ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) দুপুর ২টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. মোছলেহ উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এমদাদুল হক মামুন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন ও নাসির আহমেদ মোল্লা।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাম, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মোতাহের আলী দিলাল, কাজী নজির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও শাহাদাত হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি করেন। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কয়েদি থেকে কারামুক্ত এক কর্মজীবী নারীতে পরিণত হয়েছেন মোসা: পারভীন আক্তার। হত্যা
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ
করেছিলেন কয়েদি নম্বর ৩৮০২/এ, পারভীন আক্তার। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা
কমে গিয়ে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর, প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রমে
অর্জিত ৫৭ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে আজ তিনি মুক্ত হলেন।
কারা
বিভাগ "রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ" এই শ্লোগানে বন্দিদের দক্ষতা উন্নয়নে
নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায়, কারাগারে অবস্থানকালে পারভীন আক্তার নেন
নকশীকাঁথা সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ। তার হাতে তৈরি কারাপণ্য বিক্রি হয় বাণিজ্য
মেলা ও কারাগারের শো-রুমে। বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫০ শতাংশই পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের
হাতে তুলে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
সেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় থেকেই পারভীন আক্তার নিজের প্রিজনার ক্যাশ একাউন্টে জমা করেন ৫৭
হাজার টাকা। যা তিনি আজ মুক্তির দিন নিজের হাতে পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের এই ফল
পেয়ে আবেগাপ্লুত পারভীন জানান, "কারা কর্তৃপক্ষ শুধু শাস্তিই দেয়নি, জীবনের নতুন
আলো দেখিয়েছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।"
বাংলাদেশ
জেলের এই মানবিক ও পুনর্বাসনমূলক দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
পারভীন আক্তারের জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সংশোধনের সুযোগ থাকলে, প্রত্যেক মানুষই
পরিবর্তনের পথে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্প থেকে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা শাসনগাছা এলাকায় একটি সফল মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে সুন্দর আলি ও মো: ইউসুফ নামক দুইজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ প্যাকেট গাঁজা,
১ রোল অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় আইনগত
ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী
কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়ন ২৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় মদ এবং বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত প্রায় ১২ টার দিকে কুমিল্লা বিজিবির ১০ ব্যাটালিয়ন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আওতাধীন বিবিরবাজার বিওপি’র অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিষ্ণুপুর নামক স্থান হতে মালিক বিহীন অবস্থায় অবৈধ ভারতীয় ৬০ বোতল মদ এবং ১১ হাজার ৩ শত ৪০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মালু মিয়া(৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালক সাগর মিয়া(২৭)কে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কের টনকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মালু মিয়া নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর গ্রামের মৃত চান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিমসার বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি সিএনজি নবীনগরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আশা গরু বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজির যাত্রী কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মালু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত সিএনজি চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি ও ট্রাক দুটি জব্দ করে এবং নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কুমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা দ্রুত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়" এবং "গরিব দুঃখির মামলার ব্যয়, বাংলাদেশ সরকার দেয়"- এই শ্লোগান সামনে রেখে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে যানবাহনে ষ্টিকার লাগাচ্ছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছির আরাফাত, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ সহিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমানসহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। স্টিকার লাগানো শেষে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কুমিল্লার আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভার মঞ্চের কাজের অগ্রগতি ঘুরে ঘুরে দেখেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এফ এম শেফায়েত ছালাম ও ম্যাজিস্ট্রেট ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন সহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সকল বিজ্ঞ বিচারকগন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সকল বিজ্ঞ আইনজীবীগণ, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিচারপ্রার্থী জনসাধারণকে যথাসময়ে উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে রাতে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন।
তিনি গত সোমবার (১৮ই আগষ্ট) রাত ৮.৩০ঘটিকা থেকে রাত ১০.০০ঘটিকা পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম বাজার ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে তিনি দেখতে পান, শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে না বসে বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দিচ্ছে এবং ধুমপান করছে। অভিযানে , শিক্ষার্থীদের সাথে অনেক অছাত্রদের আড্ডা দিতে দেখা যায়, যারা অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এসময় ইউএনও শিক্ষার্থীদের প্রথম বারের মতো সতর্ক করে তৎক্ষণাৎ বাসায় গিয়ে পড়তে বসার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং রাত ৮ টার পর কেউ যাতে পড়া রেখে বাহিরে অহেতুক ঘোরাফেরা/আড্ডা না দেয় সে বিষয়ে কড়া বার্তা প্রদান করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন জানান, আগামী দিনগুলোতেও এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে রাত ৮ টার পর কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে আড্ডা/অহেতুক ঘোরাফেরা করা অবস্থায় পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং যার বা যাদের দোকানে বসে আড্ডা দিবে সে সকল দোকানীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে জানান তিনি।
উপজেলার সকল অভিভাবকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান যে- আপনার সন্তানের খবর রাখুন, সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে বসা নিশ্চিত করুন এবং কার বা কাদের সাথে মেলামেশা করছে সে বিষয়ে অধিকতর সংবেদনশীল আচরণ করুন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা,
সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” দেবিদ্বার উপজেলা শাখার ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল আমিন
এবং সদস্য সচিব হয়েছেন শরীফ নাজিরী।
সংগঠনের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত
করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক
মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, আমরা দেবিদ্বার উপজেলায়
আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং
তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
সদস্য
সচিব শরীফ নাজিরী বলেন, কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত
মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।
সংগঠনের
জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খান।
নবগঠিত
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ন
আহবায়ক আবুল খায়ের,সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আবু মূছা নিরব,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ম
আহ্বায়ক পিবি হাবিব,ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক সুজন আহমেদ,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক মুনতাসির রাফি,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহ্বায়ক আবু জর গিফারী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রফিকুল ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক বিল্লাল হোসেন আত্তারী,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ -দেবিদ্বার পৌরসভা
যুগ্ন
আহবায়ক মো.আসরার জাহিদ আলেমদার, ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রবিউল ইসলাম -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মনিরুল হক,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ -পইয়াবাড়ি,এলহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মিজানুর রহমান -সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক নাহিদ হাছান -সুলতানপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আল-আমিন -জাফরগন্জ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক ওলিউল্লাহ,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মাহফুজ মিয়া,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহবায়ক মোঃ মেরাজ, সুলতান ইউনিয়ন।
সদস্য
মো:জোবায়ের
ইসলাম-গুনাইঘর
ইউনিয়ন।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ কবির হোসাইন রেজা কাদেরী।
সুবিল
ইউনিয়ন।
সদস্য
রানা মাহমুদ,বরকামতা ইউনিয়ন।
সদস্য
সাবিত রেজবী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
রফিকুল ইসলাম
সদস্য
এনামুল আহমেদ, দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
শাহ কামাল -সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
ইসমাইল আহমেদ মাহিন,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
ইলিয়াস,এলাহবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
জুবায়ের ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
সদস্য
শরীফুল ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
কাইয়্যুম ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন
সদস্য
ওমর ফারুক,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাকিব,সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাব্বি, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
দ্বীন ইসলাম, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
হৃদয় আহমেদ সাগর -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
মো.আরিফুল ইসলাম,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
আরিফ রেজা,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
সাইদুল ইসলাম সুমন, ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা
আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় আজ সকালে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
এ
সময় তিনি বলেন ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এই স্থানেই ছাত্র-জনতার উপর নির্মম হামলা চালানো
হয়েছিল। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে স্থাপিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। এতে প্রতিটি শহীদের নাম
যুক্ত থাকবে। এছাড়াও যেসব এলাকায় শহীদরা নিহত হয়েছেন,সেসব স্থানে নির্মাণ করা হবে
‘রোড মেমোরি স্ট্যান্ড’।”
জেলা
প্রশাসক জানান, প্রতিবছর ৫ আগস্ট স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ শ্রদ্ধা
নিবেদনের আয়োজন করা হবে।
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমদ খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি
উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, সিভিল
সার্জন ডা. মোঃ আলী নূর মোহাম্মদ বশির, এনসিপি নেতা মাছুমুল বারী কাউসার,উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহানসহ জেলা প্রশাসনের
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি
সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক আল আমিন। দোয়া পরিচালনা
করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইসিটি মাস্টার ট্রেইনার আব্দুল্লাহ নোমান।
শহীদদের
স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ কুমিল্লার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে, এমনটিই
প্রত্যাশা সকলের।
মন্তব্য করুন