আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কুমিল্লায় ব্যাপটিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপাসনা, পুঁথি পাঠ, সংগীত পরিবেশন ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় বড়দিন উদযাপন করা হয়।
নগরীর বাদুরতলা রিভাইভ্যাল ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সম্পাদক মি এন্থনি বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপাসনা পাঠ ও সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শিশুদের সাথে কেক কাটেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা মহানগর নাগরিক কমিটির হাফসা জাহান সহ আরো অনেকে।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে আওয়ার লেডী অফ ফাতিমা ক্যাথলিক চার্চ ও বাদুরতলার রিভাইভ্যাল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। আলপনা আঁকা, যিশু জন্ম দৃশ্য, বৃক্ষসহ বড়দিন উদযাপনের নানা সামগ্রী তৈরি করা হয়। বড়দিনের উৎসবে সকলের সম্মিলিত উপাসানলয় থেকে বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি প্রার্থনা করা হয়।
বড়দিনকে ঘিরে কুমিল্লায় ব্যাপটিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবি ভারতীয় বাজি ও চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন শিবের বাজার বিওপি’র বিশেষ টহলদল দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে সীমান্তের ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি টহল দল কর্তৃক মালিকবিহীন অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪’শ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় বাজি এবং ৪২ ড্রাম চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। যার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (IAUP)-এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সেমি-অ্যানুয়াল কনফারেন্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করেছে কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CCN University of Science & Technology)।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও গ্লোবাল এডুকেশন লিডারদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের অনারারি ডিরেক্টর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ইফতেখারুল ইসলাম চৌধুরী সিয়াম।
এ সম্মেলনে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা সহযোগিতা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
দেশে ফিরছেন হেঁটে হজে যাওয়া
কুমিল্লার ছেলে আলিফ মাহমুদ আদিব।
রোববার (৭ জুলাই) দেশে ফেরার
কথা জানান আলিফ মাহমুদ।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে
১২টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা তার।
২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম বাতাবাড়িয়া থেকে আলিফ রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে।
নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস হেঁটে ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি পবিত্র
হজ পালন করেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম
বাতাবাড়িয়া থেকে হেঁটে রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে। দীর্ঘ ৯ মাসের পথচলায়
ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, দুবাই হয়ে পৌঁছান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে।
হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালনের
সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আলিফ জানান, হাজার বছর আগের ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্যের এই একমাত্র
পথ আকৃষ্ট করে তার ভ্রমণ পিপাসু মনকে। শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও,
পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করেন।
এদিকে হেঁটে হজে যাওয়ায় আলিফ
মাহমুদের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যে যেভাবে
পেরেছেন তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী
বাংলাদেশিরা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা নিয়ে
মাহমুদ বলেন, ইচ্ছে আছে আরো বহু দেশ ভ্রমণ করবো, নিজের মত করে একটি মাদরাসা ও মসজিদ
প্রতিষ্ঠা করবো, অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াবো। পথশিশুদের জন্য কিছু করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
আদর্শ সদরে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কালির বাজার ইউনিয়নের কালির বাজার মডেল
হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক
লিটন দেবনাথকে ক্লিনিকটিতে অবৈধভাবে ফার্মেসি, অপারেশন, রোগী ভর্তি, রক্ত সঞ্চালন,
অনুমোদন বিহীন রক্ত পরীক্ষা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোন
চিকিৎসক বা নার্সের নিয়োগ না থাকা এবং নিজেই
চিকিৎসক সেজে রোগীদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে চিকিৎসা প্রদান করার কারণে তৎক্ষণাৎ
তাকে গ্রেফতার করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল
কোর্টটি পরিচালনা করেন, আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
রোমেন শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএইচএফপিও ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, (উপ-পুলিশ
পরিদর্শক) ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি, জীবন চক্রবর্তী (হেলথ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম
আজাদ (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর)।
উপজেলা
স্বাস্থ্য অফিস, গ্রামীন কল্যাণ জাগুল ঝুলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিদর্শনের আবেদনের
ভিত্তিতে পুনঃ পরিদর্শনে গিয়ে, সেখানে পরিচালিত ফার্মেসিটির নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ
করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রোমেন শর্মা জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বড় রকমের কোন অসঙ্গতি পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরা আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানসম্মত
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সকল আদেশ বাস্তবায়নে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত। কুমিল্লার আদর্শ সদরে প্রতি মঙ্গলবার জনসাধারণের
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিষয়ক অভিযোগ সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে সরাসরি দাখিল এবং
গন শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিধি মোতাবেক
সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের
লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আল আমিন ও তার সহযোগীকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
২২ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন সংরাইশ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। আবুল
কাশেম নামের দুইজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১ টি পিস্তল,
১টি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো: ১। মোঃ আল আমিন (৩৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সংরাইশ মধ্যপাড়া গ্রামের
মৃত ইদ্রিস মিয়া এর ছেলে এবং ২। আবুল কাশেম (৩৪) একই গ্রামের বাবুল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী আল আমিন এর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণেরও তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযানে ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য,
মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ করেছে।
শনিবার
(৭ ডিসেম্বর) রাতে বিজিবি টহলদল কটক বাজার পোস্টের পালপাড়া ও লক্ষীপুর পোস্টের বলের
ডেবা নামক এলাকায় হতে মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী পণ্য জব্দ
করা হয়।
আজ
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অতিরিক্ত পরিচালক মেজর
আরাফাত হোসেন অনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন বিজিবি- ১০ এর অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আরাফাত হোসেন অনি জানান, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান বিজিবি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার একাধিক অভিযানে ৭৩,৯৩,০৮৩/- (তিয়াত্তর লক্ষ তিরানব্বই হাজার তিরাশি) টাকার মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী পণ্য উদ্ধার করেছে কটকবাজার ও লক্ষিপুর পোস্টের বিশেষ দল। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারকারী আপন
মিয়াসহ তার সহায়তায় ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে যাওয়ার সময়
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি), কুমিল্লা তাদের আটক করে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শশীদল বিওপির টহল দল
সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে সীমান্ত পিলার ২০৫৮/এম হতে আনুমানিক ১০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নারায়নপুর নামক স্থানে মানব পাচারকারী সদস্য মোঃ আপন মিয়াকে আটক করে। এসময়
তার সহায়তায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মোঃ বজলুল আমিন, মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ
তারিকুল ইসলামকে মৌলভীবাজার এলাকা থেকে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিজিবি টহল দল আটক করে।
আটককৃতরা হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানার নারায়নপুর গ্রামের মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ এর ছেলে মোঃ আপন মিয়া (২২), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার
শতকবাজার গ্রামের জয়তুন মিয়ার ছেলে মোঃ বজলুল আমিন (২০), একই এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান
এর ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (১৯) এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার নারায়নপুর গ্রামের
মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ তারিকুল ইসলাম (২২)।
উক্ত আটককৃত ব্যক্তিদেরকে বিজিবি টহল
দল প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, মানব চোরাচালানকারীর সদস্য মোঃ আপন মিয়া
এর সহায়তায় উল্লিখিত ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে তাদের ব্যবহৃত ৪টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করে।
আটককৃতদের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
১৪ উপজেলাতেই লেগেছে বন্যার ছোবল। স্মরণকালের ভয়াবহতার শিকার হয়েছেন কুমিল্লাবাসী।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা অন্তত
আড়াই শ’ গ্রাম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলাজুড়ে ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে গোমতী, সালদা ও ঘুংঘুর নদীর ভাঙনের মাঝে পড়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ এখন পানির তলায়। ডুবছে দেবিদ্বারও। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, তিতাস উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বন্যায় বাড়ছে প্রাণহানি, ভাঙনের তোড়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর খেত খামার, মাছের প্রজেক্ট।
সরকারি হিসেবে, বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ শিশুসহ ৪ জন। বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৭ হাজার। বেসরকারি হিসেবে, এসব সংখ্যা ছাড়িয়েছে বহু গুণ।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত হওয়ায় খোঁজও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না দুর্গত এলাকাগুলোর।
এ দিকে কৃষি বিভাগের তথ্য, ৬০ হেক্টর কৃষি জমি আক্রান্ত হয়েছে বন্যায়। পনিতে তলিয়ে যাওয়া সবজির আবাদ সবই বিনষ্ট হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বেচ্ছাসবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়। তবে নৌকা ও স্পিডবোট কম থাকার কারণে সেসব ত্রাণও সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে প্রকটভাবে।
পানি
উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, বিপৎসীমার
১ সেন্টিমিটার ওপরের পানিও ঝুঁকির। বর্তমানে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘণ্টায় দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার পানি কমছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাছবাহী ট্রাক উল্টে ৪ ট্রাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বারেশ্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, ভোলার মনপুরা এলাকার মনির হোসেন (২৮), একই এলাকার হাবীবুর রহমান (৩২) , সাতক্ষীরার সদর থানা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (২৩), এবং আক্তার হোসেন (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দাউদকান্দি অভিমুখে মাছ নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চান্দিনার বারেশ্বর এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে মাছবাহী ট্রাকটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ট্রাকের নিচে পড়েই ৪ শ্রমিক নিহত হন। এসময় আরও ৩জন আহত হন, আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যখন সারাদেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন, ঠিক তখনই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রতিবছর ঈদে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। এ সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।
তিনি ফোর্সের সাথে বড়খানা অংশগ্রহণ করেন এবং সকল ফোর্সদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগ ছুটি বঞ্চিত পুলিশ সদস্যদের ঈদের দিনটিকে আনন্দঘন করেছে।
মন্তব্য করুন