আগামী ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। বিমানভাড়া চূড়ান্ত করে ওই দিন হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহনে বিমানভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিমানভাড়া নির্ধারণ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনও একটু বিবেচনার বিষয় রয়েছে। তাই, এখনও আমরা চূড়ান্তভাবে বলতে পারব না। বিমানভাড়া কমানোর জন্য আমরা কাজ করছি। আরও কমানোর চেষ্টা করছি।
হজের খরচ কত কমছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খালিদ হোসেন বলেন, হজ প্যাকেজে কত কমছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সৌদি আরবের খবরটা (খরচের হিসাব) এখনও আমাদের কাছে আসেনি।
অন্য বছরের মতো এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস হজযাত্রী পরিবহন করবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এবার হজ প্যাকেজ কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, এবার ভালো প্যাকেজ দেবো। গতবারের চেয়ে খরচ কম হবে, ইনশাআল্লাহ।
২৬ সদস্যের হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভাপতি ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা। এ কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামী ৩০ অক্টোবর নির্বাহী কমিটির সভা বসবে। হজ প্যাকেজ নির্ধারণের দায়িত্ব এ কমিটির।
আগামী বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র হজ হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি হবে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
মন্তব্য করুন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এখন থেকে সব মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইমামদের নিয়োগ বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী।
আজ
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনার বয়রা এলাকার মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ইমামদের জনবান্ধব হতে হবে। বাস্তবভিত্তিক ওয়াজ-নসিহত করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। ‘মব’ তৈরির সংস্কৃতি সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর, তা মসজিদে আলোচনা করা দরকার। মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকেও নিতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। যেসব কেন্দ্রে প্রকৃতপক্ষে পাঠদান হচ্ছে না কিংবা ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে অথবা স্কুল ও মসজিদে একই ব্যক্তি একযোগে শিক্ষকতা করছেন—এমন প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ধর্ম
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে অপরাধের মাত্রা কমছে না, অপরাধের এত প্রবণতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। সমাজে অপরাধ রোধে ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই। যদি সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
তিনি জানান, সব জায়গা জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. সালাম খান, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।
মন্তব্য করুন
শনিবার রাত ১২টার পর বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইব্রাহিম শনিবার সকালে ইজতেমা ময়দানে সাংবাদিকদের বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে জিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যেহেতু দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিরা আসবেন, সেহেতু শনিবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখা হবে।
তিনি আরো জানান, আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন। এ কারণে তাদের সুবিধার জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া রোড হয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়ক, আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত এবং মিরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
পুলিশের উপকমিশনার আরো বলেছেন, সেক্ষেত্রে ঢাকাগামী লোকজন ও যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে তিনশো ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যেসব লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাবেন, তারা বাইপাইল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে চলে যেতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, এ বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা পালন করতে পারবেন। উৎসব ঘিরে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকার একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা সার্বজনীন উৎসব। মানুষ যেন ভয়ভীতি ছাড়াই আনন্দের সঙ্গে পূজা করতে পারে, সে জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব হলো সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আইজিপি জানান, পূজার প্রস্তুতি পর্বে কিছু এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকটি ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা কোনো কিছু অবহেলা করছি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি পূজায় কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। রাজধানীসহ সারাদেশের পূজা কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যেই মতবিনিময় হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজকের এ রাত মহিমান্বিত এক রাত। এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন। প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ মুক্তি ও মাগফিরাতের দুয়ার খুলে দেন। সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এটি নিঃসন্দেহে বরকতময় রাত। রাতটি শাবান মাসের মধ্যবর্তী হিসেবে হাদিসে এই রাতকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত বলা হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে ‘মুক্তির রজনী’বলা হয়।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ রজনী সম্পর্কে বলেছেন, এই রাত্রিতে এবাদতকারীদের গুণাহরাশি আল্লাহ তালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগি করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন।
সন্ধ্যায়- এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম। এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ :
দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। ফজিলত: প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।
দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- ১ নম্বর নামাজের মত, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতঃপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফজিলত: রুজিতে বরকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বকশিস পাওয়া যাবে।
আট রাকাত নফল নামাজ দু্রাকাত করে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফজিলত: গুনাহ থেকে পাক হবে, দু’আ কবুল হবে এবং বেশি বেশি নেকী পাওয়া যাবে।
১২ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কালেমা তওহীদ, ১০ বার কলেমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
১৪ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফজিলত - যে কোনো দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
চার রাকাত নফল নামাজ এক সালামে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।
আট রাকাত নফল নামাজ এক সালামে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: এর ফজিলতে সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহা এরশাদ করেছেন, ‘আমি ওই নামাজ আদায় কারীর সাফায়াত করা ব্যতীত জান্নাতে কদম রাখব না।
রোজার ফজিলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে। আরো একটি হাদিস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। এছাড়াও পড়তে পারেন সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামাজ পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর।
সতর্কতা
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে বরাতের নামাজ। যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে হবে না । অর্থাৎ ঠিক সময় মত ফজর নামাজ যেন পড়তে পারা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হটলাইন সেবা চালু করা নিয়ে বলা হয় ।
একটি অনুরোধ জানিয়ে আরো বলা হয় যে,
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে তার তথ্য জানাতে
অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা
বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলার শিকার বা আক্রান্ত হলে তার
তথ্য ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে ফোন বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ
করা হলো।
এর আগে গতকাল দুপুরের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে হটলাইন চালুর
কথা বলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালু হলো এই সেবা।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক মসজিদ হচ্ছে পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদটির ৯টি লোহার দানবাক্স রয়েছে।
প্রতি ৩মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় ২৩ বস্তা টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
১৪৪৫ হিজরির পবিত্র হজ মৌসুমের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
সম্প্রতি জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ ও ওমরাহ সম্মেলনে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ এ ঘোষণা দেন।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের হজযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে এবং হজযাত্রীদের মধ্যে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে জেদ্দায় তিন দিনব্যাপী হজবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশের ৮০ জন মন্ত্রী ও হজ প্রতিনিধিদলের প্রধান, ২৭টি সরকারি এজেন্সি এবং দুই শতাধিক সেবাপ্রদানকারী সংস্থা। সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সম্মেলনে ৭৬টি দেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে হজবিষয়ক ২২০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি এ সম্মেলনে ৫০টির বেশি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
তা ছাড়া ১৯৩৮ সালের তৈরি পবিত্র কাবাঘরের একটি কিসওয়া (গিলাফ) প্রদর্শন করা হয়, যা প্রয়াত বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আল-সৌদের নামে উৎসর্গ করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।
গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন
হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুইজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
গত মধ্যরাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ২৫ হাজার ১৩ জন।
বাংলাদেশ থেকে ৭২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এদিকে সৌদি আরবে গতকাল শনিবার আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। তার নাম মো. মোস্তফা। ৮৯ বছর বয়সী এই হজযাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর- ইজি ০৭৪০৮৪৭। এর আগে গত ১৫ মে চলতি মৌসুমে হজে গিয়ে প্রথম মারা যান মো. আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর:
এ-১৩৫৬১০৩৪।
মন্তব্য করুন
পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব
পৌঁছেছেন ১৩০ বছর বয়সী সারহোদা সাতিত নামের এক নারী। তিনি আলজেরিয়া থেকে হজ করতে গেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জেদ্দা বিমানবন্দরে
সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই নারী পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময়
তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার খবরে
বলা হয়, হজ পালনে প্রবীণ এ নারীর দৃঢ়তা সবাইকে
মুগ্ধ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার হজযাত্রার প্রশংসা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের ভিডিওতে
দেখা যায়, বিমানবন্দরে ওই নারীকে হুইলচেয়ারে করে নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের তাকে
ফুলের মালা পরিয়ে দিতে দেখা যায়। তখন সংশ্লিষ্টদের কল্যাণ চেয়ে ওই নারী বলতে থাকেন,
মহান আল্লাহ সৌদি আরব ও এর জনগণের সুরক্ষা করুন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫
হাজার ২৫৭ জন।
মন্তব্য করুন