

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় মো. শিহাব (১৭) নামে এক কিশোর ১২ দিন পর আজ সকালে মারা গেছে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে মারা তিনি।
নিহত শিহাব উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। চলতি বছর এসএসসি পাস করে শিহাব। এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকে সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়স্বজন তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের আঁধারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। পরে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। তারপর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই সে মারা যায়। শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিমের (৩২) নাম উল্লেখ করে আরও ৮-৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তিনি তার মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর হামলার ঘটনায় আগেই করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
মন্তব্য করুন


দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (১১) বিয়ে পড়ানো হয়েছে। কাজি ডাকারও তোড়জোড় চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ইউএনও। বিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। সড়কে আটকে রেখে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ড দেওয়া হর বর, বরের খালা ও কনের মাকে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় ফয়জুল হকের ছেলে নাহিদ হাসান (২০), তার খালা রুমা ও কনের মা মাজেদা। এদের মধ্যে নাহিদকে এক মাস, তার খালা ও কনের মাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মেয়ে ও ছেলের পরিবার একই মহল্লার বাসিন্দা। ১১ বছর বয়সী ওই মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। কাজী ডাকার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম।
আর এই খবরে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তাদের পিছু নিয়ে সড়কেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাল্যবিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কনের মাকে ১৫ দিন। বরকে এক মাস ও অভিভাবক হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বরের খালাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শোনা যায়, স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি বা কোনো ডকুমেন্ট নাই। মেয়ের বয়স কম, সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এ কারণে বাল্যবিবাহ আইনে মেয়ের মা, বর ও বরের খালাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় অটোরিকশা চুরির ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই অটোরিক্সাটি উদ্ধার করেছে। এসময় চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার কোতয়ালী থানার আনোয়ার হোসেন মজুমদারের ছেলে সিয়াম মজুমদার (২০), আবু হানিফের ছেলে মোঃ পরান (১৯) ও মৃত আলী গাজীর ছেলে মহব্বত গাজী (২৯)।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
ত্রিনাথ সাহা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহ আলমের বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র তার একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তিনি শনিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়নের দাতামা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা চোরাইকাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি শেষে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামের
কর্ণফুলীতে ‘জয় বাংলা’ বলে মিছিল করে টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে ১২ যুবককে আটক করেছে
পুলিশ।
গতকাল
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা
হলেন—মো. জাহেদ (১৮), সাইফুল, বিজয়, আকাশ, আরফাত, মিনহাজ, ফোরকান, ইকবাল, আকিব, আদর
এবং তাৎক্ষণিকভাবে নামপরিচয় না জানা আরো দুই কিশোর। তাদের বেশিরভাগের বয়স ১২ থেকে ১৫
বছরের মধ্যে।
এদের
বাড়ি চরপাথরঘাটা ৬ নম্বর ও চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
পুলিশ
সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোররা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় মিছিলের
মতো করে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।
তবে ভিডিওটি তারা ফেসবুকে আপলোড করতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এডভাইজর পদে যোগদান করেছেন কুমিল্লা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের।
আজ বুধবার সকালে তিনি সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে যোগদানপত্র জমা দেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অধ্যাপক জামাল নাছের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর পূর্বে তিনি কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, কুমিল্লা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক, উপ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
১ জানুয়ারি থেকে তিনি কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক নাছেরের যোগদানের বিষয়ে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক জামাল নাছের সিসিএন পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি সিসিএন পরিবারের ছায়াসঙ্গী হিসেবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর যোগদানের ফলে সিসিএন-এর চলমান অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে বলে আমি বিশ্বাসী।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় কাভার্ডভ্যানের
পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় মো. নাজমুল (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মহাসড়কের
উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে ঢাকা-চট্রগ্রাম
মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার
শিবগঞ্জ উপজেলার শরতনগর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের ছয়ঘড়িয়া এলাকায় একটি মালবোঝাই কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা
দেয় অপর একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকে থাকা ব্যবসায়ী নাজমুল নিহত হয়। এ ঘটনায়
মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল ১১টায় হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক
ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে। তারপর থেকে ধীর গতিতে
যান চলাচল শুরু করে। দুপুর ১টায় মহাসড়কে
যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


সুন্দরবনের বনদস্যু করিম–শরীফ বাহিনীকে অস্ত্র ও গুলি সরবরাহকারী আবদুর রহিমকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের দাবি, এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় কোস্টগার্ড কর্মকর্তা “লেফটেন্যান্ট মারুফ আহমেদ সৌখিন” (এক্স), বিএন (নেভিগেশন কর্মকর্তা, বিসিজিএস কামরুজ্জামান) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম–শরীফ বাহিনীকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের উদ্দেশ্যে তাদের সহযোগী হারবাড়িয়া সংলগ্ন নন্দবালা খাল এলাকা দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে কোস্টগার্ড বেইস মোংলা কর্তৃক ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে আভিযানিক দল ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃত আবদুর রহিম (৩২) বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে করিম–শরীফ বাহিনীকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলেন। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলে সেনোয়ারা বেগম (৬২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা-রামচন্দ্রপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা উপজেলার পূর্বহাটি গ্রামের আঃ রশিদ মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন (৩৫) গুরুতর আহত হন। আহত আলাউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি পাঁচকিত্তা থেকে রামচন্দ্রপুর যাওয়ার পথে দিঘলদী গ্রামের শ্মশানের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে পরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় বৃদ্ধার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নওগাঁর সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গত ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে তাবাসসুম আক্তার রিংকু (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত তাবাসুম আক্তার রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আর তিনি স্থানীয় রায়কালী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনার পর দিন ২৯ নভেম্বর ( বুধবার ) দুপুরে নিহতের মা শাহিনা বেগম বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) ফয়সাল বিন আহসান বলেন,এ ঘটনার চারদিন পর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মাটিয়াকুরি গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে নাঈম হোসেন ও তার বাবা আলাউদ্দীন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক পরিবারে বাধা হয়ে দাঁড়ালে গত ২৭ সোমবার নভেম্বর সকালে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটোরিকশা করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশে রওনা হয়। একসময় দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহীতে কোর্ট ম্যারেজ করা নিয়ে তর্কবিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটোরিকশা থেকে রিংকু পড়ে যায়।
এতে মাথা ও হাত পায়ে গুরুতর যখম হলে তাকে বাঁচানোর জন্য তার প্রেমিক নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। নাঈম ভয় পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর নাঈম দ্রুত একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নাঈম ও তার বাবা ভয় পেয়ে রিংকুর মরদেহ রাতের আঁধারে তিলকপুর ইউনিয়ন এর নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন