান্তের ৫০০ গজ ভেতরে ধনপুর মাঠ নামক স্থানে মালিকবিহীন অবস্থায় ৯০টি ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এবং ৩৪৮টি মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৮ টাকা।
বিজিবি জানায়, জব্দকৃত মালামাল পরবর্তীতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লে. কর্নেল বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে বিজিবি’র সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও অবৈধ পণ্য প্রবাহ বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কুকে ডেকে পাটিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে মহাসচিবের বাসায় তাকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সাক্কুকে নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠকে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনৈতিক পরিবেশ মির্জা ফখরুলকে অবহিত করেন বলে জানা গেছে।
পরে বিকেলে মো. মনিরুল হক সাক্কু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি কুমিল্লার আদি লোক। আদি বিএনপি। এখন যারা সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে মাঠে হইচই করছেন তারা বিএনপিতে আমার জুনিয়র। আগামী নির্বাচনে সদর আসনের সঠিক চিত্র কি হতে পারে, তা আমি মহাসচিবকে অবহিত করেছি। এ ছাড়াও কুমিল্লার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উনার সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বিএনপি থেকে মনিরুল হক সাক্কু আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন। এরপরও তিনি দল থেকে দূরে না সরে সব কর্মসূচি পালন করছেন। কুমিল্লার ভোটের রাজনীতিতে সাক্কু বড় ধরনের ফ্যাক্টর বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, পিআর খায় না পিআর গায়ে মাখে এ পদ্ধতি জনগণ আর মানে না, জনগণ চায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। পি আর দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে এদেশে লুটপাটের মহারাজ্য সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে নির্বাচিত সরকার ছাড়া এসব টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তাই অচিরেই পি আর পদ্ধতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দেন।
তিনি আরও বলেন, যারা একাত্তর এর মুক্তিযোদ্ধাকে স্বীকার করে না, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে স্বীকার করে না।,শহীদ প্রেসিডেন্টকে জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকার করে না,তারা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তদেয়াকে স্বীকার করেনা, তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার অধিকার নেই,তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই। তিনি বলেন কোন হাইব্রীড যেন বিএনপির নেতা না হতে পারে সেজন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে গতকাল রোববার ২৪ আগস্ট বিকেলে ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ জাকারিয়া তাহের সুমন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য এডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন হেনা, বুড়িছং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির বাবুল।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী জসিম উদ্দিন জসিম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী আমির হোসেন।আরও যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম, এডভোকেট মনিরুল হক সরকার, কেন্দ্রীয় বিএনপি, জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন হাজী জসিম উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক হাজী আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুল হক ভূঁইয়া রিপন ও শাহ জাহান সাজু।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর মানামা হোটেলের সামনের মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল, হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে, তারপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসটি জব্দ হলেও চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মালবাহী লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন (৩৬) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বারপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শাহ পরান এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কুমিল্লা থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে দেবিদ্বারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল সাদ্দাম হোসেন। পথমধ্যে কংশনগর মেতিরাফ মসজিদের পাশে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী লরি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক সড়কের উপরে পড়ে গেলে লরির একটি চাকা তার মাথাকে পৃষ্ঠ করে দেয়, এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শাহপরান জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেওয়া অজ্ঞাত গাড়িটি পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও মাদকসহ শামীম আহমেদ নাসির নামের এক যুবককে আটক করেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উনকুট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক হওয়া শামীম আহমেদ নাসির চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উনকুট এলাকার মৃত মুকুল আহমেদের ছেলে।
অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬টি পিস্তলের কার্তূজ, ৯০০ গ্রাম গাজা, ১৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ তালিকার মালামাল এবং আসামিকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে তিনজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাতে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), তার ছেলে-সাহাব উদ্দিন (৯) এবং ভাগ্নি তিশা আক্তার (১৪)।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো: শাহপরান ঢাকায় চাকরি করেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো একসময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহগুলো খাটের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা তিনজনের মরদেহ একই কক্ষে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলোর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের আলেখারচর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থসহ মোঃ রাশিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে ।
এ সময় তার কাছ থেকে ২৯০ পিস ইয়াবা, ৫০ কেজি গাঁজা, ৮০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৯ ক্যান বিয়ার, দুটি মদের বোতল, নগদ ১,৭৩,৫৩০ টাকা এবং ২টি
পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নামের একজন পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১১ টায় সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মোঃ রাশিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের ব্লক-এ এর মোঃ শামীমের ছেলে
পলাতক রফিকুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী এলাকার তুসহি গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আলামতসহ আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অর্ধবার্ষিকী জুডিসিয়াল
কনফারেন্স ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুমিল্লা বিচার
বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত
হয়।
এতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা
জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) উম্মে
কুলসুম।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ
আবদুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, কুমিল্লা সিভিল
সার্জন ডা. নাছিমা আকতার, সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক ফাহমিদা মুস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, GIZ এর
প্রতিনিধি মার্টিনা বারকার্ড। এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনা করেন- সিনিয়র সহকারী জজ ধ্রুবজ্যোতি
পাল, কুমিল্লা (ভারপ্রাপ্ত) জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আরিফ, কুমিল্লা জেলা জিপি এডভোকেট
তপন বিহারী নাগ ও জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, জেলা আইনজীবী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কোর্ট মালখানা'র এসআই মোঃ
ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র
কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন ক্যাশিয়ার মোঃ আতাউল্লাহ এবং গীতা পাঠ করেন লাইব্রেরি সহকারী
যামিনী কুমার নাথ। এরআগে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচছা জানান সিনিয়র সহকারী জজ আয়েশা
বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
এছাড়াও আদালতের সাথে অন্যান্য
ডিপার্টমেন্ট এর সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দেওয়ানি মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট সমস্যা / সমাধান উপস্থাপনা
করেন কুমিল্লা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাওহীদা আক্তার ও ফৌজদারি মামলা
সংশ্লিষ্ট সমস্যা/সমাধান উপস্থাপনা করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাজহারুল হক।
অনুষ্ঠানে কনফারেন্স সম্পর্কিত
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সহকারী জজ মীর মাশহুর আহমেদ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা
করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইমাম হাসান ও সহকারী জজ তৌফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন