শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নং ট্রেনে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
লালমনিরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের জোরে ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন।
যাত্রীরা জানান, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নং কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্লাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে পূর্বের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক। পরে লোকো শেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেল হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে চিকিৎসকরা। পরে আহতদের পুনরায় ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়। তবে দুইজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট স্টেশনমাস্টার লোকো শেড বিভাগের চালক গৌর গবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নূরনবী বলেন, একটা ইঞ্জিন বদল হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে ইতোমধ্যে রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেব না। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২ ডিসেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ) মফিজুল
ইসলাম খান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপুর পশ্চিম মধ্যপাড়ায়
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মিয়া
কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হলো: মোঃ সোহেল মিয়া(২৩), পিতা-মোঃ জামাল ভূইয়া,
মাতা-মৃত-আমেনা বেগম ,স্থায়ী: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর (পোঃ-বিবির বাজার) , উপজেলা/থানা-
কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সোহেল মিয়া এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে
।
মন্তব্য করুন
রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবীতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, কতিপয় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রী শিক্ষা বোর্ডের এখতিয়ার বহির্ভূত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করাসহ গালমন্দ এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে সারাদেশে আন্তঃবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন করে।
মন্তব্য করুন
এক পায়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিয়মিত কলেজে যায় ইয়াছমিন আক্তার (২০)। অদম্য এই শিক্ষার্থী ইয়াছমিনের এক পা নেই, অন্য পা থাকলেও তা প্রায় শীর্ণকায়।এ গল্প নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের দিনমজুর নুরনবীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের।
দেড় বছর বয়সে আগুনে পুড়ে এক পা হারিয়ে এমন বাস্তবতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ১৯টি বছর। তবুু কঠিন জীবন সংগ্রামে দমে যাননি। দরিদ্রতা আর শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে সে এখন জেলার সদর উপজেলার ড. বশির আহমদ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন।
জান যায়, ২০০৫ সালে শিশু ইয়াছমিনকে বিছানায় রেখে পাশের বাড়ি থেকে পানিতে আনতে যান তার মা। হঠাৎ করে চৌকির পাশে থাকা চেরাগ থেকে মশারিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে ইয়াছমিনের দুই পা দগ্ধ হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। পায়ের রগ পুড়ে অপর পাও অনেকটা শীর্ণকায় হয়ে যায়।
এরপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে প্রথমে ভর্তি হন স্থানীয় পশ্চিম গাংচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে গাংচিল কবি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রথমে স্থানীয় গাংচিল বাজারে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি করে বাড়ি থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে কলেজে ক্লাস করছেন নিয়মিত। আবার বাড়ি ফিরতেও তাকে হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার পথ। এভাবে বয়ে চলেছেন জীবনের ভার। বছরে পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পান। কিন্তু সরকারের এ সহযোগিতা একেবারেই অপ্রতুল।
ইয়াছমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি লেখাপড়া করছি। পড়ালেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই। সবার সহযোগিতায় একটি কৃত্রিম পা সংযোজন হলে আমার স্বপ্ন পূরণে সহজ হবে। ইয়াছমিনের বাবা নুরনবী বলেন, আমি একজন দিনমজুর। তবে শত কষ্ট-যাতনা সহ্য করে হলেও মেয়েকে লেখাপড়া করাব। তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজনে সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা।
ড. বশির আহমদ কলেজের প্রভাষক এএইচ তানিম জানান, আমরা তার কষ্টকে মূল্যায়ন করি। একই সঙ্গে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা ইয়াছমিন যেটা সম্ভব করে চলেছেন তা সবার কাছেই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত।
ড. বশির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা জানান, ইয়াছমিন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ এক পায়ে হেঁটে কলেজে আসা যাওয়া করছে। সে একজন জীবন সংগ্রামী তরুণী। অদম্য প্রচেষ্ঠায় তার গল্পটি হয়ে উঠেছে প্রেরণার।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার একজন বাবুর্চি রান্না করার সময় দুর্ঘটনাবশত হাত ও পা ঝলসে যায়।
সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় ঘটে এ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো ডিউটি ডাক্তার বা নার্সকে পাওয়া যায়নি।
উপায়ান্তর না পেয়ে আহত ব্যক্তি এবং তার সাথে আসা লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন।
জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে এসে এই বিড়ম্বনার ঘটনা জানতে পেরে কুমিল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ডাক্তার এবং নার্সকে হাসপাতালে নিয়ে এসে উক্ত রোগীকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উক্ত সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর
উপজেলার ইউএনও এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহে বিশেষ অভিযানে আন্ত:জেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ। এ সময় ৫টি মোবাইল ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
এর আগে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার জয়দেবপুর সিঁড়ির চালা কাইয়াপাড়া এলাকায় এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা থানাধীন গোপীনাথপুর বংশীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চোরদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরচক্রের সদস্যরা হলো- ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর বাঘমারা এলাকার মো. পিয়াল হাসান (২৫), বড়বাড়ী এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), বলাশপুর পাওয়ার হাউজ কলোনি এলাকার মো. আসাদুল ইসলাম (৩০) এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার মূছা মিয়া (৩৫)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এই চোরচক্রের সন্ধান পাওয়া যায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে। তারা আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন এ চক্রটি। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় অসংখ্য মামলা চলমান আছে বলেও জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে ব্যাটারী চালিত
ভ্যানে করে মাদক পরিবহনকালে ৭২ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর বেলতলী ইউনিভার্সিটি
গেট এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৪)
নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও
মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যান গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আসামী মোঃ সালাউদ্দিন (২৪) কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় আপেল বরই কিংবা কুল চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন শহীদ বেপারী। প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। প্রতিদিন বিক্রি করছেন বাগানের বরই। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত এ বরইয়ের বেশ চাহিদা আছে। চলতি বছর বড়ই বিক্রি শুরু করেছেন, তবে পর্যায়ক্রমে বাগানের বাকী বড়ই গুলো বিক্রি করবেন তিনি। এতে লাভবান হবে বলেও জানান শহীদ বেপারী।
সরেজমিনে জানা গেছে, পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির অধিবাসী মৃত. আব্দুল গফুরের ছেলে কৃষক শহীদ বেপারী ৭২ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বরই বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে থাই-বলসুন্দরী বরই। বিক্রির জন্য শহীদ বেপারীসহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে রাখছেন। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই। শুধু বড়ই নয়, তার বাগানে রয়েছে সমন্বিত চাষ। পাশাপাশি আম,জাম,লেবু,কাঠাল গাছ রোপন করেছেন তিনি। এছাড়া একই জমির পাশে মৎস্য চাষাবাদ করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই বড়ই ও অন্যান্য চাষে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
বড়ই চাষী শহীদ বেপারী বলেন, অনেক বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। বাড়ির পাশে প্রথমে ৭২ শতক জায়গায় বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই গাছ লাগাই। সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ভালো টাকার বরই বিক্রি করেছি। গাছে যে পরিমাণ বরই আছে, আশা করছি লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
কচুয়াা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র সরকার বলেন, কম খরচ ও পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই অনেক সুস্বাদু। শহীদ বেপারী এ জাতের বরই চাষ করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন। বরই চাষে কোনো কৃষক আগ্রহ হলে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন
বগুড়ায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল
আব্দুস সামাদ ৫৭ বছর বয়সে এসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ।
পুলিশের পোশাকে কাটিয়ে দিয়েছেন
জীবনের ৩৭টি বছর। চাকরির বাকি আর মাত্র দুই বছর ১০ মাস। এই বয়সে এসে এসএসসি পরীক্ষায়
অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বগুড়ায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্য।
রোববার (১২ মে) এসএসসি ও
সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পুলিশ সদস্য আব্দুস ছামাদের এই সাফল্যের বিষয়টি জানা যায়।
এ বয়সে তার এমন সফলতায় বগুড়া
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুস
সামাদ ১৯৬৮ সালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে
অষ্টম শ্রেণি পাশ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। এরপর বগুড়ার শেরপুর,
সদর ও নন্দীগ্রাম ডিএসবি, সদর কোর্ট এবং সর্বশেষ বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হিসেবে
কর্মরত আছেন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দুই
ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলে ও মেয়েদের করেছেন উচ্চশিক্ষিত।
পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সামাদ
জানিয়েছেন, চাকরি শেষ হওয়ার পর হোমিও চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে তার। কিন্তু সেজন্য
দরকার এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট। তাই সিদ্ধান্ত নেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ২০২২ সালে তিনি নাটোর মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউটটে নবম শ্রেণিতে
ভর্তি হন। এরপর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
আব্দুস সামাদ বলেন, পারিবারিক
অসচ্ছলতায় ৮ম শ্রেণি পাস করেই পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার
ওপর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল। অবসরে যাওয়ার পর যেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করে সবার সেবা
করতে পারি তাই চাকরির পাশাপাশি নিয়মিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করতাম। কিন্তু
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট লাগে। তাই ২০২২ সালে
সিদ্ধান্ত নেই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার। এরপর নাটোরে একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি
হই। সেখান থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার চাকরির
আর দুই বছর ১০ মাস সময় আছে। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিএইচএমএস কোর্সে হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। অবসরে যাওয়ার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সবাইকে
সেবা করতে চাই। এ বয়সে আমার পরিবার ও ডিপার্টমেন্ট অনেক সহযোগিতা করেছে। আমার মা বেঁচে
আছেন। তার বয়স ১০০। আমার মা আমার এ সফলতার কথা শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। এ যাত্রা শুরু
করার সময় অনেকেই অনেক কটু কথা বলেছেন। কিন্তু পরিবার ও ডিপার্টমেন্টের উৎসাহে আমি পিছপা
হইনি।
বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন জানান, আমাদের ট্রাফিক বিভাগের সদস্য আব্দুস সামাদ ৫৭ বছর
বয়সে এসএসসি পাস করেছেন। আমরা তার এ সফলতাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি এ বয়সে এসেও শিক্ষার
আলোয় আলোকিত হতে চান। আমি তার এ আলোকিত হওয়ার উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ
জীবনের মঙ্গল কামনা করছি।
মন্তব্য করুন