

১৪৪৫ হিজরির পবিত্র হজ মৌসুমের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
সম্প্রতি জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ ও ওমরাহ সম্মেলনে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ এ ঘোষণা দেন।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের হজযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে এবং হজযাত্রীদের মধ্যে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে জেদ্দায় তিন দিনব্যাপী হজবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশের ৮০ জন মন্ত্রী ও হজ প্রতিনিধিদলের প্রধান, ২৭টি সরকারি এজেন্সি এবং দুই শতাধিক সেবাপ্রদানকারী সংস্থা। সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সম্মেলনে ৭৬টি দেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে হজবিষয়ক ২২০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি এ সম্মেলনে ৫০টির বেশি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
তা ছাড়া ১৯৩৮ সালের তৈরি পবিত্র কাবাঘরের একটি কিসওয়া (গিলাফ) প্রদর্শন করা হয়, যা প্রয়াত বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আল-সৌদের নামে উৎসর্গ করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।
গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে।এখন থেকে সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট, কর্মসংস্থানসহ সব ধরনের ভিসা অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, ওমরাহ পালনকারীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থায় সেবার পরিধি বাড়ানো। এটি সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ধর্মীয় পর্যটনকে আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভিসা, ই-ট্যুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা—সব ভিসাধারীই এখন ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমানদের জন্য সৌদি আরবে ওমরাহ পালন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নুসুক ওমরাহ’ নামে একটি নতুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি ওমরাহ প্যাকেজ নির্বাচন, অনুমতি সংগ্রহ ও সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ আরও দ্রুত ও ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব ব্যবস্থা পবিত্র দুই মসজিদের খেদমতগার বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে মুসলমানদের নিরাপদ, আধ্যাত্মিক ও মানসম্মত ওমরাহ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এ বছর সৌদি আরবে পৌঁছেছেন৫৮ হাজার ১২১
জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। সৌদিতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) হজ পোর্টালে আইটি
হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মারা যাওয়া হজযাত্রীর নাম মাকসুদ আহমেদ
(৬১)। তিনি রোববার (২ জুন) মদিনায় মারা যান। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়।
হজ বুলেটিন থেকে জানা গেছে, সোমবার
(৩ জুন) দিনগত রাত ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ৫৮ হাজার ১২১ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৪
হাজার ৩৭৪ জন।
গত ৯ মে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার
প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০
জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,
এ পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। মৃত্যুবরণ করা ১০ জনই পুরুষ।
মক্কায় সাত এবং মদিনায় ৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ।
বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে। আর ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দানের প্রস্তুতির কাজ।
মুসলমানদের বৃহত্তম এই সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বছর দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসুল্লিরা এসে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে এরই মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে মুসুল্লিরা। প্রতি বছরের মতো ইজতেমার নিরাপত্তায় আশপাশে সিসি টিভি বসানোসহ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠের ভেতর ও বাইরে কাজ করবেন।
মুসুল্লিরা বলছেন, বিশ্বের লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মেহমান আসবে ইজতেমা ময়দানে। তাদের থাকা-খাওয়া ও বসার জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের মতো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা করার জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট, পানি সরবরাহ এবং ওজু-গোসলের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, দপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলছেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ইজতেমা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন আলাদাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে মাষ্টার আবুল খায়ের (৯০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর জামে মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
তিনি ওই গ্রামের মরহুম সংশের আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে ৫ পুত্রসন্তান ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবুল খায়ের কর্মজীবনে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সর্বশেষ নাঙ্গলকোট বাজার আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নিহতের ছেলে মেডিসিন ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বাবা মসজিদে আজান দেওয়ার আগে তাহাদজ্জুদের নামাজ আদায় করতে যান। তাহাজ্জুদ শেষ করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে ওনার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ রবিউল হোসেন জানান, মাস্টার আবুল খায়ের এ মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ছিলেন। প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজ পড়তেন তিনি। আজ ফজরের নামাজ আদায় করার আগেই মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন


হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী
মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। হিন্দু
ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন সার্থক ও সুন্দর করে তুলবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন


পবিত্র হজ পালন শেষে এখন
পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯৮১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়, চলতি বছর ৬০ জন
বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল হোসেন (৬৪) নামে একজন হাজি
মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারী এসব হাজির মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। প্রখর
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,
মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা
শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয়
প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মক্কায় মারা গেছেন।
মসজিদুল হারামে তাদের জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া হজ পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে মদিনায় চারজন, মিনায় সাতজন ও জেদ্দায়
দুজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, মোট ১২৭টি ফ্লাইটে
৫০ হাজারের বেশি হাজি দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয় বুলেটিনে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ৫৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে হজ পালন
শেষে তারা দেশে ফেরেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে হজ পালন
করতে যান।
মন্তব্য করুন


রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু
কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত, গরুর লাথি এবং মাংস কাটতে গিয়ে ৩২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত
ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালে মোট ৩২০ জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে
১৫৮ ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ১৬২ জন
চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢামেক জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক
সার্জন ডা. আমান বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা
পর্যন্ত আহত অবস্থায় আমাদের এখানে ১৫৮ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে
সেলাই ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক
চিকিৎসক ডা. মানস দাস বলেন, আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশু কোরবানি দিতে গিয়ে প্রায়
১৬২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এই সংখ্যা আরও বাড়তে
পারে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের
সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ১৫০ জন কোরবানির
গরু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নেন। আহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৌসুমী
কসাইয়ের সংখ্যাই বেশি।
মন্তব্য করুন


২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ গতকাল শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।"
শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস থেকে যেন কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, "শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।"
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ শাহজাহান মিয়া।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় নগরীর গোল্ডেন স্পুন অডিটরিয়ামে মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড.আবরার আহমেদ।বিশেষ আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন ড.মাসুদুল হক চৌধুরী,আড়াইবাড়ী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমান এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর জামায়াতে নায়েবে আমীর যথাক্রমে মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন,মহানগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী,অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কাজী নজীর আহম্মেদ,অধ্যাপক জাকির হোসেন,কাজী মোতাহের আলী দিলাল প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আল্লাহতাআলার আইন দিয়ে দেশ না চললে কেউ সুখ শান্তি পাবে না। এখানে চুরি, হত্যা রাহাজানিসহ যতধরনের অপকর্ম চলতে থাকবে। ইসলাম মানেই সুবিচার, ইসলাম মানলেই সুবিচার হবে। ইসলাম যতদিন না থাকবে কোথাও সুবিচার কায়েম হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমেই সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ চালাবে না তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম।
সেমিনার সম্মিলিত সকলের অংশগ্রহণে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


পবিত্র রমজান উপলক্ষে অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম
উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।
আজ শনিবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা
জানান।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস রমজান আজ
আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে;
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়।
ধনী-গরিব সবার মাঝে
পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস,
হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ,
ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের
পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে
রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক
অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।
মন্তব্য করুন