কুমিল্লায় ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ২

কুমিল্লায় ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ২
সংগৃহীত

কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে ।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার (১৪ ই জুন) বিকাল আনুমানিক ৪টায় কুমিল্লা  সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো রোজিনা  বেগম (২৮) এবং আলা আমিন মিয়া (৪২) ।

কুমিল্লা  সিলেট আঞ্চলিক মহাসডকের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা গামী নিউ সুগন্ধা যাত্রীবাহী একটি বাসে করে ২ জন মাদক কারবারি  ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাচ্ছে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন তার ফোর্স সহ উক্ত বাসটি থামিয়ে সে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের তল্লাশীর চেষ্টাকালে তারা ২জন দ্রুত গাড়ি হতে  নেমে পালানোর চেষ্টা করলে এসআই বোরহান উদ্দিন ফোর্স সহ তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয় মহিলা সাক্ষী দ্বারা আসামি রোজিনা বেগমকে তল্লাশি করলে রোজিনা বেগম তার পরিহিত কালো বোরকার নিচে থাকা পরিহিত পায়জামার কোঁছা হতে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্তিতিতে উক্ত মাদক গননা করে মিনিটে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বিকাল অনুমান ৩টা ৫০ এসআই বোরহান উদ্দিন জব্দ তালিকা মুলে জব্দ করেন।

রোজিনা বেগমের সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি আলা আমিন হচ্ছে তার স্বামী।

তারা স্বামী ও স্ত্রী  ২জন পরষ্পর যোগসাজসে উদ্ধারকৃত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সমুহ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের জন্য কুমিল্লাগামী বাস যোগে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলো।

উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি  মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার
সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। 


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন। 


মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪। 


মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।


 বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা
সংগৃহীত

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।


সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।


ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।


গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।


প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।


ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।


গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।


১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।


ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।


তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক
ছবি

খুলনায় চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. রিপন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে গত সোমবার রাতে নগরীর রূপসার চাঁনমারী এলাকার চর স্কুল গলিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে মামলা দায়ের হলে তাকে সম্পৃক্ত করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও ওসি জানান। এর আগে গত রোববার দুপুরে খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটের সামনের জনাকীর্ণ সড়কে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফজলে রাব্বি রাজন ও হাসিব হাওলাদারকে। নিহতরা খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী পলাশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই জোড়া হত্যার সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর মাদক ব্যবসা নিয়ে কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ চারটি কারণ সামনে রেখে তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সংগৃহীত

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী  গ্রেফতার।

৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন অশোকতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 এ সময় আসামীর কাছ থেকে  ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত নগদ ৪,১৮,০৮০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ আলী মিয়া এর ছেলে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।  

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সংগৃহীত

কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায়  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।

জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আ’গুনে পু-ড়ি-য়ে হ-ত্যা, আসামী গ্রেপ্তার

অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আ’গুনে পু-ড়ি-য়ে হ-ত্যা, আসামী গ্রেপ্তার
ফাইল ছবি

চাঁদপুরে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর আত্নগোপনে থাকা ঘাতক স্বামীকে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর র‌্যাব-৬।

শুক্রবার ভোরে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান যশোর র‌্যাব-৬ কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

আটক ইব্রাহিম প্রধানিয়া চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার বকচর গ্রামের আব্দুল মোতালেব প্রাধানিয়ার ছেলে।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানা এলাকায় স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়া তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২৩) শারীরিক নির্যাতন করে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ভিকটিমের শাশুড়ী মামলা রুজুর পরপরই গ্রেফতার হলেও মূল অপরাধী ঘাতক স্বামী ঘটনার পরপরই নিজেকে আত্মেগোপন করে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও হৃদয় বিদারক হওয়ায় উক্ত ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি করে এবং আলোচিত হত্যাকান্ডের মূল অপরাধী ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সহযোগীতা চান।

স্পর্শকাতর এই ঘটনার মূল পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং সে আরো জানায়, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে ছিলেন।  

পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

মামলা নিষ্পত্তির জটিলতা সমাধানে কাজ চলছে : প্রধান বিচারপতি

মামলা নিষ্পত্তির জটিলতা সমাধানে কাজ চলছে : প্রধান বিচারপতি
সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা ৪ মিলিয়ন মামলার ভার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি এক্রোস দ্যা বর্ডার্স (21st Century Challenges and Experiences from the Himalayas and Beyond) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে ।

আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট  বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।

প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানের ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং পিপলস জুডিসিয়ারি সম্পর্কে বলেন, পিপলস জুডিসিয়ারি ধারণাটি এমন একটি ধারণা, যা  সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে এবং  সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে।

প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা উল্লেখ করে- তা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত আজকে ৪ মিলিয়ন মামলার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার ঐক্য গড়ে তোলা ও বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আর তাই দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।  

তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এটা বাস্তবায়ন করা না হলে, আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তৃতায় ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এরূপ সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই সম্মেলনের ফলে এই অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, সুপ্রিমকোর্ট বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা
ছবি

খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহিত জীবনের চাপ ও মানসিক কষ্টের পর প্রবীর সরকার (৪১) তার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। নবপল্লী এলাকার প্রবীর দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক ও সংসারের অশান্তিতে ভোগছিলেন।

যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রবীর এক মানত করেছিলেন: “যেদিন আমি এই মানসিক যন্ত্রণার মুক্তি পাব, সেদিন দুধ দিয়ে স্নান করব।”

সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, প্রবীরের স্ত্রী স্থানীয় ভাড়া বাসায় কয়রা উপজেলার নিত্যানন্দ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সময় ধরা পড়েন। স্থানীয়রা কোনো সালিশ ছাড়াই তাকে নিত্যানন্দের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দম্পতির একটি প্রতিবন্ধী সন্তানও রয়েছে।

এই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে প্রবীর সরকার পাইকগাছা পৌরসভার কালীমন্দিরে গিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করেন এবং মানত পূর্ণ করেন।

প্রবীর সরকার বলেন, “আমাদের সংসারের প্রথম দুই বছর ভালোই কেটেছিল। কিন্তু পরবর্তী ১২ বছর ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর। ধারাবাহিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়া ও সন্দেহজনক আচরণ আমাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছিল। বহুবার সালিশ হয়েছে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবেই সহ্য করেছি। সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমি মানত করতে বাধ্য হই।”

স্ত্রী বর্তমানে নতুন সংসারে থাকায় তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ অভিযান

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে শনিবার  ভ্রাম্যমান আদালত একটি বিশেষ পরিচালনা করে ।


রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দালাল নির্মুলের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে জুয়েল নামের এক দালালকে গ্রেফতার করে তার পকেট থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও সেবনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে  ও সাধারণ রোগীদের ঠকিয়ে  দালালি করার অপরাধে জুয়েল নামের দালালকে ৩ মাসের জেল ও ৫০  টাকা জরিমান করা হয় ।


জরিমানা দিতে ব্যর্থ হইলে আরো সাত দিন জেল খাটতে হবে বলে এই আদেশ দেন এসিল্যান্ড ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।


রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে সামনের দিনগুলোতেও এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানা যায়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০