

হজ প্যাকেজের বাকি টাকা আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারি করা হয়েছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা।
সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের সোনালী ব্যাংকে এবং বেসরকারি মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে এ টাকা।
২০২৫ সালের হজের জন্য ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হজযাত্রীদের উদ্দেশে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু নেওয়া, মোয়াল্লেম নেওয়া, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া এবং পরিবহনসহ সেবা সংক্রান্ত সব চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
এ কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হজযাত্রীদের অনুরোধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে চার হাজার ৭৭৮ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৭০ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন


মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জগন্নাথপুর চৌমুহনীতে প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে নুরুন্নবী (সাঃ) এর নূরানী শুভাগমন উপলক্ষে ৪র্থ বার্ষিকী ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা ও ওয়াজ মাহফিল উদযাপন করেছেন জগন্নাথপুর যুব সমাজ।
গতকাল রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল হতে মধ্যরাত ব্যাপী জগন্নাথপুর চৌমুহনীর নুরে মোহাম্মাদীয়া জামে মসজিদের পাশের মাঠে এই নাতে মোস্তফা ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জিকিরুল্লাহ ইসলামীয়া যুব কমিটি জগন্নাথপুর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম রানা শাহাপুরীর সঞ্চালনায় নুরে মোহাম্মাদীয়া জামে মসজিদের সভাপতি হাজী মোঃ মিল্লাত হোসেনের সভাপতিত্বে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহাপুর দরবার শরীফের পীর সাহেব সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ আবদুল কাদের কাওকাব।এতে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন হযরত শাহ সৈয়দ করম আলী (রাঃ)জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ আবদুল কাদের জিহাদী,বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন জগন্নাথপুর চৌমুহনির নূরে মোহাম্মদীয়া(সাঃ) জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ শাহাজালাল আল্ ক্বাদেরী। মাহফিলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনা করা হয় । একই সঙ্গে মহানবীর আদর্শ ও গুণাবলী সবার জীবনে ধারণ ও পালন করার আহ্বান জানান তারা।
ওয়াজ শেষে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে নাতে রাসূল পরিবেশণা করেন চট্টগ্রাম থেকে আগত শায়ের মুহাম্মদ তারেক রেজা ক্বাদেরী, আলা হযরত যুব পরিষদের সভাপতি শায়ের জানে আলম রেজা ক্বাদেরী, শায়ের মুহাম্মদ সাইমুন রেজা ক্বাদেরী, শায়ের মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ক্বাদেরী, শায়ের শহীদুল ইসলাম মিনহাজ।
উক্ত মাহফিলে আয়োজক কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাজন,মোঃ আবাদ মিয়া, মোঃ সাকিব হোসেন, মো.রবিউল আউয়াল রবিন, মো.রাকিব হোসেন শাহপুরী, মোহাম্মদ হানিফ, ইমাম হাসান শুভ, মোঃ হৃদয়, মোঃ জিহাদ, মো.সামি, আলামিন, রবিউল, প্রমুখ।
নাতে রাসূল পরিবেশণা শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহসহ সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দোয়া ও মাহফিল সমাপ্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, আরবি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিবছর তার জন্মদিনকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পালন করে থাকে।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ইজতেমা মুসল্লিদের জন্য ১১ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার(২৩ জানুয়ারি)
রাজধানীর রেল ভবনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমা ১ম পর্ব
২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ২য় পর্ব ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
এরমধ্যে ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে জুম্মা স্পেশাল-২ নামে ১
জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
৩ ও ১০ ফেব্রুয়ারি
জামালপুর-টঙ্গী রুটে স্পেশাল-১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ও
১৯ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন রুটে যে স্পেশাল ট্রেন গুলো চলাচল করবে সগুলো হল:
ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ৫ জোড়া স্পেশাল, টঙ্গী-ময়মনসিংহ-টঙ্গী রুটে ১ জোড়া ও
টঙ্গী-টাঙ্গাইল-টঙ্গী রুটে ১টি স্পেশাল ট্রেন। আর ঈশ্বরদী-টঙ্গী-ঈশ্বরদী রুটে ২ট
জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে।
ট্রেনের যাত্রাবিরতি:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪
ফেব্রুয়ারি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর, মেইল
ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ (তিন) মিনিট করে থামবে।
আগামী ৪ ও ১১
ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন (সুবর্ণ, সোনারবাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক
এক্সপ্রেস ব্যতিত) সকল আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন সমূহ (আপ ও ডাউন) টঙ্গী
স্টেশনে ৩ (তিন) মিনিট করে থামবে।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে।এখন থেকে সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট, কর্মসংস্থানসহ সব ধরনের ভিসা অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, ওমরাহ পালনকারীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থায় সেবার পরিধি বাড়ানো। এটি সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ধর্মীয় পর্যটনকে আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভিসা, ই-ট্যুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা—সব ভিসাধারীই এখন ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমানদের জন্য সৌদি আরবে ওমরাহ পালন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নুসুক ওমরাহ’ নামে একটি নতুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি ওমরাহ প্যাকেজ নির্বাচন, অনুমতি সংগ্রহ ও সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ আরও দ্রুত ও ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব ব্যবস্থা পবিত্র দুই মসজিদের খেদমতগার বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে মুসলমানদের নিরাপদ, আধ্যাত্মিক ও মানসম্মত ওমরাহ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী
উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের র্যালিতে গিয়ে অসুস্থ ও পদদলিত হয়ে দুইজনের প্রাণ
গেলো । আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
নিহতরা হলেন , পটিয়ার বাসিন্দা
আইয়ুব আলী (৬০) ও নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম (১৩)।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)
দুপুর ১২টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন তীব্র গরমের কারণে আইয়ুব আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাইফুল ইসলাম নামের আরেক কিশোর আহত হওয়ার পর হাসপাতালে আনা হলে প্রথমে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যুবরন হয়। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভিড়ের মধ্যে চাপা পড়ে এবং নালার ওপর বসানো কাঠের সেতু ভেঙ্গে আহত হয়েছেন। প্রায়ই আরও ৭-৮ জন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা।
তারা জানান, ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন পদদলিত হন। আহত ৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আগামীকাল শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনানুষ্ঠাকিভাবে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কাজ শুরু হয়েছে ।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন। তারা ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালের অতিরিক্ত বেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স। ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। র্যাবের পক্ষ থেকে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেবে। সিসি ক্যামেরা ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকেও মনিটরিং করা হবে সবার গতিবিধি।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, আমরা বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থাকি। এবারও বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি। বর্তমান নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ট্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌ বহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, জিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বুধবার সকালে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ইজতেমায় র্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা বা জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি।
৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের জোবায়েরপন্থি মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।
এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযের অনুসারী (সা’দ পন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্তি ঘটবে।
মন্তব্য করুন


হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৯ জন হজ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে।
আজ (২১ জুন) বিজি ৩৩২ ফ্লাইটটি সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরে হাজীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সব হজযাত্রী যেন সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পোস্ট ফ্লাইট অপারেশন্স শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।
আগত হজযাত্রীদের বিমানের বোডিং গেটে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সব হজযাত্রীকে বিমানের বুথ থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিমানের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ।
বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে। আর ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দানের প্রস্তুতির কাজ।
মুসলমানদের বৃহত্তম এই সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বছর দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসুল্লিরা এসে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে এরই মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে মুসুল্লিরা। প্রতি বছরের মতো ইজতেমার নিরাপত্তায় আশপাশে সিসি টিভি বসানোসহ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠের ভেতর ও বাইরে কাজ করবেন।
মুসুল্লিরা বলছেন, বিশ্বের লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মেহমান আসবে ইজতেমা ময়দানে। তাদের থাকা-খাওয়া ও বসার জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের মতো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা করার জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট, পানি সরবরাহ এবং ওজু-গোসলের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, দপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলছেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ইজতেমা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন আলাদাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীরা পবিত্র
কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিয়েছেন। পবিত্র কাবাঘর দৃষ্টিনন্দন কালো গিলাফে আবৃত
থাকে। প্রতি বছর এ ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও পবিত্র কাবাঘরে
নতুন গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ইতিহাসে প্রথম গিলাফ পরিবর্তন কার্যক্রমে
মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল নারীরা অংশগ্রহণ
করেছেন।
জেনারেল অথরিটির ভাষ্যমতে, এবারই প্রথম
নারীরা এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
গত ৬ জুলাই হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে
মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। মূলত
গত কয়েক বছর ধরেই কাবার রীতিতে পরিবর্তন এসেছে। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী হিজরি বর্ষের শুরুতে গিলাফ পরিবর্তনের নিয়ম করা হয়।
চার ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ কার্যক্রম
তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ। ইসলামের প্রথম
যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ
পরিবর্তনের রীতি ছিল। তবে ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের
সময়ে পরিবর্তন আনে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের
প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে,
মক্কার কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবাঘরের কালো গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। সেখানকার
বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগর নতুন গিলাফ পরিবর্তনের
কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রথমে কাবাঘর থেকে পুরনো গিলাফ সরিয়ে নেন।
এরপর নতুন গিলাফ স্থাপন করেন।
বার্তা সংস্থা আরো জানায়, গিলাফ তৈরিতে
১২০ কেজি সোনা, ১০০ কেজি রুপা ও এক হাজার কেজি রেশমের সুতা ব্যবহার করা হয়। ওই কাপড়ে
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর গুণবাচক নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে। গিলাফের সব কাজ শেষ
করতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৫০ কেজি ওজন ও ১৪ মিটার উচ্চতার এই
গিলাফ তৈরিতে ব্যয় হয় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গিলাফকে
বিশ্বের ব্যয়বহুল কাপড় বলে মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফে থাকা
কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেন মুখতার আলম নামের এক বাংলাদেশি। তিনি গিলাফ প্রস্তুতকারক
প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১
সালে তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
মন্তব্য করুন


পবিত্র হজ পালন শেষে এখন
পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯৮১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়, চলতি বছর ৬০ জন
বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল হোসেন (৬৪) নামে একজন হাজি
মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারী এসব হাজির মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। প্রখর
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,
মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা
শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয়
প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মক্কায় মারা গেছেন।
মসজিদুল হারামে তাদের জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া হজ পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে মদিনায় চারজন, মিনায় সাতজন ও জেদ্দায়
দুজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, মোট ১২৭টি ফ্লাইটে
৫০ হাজারের বেশি হাজি দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয় বুলেটিনে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ৫৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে হজ পালন
শেষে তারা দেশে ফেরেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে হজ পালন
করতে যান।
মন্তব্য করুন