

সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলের একাধিক স্থানে স্বর্ণের নতুন খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) সৌদি অ্যারাবিয়ান মাইনিং কোম্পানি (মাদেন) এই ঘোষণা দিয়েছে। খবর রয়টার্স' ও সৌদি গেজেট'র।
কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন সন্ধান পাওয়া খনিগুলো কোম্পানিটির বিদ্যমান মানসুরা মাসারাহ স্বর্ণের খনির দক্ষিণে অবস্থিত।
স্বর্ণের খনির সন্ধানে তারা ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার উপত্যকা এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। এই অনুসন্ধানে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের মজুত আবিষ্কৃত হলো।
সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণে নতুন খনিতে উচ্চ মানসম্পন্ন স্বর্ণ থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জরিপের ফলাফলের আলোকে কোম্পানিটি ২০২৪ সালে মানসুরা মাসারাহ এলাকা ঘিরে ব্যাপক খননকাজ চালানোর পরিকল্পনা করছে।
মন্তব্য করুন


ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক :
মানবতা মানে শুধুই মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ নয়, বরং মানুষের জন্য ভালোবাসা, সহানুভূতি, ও সহমর্মিতার প্রকাশ। এই অনুভবকে বিশ্বব্যাপী উদ্যাপন ও স্মরণ করতে প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় "বিশ্ব মানবতা দিবস" (World Humanitarian Day)। এটি একদিকে যেমন মানবিক সাহায্যকর্মীদের সম্মান জানানোর দিন, তেমনি বিশ্বব্যাপী মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় সচেতনতা গড়ার উপলক্ষ্য।
ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট:
২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট ইরাকের বাগদাদে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক বোমা হামলায় ২২ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হন, যার মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক সার্জিও ভিয়েরা দে মেলো। এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে ২০০8 সালে জাতিসংঘ ১৯ আগস্টকে বিশ্ব মানবতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি মূলত মানবিক সংকটে নিয়োজিত যেসব ব্যক্তি বিপদ উপেক্ষা করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাঁদের সম্মান জানাতেই পালন করা হয়।
উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য:
মানবতা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো:
মানবিক বিপর্যয়ের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি জাগানো। দুর্যোগ, যুদ্ধ, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতি ইত্যাদিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যারা মানবিক সহায়তা দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। মানবিক কাজের গুরুত্ব ও অবদানের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে সচেতন করা।
বর্তমান বিশ্বে মানবিক সংকট:
আজকের বিশ্বে একদিকে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক সহিংসতা, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘের মতে, প্রতি বছরই প্রায় কয়েক কোটি মানুষ এই ধরনের সহায়তার প্রয়োজন অনুভব করেন। ২০২৫ সালেও বিশ্বের নানা প্রান্তে যেমন গাজা, সুদান, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া, হাইতি প্রভৃতি অঞ্চলে মানবিক সংকট বিদ্যমান।
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা মানবতা ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত দেখেছি। হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ডাক্তার, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে, মানবতার চেতনা এখনও আমাদের সমাজে জীবন্ত।
মানবতা দিবস পালনের ধরণ:
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও, এবং জাতিসংঘের সংস্থা দিবসটি নানা ভাবে পালন করে থাকে। যেমন:
সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
মানবিক কর্মীদের সম্মাননা প্রদান
সেমিনার ও আলোচনা সভা
অনুদান সংগ্রহ অভিযান
সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালনা
"মানবতা" কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—এটি মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি। বিশ্ব মানবতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা সবাই একই পৃথিবীর বাসিন্দা, এবং একজনের কষ্টে অপরজনের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। সবার প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমরা গড়ে তুলতে পারি একটি মানবিক ও শান্তিময় বিশ্ব।
"মানবতার সেবা, শান্তি ও সম্প্রীতির পথ খোলে।"
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থন অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও জাতিসংঘের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। এই ক্রান্তিকালে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আশা করি- আপনার সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে, যার মধ্যে তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমি সব নাগরিক ও বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখছি। আমি আপনাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


সৌদি
আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার
(০৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে সৌদি আরবের কুয়েত বর্ডারের
কাছাকাছি সাফা নিয়া নামক এলাকা থেকে রিয়াদ যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহত
১৫ জন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নিহতদের
একজন চুন্নু হাওলাদারের ছেলে রিফাত হাওলাদার, অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি। আহতদের
মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুজন মাতুব্বর ও জামাল চকিদার। অপর ১১ জন
আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। নতুন করে শ্রম আইন সংশোধন করায়
সুবিধা বেড়েছে শ্রমিকদের।
সংবাদমাধ্যম
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, নতুন আইনানুসারে কর্মস্থলে
আগের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন কর্মীরা। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ আইন কার্যকর
করা হবে।
প্রতিবেদনে
আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশটিতে একটি রাষ্ট্রীয় ডিক্রি জারি করা হয়েছে। সংশোধিত শ্রম
আইনে কিছু অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে দুটি অনুচ্ছেদ যুক্ত এবং
সাতটি অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হয়েছে।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, আগের
শ্রম আইন অনুসারে মাতৃত্বকালীন ছুটি ছিল ১০ সপ্তাহ বা আড়াই মাস। নতুন আইনে তা
বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ বা তিন মাস করা হয়েছে। এছাড়া ভাইবোনের মৃত্যুতে অংশ নিতেও ছুটি
বাড়ানো হয়েছে। আইনানুসারে এখন তিন দিনের ছুটি মিলবে। এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে
প্রবেশনারি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মাস বা ১৬০ দিন।
সংশোধিত আইনানুসারে কর্মীরা
ওভারটাইমে আর্থিক বিষয় ছাড়াও ছুটির দাবি করতে পারবেন। চাকরি ছাড়ার জন্য এখন থেকে
এক মাস আগে কর্মস্থলে অবহিত করতে হবে, যা আগে দুই মাস আগে জানাতে হতো। এ কর্মীরা
এখন আবাসন ও যাতায়াত খরচ পাবেন।
এছাড়া বিদেশি কর্মীদের জন্যও আইন সংশোধন করা হয়েছে।
নিয়োগদাতা কিংবা প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কর্মীদের বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান
করতে হবে। বর্তমান আইনে অবশ্য এ বিষয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কাজের
অনুমোদনপত্রের মেয়াদের ভিত্তিতে এটি ঠিক করা হবে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
সঙ্গে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল
আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা
যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর তাগিদ দেন আচার্য।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উচ্চশিক্ষার
মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এ সময়
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস
মন্তব্য করুন


আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। আর এই দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে বাবা, ভাই,
বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ
কিছু উপহার দিতে পারেন। সেই মানুষটিকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ
তিনি।
পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি
দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে
ফেলেছিল রাশিয়া।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট
ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে
শুরু হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস পালন। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা
জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড
নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত
দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের
রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়।
এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান,
ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক,
নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন


১৮
তলা ভবন থেকে নিচে পড়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে তিন বছর বয়সি এক শিশু। চীনের হাংঝো শহরে ঘটনাটি ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যম
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, গত ১৫ জুলাই দক্ষিণ পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝোতে দাদা-দাদির তত্ত্বাবধানে
রেখে গিয়েছিলেন শিশুটির বাবা-মা। শিশুটি ঘুমিয়ে পড়ার পর তারা ঘরের কিছু কেনাকাটা করতে
বাইরে যান। তবে তারা ফেরার আগেই শিশুটি জেগে বাথরুমে গিয়ে কমোডের ওপর উঠে একটি খোলা
জানালা দিয়ে বাইরে পড়ে যায়। শিশুটি প্রথমে একটি গাছের ওপর পড়ে। এতে সে অলৌকিকভাবে বেঁচে
যায়। এক প্রতিবেশী একটি বাচ্চা নিচে পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও ধারণ করে তা
কর্তৃপক্ষে জানায়। পরে শিশুটির বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারেন।
শিশুটির
বাবা বলেন, ভিডিও দেখে প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমার ছেলে ১৮ তলা থেকে পড়ে
গেছে। সম্ভবত পড়ার সময় সে ১৭ তলার একটি খোলা জানালায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তার পড়ার গতিপথে
কিছুটা কমে যায় ও দিক বদলে যায়। নাহলে সে সরাসরি মাটিতে পড়ত।
সিসি
ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শিশুটি জানালার পাশ দিয়ে পড়ে একটি গাছের ডালে আটকে যায়
এবং এরপর মাটির ওপর একটি ঝোপের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে। সরাসরি কংক্রিটে না পড়ায় তার প্রাণ
বেঁচে যায়।
জানা
গেছে, ১৮ তলা থেকে পড়ার পর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,
তার বা-হাত ভেঙে গেছে, মেরুদণ্ডেও আঘাত পেয়েছে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে তার মাথায় কোনো আঘাত লাগেনি। তাই সে বেঁচে গেছে। এই ঘটনাকে
একটি অলৌকিক ঘটনা বলে অভিহিত করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এমন দুর্ঘটনার পরও সন্তানকে জীবিত পেয়ে শিশুটির বাবা ওই গাছের ডালে একটি বড় লাল ফুল ঝুলিয়ে দেন।
মন্তব্য করুন


মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যে মাদক কারবারিরা
নিজেদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আর চলমান এ সংঘর্ষে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ১৯২
জন।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) সিনালোয়া
স্টেট পাবলিক সিকিউরিটি কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আনাদোলু
নিউজ এজেন্সি।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে,
সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ থেকে সংঘর্ষ চলছে, এতে প্রায় ২০০টি খুন এবং ২২৬টি নিখোঁজ ঘটনার
প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে প্রায় ২০০ পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে,
১৮০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে গত
সপ্তাহে ৫৯০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনালোয়ার
গভর্নর রুবেন রোচা ময়া।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল গার্ড, এয়ার
ফোর্স, নেভি এবং স্টেট পুলিশ একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যারা আমাদের সহিংসতা থামাতে
সাহায্য করছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনও বলতে পারছি না যে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
এসেছে। আমরা আশা করছি তারা আমাদের সাহায্য করবে।
সম্প্রতি, সিনালোয়া কার্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কুখ্যাত
মাদক সম্রাট ইসমাইল ‘এল মায়ো’ জাম্বাদা গ্রেফতার হন। এর পর থেকে এ সংঘর্ষ বাধে, যা
এখনও চলমান। ৭০ বছর বয়সী জাম্বাদাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এল পাসো, টেক্সাসে হেফাজতে
নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য চ্যাপিটোস নামক কার্টেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি এল চ্যাপোর
ছেলে এবং উত্তরাধিকারীরা দখল শুরু করে এবং আগুন জ্বালায়।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


এ পৃথিবীতেই সেই রাস্তা রয়েছে যা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং মিশে গিয়েছে অসীমে।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। যেখানে স্বপ্ন এসে মিশে যায়।
পৃথিবীর সেই শেষ রাস্তার ঠিকানা হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’যেটি অবস্থিত নরওয়ে-তে।
সেই রাস্তায় ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখানে ভয়ানক গতিতে বাতায় বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা। এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এখানে একা যাওয়া নিষিদ্ধ।
ঠিকানা যখন রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তার তখন অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী থাকতে নিশ্চয়ই একবার যেতে মন কাঁদবে অনেকেরই।নরওয়ের ওই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই।
পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে।
রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হল ‘নর্থ কেপ’। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ।এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা। ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই।
মন্তব্য করুন


ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশকে সমর্থনে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তুতির কথা জানান।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত ২৭টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করে পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে চাই।’
পাম্পালোনি বলেন, সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারের এই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেবে।
এই সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তারা সেসময় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভন ডার লেয়েন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পাম্পালোনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনেক দেশের পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া আপনার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এখন বাংলাদেশে আমাদের কাজ করার মতো একজন আছেন। আপনাকে একা অনুভব করতে হবে না। আমরা সত্যিই আপনাকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে আরও ব্যবসায় সুযোগ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে এই দেশ সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এর ফলে আরও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে শ্রম অধিকারের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখব। এখানে কোনো লুকোচুরি হবে না। আমরা আর লুকোচরির খেলা খেলতে চাই না।’
ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
পাম্পালোনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখছি এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আপনি নির্ধারণ করেছেন, যা নিয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। সুতরাং আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেপাল এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেপালে বিশাল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা অপচয় হচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সহায়তা পেলে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত সবাই এতে লাভবান হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের সাম্প্রতিক অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা খেলতে গেছে এবং জয় করেছে, একবার নয়, বরং দু'বার।’
তিনি আরও অনুরোধ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠায় যা বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন