মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার এই মাটির প্রতিটি ধূলিকনা যার প্রেরণা, এই জনগণের প্রতিটি মানুষ যার আত্মার আত্মীয় যার - তিনি মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস । তিনি একজন জনপ্রিয় ১ নং রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী,বিশিষ্ট ক্রীড়া নুরাগী,দক্ষ সংগঠক এবং সংগ্রামী রাজনীতিবি। পিতা আব্দুল আজিজ সরকার, মাতা সানোয়ার বেগম।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮- কুড়িগ্রাম-৪ (রাজীবপুর-রৌমারী-চিলমারী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হলেও কিছু নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তেমনই একজন নেতা হচ্ছেন মিরন মোঃ ইলিয়াস—একজন পরীক্ষিত তৃণমূল রাজনীতিক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সংগঠনের প্রতি নির্ভিক কর্মীবান্ধব সৈনিক।
২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মিরন মোঃ ইলিয়াস। সেই সময় থেকেই জনগণের আস্থা, ভালবাসা ও বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
মিরন মোঃ ইলিয়াসের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। রাজীবপুর ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরে যুবদলের সদস্য সচিব হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রাজপথের রাজনীতিতে তাঁর সরব উপস্থিতি, সংগঠনের প্রতিটি স্তরে দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং দলের দুঃসময়ে সাহসিকতার সঙ্গে অবস্থান নেওয়া তাঁকে একজন ‘ওয়ার্কার টার্নড লিডার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বরাবরই বিশ্বাস করেন, "নেতৃত্ব আসে মাঠ থেকে, চেম্বার বা ফ্ল্যাশের আলো থেকে নয়।" এ বিশ্বাস থেকেই তিনি সংগঠনের প্রতি আত্মনিবেদিতভাবে কাজ করে গেছেন বছরের পর বছর।
একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মিরন মোঃ ইলিয়াসের মেয়াদে রাজীবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সরকারি অনুদান সঠিকভাবে বিতরণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে এলাকাবাসী ভালোবাসে একজন "সহজ-সরল, মাটির মানুষ" হিসেবে, যিনি কথার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাসী। একজন বৃদ্ধ, একজন কৃষক, একজন শিক্ষার্থী—সবার দরজায় যখন দরকার তখন পৌঁছে গেছেন এই জনপ্রতিনিধি।
বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে রাজীবপুরে যারা নিয়মিত সক্রিয় রয়েছেন, মিরন মোঃ ইলিয়াস তাঁদের অন্যতম কর্মী । কঠিন সময়ে সংগঠনের হাল ধরে রাখা, কর্মী হয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্বদান—এসবই তাঁকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে উপজেলা বিএনপির মধ্যে।
দলীয় সূত্র বলছে, তিনিই সেই নেতা, যিনি "প্রাপ্তির আশা নয়, দায়িত্ব পালনের মনোভাব" নিয়ে রাজনীতি করেন।
মিরন মোঃ ইলিয়াস এখন ২৮-কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। কুমিল্লা ২৪ টেলিভিশনের প্রতিনিধিকে বলেন আমি দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা তাঁকে প্রার্থী হওয়ার নৈতিক শক্তি দিয়েছে।
তাঁর ভাষায়, “আমি শুধু মনোনয়নপ্রত্যাশী নই, আমি এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে চাই। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত রাজীবপুর-রৌমারী-চিলমারীর উন্নয়নই হবে আমার অগ্রাধিকার। আমি চাই, জনগণের কণ্ঠ হয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলতে।”
তিনি এলাকাবাসীর জন্য যেসব পরিকল্পনা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে— চরাঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানি সুবিধা সম্প্রসারণ, রৌমারী-রাজীবপুর সড়ক উন্নয়ন ও সেতু নির্মাণ, নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, কৃষকদের জন্য কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন, তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আইটি সেন্টার, দুর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রশাসন গঠন
মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য একটাই—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং দলের বিজয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূলনির্ভর সংগঠক হিসেবে মিরন মোঃ ইলিয়াস বিএনপির জন্য এই আসনে একটি কার্যকর এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থী। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ধারাবাহিকতা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাঁকে মনোনয়নের দৌড়ে একটি শক্ত অবস্থানে রেখেছে।
মন্তব্য করুন
সংঘবদ্ধ
চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
গত
১৬ ডিসেম্বর এবং ১৮ ডিসেম্বর আবুল খায়ের মোঃ মাহবুব পারভেজ (৫৬) এবং হাসনা বেগম (৪১)
অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
পরবর্তী
পুলিশ সুপার কুমিল্লার নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লার
একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন চাঙ্গীনি কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মনিরের বাড়ী থেকে মনিরকে
গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চোরাইকৃত ১টি এলইডি সনি টিভি এবং একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল
ফোন উদ্ধার করে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার সহযোগী সোহেল, সুমনকে একই থানা এলাকার
কচুয়া চৌমুহনী নুরুল ইসলামের বাড়ীর ২য় তলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। তাদের বাসা তল্লাশি
করে চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টা পাইপ রেঞ্জ, ১টি হাতুড়ি, ১টি প্লাস এবং ১টি এন্ড্রোয়েড
মোবাইল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অপর সহযোগী বিল্লাল
(২৫)’কে চান্দিনা থানাধীন বাতাগাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চোরাইকৃত
আরো ১টি এলইডি সনি টিভি উদ্ধার করা হয়।
জেলা
গোয়েন্দা শাখা ডিবি জানান, তারা ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ কুমিল্লা চাঁদপুর, ফেনী জেলার
বিভিন্ন জায়গায় খালি বাসা গুলোতে তালা কেটে চুরি করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো:
১।
মনির (৩৭), পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-জোহরা খাতুন, সাং- পইয়াবাড়ি (মিয়া হাজী বাড়ী),
থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা এ/পি- চাঙ্গীনি, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
২।
সোহেল (২৮), পিতা- আব্দুল হক, মাতা- পারুল বেগম, সাং- পাইপেরগোড়া, থানা- কর্ণফুলী,
জেলা- চট্টগ্রাম, এ/পি- কইচ্চা চৌমুহনী, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
সুমন (২৮), পিতা- জশিম, মাতা- ফুল মাসা, সাং- লাজুর, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা,
এ/পি- মুনসুরাবাদ (বোয়ালখোলা মাঠ), থানা- ডবলমুরিং, জেলা- চট্টগ্রাম।
৪।
বিল্লাল (২৫), পিতা- মৃত মজিবুর রহমান, মাতা- সাজিয়া বেগম, সাং- বাতাঘাসি, থানা- চান্দিনা,
জেলা- কুমিল্লা।
উল্লেখ্য
যে, আসামী মনির, সোহেল এবং বিল্লাল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ০১টি করে চুরি মামলা এবং সুমন
এর বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব মাদবর (২৫) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে শিবচর উপজেলার পৌর বাজারের প্রধান সড়কের ইউসিবি ব্যাংকের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিব মাদবর শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল মাদবর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা নাসির মাদবরের ছেলে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রোববার রাত ৯টার দিকে শিবচর পৌর বাজারের ইউসিবি ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব মাদবর। হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক রাকিবের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো চায়নিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীদের আঘাতে রাকিব সড়কে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ঢাকা নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন
আমডা বাংলাদেশের উদ্যোগে ১১ তম জাতীয় ও ১৯ তম বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপিত ।
আমডা বাংলাদেশ তার সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও দাবী আদায়ে সোচ্চার এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ের কন্ঠস্বর আরও জোরালো ও জাগ্রত করতে সারাবিশ্বে জাতিসংঘ ঘোষিত ২১শে মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম পালন করে আমডা বাংলাদেশ।
বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৪ এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘চিরাচরিত ধারনা শেষ, প্রবেশগম্যতায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আমডা বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ ২৮শে মার্চ ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার সকালে বনশ্রীর ওয়াটার গার্ডেন রেষ্টুরেন্টে এক সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ শাহ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব মোঃ লিয়াকত আলী। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসাইন চৌধুরী, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত যুব সংগঠক ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী জনাব মোঃ সাইফুর রহমান খোকনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আমডা বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সরদার এ নাঈমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমডা বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সরদার এ রাজ্জাক।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আমডা বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার আহমাদ ইবনে সালেহ।
অনুষ্ঠানের শেষে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ আজ মঙ্গলবার ধসে পড়েছে আর এ ঘটনায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
মূলত নিচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, তা দেখতেই এই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
উদ্ধার এ কাজে যুক্ত আছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রকৌশল দপ্তর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ তলা ভবনের কাজ শেষের দিকে। এই হলের সামনে দুই পাশে শেড হচ্ছে। এর পূর্বপাশের একতলা শেডের সাটারিংসহ ঢালাই ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সাতজনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিকেল চারটার দিকেও ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছিল। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর শোনার পরই তাঁরা সেখানে উপস্থিত হন। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। সাটারিংসহ ঢালাই পড়ে গেছে। এগুলো সরাতে সময় লাগছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসংশ্লিষ্ট লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । সহ–উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। তবে তাঁর জানামতে সেখানে কেউ চাপা পড়েননি। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। পরে একটি তদন্ত কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জানতে হবে, নির্মাণাধীন ভবন কেন ধসে পড়ল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিন শ্রমিক হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আজাদুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুপনগর এলাকার সিফাত ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার সিহাব। এ ছাড়া সুরেজ ও রাসেল নামে দুই শ্রমিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ১১ জন নির্মাণাধীন ভবনটিতে কাজ করছিলেন।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় অটো রিক্সা চালক আকিদুল হত্যার আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২ টায় রাজিবপুর উপজেলা চত্বরে রাজিবপুর রাষ্ট্র সষ্কার আন্দোলনের সভাপতি আবু সাইদের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্যে নিহত আকিদুল ইসলামের মা ভানু বেগম (৪৭) বলেন, অটো রিক্সা চালিয়ে আমাদের সংসার চলত। হঠাৎ একদিন আমার ছেলে বাড়ি ফেরেনি। পরে নদী থেকে আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোরিকশাও ফিরে পাইনি। কেন আমার ছেলেটাকে হত্যা করা হলো, কি অপরাধ করেছিল আমার ছেলে। এক মাস হয়ে গেল আমার ছেলে হত্যার কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা গরিব বলে কি ছেলে হত্যার বিচার পাব না? গ্রেফতার এবং আসামিদের সনাক্তর দাবিতে কান্নার জড়িত কন্ঠে ভানু বেগম বলেন ২০ দিনের মধ্যে আমার ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সনাক্ত করার জোর দাবি জানান।
আকিদুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৩) বলেন এক মাস হয়ে গেল আমার স্বামীর হত্যার কোন বিচার পাইনি। কোন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। পুলিশে মামলার কোন অগ্রগতি আমাদের জানায়নি। গরিব বলে কি আমরা বিচার পাব না। দয়া করে আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করুন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ, রাজিবপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম মুক্তির ডাক আহবায়ক বিদ্যুৎ সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার
(২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলা কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ এর খাসকামরায় কুমিল্লা সিভিলকোর্ট
কমিশনারদের মাঝে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) বিতরণ করা হয়।
এসময়
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আরমান হোসেন (মোশারফ) ও সাধারণ
সম্পাদক কাজী মোঃ জাকির হোসেনসহ সিভিলকোর্ট কমিশনারদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড)
তুলে দেন সদ্য বিদায়ী কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন। এসময়
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ আহছান উল্লাহ খন্দকারসহ
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সকল সদস্যগণ।
এসময়
জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- এ পরিচয়পত্র গুলো আমার স্বাক্ষরিত আপনারা এমন
কোন কাজ করবেননা যে আমার সন্মান ক্ষুন্ন হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতোয়ালী মডেল থানা কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ৪৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালী মডেল থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ১৪ টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনসমূহ আজ (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তানতর করেন।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন