‘আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি
না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে
বাঁচতে দিলে না। পোস্টমর্টেম করিয়ে
আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ছিল রীমা আক্তার এর মেহেদী অনুষ্ঠান। প্রেমের পরিণতি হিসেবে বিয়ের মাত্র এক দিন আগে ‘আত্মহত্যা’র পথ বেছে নেওয়া রীমা আক্তার (২০) এ কথা লিখে গেছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রীমা উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার হীরা তালুকদারবাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত মিজানুর রহমানের সঙ্গে রীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিজানুর একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই আজ শুক্রবার বিয়ের তারিখ ঠিক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছিল তাদের মেহেদী অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টায় রীমার বিউটি পারলারে যাওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুরে রীমা ও মোরশেদ মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলেন কয়েক দফা। এর পরপরই দরজা বন্ধ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রীমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, রীমার লাশ উদ্ধারের পর পাশেই কাগজে
একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
সেখানে হবু স্বামীকে উদ্দেশ্য করে রীমা লিখেছেন, ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে, অনেক ভালোও বেসেছ এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারলাম না। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না। আমার পরিবার থেকে যৌতুকের যে টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও।’পোস্টমর্টেম করিয়ে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও।’
রীমার চাচা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে যৌতুক হিসেবে আমরা ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি ছেলের পরিবারকে। এর পরও ছেলে রীমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন।’
রীমার ভাই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, তার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফুল সেট ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ ও বিয়ের খরচ হিসেবে টাকা দাবি করেন মিজানুর রহমান মোরশেদ। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করায় তাঁর বোন অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। রীমা পটিয়া সরকারি কলেজে অনার্সের মেধাবী ছাত্রী ছিল। ছেলে যে এতটা যৌতুকলোভী হবে আমরা জানতাম না। প্রাণ দিয়ে আমার বোন তার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। অথচ আমরা এত দিন তা বুঝতে পারিনি। মৃত্যুর আগে আমার বোন সুইসাইড নোটে এসব লিখে রেখে গেছে।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তরুণীর আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা সম্পর্কে আপন ভাই-বোন।
মৃত দুই শিশু হলো: কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের মেয়ে নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও মো. ওমর (৫)। নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আর ওমর ছিল প্লে শাখার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় নাফিজা ও ওমর। তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে পড়ার পর একজনকে উঠাতে গিয়ে আরেকজন পড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় পুলিশ
নারী কল্যাণ সমিতির
উদ্যোগে ফল উৎসব
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২১
জুন) সকালে কুমিল্লা
পুলিশ লাইন্সের শহীদ
আর আই এ
বি এম আব্দুল
হালিম মিলনায়তনে ফল
উৎসবের উদ্বোধন করেন
জেলা পুলিশ সুপার
মো. নাজির আহমেদ
খান।
এ সময়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী
(অর্থ ও প্রশাসন),
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(ডিএসবি) শামীম ইসলাম,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(সদর সার্কেল) সাইফুল
মালিকসহ পুলিশের বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।
এছাড়াও সকল
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত
ছিলেন।
পরে বিভিন্ন
ফলের স্টল পরিদর্শন
করেন পুলিশ সুপার
নাজির আহমেদ খান।
পরিদর্শন শেষে
তিনি জানান, দেশীয়
ফল সম্পর্কে জ্ঞান
অর্জন করে, গুণগত
মান সম্পর্কে জেনে
ফল খেতে সকলে
আগ্রহী হয় সেজন্য
প্রতিবছর এই ফল
উৎসব আয়োজন করা
হয়।
এছাড়াও তিনি
আরো বলেন, আমাদের
উদ্দেশ্য শুধু আনন্দই
নয়, বরং পুলিশ
পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য,
ভ্রাতৃত্ব ও স্বাস্থ্যসচেতনতা
বাড়ানো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী পিস্তলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাজমুল হাসান(২০) ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন(২০)। ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
চৌদ্দগ্রাম থানার কর্মরত এসআই(নিঃ)লিটন চাকমা ও এএসআই(নিঃ)মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে (৬ই মার্চ) দুপুর ১২.১৫ মিনিটে উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি কাগজের বক্সের ভেতর কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগজিন, ২২ রাউন্ড গুলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান (২০)ও আব্দুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন(২০)। পলাতক আসামি মোঃ রাহাত(২০) ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা তন্ময় বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা শহর ও এর আশে পাশের এলাকায় র্যা বের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মহাসড়কে যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা। এরই প্রেক্ষিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গভীর রাত পর্যন্ত টহল কার্যক্রম পরিচালনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটরসা ইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়াও জনসাধাণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ ও যেকোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে র্যা বের টহল টিমের পাশাপাশি সাদা পোষাকের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করেছে। এতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাগুয়ান গ্রামের আব্দুল লতিব মনিরুল ইসলাম (৪০), তার ভাই রবিউল ইসলাম (২০), মনিরুলের ছেলে সিফাত (১৮)।
জানা যায়, ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজাম মেম্বারের সঙ্গে আজিজুলের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রুহুল আমিন (৩৮) নামের এক কৃষক নিহত হন। তিনি সাগুয়ান গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তাহন্তর করেছে পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ
অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৭ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে কামাল উদ্দিন (৪৩) ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আব্দুল মালেকের (৬৫) মাথায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেককে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা রাত সাড়ে তিনটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌদ্দগ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামাল উদ্দিন (৪৩),জয়নুল আবেদিন (৫২), তাহমিনা আক্তার (৩৫), শামসুন্নাহার (৪০), সফুরা খাতুন (৬৫), রোজিনা আক্তার (২২), শাহিদা বেগম (৫৫) ও হাসি (২০)।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি দেশীয় বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবাসহ ১৪ মামলার এক আসামিকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বোয়ালমারী আর্মি ক্যাম্প ও থানা পুলিশ বুধবার (৪ জুন) ভোর রাতে উপজেলার গুনবহা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী বুধবার ভোর ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে গুনবহা গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে জাহিদ মোল্যাকে (৩৭) তার শ্বশুর লুৎফর মোল্যার বাড়ি থেকে আটক করে। তার তথ্য মতে একটি দেশীয় বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও তিনটি পলিথিনের ব্যাগে থাকা ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, জাহিদ মোল্যা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৪ টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হবে।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জ লাইনচ্যুত হয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন। এতে বন্ধ রয়েছে ভৈরব- ময়মনসিংহ রুটে রেল চলাচল।
২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় এ ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা স্টেশন এলাকায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে প্রবেশের সময় পয়েন্ট ভুল করে অন্য পয়েন্ট চলে যায়। এতে করে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার করবে লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন- রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামের প্রয়াত মহাদেব সরকারের ছেলে তপন চন্দ্র সরকার (৫০) ও একই গ্রামের প্রয়াত নিত্যন চক্রবর্তীর ছেলে পলাশ চক্রবর্তী (৩৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে স্পিরিট জাতীয় বিষাক্ত অ্যালকোহল (মদ) খেয়ে তপন চন্দ্র সরকার ও পলাশ চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে পরিবারের লোকজন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পলাশ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপরজন তপন চন্দ্র সরকারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা নেওয়ার পথে তপন চন্দ্র সরকার মারা যান। আজ বুধবার বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ আসার পূর্বেই তপনের লাশ দাহ করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হোমিওপ্যাথি দোকানের স্পিরিট জাতীয় অ্যালকোহল (মদ) পানে ২ জন মারা গেছেন। পলাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তপনের লাশ দাহ করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পলাশের লাশ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন