

কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ ডিসেম্বর বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১টি পাইপগানসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হলো: কুমিল্লার জেলার কোতয়ালী মডেল থানার, বিষ্ণপুর (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত তবদল হোসেন এর ছেলে মোঃ জাহের (৩৮)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপে
করে মাদক পরিবহনকালে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন
চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। মোঃ
দিপু , ২। কামরুল ইসলাম , ৩। মোঃ ছুটন মিয়া , ৪। শিপন এবং ৫। মোঃ মাহফুজ নামের পাঁচজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ দিপু
(২৭) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাইয়ুমপুর গ্রামের আইয়ুব খান এর ছেলে; ২। কামরুল ইসলাম
(৩০) কুলনা পাথর গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে; ৩। মোঃ ছুটন মিয়া (৩০) কামালপুর
গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে; ৪। শিপন (৩০) নোয়াগাঁ গ্রামের টুনু মিয়া এর ছেলে
এবং ৫। মোঃ মাহফুজ (২৪) কামালপুর গ্রামের বাছির মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল ময়দানে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুমিল্লা জেলার প্রশাসক মুঃ রেজা হাসান, পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার নূরে আলম ভূইয়াসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্যে বক্তরা বলেন,প্রতিবছর ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় কুমিল্লা। দীর্ঘ নয় মাসের নির্যাতন, দমন ও যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণ আনন্দের উল্লাসে শহরকে প্রকম্পিত করেছিলেন।পরে টাউন হল মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা তিতাসে সাময়ন আরিয়ানকে হত্যা অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড; আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিল্লাল পাঠান হলেন- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি পাঠান বাড়ী'র মোঃ খেলু পাঠানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শেফালী আক্তার (৪৩) হলেন একই উপজেলার কলাকান্দি উত্তর পাড়া মাষ্টার বাড়ীর জামাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব আক্রোশের বশবর্তী হইয়া আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিম সায়মন আরিয়ান (৭) কে হত্যা করিয়া কলাকান্দি বালুর মাঠে (কাঁশ বনে) লাশ গুম করে।
জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলবেলা ভিকটিম সায়মন আরিয়ান আসামি শেফালী আক্তারের ছেলে রাফি'র সাথে খেলাধুলা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাদীনি তাঁর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি না পেয়ে বাদীনি তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন ঘটনাস্থলে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নিহতের গর্ভধারিনী মাতা খোর্শেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ নয়ন মিয়া ও সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাহিদুল হক এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জীবন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আসামি শেফালী আক্তার ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন বিশ্বাস ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আসিলে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী তাহাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, "মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হল"।
আসামি শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ের আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি শেফালীর উভয় দণ্ড একসাথে চলবে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, শালি-দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে পেলায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সায়মন আরিয়ানকে হত্যা করে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৮ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এবং
২। মোঃ সজিব (২৭) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ
থেকে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান
মনির (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে
এবং ২। মোঃ সজিব (২৭) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা তাদের পেশাগত ও প্রশাসনিক নানা সমস্যার কথা পুলিশ সুপারের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে এসব সমস্যা শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় পুলিশ সুপার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি নৈতিক স্খলন রোধ, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েকজন অফিসার ও ফোর্স সদস্যকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয় এবং পুরস্কারের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়াসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


মাদারীপুর জেলার শিবচরে স্বপ্না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ তার প্রেমিক মুরগি ব্যবসায়ী সাকিল খানের (৩৭) সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী গরু খামারি কামাল ঢালী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
স্বপ্না আক্তার উপজেলার শিরুয়াইল ইউপির উৎরাইল এলাকার আবীল ফরাজীর মেয়ে ও একই এলাকার কামাল ঢালীর স্ত্রী। আর সাকিল খান শিবচর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাদুয়ারচর এলাকায় মোহাম্মদ খানের ছেলে। তিনি শিবচর বাজারের একজন মুরগি ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করেন কামাল ঢালীকে। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ৫ মাস আগে ছোট ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এ দিকে সাত বছর আগে কামাল ঢালী কাতার প্রবাসী হন। প্রবাসে থাকার সময় স্বপ্নার সঙ্গে পরিচয় হয় সাকিল খানের সঙ্গে। আর সে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর গোপনে কামাল ঢালীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন সাকিল খানকে। এ দিকে ৮ মাস আগে দেশে আসেন কামাল। দেশে আসার পরেও কামাল ঢালীর সঙ্গে সংসার করেন স্বপ্না। ১৫ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পরিবারের সবার অজান্তে স্বপ্না সাকিল খানের সঙ্গে পালিয়ে যান।
কামাল ঢালী বলেন, স্বপ্না গোপনে সাকিলকে বিয়ে করেছে। এতোদিন আমার সঙ্গে সংসারও করেছে। বিদেশ থেকে এসে আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি গরুর খামার করি। ঈদের আগে খামারের গরু বিক্রির ৯ লাখ টাকা স্বপ্নার কাছে দেই। সেই টাকা ও স্বর্ণসহ সাকিলকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বপ্না। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এই বিষয়ে শিবচরের নিলখী তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজীবপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সবুজ মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার বদরপুর গ্রামের মৃত জিয়ারুল হকের ছেলে রাসেল মিয়া (২২)
রৌমারী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং শুক্রবার দুপুরে যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় বেলাল হোসেনের বাড়ীর পাশে রাস্তার ধারে রেখে দেওয়া একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল মালিক কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আবু সাইদ বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরপরই রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোরদের গতিবিধি শনাক্ত করেন। পরে এসআই তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে ১৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহের ভালুকা থানার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছে—রাজীবপুর উপজেলার ইনছান আলীর ছেলে তারেক রহমান (৪০) এবং বদরপুর উত্তরপাড়া আশ্রয়কেন্দ্র এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০)।
মোটরসাইকেল মালিক আবু সাইদ বলেন,
“রৌমারী থানা পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতা দেখিয়েছে। চুরির এক মাসের মধ্যেই চোরদের গ্রেপ্তারসহ আমার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। পুলিশের এই উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানা পুলিশ জানিয়েছেন যে কোন ঘটনা হলে আমাদেরকে তৎক্ষণাৎ জানাবেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় দ্বীন ইসলাম নামে এক ভুয়া সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ গ্রেফতারকৃত টিপু মিয়া নামের একজনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।
কুমিল্লা শহরে অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীতে অপরাধ দমনে পুলিশের একাধিক টিম শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালায়।
এ সময় দ্বীন ইসলাম (৩৬), টিপু মিয়া (২৪), আল আমিন হোসেন (৩২), উত্তম কুমার দত্ত (৪৪), মোহাম্মদ রিফাত (১৯) — এই পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত দ্বীন ইসলাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। শনিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আলোচনা সভা, র্যালী, হুইল চেয়ার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে কুমিল্লায় জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অলোচনা সভা ও হুইল চেয়ার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ নাজির আহমেদ খাঁন, জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার।
পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ও শিশু পরিবারের নিবাসীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং ক্রেস্ট ও হুইল চেয়ার বিতরন করেন অতিথি বৃন্দ।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহা ওরফে মো. সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় আসামির কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি মোটর সাইকেল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার কি (চাবি) উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৯ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা কিশোরগঞ্জ জেলার হারাধন সরকার প্রকাশ জাকির খানের ছেলে মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য মতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনাস্থ হোটেল ইছাকী এমোসের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন থানায় ২০টি চুরির মামলা রয়েছে। তিনি একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত করে তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা বের করা হবে। মিল্টন বর্তমানে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, মোটরসাইকেল চোর মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমারকে আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আটককৃত চোর মিল্টনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
মন্তব্য করুন