মুরাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী রাজীবপুর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর ) দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর থানাধীন বিভিন্ন পূজা মন্ডপসমূহ সরজমিনে পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাব নুসরাত সুলতানা ও পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন ও উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়াও পূজা চলাকালীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন যাতে অটুট থাকে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান সহ সকলকে সরকারি নির্দেশনা সমূহ মেনে চলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি যথাসময়ে পূজা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সমাপ্তির আহ্বান সহ সকল পূজা মন্ডপ শতভাগ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় রাজীবপুর উপজেলায় বডার হাট পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সার্কেল অফিসার মমিনুল ইসলাম রাজীবপুর অফিসার ইনচার্জ, বিজিবি,রাজীবপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ হাই সরকার, বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মন্ডল, রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরুন মোহাম্মদ ইলিয়াস, রাজীবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রস্তম মাহমুদ লিখন,সহ আনসার বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়েছেন ,ঢাকাই সিনেমার আলোচিত তারকা দম্পতি চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা। সেখানে আগামী দশদিন থাকবেন এ তারকা দম্পতি।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। ওই ভিডিওতে সবার কাছে দোয়া চান অনন্ত জলিল ও বর্ষা।
উল্লেখ্য, গত রোজার ঈদে ‘কিল হিম’ সিনেমার মাধ্যমে সবশেষ পর্দায় দেখা যায় অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে। এমডি ইকবাল পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। বর্তমানে মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে এ দম্প্রতির ‘নেত্রী দ্যা লিডার’ সিনেমাটি।
মন্তব্য করুন
১১৫ বছর বয়সী মোয়াজ্জিন চোখে দেখতে পান না। তবুও দড়ি ও বাঁশ ধরে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামাজের জন্য ডাকেন সবাইকে।
অন্ধ মোয়াজ্জিন আব্দুর রহমান মোল্লার বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বড়দেহা গ্রামে। ২০ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারান। এর ৬ বছর পর বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করেন। দেশে ফিরে নিজ গ্রামে তৈরি করেন একটি মসজিদ। এরপর নিজেই সেই মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
কিন্তু চোখে দেখতে না পাওয়ায় মসজিদে আসা-যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় । সমাধানের জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন রশি ও বাঁশ।
আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে স্কুল শিক্ষক মো: শফিকুল ইসলাম সাইফুল জানান, বাবার বয়স ১১৫ বছর। হজ থেকে আসার পর বাবা যে মসজিদটি স্থাপন করেছেন সেখানে আজান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু বাড়ি থেকে মসজিদের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। তখনই জটিলতা দেখা দেয় আসা-যাওয়া নিয়ে। পরে বাবা বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় রশি ও বাঁশ টাঙিয়ে দিতে বলেন।
বাবার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী রশি ও বাঁশ টাঙিয়ে দেন ছেলেরা। এরপর প্রথম দিকে কয়েকদিন তার ছেলে ও নাতিরা রশি ও বাঁশের সাহায্যে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাকে যাতায়াত ও রাস্তা পার হতে অভ্যস্ত করে তোলেন।
মোয়াজ্জিন আব্দুর রহমান বলেন, ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছি। এখন টিউবওয়েলে পানি না ওঠায় অজু করতে সমস্যা হয়। মসজিদের পাশে একটা পানির পাম্পের ব্যবস্থা হলে খুব ভালো হতো।
মন্তব্য করুন
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সকলকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে দেওয়া আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক বাণীতে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে এ সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। মহামতি যীশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য তিনি মানব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ায় চলছে ৮ দিনব্যাপী ৬৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা। আর সে আয়োজনে বিশ্বের ৭১টি মুসলিম দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানী কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
সংশ্লিষ্ট জানা যায়, ৬৪তম আন্তর্জাতিক আল-কুরআন তিলাওয়াত ও হেফজ বিভাগের প্রথম বিজয়ী পাবেন ৫২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের পুরস্কার। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত এবং হেফজ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেকে ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল পুরস্কার ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার রিঙ্গিত পাবে ।
উভয় বিভাগেই রানার্সআপ পাবে ৩০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ২০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক সোনার মেডেল এবং বিজয়ী সকলেই পুরস্কার, অংশগ্রহণের শংসাপত্র এবং স্যুভেনির পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্ত্রী (ধর্ম বিষয়ক) দাতুক মোহাম্মদ নাঈম মোখতার।
হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারী মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইতে অনষ্টিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে হাফেজা মাইমুনা।
হাফেজা মাইমুনার বাবা কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফ বলেন, ৭ অক্টোবর ছিল আমার মেয়ের অডিশন। আলহামদুলিল্লাহ সে ভাল করছে। আমি আশাবাদী মাইমুনা দেশের সম্মান বয়ে আনবে।আমি দেশবাসী এবং মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে দোয়া চাই মাইমুনার জন্য।
আন্তর্জাতিক এ কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ৭১টি দেশের ৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। হিফজ বিভাগ ৩৯ জন ও তিলাওয়াত বিভাগে ৫৩ জন এই দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে ।
আগামী ১২ অক্টোবর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন দেশটির রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং সুলতান ইব্রাহিম এবং রানী পেরমাইসুরি আগোং রাজা জারিথ সোফিয়াহ।
মন্তব্য করুন
পবিত্র কাবা নতুন গিলাফ বা কিসওয়ায়
মোড়ানো হয়েছে । হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে পুরান গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আরব নিউজের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজের মওসুম শুরুর আগে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার
এটি নতুন করে কারুকার্যমণ্ডিত কিসওয়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস
এজেন্সি এসপিএ জানিয়েছে, কিসওয়া পরিবর্তনে ১০টি ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ
কাজে অংশ নিয়েছেন ৩৬ জন বিশেষ কর্মী। পবিত্র কাবার কিসওয়ার প্রস্থ আড়াই মিটার এবং দৈর্ঘ্য
৫৪ মিটার।
পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তন
ঐতিহাসিক পরম্পরা। আগে হজের দিন এটি পরিবর্তন করার রীতি ছিল। তবে বর্তমানে ১ মহররম
হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হয়ে থাকে।
বিশেষভাবে তৈরি এ গিলাফে প্রতি
মিটারে দশ ধাপে ৯৯০০ সুতা লাগানো হয়। গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম
সুতা দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করেন দক্ষ কারিগররা। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির
আউটলাইন দেওয়া হয়। পরে কারিগরদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন
বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলা হয়।
মক্কার উম্মুদ জুদ এলাকায় বিশেষ
কারখানায় কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। গিলাফ তৈরির
কাজে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশমি সুতা এবং ২৫ কেজি রুপার সুতা ব্যবহার করা
হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবার
গিলাফ কয়েক ধাপে উত্তোলন করা হয়। এটি হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত
এবং ময়লা থেকে রক্ষা করে। প্রতিবছর হজের আগেই গিলাফ বা কিসওয়া পরিবর্তন করা হয়।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধিঃ
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল উদযাপন করার লক্ষে ওই সব গ্রামের মুসল্লিরা নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মূলত বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। হাজীগঞ্জের পীরের অনুসারী হিসেবে ১৯২৮ সাল থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন। বুধবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা ৯৫ বয়সি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি জন্মের পড় থেকে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ করছি। আমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখি, আবার চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা এক দিন আগে ঈদ পালন করেন।
এ ছাড়া মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন মুসল্লিরা।
মন্তব্য করুন
হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৯ জন হজ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে।
আজ (২১ জুন) বিজি ৩৩২ ফ্লাইটটি সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরে হাজীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সব হজযাত্রী যেন সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পোস্ট ফ্লাইট অপারেশন্স শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।
আগত হজযাত্রীদের বিমানের বোডিং গেটে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সব হজযাত্রীকে বিমানের বুথ থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিমানের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার নির্ধারণ করা হয়।
রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর (২০২৩) সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৬৪০ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকাই ছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। গম ও আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।
হাফেজ মুফতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি।
ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলেও জানান মাওলানা রুহুল আমিন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন