

পেশাদারত্ব ও ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাধুবাদ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন
আশিক।
রোববার (১৮ আগস্ট) সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে
এক সাক্ষাতে এই সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিকূল
পরিস্থিতিতেও পেশাদারত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
এসময় আরও দুই সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত
ছিলেন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক ফটোসেশনে অংশ নিতেও দেখা গেছে আশিককে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি
একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে শাহবাগ থানায় এক নারীকে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চবাচ্য করতে
দেখা যায়। এরকম পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির
সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন। ক্যাপ্টেন আশিকের এই ধৈর্য ও পেশাদারত্ব দেখে নেটিজেনরা
প্রশংসা করছেন।
মন্তব্য করুন


যেখানেই অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করুন।
আগামী দিনে কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করে ও সুদ, ঘুষ
ও মাদকের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার গঠনমূলক প্রতিবাদ করুণ। সরাসরি না হলে সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমে করুন। এটি না করলে আবারও দেশে একই সংস্কৃতি তৈরি হবে বলে জানান সমন্বয়ক সারজিস
আলম।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় সরকারি
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘প্রতিবাদ
করতে গিয়ে যদি আপনারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন পুরো বাংলাদেশে আপনাদের জন্য ফাইট করতে
যা যা করা দরকার আমরা তা করব। তবে গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বিগত ১৬ বছরে দেশের পরিস্থিতি
নিয়ে, রাজনীতি ও প্রশাসন নিয়ে কথা বলতে অনেকবার ভাবতে হত। আন্দোলনে অংশ নেওয়া কারো
হাত নেই কারো পা নেই। কেউ আর কখনো পৃথিবীর আলো দেখবে না। কেউ কোনোদিন আর হাঁটতে পারবে
না। শহীদের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। আহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার। জনগণের
সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জনগণের ওপর অত্যাচার করতে পারে না। কিন্তু জনগণের চেয়ে
তাদের কাছে ক্ষমতার মূল্যটা অনেক বেশি ছিল।
এ ছাড়া ভালোভাবে পড়াশুনা করা ও প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে সতর্ক
হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন, বিদ্যালয়ের
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক
শহীদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী। পরে পঞ্চগড়
বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিয়ম করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত
১টার পরে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক
ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিএনপির মিডিয়া
সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ
অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
মন্তব্য করুন


উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে প্রথমবার সচিবালয়ে এসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখন অনুষ্ঠিত পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এবং তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে হয়েছে। এই প্রথম সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জ অভিযান চালিয়ে ১৬০ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাকসহ ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয় সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায়।
আটককৃতরা হলো: নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরের সৈয়দপুর টানবাজার রেলীবাগান এলাকার মো. আক্কাস মিয়ার ছেলে মো. অপু মিয়া (৩৩), লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া কালিবাড়ী গ্রামের মৃত কালু শেখের ছেলে মো. আতিকুল ইসলাম (৪০), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়াচরা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. ফজল শেখের ছেলে মো. নাজমুল শেখ (২৬) ও কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতী গ্রামের মৃত মাজেম আলী শেখে ছেলে মো. আব্দুল লতিফ শেখ (৫১)।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন জানায়, পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডলের তথ্য ও দিক নির্দেশনায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ভোর ৩টা ২০ মিনিটে পাবনাগামী একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাক বডি থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ট্রাকে থাকা ৪ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন প্রথমবার আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। নিউইয়র্কের কুইন্সে ২৪ মে অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জর্জিয়ার সিনেটর শেখ রহমান।
বিশ্বজুড়ে রন্ধনশিল্প ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষের স্বীকৃতি প্রদানের এ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও উদ্ভাবকরা। খালিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ইউএসএ এবং আশা গ্রুপ ইউএসএ আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যা আতিথেয়তা ও রন্ধনশিল্পে অসাধারণ অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
প্রথমবার ১৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশের আতিথেয়তা শিল্পে তার অনন্য অদ্বিতীয় নেতৃত্ব, যুগান্তকারী অবদান ও রূপান্তরকারী প্রভাবের স্বীকৃতি এই সম্মাননা। বিশেষ করে, ফুড কস্ট অপ্টিমাইজেশনের ওপর তার উদ্ভাবনী কাজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তার এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের মুহূর্ত, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আতিথেয়তা শিল্পের ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে তুলে ধরে।
মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা হলো : যুক্তাজ্যের এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশন প্রদত্ত এশিয়ান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২১, সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ‘ট্যুরিজম ফেস অব সাউথ এশিয়া’ খেতাব, নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হোটেল ইন্ডাস্ট্রি আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের সেরা হোটেলিয়ার’ পুরস্কার। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শেফস ক্যুলিনারি কাপ কোরিয়া ২০২৪ ও ২০২৫-এর বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি হলো দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন ঢাকা ও হানসা আ প্রিমিয়াম রেসিডেন্সের মূল কোম্পানি। ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি হোটেলিয়ার, যিনি এই শিল্পের একজন অভিজ্ঞ পেশাজীবী, শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি করছেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে পড়ান। তার প্রভাব শুধু করপোরেট ও একাডেমিক ক্ষেত্রেই নয়, তিনি শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক ঢাকা চ্যাপ্টারের পরিচালক এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস 'ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে' - উল্লেখ করে বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয় সাক্ষাৎকারটি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা বলেন, 'এই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে, কেননা ‘নতুন বাংলাদেশ’গড়তে আমরা একদম শূন্য থেকে শুরু করেছি। '
নির্বাচন ঠিক কখন হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে। ’
সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সব সময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।’ রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেন তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতিনীতি একদম ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা। আর তাতে তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, 'এ বছরের আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ’
বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে অবহিত করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় এলে আমরা ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব। এক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত এ আইন মানে কাজ করতে বাধ্য হবে।’
কূটনীতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশের ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব করেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের ফলে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সার্কের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। সার্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
এদিকে হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। তাদের দাবি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ‘হামলা’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকাকে অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে দিল্লি। তবে ভারত সরকারের এসব ঢালাও বক্তব্য নাকচ করে দেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশির ভাগই প্রোপাগান্ডা। ’ এগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে তদন্তসাপেক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউনূস চীনকে 'আমাদের বন্ধু' বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা- আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেয়াকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। কারণ বাংলাদেশ বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, এরপর বাংলাদেশ আর অগ্রাধিকারভিত্তিক শুল্ক সুবিধা পাবে না।
মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানে স্বাগত জানাতে তার সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের আসিয়ানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি হবে আসিয়ানের সংজ্ঞা সংশোধনে একটি সর্বসম্মত রেজোল্যুশন নিশ্চিত করা। এর আগে আমরা আসিয়ানের একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের আশা করছি। আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রবিহীন ও নাগরিকত্বের প্রাধিকার-বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে? রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য ও একটি অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার। '
বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এতে করে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের দেশেই আশ্রয়-শিবিরে থাকতে পারবে। সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তাদের অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হবে না, তারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


আবহাওয়া অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে ।
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সেই কারণে সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাসহ খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাশাপাশি আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এছাড়া, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। পরদিন রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী কয়েক দিন শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আর পরবর্তী বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির আইনগত কোনো বাধা নেই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে নির্বাচন কমিশন এসেছে তারা অবশ্যই এ স্বেচ্ছাচারিতা করবে না। আমরা আশা করি অবশ্যই শাপলা প্রতীক পাব, এ প্রতীকেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনায় এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান। এছাড়াও নেত্রকোনা জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন