

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সব জেলা ও মহানগরে দলটির নতুন আমিরের নাম ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে নতুন আমিরদের নাম ঘোষণা করা হয়। ঢাকায় মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনিই নতুন আমিরদের নাম ঘোষণা করেছেন।
এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে। হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখনো চিকিৎসা চলা অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। তিনি হতাহতদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা ও মহানগরে আমির হলেন যারা :
পঞ্চগড়ে মো. ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁওয়ে বেলাল উদ্দিন প্রধান, দিনাজপুরে আনিছুর রহমান, নীলফামারীতে আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটে আবু তাহের, রংপুর মহানগরে মাওলানা এ টি এম আযম খান, রংপুর জেলায় মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামে মাওলানা মো. আবদুল মতিন ফারুকী, গাইবান্ধায় মো. আব্দুল করিম সরকার, জয়পুরহাটে ডা. ফজলুর রহমান সাইদ।
বগুড়া শহরে মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলায় মাওলানা আবদুল হক সরকার, সিরাজগঞ্জে মাওলানা মো. শাহিনুর আলম, পাবনায় মো. আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাওলানা মো. আবুজর গিফারী, নওগাঁয় মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী মহানগরে মো. কেরামত আলী, রাজশাহী জেলায় আবদুল খালেক, নাটোরে মীর নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরে মো. তাজউদ্দীন খান, কুষ্টিয়ায় মো. আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গায় মো. রুহুল আমিন।
ঝিনাইদহে আলী আজম মো. আবু বকর, যশোরে মো. গোলাম রছুল, মাগুরায় এম বি বাকের, নড়াইলে মো. আতাউর রহমান, বাগেরহাটে মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলায় মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরায় শহীদুল ইসলাম।
বরগুনায় মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ, পটুয়াখালীতে নাজমুল আহসান, ভোলায় মুহা. জাকির হোসেন, বরিশাল মহানগরে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলায় মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠিতে হাফিজুর রহমান, পিরোজপুরে তাফাজ্জল হোসাইন।
জামালপুরে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শেরপুরে মাওলানা হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ মহানগরে মাওলানা কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ জেলায় আবদুল করিম, নেত্রকোনায় ছাদেক আহমাদ।
কিশোরগঞ্জে মো. রমজান আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নূরুল ইসলাম বুলবুল, টাঙ্গাইলে আহসান হাবিব, মানিকগঞ্জে মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলায় মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, গাজীপুর মহানগরে মুহা. জামাল উদদীন, গাজীপুর জেলায় মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সিগঞ্জে মাওলানা আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মো. মমিনুল হক সরকার, নরসিংদীতে মাওলানা মো. মোছলেহুদ্দিন, রাজবাড়ীতে মো. নূরুল ইসলাম, ফরিদপুরে মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জে রেজাউল করিম, মাদারীপুরে মাওলানা মোখলিসুর রহমান, শরীয়তপুরে মাওলানা আবদুর রব হাশেমী।
সুনামগঞ্জে মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, সিলেট মহানগরে মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলায় মাওলানা হাবীবুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহেদ আলী, হবিগঞ্জে মাওলানা মোখলিসুর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগরে শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজারে মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়িতে সৈয়দ মো. আব্দুল মোমেন, রাঙামাটিতে মোহাম্মদ আবদুল আলীম এবং বান্দরবানে এস এম আবদুছ
ছালাম আজাদ।
কুমিল্লা মহানগরে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা উত্তরে মো. আবদুল মতিন, কুমিল্লা দক্ষিণে মো. শাহজাহান, চাঁদপুরে মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, ফেনীতে মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালীতে মো. ইছহাক খন্দকার, লক্ষ্মীপুরে রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেছেন,বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই, কারণ তারা ২৬ মার্চ তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, রোহিঙ্গা সংকটে সহযোগিতা, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের অংশীদারত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি- যে প্রচেষ্টাগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এই বিশেষ দিনে সকল বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
মন্তব্য করুন


তিন পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়।
পরে সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার
করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন
বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালা কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার
বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফ (মূল) এর কতিপয় সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর
হামলা করে এবং ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের
কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে
উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত
হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায়
আগুন নেভায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা
সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশেপাশের এলাকা সমূহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কিছু
স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাকর
করে তোলে।
দ্রুততার সঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত
হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১০টা
থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী,
বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের
সাথে আলাপ আলোচনা করে সব পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে
বলা হয়।
একই রাতে (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি
জোনের একটি টহল দল সাড়ে দশটার দিকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি
শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল)
এর নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল
দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। উক্ত
গোলাগুলির ঘটনায় তিন জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।
আইএসপিআর জানায়, একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ির পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল) এর নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেড এর অফিসে ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিসিজেএসএস
সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি
ছাত্র আন্দোলন’এর
ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০-১০০০
জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা
বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি- অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং বেশ কিছু
দোকানে ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে
চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিদের চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে
প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ
জানানো হয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার
ভি ম্যান্টিটস্কি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁও
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে ম্যান্টিটস্কি রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে তার
দায়িত্বপালনের তিন বছরের বেশি ঘটনাবহুল সময়ের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং জানান এই কেন্দ্রে আগামী
বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে তারা আশা করছেন। প্রকল্পটি মূলত রাশিয়ার অর্থায়ন ও
কারিগরি বা বিশেষজ্ঞ সহায়তায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত
কোম্পানি গাজপ্রমের অনুসন্ধান কার্যক্রম, রাশিয়া থেকে গম ও সার রপ্তানি এবং রূপপুর
প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যু ও জ্বালানি
খাতে রাশিয়ার সহায়তা এবং বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহে রাশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রূপপুর
প্রকল্পের অর্থ পরিশোধের বিষয় সমাধান করবে। তিনি বাংলাদেশে রাশিয়ার আরো বিনিয়োগকে স্বাগত
জানান।
উভয় দেশের যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব
আরোপ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করব।’
এ সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি
বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান
মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা
শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছেন আমাদের থেকে, কথা হচ্ছে এ বিষয়ে এর আগেও আমরা স্পষ্টভাবে
বলেছি যে এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে
যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাস নেই।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও
বলেন, আপনারা জানেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তাদের পেশাগত জীবন আছে। সবাই
সেখানে ফিরে যেতে চাই। দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা
যথাযথভাবে পালন করা, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে
গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর
তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব
কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছি, সেটা ছিল এক দফা সংস্কার। শেখ হাসিনার সরকারের
পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এই
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো করার ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচন বা ক্ষমতার
পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেনি। যদি আসত তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত
বলে আমি মনে করি। অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিলুপ্তের জন্য।
যে ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে যদি এটার সংস্কার করে দিয়ে যেতে না পারি তাহলে যে দলই ক্ষমতায়
আসুক স্বৈরতান্ত্রিক একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও স্বৈরাচার হতে বাধ্য হবে। সে কারণে
আমরা মনে করি, দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা মানুষের
মধ্য থেকে আসবে সেটার বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম
ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জান, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো
পুটিআইনেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া
এলাকায় ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে নবনির্মিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ায় পেশাগত স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হতে চলেছে। দেশের শিল্প কলকারখানাসমূহে নিরাপদ
কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য করুন


জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে আজ শনিবার
(২৪ মে) উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়।
এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর
শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের
অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে
যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ
সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশকে স্থিতিশীল
রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন
প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর
বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা
করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে
এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা
হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার
উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে
এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। জাতি হিসেবে আমাদের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরো দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
নির্বাচন সামনে রেখে গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্রসহ সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে
তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাকি অস্ত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে
উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ
শনিবার (২৬ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তর এবং পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন
পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক
সময়ে পুশইনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে গত এক
মাসে ১৫০০ বাংলাদেশিকে পুশইন করা হয়েছে-এ তথ্য সঠিক।
ভারতের
পুশইনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নাগরিকদের অবশ্যই নিতে হবে, তা ১০
কিংবা ২০ বছর পর হলেও। তবে রোহিঙ্গাদের যেভাবে পুশইন করা হচ্ছে, তা আমরা গ্রহণ করছি
না, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি
অভিযোগ করে বলেন, ভারত সরকার নিয়ম মেনে নাগরিক পাঠানোর পরিবর্তে অনেক সময় নদীর পাড়ে
ও জঙ্গলে ফেলে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং
তাতে কিছুটা ফলও মিলছে বলে জানান তিনি।
এ
সময় মোহাম্মদপুরে আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার ও ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত টিম কাজ করছে। দোষীদের
ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ অবহেলা করলে তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জে
আদমজীগর এলাকায় র্যাব-১১ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনকালে
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখনো সব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, তবে নির্বাচন আগে এগুলো উদ্ধার
করা হবে। এ কাজে রাজনৈতিক দলগুলোকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকরা যদি সত্য তুলে ধরেন, বিভ্রান্তি দূর হবে। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে
সব তথ্য আসুক। রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের জন্য মাঠে থাকবে, আর আমাদের দায়িত্ব নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা।
জুলাই
গণঅভ্যুত্থানের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক মামলার তদন্ত এগিয়েছে। তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে
অনেককে আসামি করায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে
সতর্ক থাকা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টার সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাপিড
অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা
রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ মজুমদার।
মন্তব্য করুন


ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা আম্পায়ারদের একজন হ্যারল্ড ডেনিস বার্ড আর নেই। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রথম তিন বিশ্বকাপের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করা এই ইংলিশ আম্পায়ার।
ইয়র্কশায়ার মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজ বাড়িতে এদিন মৃত্যুবরণ করেন ক্রিকেট বিশ্বে ডিকি বার্ড নামে পরিচিত এই আম্পায়ার।
১৯৫৬ সালে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়র্কশায়ারের হয়ে পেশাদার ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন ডিকি বার্ড। পরে ২০১৪ সালে ক্লাবটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
আট বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে ৯৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২০.৭১ গড়ে তিন হাজার ৩১৪ রান করেন বার্ড। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেন ১৪টি। দুটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করতে পারেন কেবল ৯ রান।
এরপর আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন বার্ড। ১৯৭০ সালের মে মাসে পেশাদার আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মেয়েদের সাতটি ওয়ানডেতেও ছিলেন আম্পায়ার।
৪৭টি প্রথম শ্রেণি ও মোট ১৯২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন বার্ড।
বার্ডের অদ্ভুত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ছিল সময়ানুবর্তীতা নিয়ে তার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে যেতে হয়েছিল লন্ডনে। ওভালে সারে ও ইয়র্কশায়ারের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ১১টায়, কিন্তু বার্ড মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন সকাল ৬টায়। তালাবদ্ধ মাঠের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টায় পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন বার্ড। দুই দলের ক্রিকেটারদের ‘গার্ড অব ওনারে’ চোখে জল নিয়ে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটনকে এলবিডব্লিউ দেন তিনি। সেটি ছিল রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলির অভিষেক টেস্ট।
১৯৯৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি ছিল আম্পায়ার হিসেবে বার্ডের শেষ ওয়ানডে। ২০০০ সালে সবশেষ একটি অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে এমবিই (মেম্বার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) ও ২০২১ সালে ওবিই (অফিসার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) স্বীকৃতি পান তিনি।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের নিবন্ধন
বাতিল করে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক
পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ শুক্রবার
(২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ-এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর
অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ
ইসলাম বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক আলোচনার
মূল বিষয় হলো সংস্কার, নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের
বিচার। এই তিনটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক এবং এর মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর
সম্ভব। ৫ আগস্ট দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, তারা আর রাজনীতি করতে পারবে না। জনগণই তাদের ভাগ্য
নির্ধারণ করবে, যা ভোটের মাধ্যমে অথবা
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। ইতিহাসে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যেখানে জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান
করেছে। জনরোষের ভয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাই তাদের রাজনীতি
করার নৈতিক ভিত্তি নেই। এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের রাজনীতি থেকে বের করে
দেওয়াই একমাত্র উপায়। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং তাদের সাংগঠনিক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।
নাহিদ ইসলাম সংস্কারের
প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল সংস্কারের কথা বলছে। একটি মৌলিক
সংস্কারের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ প্রশস্ত করতে হবে।
অন্যথায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ১২ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র)/ অরুন কুমার চাকমা এবং সঙ্গীয় ফোর্স সহ থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন চকবাজার কাশারীপট্রি চৌরাস্তার রঘুপুরের মিষ্টি ঘরের সামনে রাস্তার উপর তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী ১. মোঃ আরিফ (৩৮), পিতা -মোঃ হারুন মিয়া, স্থায়ী: (বাউবন মুহুরী বাড়ী, ২৬ নং ওয়ার্ড) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, জেলা –কুমিল্লা। ২. শরীফ(৩০), পিতা-রমজান আলী, স্থায়ী: গ্রাম- কাশারিপট্টি (জনের ভাগিনা, ১৫নং ওয়ার্ড) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা কে গ্রেফতার করা হয়।
এ সংক্রান্তের উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার, এফআইআর নং-২০, তারিখ-০৭ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(খ); তে মামলা অজু করা হয়েছে। এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন