রুবেল মিয়া স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য
কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার স্ত্রীকে সম্ভ্রমহানি
করেন। এমন সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন রুবেল মিয়া।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামে কাচারীপাড়ার মরহুম দেসের
আলীর ছেলে। তিনি কবিরাজি পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং চাষাবাদ করতেন। নিহতের ভাইপো সানোয়ার
হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করে।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে রাজাই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে
সদর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের পাশে পান বরজের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে তাদের না পেয়ে
তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সেটা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট
পর রাজাই কবিরাজ ও তার স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে আসলে, রুবেল তার স্ত্রীকে দেখে সন্দেহ
করে। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে কান্নাকাটি করে বলে যে,
রাজাই কবিরাজ তার সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা জানার পর রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হয়। রাজাই কবিরাজকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে
সুবদিয়া ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্রের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে কালীভান্ডারদহের দিকে
নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইলের পেছনে বসা রুবেল তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে রাজাই কবিরাজের
গলায় পোঁচ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নির্জন রাস্তায় ফেলে দেয় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত
করে। মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাছপালা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
পুলিশের তদন্তের পর আলোচিত কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর
রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকর চন্দ্র
ইউনিয়নের কালিভান্ডারদহ পিরতলি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী (৪৮) নামের
এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের দিনই পুলিশি তদন্তে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুবেল মিয়া ও সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা আদালতের বিচারকের
কাছে তাদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে
জানান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ বিচারক রিপন হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায়
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আটক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া
পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই পাড়ার আনিসের ছেলে সোহেল রানা
(২০)। এদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত ধারাল ছুরি, ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল
ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাসুদ হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়া (৩০) নামে এক আসামি পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে।
আসামি হালিম মিয়া ওই গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগাতুয়া গ্রামের মাসুদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হালিম মিয়া। হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন হালিম মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হালিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগেই এএসআই আশরাফুল আরিফের হাতে কামড় দিয়ে আসামি হালিম মিয়া পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে অস্ত্র সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নগরীর টাউনহল মাঠের ভিতর পূর্ব পাশে
দেশীয় অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে, জনমনে আতংকিত করে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। উক্ত
সংবাদ কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল উল্লাহ মোবাইল ফোনে জানালে
থানা এলাকায় ডিউটিরত মোবাইল-১ পার্টি এবং কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ
অফিসার ও ফোর্সসহ ৯ জানুয়ারী রাত ৪ টা ৪০ মিনিটে কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড়
সাকিনস্থ টাউন হল মাঠের ভিতর পূর্ব পার্শ্বে পৌছামাত্র আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের
পেয়ে পালাইয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় তাদেরকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শরীফ
(২০), পিতা-আব্দুর সামাদ, মাতা-মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-শাসনগাছা, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন
(২০), পিতা মৃত-দুলাল মিয়া, মাতা মৃত-রওশন আরা, সাং-রামপুর, ৩। জসিম উদ্দিন (২০),
পিতা-মোঃ সুরুজ মিয়া, মাতা- মোসাঃ খুরশিদা বেগম, সাং- নিশ্চিন্তপুর, ৪। মোঃ আকাশ
(২০), পিতা-কামাল হোসেন, মাতা- মোসাঃ রহিমা বেগম, সাং-অশোকতলা, ৫। মোঃ রবিউল (২১),
পিতা মৃত আব্দুল করিম, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-অরন্যপুর, সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা,
৬। মোঃ সবুজ আলী (২১), পিতা-রেসু মিয়া, সাং-ছালিয়াকান্দি, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা,
৭। মোঃ বাবু সওদাগর (২৫), পিতা মৃত-মহন সওদাগর, মাতা- মোসাঃ চায়না, সাং-মদন গোপাল
আঙ্গিনা, থানা-মধুপুর, জেলা-টাঙ্গাইল।
জব্দকৃত অস্ত্রগুলো হচ্ছে- ২ টি চাকু,
২ টি হাসুয়া,ষ্টীলের তৈরী মাথায় লোহার করাত, ১ টি কাচি, ৩টি মোবাইল ফোনের বেক কাভার,
মানিব্যাগ,১ টি রেঞ্জ, পেপার কাটার।
আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজা এবং ৭৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান (২২) এবং ২। মোঃ পারভেজ (২৪) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা, ৭৩ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ইজি বাইক (অটো) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ মেহেদী হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতরা গ্রামের মোঃ আলমগীর
এর ছেলে এবং আসামী মোঃ পারভেজ (২৪) একই গ্রামের মোঃ শাহীন এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজি বাইক (অটো)টি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা’সহ অন্যান্য জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে ১ কিশোরসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন বেতিল চর এলাকায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো: বেতিল চরের তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪)।
অপরদিকে সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সালাম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের জয়নালের ছেলে কৃষক আব্দুস সালাম।
বজ্রপাতে আহত শিশুরা হলো- বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান (৮) ও বেতিল চরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। এসময় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত হলে দুই শিশু, এক কিশোরসহ চারজনের দেহ ঝলসে যায়। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে এক কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান, বিকেলে ক্ষেত থেকে কাটা ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন
মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক ভিক্ষুক কে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের গ্রামের মৃত আঃ রবের পুত্র বিল্লাল হোসেন (২৮) ও আবুল হোসেনের পুত্র ইমাম হোসেন মিয়াজী (২১)।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার গোহট ইউনিয়নের চান্দিয়াপাড়া গ্রামের এক ভিক্ষুক (৪০) গত শনিবার শাহরাস্তি উপজেলার বেরনাইয়া বাজার এলাকায় ভিক্ষা শেষে বেরনাইয়া বাজার থেকে অটোরিক্সাযোগে বাড়ীতে যাওয়ার পথে রঘুরামপুর ব্রীজের উপর পৌঁছলে সন্ধ্যা ০৬ টা ২০ মিনিটের সময় ৪ যুবক তাকে অটোরিক্সা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ পাটওয়ারী বাড়ীর শাহআলমের নির্মানাধীন একতলা বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে অভিযুক্তরা তার শরীরে আঘাত করে ভিক্ষা করা ৫ হাজার ৭ শত টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অপর আসামীরা হলো, যাদবপুর গ্রামের হাসান আহমেদের পুত্র বেলায়েত হোসেন (৩০) ও মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল কাদির (২০)।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিন পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়।
পরে সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার
করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন
বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালা কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার
বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফ (মূল) এর কতিপয় সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর
হামলা করে এবং ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের
কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে
উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত
হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায়
আগুন নেভায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা
সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশেপাশের এলাকা সমূহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কিছু
স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাকর
করে তোলে।
দ্রুততার সঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত
হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১০টা
থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী,
বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের
সাথে আলাপ আলোচনা করে সব পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে
বলা হয়।
একই রাতে (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি
জোনের একটি টহল দল সাড়ে দশটার দিকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি
শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল)
এর নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল
দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। উক্ত
গোলাগুলির ঘটনায় তিন জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।
আইএসপিআর জানায়, একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ির পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল) এর নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেড এর অফিসে ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিসিজেএসএস
সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি
ছাত্র আন্দোলন’এর
ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০-১০০০
জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা
বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি- অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং বেশ কিছু
দোকানে ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে
চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিদের চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে
প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ
জানানো হয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার হাবিবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফুলবাড়ীর সহযোগিতায় ও ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের বাস্তবায়নে কৃষক আমজাদ হোসেনের উঠানে এ ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান ড. মো: রকিবুল হাসান, এসএসও সেলিনা জাহান, হাইব্রিড রাইস বিভাগ গাজীপুরের এসএসও ড. আনোয়ারা আক্তার ও কৃষক আমজাদ হোসেন সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা, ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ এর ফলন বিঘায় ২৭ মন হওয়ায় বিদেশি ধানের পরিবর্তে দেশি জাতের ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ লাগানোর পরামর্শ প্রদান করেন ।
মন্তব্য করুন
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজশাহীর কাটাখালী এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং ‘জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। রাজশাহীর ভয়ংকর কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত জনি বাহিনী।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত রাতে জনি বাহিনীর ৯ জনকে আটক করা হয় কাটাখালীর শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া থেকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাকু ও ৩টি টিপ চাকু উদ্ধার করেছেন র্যাব।
র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ৯ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো: জনি বাহিনীর প্রধান জনি ইসলাম (২৩), আবদুল মান্নান খাঁ (২০), আবু হানিফ (১৯), কুরমান আরী (২২), মাসুম আলী (২৭), মো. সাগর (২০), টিপু সুলতান (২০), নুরমান ইসলাম (২০) ও সুজন আলী (৩০)।
রোববার দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃতরা চাঁদাবাজি, জমিদখল ও ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এলাকায় তারা ‘জনি গ্যাং’ বা ‘জনি বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে বাহিনীর প্রধান জনির বিরুদ্ধে।
র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জনি বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দুপুরে তাদের কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের নামে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এডভাইজর পদে যোগদান করেছেন কুমিল্লা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের।
আজ বুধবার সকালে তিনি সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে যোগদানপত্র জমা দেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অধ্যাপক জামাল নাছের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর পূর্বে তিনি কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, কুমিল্লা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক, উপ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
১ জানুয়ারি থেকে তিনি কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক নাছেরের যোগদানের বিষয়ে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক জামাল নাছের সিসিএন পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি সিসিএন পরিবারের ছায়াসঙ্গী হিসেবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর যোগদানের ফলে সিসিএন-এর চলমান অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে বলে আমি বিশ্বাসী।
মন্তব্য করুন