রুবেল মিয়া স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য
কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার স্ত্রীকে সম্ভ্রমহানি
করেন। এমন সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন রুবেল মিয়া।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামে কাচারীপাড়ার মরহুম দেসের
আলীর ছেলে। তিনি কবিরাজি পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং চাষাবাদ করতেন। নিহতের ভাইপো সানোয়ার
হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করে।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে রাজাই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে
সদর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের পাশে পান বরজের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে তাদের না পেয়ে
তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সেটা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট
পর রাজাই কবিরাজ ও তার স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে আসলে, রুবেল তার স্ত্রীকে দেখে সন্দেহ
করে। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে কান্নাকাটি করে বলে যে,
রাজাই কবিরাজ তার সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা জানার পর রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হয়। রাজাই কবিরাজকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে
সুবদিয়া ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্রের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে কালীভান্ডারদহের দিকে
নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইলের পেছনে বসা রুবেল তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে রাজাই কবিরাজের
গলায় পোঁচ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নির্জন রাস্তায় ফেলে দেয় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত
করে। মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাছপালা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
পুলিশের তদন্তের পর আলোচিত কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর
রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকর চন্দ্র
ইউনিয়নের কালিভান্ডারদহ পিরতলি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী (৪৮) নামের
এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের দিনই পুলিশি তদন্তে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুবেল মিয়া ও সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা আদালতের বিচারকের
কাছে তাদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে
জানান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ বিচারক রিপন হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায়
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আটক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া
পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই পাড়ার আনিসের ছেলে সোহেল রানা
(২০)। এদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত ধারাল ছুরি, ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল
ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ঈদ পূনর্মিলনী ও গুণীজন সম্মাননা উপলক্ষে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। রবিবার বিকালে আশারকোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশারকোটা সোস্যাল এক্টিভিটিসের উদ্যোগে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. নবীর হোসেনকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক নবাবপুর শাখার ম্যানেজার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন আহমেদ।
আশারকোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও আবরাহুল খাদেমের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার,ঢাকা মাতুয়াল শিশু হাসপাতালের ডা. মো. আসিফ ইকবাল সহ আরো অনেকে।
এসময় ইউপি সদস্য বাচ্চু বেপারী,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার রিয়াজ উদ্দিন,বিশিষ্ট সমাজসেবক মোতালেব হোসেন,হারুন অর রশিদ,আব্দুল মতিন,আব্দুল খালেক,আরিফুল ইসলাম,খতিব সোলাইমান,সাবেক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ,ইসমাইল মিয়া,আওয়ামী লীগ নেতা অলিউল্যাহ প্রধান সহ সুশীল সমাজ,আশারকোটা সোস্যাল এক্টিভিটিসের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপদ সমাজ গড়তে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে কচুয়া থানার আয়োজনে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।
পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাষ্টার মো. কামরুল হাসান চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুর হালিম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর আহমেদ সেলিম,আহ্বায়ক সদস্য ইয়ার আহমেদ মজুমদার,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা,সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন পাটোয়ারী,জেলা যুবদলের সদস্য সেলিম মাসুদ প্রধান প্রমুখ।
এসময় বিএনপি নেতা সেলিম পাটোয়ারী,তাজুল ইসলাম,জিন্নত আলী মাষ্টার,কামাল হোসেন মুন্সী,ইমান হোসেন বেপারী,শ্রমিক দল নেতা আব্দুর রহমান ফরাজী,ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন,সদস্য সচিব মহসিন মিয়া,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আমির হোসেন আপন,সদস্য মেহেদী হাসান,যুবদল নেতা গোলাম সারওয়ার,বিতারা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মিয়া,পালাখাল মডেল ইউনিয়ন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াদ হাসান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নাটোরে ঘন কুয়াশার কারণে একসঙ্গে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন ট্রাকচালক নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলায় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক নারী নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার নওপাড়া ডালসড়ক এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জুটমিলের সামনে একসঙ্গে ছয়টি ট্রাকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এরপর মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত ট্রাকচালক হলেন- মো. হুসাইন (৩৫)। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নিত্যানন্দ গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে। অপর দিকে নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
নাটোর সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কের ওপর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে বনপাড়া থেকে রেকার আনা হচ্ছে। রেকার পৌঁছালে ট্রাক সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. মাহাবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকায় কম দূরত্বের বস্তুও দেখা যাচ্ছিল না। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জুটমিলের সামনে প্রথমে বিপরীতমুখী দুইটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এরপর একে একে ছয়টি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক ট্রাকের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় আহত হন অন্তত সাতজন। এসময় পাঁচটি ট্রাক দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর এ মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনের চেষ্টা চলছে। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। অনেকগুলো ট্রাক একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তাই এসব সরাতে সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে পবা হাইওয়ে থানার উপ-পরির্শক (এসআই) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, সকালে নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় নাটোর-রাজশাহী সড়কে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫ বোতল বিদেশী মদসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ জুলাই) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন রাজমঙ্গলপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০)
নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫ বোতল বিদেশী মদ
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লালমাই গোলচত্ত্বর এলাকা হতে ১৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লালমাই গোলচত্ত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ০৩ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার বালিপাড়া গ্রামের মোঃ জামান হাওলাদার এর ছেলে মোঃ সোহাগ হাওলাদার (৪০)।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ পিরোজপুর, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল, গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কবর থেকে তোলা হলো লাশ। মৃত যুবকের নামে থাকা সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণ করতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে এ আদেশ দেন আদালত।
মৃত্যুর সাত বছর পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আদালতের এ আদেশ পালনে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানার এসআই জহির রায়হান মামলার বাদী ও বিবাদীদের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।
এ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বমালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে নিঃসন্তান দম্পতি জুগিরগোফা গ্রামের আব্দুল লতিফ-হাজেরা খাতুন নিজের সন্তানের মতই লালন-পালন করেছেন। তাদের নামীয় ১৩ বিঘা জমি আল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আল কবিরের মৃত্যু হয়। পরের বছর তার পালিত পিতা আব্দুল লতিফ মারা যান। তখন আল কবিরের নামীয় সম্পত্তি দখল করে নেয় আব্দুল লতিফের ভাইসহ অন্যান্য শরিকরা। এ নিয়ে আল কবিরের পিতা মিজানুর রহমান খোকন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে পূর্বমালসাদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আল কবিরের (২৫) মৃত্যু হয়। সে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাস করে মাস্টার্সে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল।
মামলায় মিজানুর রহমান খোকন দাবি করে আল কবির তার ঔরষজাত সন্তান। অন্যদিকে আব্দুল লতিফ পক্ষ দাবি করে আল কবির আব্দুল লতিফের ঔরষজাত সন্তান। ফলে আল কবিরের সম্পত্তির মালিক কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আল কবিরের মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪৭ ক্যান বিয়ারসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ অক্টোবর বিকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
চৌদ্দগ্রাম থানাধীন দোলবাড়ী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ সাইফুল নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৪৭ ক্যান বিয়ার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক (মিশুক) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সাইফুল (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ছুপুয়া মিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত সেলিম
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজিবাইক (মিশুক) ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিয়ার সংগ্রহ পূর্বক কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের চান্দনায় আজ সকালে নয়টার দিকে একটি পোষাক তৈরির কারখানায় শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনার পর নাওজোড় এলাকায়ও শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ধীরে ধীরে আশপাশের আরো কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়েছে এই শ্রমিক বিক্ষোভ।
এসময় মহাসড়কে টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, শ্রমিক ও পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ী, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর, জামগড়া, ছয়তলা ও নরসিংহপুরের একাধিক এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
এদিকে এ পরিস্থিতি বিবেচনায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, জরুন, ভোগরাসহ বেশ কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্য সব এলাকায় কারখানা স্বাভাবিকভাবে চলছে।
শ্রমিক বিক্ষোভ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদেরকে বুঝিয়েসুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরবর্তীতে নাওজোর এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ভাঙচুর করে এবং সড়কে কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এর আগে সকালে বাসন থানাধীন জয়দেবপুর-শিববাড়ি রোডেও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
মন্তব্য করুন