

লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১০
হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর
রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌপুলিশের
এএসআই মো. সাইফুজ্জামান।
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত
যাত্রী পরিবহন করছে। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। এমন অভিযোগে
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায়
অভিযান চালানো হয়। স্পিডবোডে চড়ে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর
ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


হাদির হত্যাচেষ্টাকারীকে
ধরিয়ে দিলে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট
জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
এর আগে ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে
সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ডিএমপি'র মুখপাত্র
ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান
জানান, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী
দুর্বৃত্তদের হামলায় ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন।
পুলিশ জানায়,
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত এক সন্দেহভাজন
ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন
ব্যক্তি সম্পর্কে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে বা তার অবস্থান/সন্ধান পাওয়া গেলে দ্রুত
পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে এবং কার্যকর তথ্যের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পুরস্কারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে সুফল পাওয়ায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আর বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রথম যখন আইনটি প্রণয়ন করা হয়, তখন একটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সেটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় তুলেছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এটিকে আর নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।
আগে ছিল দুই বছর পর পর মেয়াদ বাড়ানো হবে, তাহলে কেন স্থায়ী করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে মাহবুব হোসেন বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ আইনটির অনেক সুফল আছে, এ আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এজন্য তারা আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাজ্যের
হাই কোর্ট রায় দিয়েছে—কোনো
পুরুষকে ‘বাল্ড’ (টাক) বলে অপমান
করা আইনগতভাবে যৌন হয়রানি হিসেবে
গণ্য হতে পারে। আদালতের
এই রায় ঘিরে দেশজুড়ে
ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই মামলার সূত্রপাত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে। একজন
ইলেকট্রিশিয়ান টনি ফিন অভিযোগ
করেন, তার বস তাকে
‘stupid bald cunt’ বলে
গালিগালাজ করেছিলেন। বিষয়টি কর্মক্ষেত্রে অপমানজনক ও হয়রানিমূলক আচরণ
হিসেবে ট্রাইব্যুনালে গড়ায়। শুনানি শেষে আদালত রায়
দেন, মন্তব্যটি গ্রহণযোগ্য সীমা অতিক্রম করেছে।
রায়ে
বিচারকেরা বলেন, টাক হওয়া বা
চুল না থাকা বিষয়টি
মূলত পুরুষদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ফলে কাউকে ‘বাল্ড’
বলে অপমান করা লিঙ্গভিত্তিক মন্তব্য
হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা
যুক্তরাজ্যের সমতা ও বৈষম্যবিরোধী
আইনের আওতায় পড়ে।
রায়ের
ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত ও
আলোচিত বিষয় হলো—মামলাটি
নিষ্পত্তি করা তিন বিচারকই
ছিলেন টাক। এই বিষয়টি
নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
রায়ের পর অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই একে অতিরঞ্জিত সিদ্ধান্ত বলে সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন—যেভাবে নারীদের শারীরিক গঠন বা চেহারা নিয়ে কটূক্তিকে হয়রানি হিসেবে দেখা হয়, একই যুক্তিতে পুরুষদের ক্ষেত্রেও এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়া যুক্তিসংগত।
মন্তব্য করুন


পাবনা সদর ও বেড়া উপজেলার সীমানা ঘেঁষা পাবনা–নগরবাড়ি মহাসড়কের ২৪ মাইল দুর্গাপুর এলাকায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— নান্দিয়ারা গ্রামের জবদুল (৫০) ও তার তিন বছরের মেয়ে জুবাইদা খাতুন। আহত হয়েছেন জবদুলের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মামুন এবং সাত বছর বয়সী ভাতিজা সিয়াম শেখ। চারজনই একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, দুপুরে জবদুল তার সন্তান ও ভাতিজাকে নিয়ে সাঁথিয়ার গোপীনাথপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্গাপুর এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জবদুল ও তার ছোট মেয়ে মারা যান। খবর পেয়ে মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন


আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পৌর শহরের বাইপাস এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ কামরুল ইসলাম (৪০) ও গোলাম রাব্বি (২৫) নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পৌর শহরের বাইপাস এলাকায় সকালে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। এ সময়, তল্লাশি চালিয়ে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৩৬ কেজি গাঁজাসহ আখাউড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম এবং তার গাড়ি চালক রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আখাউড়া থানা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে পৌরশহরের বাইপাসের কোড্ডা সড়ক এলাকা থেকে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ কামরুল ইসলাম ও তার সহযোগী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক চোরাচালানি কাজে ব্যবহৃত তার প্রাইভেটকারটি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে গাঁজার চালান এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গ্রহণ করে সে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, মাদকসহ যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
মন্তব্য করুন


রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


গতকাল খাগড়াছড়ি
ও আজ রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।
প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো বার্তায় আরো বরা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।
বার্তায় আরো বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিডিয়া উইং এ আরো বলা হয়, আগামীকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
এর আগে খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর
ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু
হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঢাকা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলী জনিত কারণে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন।
বিদায়বেলা সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার আইনজীবীদের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত হন।
ওই অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের স্মৃতিচারণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০৩ এর বিচারক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাউদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লা ইউনিট এর আহবায়ক লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ ইউনুছ ভূঞা, জেলা জিপি এডভোকেট তপন বিহারী নাগ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক দুই বারের সদস্য এবং রুলস্ এন্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আ. হ. ম তাইফুর আলম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবদুল মমিন ফেরদৌস ও সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ শরীফুল ইসলাম, আসন্ন জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মোঃ কামরুল হায়াত খান প্রমুখ।
এতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন এপিপি এডভোকেট জয়দেব চন্দ্র সাহা।
সবশেষে বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা শেষে তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক ও কুমিল্লার প্রসিদ্ধ খদ্দের পাঞ্জাবি তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত সকলেই বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তিনি যেন আগামীতে বিচার বিভাগে বিচারক পদে নিযুক্ত হন সেই প্রত্যাশা করেন।
সংবর্ধিত অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- ভবিষ্যতেও বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বিচারপ্রার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেমন বিচারকগণের, তেমনি আইনজীবীসহ এই পেশা সংশ্লিষ্ট সকলের। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীরা বলেন সংবর্ধিত অতিথি অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ এবং ন্যায় বিচারক ছিলেন। আমরা আশাবাদী স্যার মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট এর বিচারপতি হবেন।
মন্তব্য করুন