নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জিসান (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকায়।
নিহত জিসান সদাসদী গ্রামের বাসিন্দা ও গোপালদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হক সাবেরের ছেলে।
জানা যায়, জিসান এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল গোপালদী পৌরসভার সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ঘটনার দিন স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে দাইরাদী এলাকায় একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় জিসান। তাৎক্ষণিকভাবে জিসানকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ।
মন্তব্য করুন
মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার কৃতি সন্তান শিব নারায়ন দাস (৭৮) মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আগামীকাল (২০ এপ্রিল) শনিবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
কুমিল্লার সর্বস্তরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে কুমিল্লা টাউন মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রয়াত শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তাঁর পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাঁদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।
শিবনারায়ণ দাস ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।
সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান তখন ঢাকা নিউমার্কেটের এক বিহারি দরজির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন।
এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতুমীর হলের ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে নিপুণ হাতে মানচিত্রটি এঁকে দেন লাল বৃত্তের মাঝে। তারপরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নতুন রূপ দেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,
ঢাকা শহরে যে বাস চলে তার চেয়ে আফ্রিকার ছোট শহরের বাস সুন্দর। কেন
এত জরাজীর্ণ চেহারা! উত্তরের মেয়র,
দক্ষিণের তাদের বলবো - এই ব্যাপারটা দেখতে,
আপনাদের কর্মপ্রয়াসের সাথে এটি সংগতিপূর্ণ নয়।
রোববার
(১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড
(ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাসমালিকদের
উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন,
জরাজীর্ণ বাসগুলো দেখতে কেমন! আমরা লজ্জা পাচ্ছি, আমাদের মালিক
সাহেবেরা কী লজ্জা পান না,
বিদেশে যান না!
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের আরও বলেন,
বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে। মুখে ‘লিপ সার্ভিস’ দিয়ে তো লাভ
নেই। সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেট্রোরেলের যে সুবিধা জাপান দিয়েছে, এখানে
শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন নোংরা।
মেট্টোরেল আমাদের সম্পদ।
মন্তব্য করুন
প্রতিবন্ধীরা অন্যদের চেয়ে বেশি পরিশ্রমী উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক তরুণ-তরুণীদের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সেবা প্রদান করছে প্রতিবন্ধীরা।
শনিবার কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চাকরি মেলা ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের।
প্রতিবন্ধীদের জন্য উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হবে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের জন্য শুধু চাকরির মেলা নয়, প্রতিবন্ধীরা উদ্যোক্তা হয়ে আরও হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
ঘরে বসেই যেনো প্রতিবন্ধীরা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন সেজন্য (এম্পোরিয়াডটগভডটবিডি) পোর্টাল ব্যবহারে আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই সময়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এনজিওগুলোতেও যেনো প্রতিবন্ধীদের চাকরি দেয়া হয় সেজন্য এনজিও ব্যুরো মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, সিএসআইডি এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, বিসিসি এর প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ২০১১ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করে। এরইধারাবাহিকতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের জন্য চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২০১৫ সাল থেকে চাকরি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চাকরি মেলার মাধ্যমে প্রায় ১হাজার ৬০০ জন আইসিটিতে দক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ চাকরি প্রত্যাশীরা এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এবার মেলার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও, ২ শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
শুক্রবার(৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন-ময়মনসিংহের আনার কলি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।
মন্তব্য করুন
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের সংগে চট্টগ্রাম এলেন ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার নিজ জেলা চট্টগ্রামে এলেন ট্রেনে।
ট্রেন ভ্রমণের সময়টুকু তিনি কাজে লাগান অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। সাধারণ যাত্রীরা প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রীও যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং ছবি তোলার আবদার মেটান।
তিনদিনের সরকারি সফরে চট্টগ্রাম এসেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি। তাঁর আগমন উপলক্ষে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে।
উল্লেখ্য, ওয়াসিকা আয়শা খান এর বাবা আতাউর রহমান খান কায়সার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
ওয়াসিকা আয়শা খান ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩১ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস পাঠানো শুভেচ্ছা পত্রে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদ শুরু করায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।
‘আমি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সকলের সাথে যোগ দিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কতটা মূল্যায়ন করি তা প্রকাশ করার জন্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজি এবং সরকারের অস্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি।’
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক উদাহরণ হতে প্রস্তুত এবং ‘আমরা দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আপনার আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যগুলোর জন্য চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম বিকাশে এটুআই ও আইসিটি’র সাথে আমাদের ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং আমরা ২০৪১ সালে আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশন সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে শরিক হয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ধানের প্রজনন আধুনিকায়ন এবং উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে তারা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও ট্রাস্টি পুষ্টি বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০-২০৩০ পাস করায় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের পুষ্টি দল বৃহৎ আকারের খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করার দিকে মনোনিবেশ করছে এবং ‘আমি আশা করি আমরা আপনার সরকারের সাথে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে পারব’।
তারা ডিপিএইচই এবং এটুআই এর সাথে বাংলাদেশে একটি স্যানিটেশন ডেটা কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক এই সহযোগিতার পথ খোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি আশা করি আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে সন্বিবেশিত করে আরও ব্যাপক একটি চুক্তির বিকাশ ঘটাতে পারি।”
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সুষম করার জন্য শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রশাসনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং এই উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার হতে পেরে ফাউন্ডেশন আনন্দিত।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সূচনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ফোকাস কপ২৮-এ যেমন, ফাউন্ডেশনও অভিযোজন অর্থায়ন জলবায়ু কর্ম বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করছে।
“আমি আশা করি আমরা এই প্রচেষ্টাগুলিতে সহযোগিতা করার উপায় খুঁজে বের করতে এবং বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজনের সুযোগগুলি অবারিত করতে পারব।"
ফাউন্ডেশনের একটি নির্বাহী প্রতিনিধিদল এই বছর বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে তারা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন পরিচালনায় তাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে হরি মেনন, যিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাউন্ডেশনের কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং জামাল খান, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের সরকারি সম্পর্কের নেতৃত্ব দেন, এই সফরের পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসবেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এই বলে শেষ করেন, “আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে এবং একসাথে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যগুলির দিকে এগিয়ে যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বঙ্গভবনে
দেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা এবং বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন।
৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা এখন
চারদিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন।
আজ ৫টার দিকে ভুটানের রাজা তার
স্ত্রী রানী জেটসুন পেমাকে নিয়ে বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। স্বাধীনতা
ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনায় প্রায় ২৬০০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত
ছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, রাষ্ট্রপতির
পত্নী ড. রেবেকা সুলতানা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে মন্ত্রিসভার
সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী,ভুটানি
প্রতিনিধিদলের সদস্য,বিদেশি
কূটনীতিক, সুপ্রিম
কোর্টের বিচারক, তিন
বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,
সংসদ সদস্য, সিনিয়র
রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী
সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ,
শিল্পী, বীর
মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্ব পুরস্কার প্রাপ্তদের পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট
নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ পর্যায়ের বেসামরিক ও
সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন, ভুটানের
রাজা জিগমে খেসার, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং ভুটানের রানী সবুজ মাঠের
পূর্বদিকে ভিভিআইপি এনক্লোজারে রাখা একটি কেক কাটেন। তারা একে অপরের সঙ্গে
শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একটি ফটো সেশনে অংশ নেন। এছাড়া তারা অনুষ্ঠানে আহত
মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন। পরে সংবর্ধনা শেষে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
তার আগে
দেশের অব্যাহত শান্তি,
অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইবে নিয়ে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরের প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান।
কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
রোববার সকালে চট্টগ্রামে ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। বিজিবিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে।এ ঘটনায় ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা ফসলি জমিতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।এদিকে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
গত রাতে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আবারও মর্টার শেলের বিস্ফোরিত অংশ বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এছাড়া গত রাতে সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রায় সারা রাত গুলির শব্দ শোনা গেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আইজিপি বলেন, আমরা বিজিবির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাবে, আইনানুগভাবে আমরা সেই সহযোগিতা বিজিবিকে দেবো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস
থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের
আস্থা-বিশ্বাস থাকে না সেই সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে বিজয়ী হতে পারে না। আমাদের সেনাবাহিনী
আজকে জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। যেকোন দুঃসময় দেখা দিলে
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার (৫ মে) ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত
আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম
সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দরবারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের
সেনাবাহিনীর ওপর যেন সাধারণ মানুষের একটা আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। যেটা যেকোন সেনাবাহিনীর
জন্য একান্তভাবে জরুরি। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন। যেকোন দুঃসময় দেখা
দিলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী যে অবদান রাখে প্রতিটি দেশ, প্রত্যেকেই ভূয়সী প্রশংসা করে। সেটাকে আরও উন্নত
করাই আমাদের লক্ষ্য। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে
যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে আমরা
তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই সাথে যেহেতু ২০০৮ এর নির্বাচনে
আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গসহ
জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি
(এএফআইপি) বিভাগের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা
হয়েছে। এ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক
অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণের নির্মাণ
করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধানগণ, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন