দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (১১) বিয়ে পড়ানো হয়েছে। কাজি ডাকারও তোড়জোড় চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ইউএনও। বিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। সড়কে আটকে রেখে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ড দেওয়া হর বর, বরের খালা ও কনের মাকে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় ফয়জুল হকের ছেলে নাহিদ হাসান (২০), তার খালা রুমা ও কনের মা মাজেদা। এদের মধ্যে নাহিদকে এক মাস, তার খালা ও কনের মাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মেয়ে ও ছেলের পরিবার একই মহল্লার বাসিন্দা। ১১ বছর বয়সী ওই মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। কাজী ডাকার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম।
আর এই খবরে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তাদের পিছু নিয়ে সড়কেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাল্যবিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কনের মাকে ১৫ দিন। বরকে এক মাস ও অভিভাবক হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বরের খালাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শোনা যায়, স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি বা কোনো ডকুমেন্ট নাই। মেয়ের বয়স কম, সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এ কারণে বাল্যবিবাহ আইনে মেয়ের মা, বর ও বরের খালাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে ধানের চারা, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে এসব বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার সংলগ্ন দরগা বাড়ির সামনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ জন কৃষকের মাঝে বি আর ২২ ও কাটারিভোগ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। একজনকে ৩০ শতাংশ পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করার মতো ধানের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া তাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
পরে ইছাপুর ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘর নির্মাণের জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা এলাকায় খুঁজে খুঁজে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ধানের চারা ও ঘর নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫৫ কেজি গাঁজা ও একটি অটোরিক্সাসহ
৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি), কুমিল্লা।
গতকাল (১১ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানার পূর্ব ভাটপাড়া এলাকায় একটি অটোরিক্সা তল্লাশি করে ৫৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জহির, রনজিৎ
চন্দ্র শীল, মোঃ ফয়সাল ও আহসানুল হককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো-
১। মোঃ জহির (৩৫), পিতা-আব্দুল আলী,
মাতা-কুসুম বেগম, গ্রাম-খারেরা ,থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
২। রনজিৎ চন্দ্র শীল (২৫), পিতা- জিতেন্দ্র
চন্দ্র শীল, মাতা-লিপি বালা শীল, গ্রাম-খারেরা, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ ফয়সাল (২২), পিতা-আব্দুস সালাম,
মাতা- তফুরা বেগম, গ্রাম- লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৪। আহসানুল হক (২৩), পিতা-ইমাম হোসেন,
মাতা- মায়া বেগম, গ্রাম-লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারি মৌলভী আব্দুল কুদ্দুস খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জয়।
এসময় মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সরদার, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, সমাজসেবক দেলোয়ার হোসেন ক্যাশিয়ার, নুরুল ইসলাম মোল্লা, জমির হোসেন মিয়াজীসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দাখিল পরিক্ষার্থীদের সফলতা ও দোয়া কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম ভূইয়া।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের উদ্যোগে ‘ম্যাথ ফেস্ট ২০২৫’অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২২ মে) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী’র নেতৃত্বে র্যালি ও কেক
কাঁটার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. প্রদীপ দেবনাথ, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড.
খলিফা মোহাম্মদ হেলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং বিভাগের বিভাগীয়
প্রধান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিমসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং ২০২৩-২৪ বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমি বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে
নয়, আমি ম্যাথ ফেস্টে এসেছি। সবার উদ্দেশ্যে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের
কথা শুনে মনে হলো তোমরা বেশ আবেগী। প্রতিটি মানুষেরই আবেগ রয়েছে। এই আবেগকে সৎ পথে
কাজে লাগিয়ে জীবনকে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তোমরা গণিতে অধ্যয়ন করেছো, তোমরা কম্পিউটার
সায়েন্স, পরিসংখ্যান, এআইসহ সবজায়গায় বিচরণ করতে পারবে।
গণিত
বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই
ম্যাথ ফেস্টের আয়োজন করেছি। বছরের একটি দিন যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে হয়ে আনন্দ
করতে পারে তাই এই বর্ণাঢ্য আয়োজন।
তিনি
আরও বলেন, জীবনে অনেক বন্ধু-বান্ধব আসবে। তুমি কাকে বন্ধু বানাবে, কাকে বাদ দিবে সেটা
তোমাকে বিচক্ষণতার সহিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বন্ধু নির্বাচনে ফেল মানে তুমি ফেল। মা-বাবার
সেবা করবে, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখবে। আর যখনই সুযোগ পাবে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করবে তাহলে
বাস্তব অনেক কিছু শিখতে পারবে।
এছাড়াও
ম্যাথ ফেস্টের অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার
আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কয়েদি থেকে কারামুক্ত এক কর্মজীবী নারীতে পরিণত হয়েছেন মোসা: পারভীন আক্তার। হত্যা
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ
করেছিলেন কয়েদি নম্বর ৩৮০২/এ, পারভীন আক্তার। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা
কমে গিয়ে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর, প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রমে
অর্জিত ৫৭ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে আজ তিনি মুক্ত হলেন।
কারা
বিভাগ "রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ" এই শ্লোগানে বন্দিদের দক্ষতা উন্নয়নে
নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায়, কারাগারে অবস্থানকালে পারভীন আক্তার নেন
নকশীকাঁথা সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ। তার হাতে তৈরি কারাপণ্য বিক্রি হয় বাণিজ্য
মেলা ও কারাগারের শো-রুমে। বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫০ শতাংশই পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের
হাতে তুলে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
সেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় থেকেই পারভীন আক্তার নিজের প্রিজনার ক্যাশ একাউন্টে জমা করেন ৫৭
হাজার টাকা। যা তিনি আজ মুক্তির দিন নিজের হাতে পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের এই ফল
পেয়ে আবেগাপ্লুত পারভীন জানান, "কারা কর্তৃপক্ষ শুধু শাস্তিই দেয়নি, জীবনের নতুন
আলো দেখিয়েছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।"
বাংলাদেশ
জেলের এই মানবিক ও পুনর্বাসনমূলক দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
পারভীন আক্তারের জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সংশোধনের সুযোগ থাকলে, প্রত্যেক মানুষই
পরিবর্তনের পথে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন
একটি শিশুর শৈশবের চিত্রাঙ্কন হচ্ছে অভিভাবক বা শিক্ষক।
আমরা যেভাবে চাইব সেভাবে তারা গড়ে উঠবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে রূপদান করবে। তাই বলে ভূল রূপদান যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আমাদের ভালোবাসা তাদের দিতে পারি কিন্তু চিন্তাভাবনা নয়, কারণ তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। আসলে কোমল শিশুরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দিলে তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়। নিজে থেকে কিছু করার বা চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হারিয়ে ফেলে তার সৃজনীশক্তি।
তাদের মানসিক বিকাশ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চিত্রাঙ্কন হতে পারে তার অন্যতম মাধ্যম।
শিশুরা
তার আশপাশের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, পরিবেশ তার ছবির ভাষায় তুলে ধরবে ।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় অযত্ন ও অবহেলা পড়ে আছে রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী জমিদার বাড়ি। এক সময়ের খ্যাত জমিদার বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত ভূতুড়ে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। বাড়িটির চারদিকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, জমে আছে শ্যাওলা। ভিতরে ময়লা আবর্জনায় জমে এখন জরাজীর্ণ অবস্থায়।
জানা যায়, বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য। তারই মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ কচুয়া উপজেলা। কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি। উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামে প্রায় ২শ বছর আগে নির্মিত হয় এ জমিদার বাড়ি। জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ছিলেন এই বাড়ির নির্মাতা। দোল মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির সহ বিশাল এক দীঘি আছে জমিদার বাড়ির আঙ্গিনায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জমিজমা ও বিশাল সহায় সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ও তার পরিবার। ওই সময়ের বাসিন্দাদের এমন কেউ ছিলো না যে তখনকার জমিদার রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র চৌধুরীকে চিনতেন না।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমিদার বাড়ি এখন পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অথচ বাড়িটিকে ঘিরে রয়েছে পুরোনো ইতিহাস। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল দিঘি, মাঠ এবং কারুকার্য জমিদার বাড়ি। এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি অবহেলিত থাকলেও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আনাগোনা থাকে সব সময়। অথচ সংস্কারের মাধ্যমে এটা হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। জমিদার বাড়ির শিলালিপি থেকে জানা গেছে, প্রায় ২শ বছর পূর্বে শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরীর হাত ধরে ইট, পাথর আর সুড়কির গাঁথুনিতে নির্মাণ করা হয় জমিদার বাড়িটি। বাড়ির মূল প্রবেশপথের পশ্চিম পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটিতে রয়েছে সুন্দর একটি ঘাট। জমিদার বাড়িটি পুরানো হওয়ার কারণে বাড়ির চারদিকের পলেস্তরা খসে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিন মিয়া, মোস্তাক মিয়া, বিষ্ণপদ আচার্য্য ও আবুল কাসেম বলেন, আমাদের জন্মের পরে থেকেই এই জমিদার বাড়িটি দেখছি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে শুনেছি প্রজাকল্যাণ ও বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কাজে জমিদার পরিবারের সদস্যদের খ্যাতি ছিল। তবে আজ সেই জমিদার বাড়ির জমিদারি নেই, নেই কোনো উত্তরসূরিও। বর্তমানে প্রাসাদের অনেকাংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ভবনগুলো শ্যাওলা পরে আছে।
এখানে এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ঘুরতে আসছে। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। স্থানটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের ব্যবস্থা নিলে এটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। আর না হয় একসময় হারিয়ে যাবে পাথৈর গ্রামের এই জমিদার বাড়িটি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক পৃথক দুটি অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
বুধবার কোতয়ালী
মডেল
থানায়
কর্মরত
এসআই
(নিঃ)
নুরুল
হাকিম
এবং
সঙ্গীয়
ফোর্স
সহ
থানা
এলাকায়
মাদকদ্রব্য
উদ্ধার
ও
ওয়ারেন্ট
তামিল
ডিউটি
করাকালে
গোপন
সংবাদের
ভিত্তিতে
কোতয়ালী
মডেল
থানাধীন
০৫নং
পাঁচথুবী
ইউনিয়নের
চানপুর
ব্রীজের
উত্তর
পাড়ে
শ্রীপুর
সাকিনের
মসজিদের
সামনে
রাস্তার
উপর
তল্লাশি
করে
১০
কেজি
গাঁজা
সহ
মাদক
ব্যবসায়ী
১.
বিজয়
সূত্রধর
(২৭),
পিতা-দুলাল সূত্রধর, স্থায়ী: (সাং- খাড়েরা (মিস্ত্রি বাড়ি) , উপজেলা/থানা- বুড়িচং, জেলা –কুমিল্লা। ২. মোঃ রবিন (২৮), পিতা-কাজী জামসেদ, মাতা-হেলেনা বেগম, স্থায়ী: গ্রাম- মাশরা (কাজী বাড়ি), উপজেলা/ থানা- বুড়িচং, জেলা -কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-২, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(ক)/৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
অপর
একটি
অভিযানে
এসআই(নিঃ) মোঃ শাহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ কোতয়ালী মডেল থানাধীন ০২নং ওয়ার্ড ছোটরা ফৌজদারী মোড় পূর্ব চৌমুহনী সংলগ্ন রোজ গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তল্লাশি করে ১০ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল রানা(৩৮), পিতা মৃত-কানু মিয়া, সাং-ভরাসার বাজার(মুহুরী বাড়ী), পোষ্টঃ ইছাপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করেন।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-৩, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
‘আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি
না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে
বাঁচতে দিলে না। পোস্টমর্টেম করিয়ে
আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ছিল রীমা আক্তার এর মেহেদী অনুষ্ঠান। প্রেমের পরিণতি হিসেবে বিয়ের মাত্র এক দিন আগে ‘আত্মহত্যা’র পথ বেছে নেওয়া রীমা আক্তার (২০) এ কথা লিখে গেছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রীমা উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার হীরা তালুকদারবাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত মিজানুর রহমানের সঙ্গে রীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিজানুর একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই আজ শুক্রবার বিয়ের তারিখ ঠিক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছিল তাদের মেহেদী অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টায় রীমার বিউটি পারলারে যাওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুরে রীমা ও মোরশেদ মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলেন কয়েক দফা। এর পরপরই দরজা বন্ধ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, রীমার লাশ উদ্ধারের পর পাশেই কাগজে
একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
সেখানে হবু স্বামীকে উদ্দেশ্য করে রীমা লিখেছেন, ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে, অনেক ভালোও বেসেছ এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারলাম না। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না। আমার পরিবার থেকে যৌতুকের যে টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও।’পোস্টমর্টেম করিয়ে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
রীমার চাচা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে যৌতুক হিসেবে আমরা ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি ছেলের পরিবারকে। এর পরও ছেলে রীমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন।’
রীমার ভাই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, তার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফুল সেট ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ ও বিয়ের খরচ হিসেবে টাকা দাবি করেন মিজানুর রহমান মোরশেদ। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করায় তাঁর বোন অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। রীমা পটিয়া সরকারি কলেজে অনার্সের মেধাবী ছাত্রী ছিল। ছেলে যে এতটা যৌতুকলোভী হবে আমরা জানতাম না। প্রাণ দিয়ে আমার বোন তার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। অথচ আমরা এত দিন তা বুঝতে পারিনি। মৃত্যুর আগে আমার বোন সুইসাইড নোটে এসব লিখে রেখে গেছে।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তরুণীর আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
নগরীর চকবাজার ডিজেল ও অকটেন কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা
করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই
কুমিল্লা কার্যালয় প্রধান কে এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে
মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে
১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং
ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত
হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে,
একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের
মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের
যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা
করে দিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই
কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফর রহমান এবং মো: হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে
এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
মন্তব্য করুন