কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে
আটক করা হয়েছে ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা
মোতাবেক শুক্রবার (১৪ ই জুন) বিকাল আনুমানিক ৪টায় কুমিল্লা
সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা
হয়।
আটককৃতরা হলো রোজিনা বেগম (২৮) এবং আলা
আমিন মিয়া (৪২) ।
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসডকের মিরপুর
হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা গামী
নিউ সুগন্ধা যাত্রীবাহী একটি বাসে করে ২ জন
মাদক কারবারি ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাচ্ছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন তার ফোর্স সহ
উক্ত বাসটি থামিয়ে সে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের তল্লাশীর চেষ্টাকালে
তারা ২জন দ্রুত গাড়ি হতে নেমে পালানোর চেষ্টা
করলে এসআই বোরহান উদ্দিন ফোর্স সহ তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয় মহিলা সাক্ষী দ্বারা
আসামি রোজিনা বেগমকে তল্লাশি করলে রোজিনা বেগম তার পরিহিত কালো বোরকার নিচে থাকা পরিহিত
পায়জামার কোঁছা হতে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্তিতিতে উক্ত মাদক গননা করে মিনিটে ৩৫০ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বিকাল অনুমান ৩টা ৫০ এসআই বোরহান উদ্দিন জব্দ তালিকা মুলে জব্দ
করেন।
রোজিনা বেগমের সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি আলা আমিন হচ্ছে তার স্বামী।
তারা স্বামী ও স্ত্রী ২জন পরষ্পর যোগসাজসে
উদ্ধারকৃত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সমুহ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের
জন্য কুমিল্লাগামী বাস যোগে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলো।
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি
মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা তিনি আরো বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।
সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে ও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।
পাশাপাশি তিনি পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।
বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকা থেকে ৯৫৮ বোতল ফেনিসিডিলসহ মাদক সম্রাট মো. সজীব ওরফে ফেন্সি সজীবকে (৩০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানিয়েছেন, জব্দ করা ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আটক সজীব আন্তঃজেলা মাদক কারবারি এবং মাদকের ডিলার। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তিনি স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে এনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন।
সজীব মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এসব মাদক মজুদ করতেন। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। সজিবের বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা ৪ মিলিয়ন মামলার ভার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
অন জুডিশিয়ারি এক্রোস দ্যা বর্ডার্স (21st Century Challenges and
Experiences from the Himalayas and Beyond) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক
সম্মেলন হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানের ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং পিপলস জুডিসিয়ারি সম্পর্কে বলেন, পিপলস জুডিসিয়ারি ধারণাটি এমন একটি ধারণা, যা সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা উল্লেখ করে- তা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত আজকে ৪ মিলিয়ন মামলার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার
ঐক্য গড়ে তোলা ও বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান
সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আর তাই দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।
তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এটা বাস্তবায়ন করা না হলে, আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তৃতায় ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এরূপ সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই সম্মেলনের ফলে এই অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি,
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, সুপ্রিমকোর্ট
বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪।
মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। তখন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি। এ সময় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি রিভলভার, ৫৬টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ২৫ টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ২০টি শুটারগান, ১৩টি এলজি, ২৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, দুটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এয়ারগান, চারটি এসবিবিএ, চারটি এসএমজি, দুটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও দুটি ত্রি-কোয়াটার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর
দপ্তরে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দিয়ে
বলেন, র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। র্যাব গঠনের সময় বলা
হয়েছিল, বাহিনীটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু পরবর্তীকালে তা
মানা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, র্যাব গঠনের শুরুর দিকে এটি একটি সুশৃঙ্খল ও
সুসংগঠিত বাহিনী হিসেবে মানুষের সম্মান, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে। পুলিশ ও
সশস্ত্র বাহিনীর সেরা অফিসারদের এখানে পদায়ন করা হতো। যখনই রাজনৈতিক বিবেচনায় এ
বাহিনীতে নিয়োগ ও পদায়ন শুরু হয়, তখন থেকে এতে পচন ধরতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের
মনে বদ্ধমূল ধারণা এই যে, যখন থেকে র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুরু
হয়, তখন থেকেই র্যাব গুম, খুনসহ বিভিন্ন বেআইনি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হতে শুরু
করে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভালোবাসা, ব্যবহার ও পারফরম্যান্সের
মাধ্যমে র্যাবের হারানো গৌরব ও সম্মান পুনরুদ্ধার সম্ভব উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, সেজন্য আইনের মধ্যে থেকে র্যাবকে কাজ করে যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশ মানা যাবে না। অননুমোদিত ও বেআইনিভাবে কাউকে আটক রাখা
যাবে না। ক্রসফায়ার, গুম, খুন থেকে র্যাবকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ বাহিনীর বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পরে অনুষ্ঠানে র্যাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে
অবহিত করা হয়।
মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা র্যাবের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন
এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রধান বিচারপতির নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত-ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা এবং আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
মন্তব্য করুন