ঢাকায় যানজট কমাতে চালু হওয়া মেট্রোরেল যাত্রীদের মাঝে ছড়িয়েছে উচ্ছ্বাস। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলা মেট্রোরেল মতিঝিলে বর্ধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে র্যাপিড পাস বিক্রি। এদিকে মেট্রোরেল কেন্দ্রিক যাত্রী টানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) চালু করেছে শাটল বাস।
উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং) থেকে দিয়াবাড়ি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) স্টেশন পর্যন্ত বিআরটিসির পরিচালিত মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিসের জন্য গত বুধবার থেকে টিকিট কাউন্টার স্থাপন হয়েছে। তবে র্যাপিড পাস বিক্রির ক্ষেত্রে যাত্রীদের থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
ডিটিসিএ- এর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্লানার ধ্রুব আলম বলেন, রোববার (৫ নভেম্বর) ১০০টি র্যাপিড পাস বিক্রি হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) থেকে ২৫০টি করে বিক্রি করা হবে। তিনি বলেন, আজ থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছে। মতিঝিল আর দিয়াবাড়িতে। যতক্ষণ মেট্রোরেল চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত। মতিঝিলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ছিল। আজ ৫০টা ৩০ মিনিটে বিক্রি হয়েছে।
র্যাপিড পাস বিক্রির লোকেশন বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার মিরপুর ১০, আগারগাঁও, মতিঝিল ও দিয়াবাড়ি।এর আগে বুধবার ডিটিসিএ-র নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন দিয়াবাড়ি মেট্রো স্টেশনে উপস্থিত থেকে এটি উদ্বোধন করেন। উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং) ও দিয়াবাড়ি এমআরটি স্টেশনে দুইটি অস্থায়ী টিকিট কাউন্টারের উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এ পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল চলতি সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের সর্বোমোট ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা বনানী ডিওএইচএস, শহীদ মঈনুল রোড এবং স্বাধীনতা সরণি সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মন্তব্য করুন
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হয়। সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত এ মুহূর্তে উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা এসময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কৃষি ক্ষেত্রে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের কৃষকগণ এখনো এ বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। ভবিষ্যতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছ। যে কারণ বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন
সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত
ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই দেশ আমাদের সবার, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ
সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন
সর্বজনীন উৎসব।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে
প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু
ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের
উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের
আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ
আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী
নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত
ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে
বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে
আবদ্ধ করা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের
মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব
মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র
বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা
করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ
করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে,কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের
কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই
ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত
বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের
সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই
দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও
কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে
হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ
করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন
মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের
সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।
মন্তব্য করুন
কপ ২৯ সম্মেলনের আগে ন্যায়সংগত জলবায়ু
অর্থায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত
‘রোড টু বাকু: কপ ২৯ - বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক
এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সংগত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ
জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবেলায় একশ’ বিলিয়ন ডলার
প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার
সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ুর ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার হবে না।
পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা
১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানের আশাবাদ পুন:ব্যক্ত
করেন।
তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ
করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে
তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন
তিনি।
তিনি কপ ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে
নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
উক্ত সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ড. আবদুল হামিদ, এনএসিওএমের নির্বাহী পরিচালক
ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ
কবির বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ ২৯ সম্মেলনের
আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা।
পরে কপ ২৯ সম্মেলনে জোরালো এডভোকেসির
আহ্বান জানানো হয়, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর
কণ্ঠস্বর শোনা যায়।
মন্তব্য করুন
দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে
সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টা বৈঠকে ছিলেন। তাদের
সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশ কীভাবে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে
আগামীতে একটা কার্যকর নির্বাচনের দিকে এগোতে পারে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে
এ দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলেমিশে জাতীয় ঐক্য আরও কীভাবে সংহত করা যায়, প্রশাসনকে আরও কীভাবে গুছিয়ে আনা যায়, এসব বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, যেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটাকে
লাঘব করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে রমজান মাস আসছে, এটাকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা
যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা পরামর্শ করেছি।
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু
বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। এসব আলোচনায় আমরা একমত হয়েছি যে—দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে সামনে
এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকবে,
তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিতে হবে। এরজন্য
প্রয়োজন সর্বোত জাতীয় ঐক্য। দল-মত-ধর্মের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে জাতীয় স্বার্থে আমরা
যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সে আহ্বান জানাই। আমরা বৈঠকেও এ কথা
বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম যে
সংস্কার দরকার, সেটা দ্রুত করে তারপর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছি আমরা।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত
ছিলেন, দলটির দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, আব্দুল হালিম এবং
নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লাফেভ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
হেলেন লাফেভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।
‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।
আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
তাঁর সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
মন্তব্য করুন
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত
করতে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে পুনঃতদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর
থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আমি
প্রথম থেকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সোচ্চার ছিলাম
এবং এখনো রয়েছি। এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমবার এবং গত ৪
নভেম্বর বিজিবি সদরদপ্তর পরিদর্শনকালে দ্বিতীয় বার ঘোষণা দেই, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত
হয়েছে। শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ
নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি শুরু থেকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার
দাবি করে আসছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। বিডিআর হত্যাকাণ্ডে
ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অবসরপ্রাপ্ত
বিচারক, সিভিল সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই
কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে সদস্য ৫ জন, ৭
জন, ৯জনও হতে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা একটু বেশি থাকবে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কী পুনঃতদন্তের
দিকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই আদেশ দিতে পারে আদালত। আর আমরা হলো
একটা শুধু প্রেস ইনকোয়ারি করতে পারি।
কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে এমন
প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ কার্যদিবসের সময় আমরা বলব। আগে কমিটি
গঠনের জন্য নামগুলো নিতে হবে। আপনারা জানেন এসব কমিটিতে সবাই আসতে চায় না। নাম সংগ্রহে
যদি সময় না লাগতো তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যেত। নাম পাওয়ার পর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে
তারপর আমরা সময়টা বলতে পারব।
কাজের পরিধি কী হবে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার পর বলতে পারব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত ড. নাসিম আহমেদসহ
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (২১ জুন) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০), ২। মোঃ শাহিন (৪৮), ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) এবং ৪। মোঃ খোকন (৫০) নামক ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ২,৫৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত (২১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মিজানুর রহমান (২২) এবং ২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৯,৭৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা গ্রামের মৃত শফিক ইসলাম এর ছেলে, ২। মোঃ শাহিন (৪৮) একই গ্রামের মৃত খয়েজ আলী এর ছেলে, ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) একই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে, ৪। মোঃ খোকন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতোরা চম্পকনগর গ্রামের মৃত তাজুল এর ছেলে, ৫। মিজানুর রহমান (২২) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পরকরা গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে এবং ৬। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের মানিক মিয়া এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানা এবং এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি এতদিন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে আগামী ২৩ জুন থেকে তিন বছরের জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ জুন বিকেল থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফকে (সিজিএস) জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি দেওয়াপূর্বক ওই তারিখ বিকেল থেকে ৩ বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন পান।
১৯৯৭-২০০০ মেয়াদে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন তার শ্বশুর প্রয়াত মুস্তাফিজুর রহমান।
মন্তব্য করুন