বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন এবং ছয় রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলার লাউজানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-পিরোজপুর সদর উপজেলার নরখালী গ্রামের মনির শেখের ছেলে রাজিব শেখ (২৬), বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সায়রাবাদ গ্রামের জিলান শেখ (৫৫) ও খুলনার খানজাহান আলী থানার জগিপুর গ্রামের তোরাব শেখের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০)।
শনিবার সকালে যশোর ডিবি পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের লাউজানি এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় সন্দেহভাজন একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউণ্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। গাড়িতে থাকা তিনজনকে আটক করে গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
ওসি জানান গ্রেফতারকৃত দের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের
‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনার আন্তঃজেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার
সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল
ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএর মাধ্যমে তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব
অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে ডাকাতির ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোর রাতে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিক রোড রয়েলস্
পরিবহনের ঢাকা কোচটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে
রাজশাহীর নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাসটিতে ৩০ থেকে
৩৫ জন যাত্রী ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার সেখানে
থেকে আরও ১০ থেকে ১২জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে
বাসটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা বাইপাসে পৌঁছালে চা-বিরতির জন্য
থামে। সেখান ১০ থেকে ১৫ মিনিট চা বিরতির সময় চন্দ্রা বাইপাস থেকে আরও তিন থেকে চার
জন নতুন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে বাসটি। বাসটি ওইদিন রাত দেড়টার
দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া
ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ যাত্রীবেশে থাকা বাসে ৮ থেকে
৯ জন ডাকাত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার
ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এসময় তাদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত
গাড়িচালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে টানা হেঁচড়া করে কিলঘুষি মেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে
পেছনে উল্টা করে রাখে। ডাকাতদের মধ্যে থেকে একজন চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ
নেয় এবং বাসটি চালিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া
সাকিনস্থ ফুটওভার ব্রিজের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
ওপর পৌঁছালে ডাকাতদলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের ধারালো
চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় যাত্রীদের বলে, ‘তোদের সঙ্গের টাকা
পয়সাসহ যার যা কিছু আছে সব দিয়ে দে’। এসময় যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন,
স্বর্ণালংকার ও রূপাসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা মির্জাপুরের
নাটিয়াপাড়া নাছির গ্লাসের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে। তারা দুই
থেকে আড়াই ঘণ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়
এবং এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে দুই নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করা হয়।
এজহারে আরও বলা হয়েছে- সব যাত্রীদের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট
করে রাত ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের
সামনে গাড়িটি টাঙ্গাইল অভিমুখে থামিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘১০ কিলোমিটারের
মধ্যে গাড়িটি কোথাও থামালে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমরা তোদের গাড়ির পেছনে পেছনে
আছি’ এই বলে ডাকাতদলের সদস্যরা মালামাল ও টাকা পয়সাসহ গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
পরে চালক গাড়ি নিয়ে চন্দ্রা মোড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে টহল পুলিশ
সেখানে উপস্থিত হয়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ডাকাতির বিষয়ে বিস্তারিত জানালে
কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকার টহলরত পুলিশ মির্জাপুর থানায় যাওয়ার পরামর্শ
দিলে চালক গাড়ি নিয়ে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তখন কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ির
সুপারভাইজার মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করলে
মামলা না নেওয়ায় তারা পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে নাটোর জেলার
বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে গেলে গাড়ি থেকে তিন থেকে চার যাত্রী নেমে স্থানীয় লোকজনের
সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে
গাড়িটি আটক করে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার
১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার
করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে
পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি
অফিসার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গতকাল খাগড়াছড়ি
ও আজ রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।
প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো বার্তায় আরো বরা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।
বার্তায় আরো বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিডিয়া উইং এ আরো বলা হয়, আগামীকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
এর আগে খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর
ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু
হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কোপের শিকার মেহেবুল হাসান ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তির সম্পর্ক গণমাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করা হলেও মূলত তারা স্বামী-স্ত্রী নন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকৃত স্ত্রী দাবি করে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়ে এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরায় হামলার শিকার মেহেবুল হাসান আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে (ইপ্তি) আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় আহতরা হলেন মেহেবুল হাসান (৩৬) ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তি (৩০)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেহেবুলের আঘাত গুরুতর হলেও আশঙ্কামুক্ত।
আর হামলা করা নিয়ে নারী বলেন, যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সঙ্গে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ তিনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।
নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে মেহেবুল হাসানের কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে ওই নারী জানান, আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল দিই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই নারী তার শাশুড়ির সঙ্গে লাউড স্পিকারে ফোনে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমার শ্বশুর-স্বামী সবাই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বলছে, সে সুস্থ হলে আমাকে দেখে নেবে।
ওই দিন রাতেই ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চশব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২) নামে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মন্তব্য করুন
কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।
এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
র্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।
গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।
টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।
২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
পুলিশ রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ঘুড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে । এদের মধ্যে চারজনের বয়স কম হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আর বাকি দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলামিন ও আতিকুর রহমান।
এছাড়া চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ঘুড়ি আটকে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেন চলা বন্ধ ছিল। বিষয়টি সমাধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে ডিএমপির কাফরুল ও মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। এদের মধ্যে চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল থেকে অনুরোধ করা হচ্ছিল - মেট্রোরেলের রুট অ্যালাইনমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে ঘুড়ি, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ইত্যাদি বা অনুরূপ কোনো বস্তু না ওড়ানোর । পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জনস্বার্থে বিশেষভাবে ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ডিএমপির কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম এ বিষয়ে জানান, আটক দুজনকে ডিএমপি অধ্যাদেশে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ নেশার বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আব্দুর রশিদ (৪৫) এবং আজিজুল ইসলাম (৪৪) নামে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
বুধবার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা মাঠ এলাকা থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং আজিজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩শ অ্যাম্পুল এবং আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ১’শ এ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিজুলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত হিলি সীমান্ত থেকে মাদক নিয়ে আনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি সড়কের পাটাচোরা মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যাটারিচালিত চলন্ত একটি ইজিবাইকের গতিরোধ করে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেশ। গ্রেফতার আব্দুর রশিদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয় ও চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বলেন, আব্দুর রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ছদ্ববেশে ক্রেতা সেজে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আব্দুর রশিদসহ আরও বেশ কিছু ব্যক্তি মাদক কারবারির সাথে জড়িত আছে।
চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলাসহ গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে দামুড়হুদা মডেল থানায় ও আজিজুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর থািনায় নিয়মিত মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
২০ মে থেকে ২৩জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তুষার মজুমদার জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠ প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা(২) এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ এর বিধি ৩এর ১ (ক)এর ক্ষমতাবলে ২০ মে হতে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে কিছুদিন পূর্বে জেলেদের ও জেলে সমিতির সদস্যদের সাথে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সভা করা হয়েছে
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং এই ৬৫দিন জেলেরা সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল পাবেন সেবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে জেলেদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন