

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে। এর ফলে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন হবে।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫-এর সংশোধন-বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত অর্থবছরে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারি অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়েছে। যেসব চলচ্চিত্র অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, সেসব চলচ্চিত্র নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখার জন্য তিনি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তথ্য উপদেষ্টামাহফুজ আলম বলেন, অনুদানে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিদ্যমান নীতিমালায় যেসব ক্ষেত্রে সংশোধন প্রয়োজন, তা লিখিতভাবে জমাদানের জন্য তিনি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস. এম. আব্দুর রহমানসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


এম এ হান্নান, ভোলা:
ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে টুলু নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুলু ওই ইউনিয়নের মো. রহমান চৌকিদারের ছেলে।
অভিযুক্ত ফারুক একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। টুলু এবং অভিযুক্ত ফারুক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন।
পুলিশ রক্তমাখা ছুরি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় শুধু ফারুকই জড়িত নাকি অন্য কেউ আছে। ময়না তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে যোগ দিতে আগামী ১২ অক্টোবর (রোববার) ইতালির রাজধানী রোম যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর রোমে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে যোগ দেবেন তিনি। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ে অনেকের সঙ্গে বৈঠকও করবেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, সভায় ভিসা জটিলতা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।
শিক্ষার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, দেশে অনেক বেশি বিবিএ গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তা মার্কেটে অতিরিক্ত। তাই সার্বিক পরিস্থিতিতে সায়েন্স ভিত্তিক গ্রাজুয়েশন বাড়ানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে সবার মতামত নেওয়া হয়েছে।
দেশের ৯টি রেজিম কোম্পানিকে সরকার অতি দ্রুতই অবসায়ন করবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
মন্তব্য করুন


জাতি
গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রবাসীরাই মূল ভূমিকা পালন
করেছেন।
আজ
শুক্রবার টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য
রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই সত্য যে কঠিন সময়ে দেশের যে টিকে থাকা—তা সম্ভব হয়েছে প্রবাসীদের
পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে’।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, ক্ষমতাচ্যুত পতিত সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং ব্যাংক শূন্য করে গিয়েছিল
এবং যদি প্রবাসীরা সহায়তা না করতেন, তাহলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারত না।
তিনি
বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, তবে জাতি গঠনে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনাদেরই
রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নিতে হবে,’ তিনি বলেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, প্রবাসীদের বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন, তাদের ব্যবসাও
আছে—এই কারণে তারা নিয়মিত বাংলাদেশে
যাতায়াত করেন।
‘তাই সামগ্রিকভাবে আমাদের
একসঙ্গে কাজ করতে হবে...আপনারা জাপান সরকারের ওপর প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করুন,’বলেন
তিনি।
প্রধান
উপদেষ্টার জাপান সফরের তৃতীয় দিনে আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়— যথাক্রমে অর্থনৈতিক সংস্কার
ও জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা জোরদার করতে ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন (৪১৮ মিলিয়ন মার্কিন
ডলার), জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়াল-গেজ ডাবল-লেন রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ঋণ (৬৪১ মিলিয়ন
ডলার) এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন স্কলারশিপ অনুদান (৪.২ মিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশের
পক্ষে রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং জাপানের পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত শিনিচি সাইদা সমঝোতা
স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস দলিল এমওইউ স্বাক্ষরের এই আনুষ্ঠানিকতা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে,
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে তিনি অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ঘটিয়ে ছাত্রজনতা হত্যা চেষ্টা সহ নাশকতা মামলার ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন বড়পুকুরপাড় এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ঘটিয়ে ছাত্রজনতা হত্যা চেষ্টা সহ নাশকতা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) এবং ২। মোঃ দুলাল (৩৮) নামক ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের আখলাক হায়দার এর ছেলে এবং ২। মোঃ দুলাল (৩৮) একই থানার পূর্বহুড়া গ্রামের মৃত আক্কাছ আলী এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪/০৮/২০২৪ ইং তারিখ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার অন্তর্গত নাজিরা বাজার এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দিন ব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল।
উক্ত কর্মসূচিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ধৃত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) ও ২। মোঃ দুলাল (৩৮) সহ তার অপরাপর সহযোগীরা তাদের হাতে থাকা ককটেল, রামদা, লোহার রোড সহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় অনেক নিরীহ ছাত্র ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৭/০৯/২০২৪। মামলা দায়ের করার পর হতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, এর আভিযানিক দল পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বড় পুকুরপাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) ও ২। মোঃ দুলাল (৩৮)’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ে
গ্রফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা হলেন- বিধান রঞ্জন রায় (চিকিৎসক), ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব ও পরিচয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:
১.
ড.
মুহাম্মদ
ইউনূস
ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেই থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে তার জন্ম। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ড. আসিফ নজরুল
আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময় জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
৪. আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২। একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আদিলুর রহমান এবং সুশীল সমাজের অন্য সদস্যরা ১০ অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাপলা স্কোয়ার বিক্ষোভের সময় নেতাকর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ জন্য খানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আরিফ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
৬. তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি একজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।
৮. মো. নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার বাবা শিক্ষক। মা গৃহিণী। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
৯. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। তিনি একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত)।
১১. সুপ্রদীপ চাকমা
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১২. ফরিদা আখতার
ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১৩. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৪. আ ফ ম খালিদ হাসান
আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন (যিনি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামী পণ্ডিত। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
১৫. নুরজাহান বেগম
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৬. শারমিন মুরশিদ
ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
১৭. ফারুক-ই-আজম
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জ লাইনচ্যুত হয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন। এতে বন্ধ রয়েছে ভৈরব- ময়মনসিংহ রুটে রেল চলাচল।
২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় এ ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা স্টেশন এলাকায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে প্রবেশের সময় পয়েন্ট ভুল করে অন্য পয়েন্ট চলে যায়। এতে করে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার করবে লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি।
মন্তব্য করুন


শ্রদ্ধা, ভালোবাসা
ও শোকের মধ্য দিয়ে আজ
বুধবার (১৬ জুলাই) শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণ করেছে বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু
সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহীদ
আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভ’র
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে
শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বেলা ১১টায় শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, মিউজিয়াম স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি স্থাপন করেন।
উদ্বোধন শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
পরে শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিচারণে আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন,
অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল এবং
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
(ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
সদস্য প্রফেসর ড. তানজীম উদ্দীন খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শওকাত আলী। বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম ও
ডিআইজি আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেন, দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে। তাঁর বাবা
এ বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ সরকারের আমলেই জুলাই হত্যার বিচার হবে।
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর বৈষম্যের শিকার থাকবে
না। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এ বছরেই হবে। এছাড়া
কুড়িগ্রামে ইপিজেড হবে। রংপুর অঞ্চলে হবে চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতাল।
আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া আবু
সাঈদকে স্মরণ করে কাঁদছেন তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, আবু সাঈদ যেন এক আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের
মানুষের মুক্তির দিশারী।
শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা হতে ১৮ টি চোরাই মোবাইলসেট উদ্ধারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. আব্দুল্লাহ (২৪), মো. সোহাগ মোল্লা (৩০), জয় হোসেন (২২) ও মো. শহিদুল ইসলাম (৪৮) এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৮টি পুরাতন মোবাইল ফোন, ১টি পুরাতন পাওয়ার ব্যাংক এবং ৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়, ওয়াইজঘাট এলাকার ব্যাকল্যান্ড বাঁধ রোডের সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে কিছু ব্যাক্তি চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদে অভিযান পরিচালনা করে থানার একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় উল্লিখিত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৮ পুরাতন মোবাইল ফোন, একটি পুরাতন পাওয়ার ব্যাংক এবং চারটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে ঢাকার গুলিস্তানসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা হতে ছিনতাইকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন মোবাইল সেট, পাওয়ার ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার সদরঘাটসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে। তারা প্রাথমিক স্বীকার করেছে, উদ্ধারকৃত মোবাইল সেট, পাওয়ার ব্যাংক এবং হাতঘড়ি একই উদ্দেশে তাদের কাছে ছিল।
মন্তব্য করুন


আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের শপথ গ্রহণ হবে।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রোববার (১১ আগস্ট) বঙ্গভবনে তার শপথগ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
মন্তব্য করুন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে
বৈঠকে করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’জানিয়েছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের
সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভা কক্ষে বৈঠকটি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে
‘পূর্ণ সমর্থন’
জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের
ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল
ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ
পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো
সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম
অধিবেশনে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে
জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের
সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে
(সাবেক টুইটার) শেয়ার করা ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক বার্তায় বলেন,
এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু
হওয়ার পর ভাষণ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক
চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি যা আগে কখনো দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তা শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম
সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে
সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে
এ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘে এটি তার চতুর্থ এবং
শেষ ভাষণ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
ইউএনজিএতে অংশগ্রহণ উপলক্ষে ড. ইউনূস
এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি ড. ইউনূসের প্রথম
যুক্তরাষ্ট্র সফর।
মন্তব্য করুন