আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।
এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
র্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।
গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।
টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।
২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামায় রমজানের শুরুতেই সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের
দাম লাগামহীন। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীতে ব্যবহৃত বেগুনি, শসা ও লেবু দ্বিগুণের বেশি
দামে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি টাকা না দিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ,
কাঁচা মরিচ ও মাছ-মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চার -পাঁচ দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ
ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি। মূলত প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে বিক্রেতারা
খেয়ালখুশিমতো দাম বৃদ্ধি করছেন।
জানা যায়, রমজানে ইফতার সামগ্রী
তৈরিতে ছোলা, বেগুনি, শসা, কাঁচা মরিচ, লেবু ও ভোজ্যতেলের চাহিদা বেশি থাকে। এর মধ্যে
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেগুনি, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানে প্রকারভেদে বেগুন কেজিপ্রতি ৬০-৭০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। তবে বাজারে স্থিতিশীল
রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।
শসা কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি গত সপ্তাহে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি
হলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বৃদ্ধি
পেয়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলা প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, বেসন কেজি মানভেদে
৮০-১২০ টাকায়, চিনি ১২০ টাকা ও খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, রমজান ঘিরে পর্যাপ্ত
আমদানি হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া
যাচ্ছে না। যাদের দোকানে পাওয়া যায় সেখানেও নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকটে দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা সয়াবিন
তেল।
অন্যদিকে উপজেলার পাকেরহাট বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কাটা কেজিপ্রতি ২৭০-২৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকা ও লেয়ার কাটা প্রতি কেজি
৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাল্পা
দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও।
দিনমজুর রাসেল রানা জানান, রাজনৈতিক
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভেবেছিলাম এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু চাহিদা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে
বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং
ব্যবস্থা নেই। সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হয়।
এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (৩ মার্চ)দুপুরে খানসামা
উপজেলার পাকের হাট, চেহেলগাজী বাজার, ও খানসামা
বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
কামরুজ্জামান সরকার, দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন,পুলিশ ও আনছারসহ মনিটরিং অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,
মান, মূল্য তালিকা, পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তবে ধারাবাহিক মনিটরিং
না থাকায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা।
দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, রমজানে সিন্ডিকেটে যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা না হয় সে জন্য
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১০
হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর
রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌপুলিশের
এএসআই মো. সাইফুজ্জামান।
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত
যাত্রী পরিবহন করছে। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। এমন অভিযোগে
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায়
অভিযান চালানো হয়। স্পিডবোডে চড়ে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর
ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিভাগের চলতি দায়িত্ব পালনের ১০ দিনের মাথায় তিনি পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগে তিনি যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় বদলি করে আনা হয়। তিনি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেড় মাস আগে জেলা ও দায়রা জজ করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে আলোচনা ছিল।
এ বিভাগের আগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওএসডি করা হয়েছিল।
বিভিন্ন জেলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করা নতুন আইন সচিব গোলাম রব্বানী ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ সালে তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পদটি রাষ্ট্রের পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সচিবের সমপর্যায়ের। এর আগে তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, যে পদটি মর্যাদার দিক দিয়ে সচিব পর্যায়ের।
আগের সরকার এ বছর ১ জুলাই তাকে রেজিস্টার জেনারেল পদ থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র গোলাম রব্বানী ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন শাখায় দায়িত্ব পালন করা গোলাম রব্বানী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।
মন্তব্য করুন
রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঢাকা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলী জনিত কারণে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন।
বিদায়বেলা সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার আইনজীবীদের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত হন।
ওই অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের স্মৃতিচারণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০৩ এর বিচারক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাউদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লা ইউনিট এর আহবায়ক লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ ইউনুছ ভূঞা, জেলা জিপি এডভোকেট তপন বিহারী নাগ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক দুই বারের সদস্য এবং রুলস্ এন্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আ. হ. ম তাইফুর আলম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবদুল মমিন ফেরদৌস ও সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ শরীফুল ইসলাম, আসন্ন জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মোঃ কামরুল হায়াত খান প্রমুখ।
এতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন এপিপি এডভোকেট জয়দেব চন্দ্র সাহা।
সবশেষে বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা শেষে তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক ও কুমিল্লার প্রসিদ্ধ খদ্দের পাঞ্জাবি তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত সকলেই বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তিনি যেন আগামীতে বিচার বিভাগে বিচারক পদে নিযুক্ত হন সেই প্রত্যাশা করেন।
সংবর্ধিত অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- ভবিষ্যতেও বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বিচারপ্রার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেমন বিচারকগণের, তেমনি আইনজীবীসহ এই পেশা সংশ্লিষ্ট সকলের। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীরা বলেন সংবর্ধিত অতিথি অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ এবং ন্যায় বিচারক ছিলেন। আমরা আশাবাদী স্যার মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট এর বিচারপতি হবেন।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি আজ শপথগ্রহণ করেছেন।
শপথগ্রহণ করা আপিল বিভাগের চার বিচারপতি হলেন, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ আপিল বিভাগের চার নবনিযুক্ত বিচারককে শপথবাক্য পাঠ করান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
চার বিচারপতি নিয়োগ কার্যকরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাদের শপথগ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথগ্রহণের দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত শনিবার (১০আগস্ট) দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৭। শনিবার রাতে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন রোববার (১২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট এই তিন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার এর নির্দেশনায় কুমিল্লার কাঁচা বাজারের বৃহৎ আড়ত বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার পরিচালিত এ অভিযানটি বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দ্বারা সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে পাইকারি আড়তদারদের পাকা ভাউচার সংরক্ষণ ও বিক্রি সময় পাকা ভাউচার প্রদান করার জন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সময় বিভিন্ন অনিয়মে ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে পুরো রমজান ব্যাপি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও বুড়িচং থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন
স্বামীর ঘরে রাখলেন ইয়াবা। পরে কল দিলেন ৯৯৯-এ। উদ্দেশ্য- যেকোনো ভাবে ফাঁসাতেই
হবে স্বামীকে।
কিন্তু ভাগ্য হলো না সহায় । স্ত্রী নিজেই গেলেন ফেঁসে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও
এমন ঘটনাটাই ঘটেছে রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে ১৪ ইয়াবাসহ রুমা আক্তার
(৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা, কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতে তিনি
নিজেই এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার) এ তথ্য নিশ্চিত করে
জানিয়েছেন, প্রবাসী কাওছার আহম্মেদের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই
তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। ঝগড়া বিবাদের
কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে
ফিরলেও তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, স্বামীকে ফাঁসাতে জাকির নামে এক মাদক কারবারির নিকট হতে ১৪ পিস ইয়াবা
কিনেন রুমা। সেই ইয়াবা শোবার ঘরের একটি ব্যাগে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করেন। তাৎক্ষণিক তেজগাঁও
থানা পুলিশের একটি টিম পশ্চিম নাখালপাড়ার কাওছারের বাসায় যায়। রুমার আচরণ সন্দেহজনক
হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি
নিজে ইয়াবা কিনে ঘরে রেখেছেন। পরে ১৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুমার দেয়া তথ্য মতে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে
জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন