খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সব
দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে
আওয়ামী লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
নির্বাচনের দরজা সবার জন্য
উন্মুক্ত।
১৭
নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতায় তিনি
এ আহ্বান জানান।
সব
রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
নির্বাচনের শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, ইলেকশনে
অংশগ্রহণ করেন, ইলেকশনে জনগণের কাছে গিয়ে জনগণের
ভোট চান। এই যে
অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি,
অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা
ও জানমালের ক্ষতি করেছেন, সেজন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে
তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের
দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আন্দোলন
করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না
মন্তব্য করে শেখ হাসিনা
বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপি এবং তাদের যে
জোট আছে, তাদের শুধু
একটা কথা বলবো- এই
আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ
কখনো মেনে নেবে না।
(অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল
করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল
করতে পারবে না।
তফসিল
ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে
ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ
জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে,
সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময় মতো
নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন,
এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে
হয় সেজন্য জনগণ ও দেশবাসীর
সহযোগিতা আমি চাই। নির্বাচন
জনগণের অধিকার, এটা তাদের সাংবিধানিক
অধিকার। সময় এসেছে নির্বাচন
হবে। জনগণ ভোট দেবে।
কারও যদি সাহস থাকে
এসে ইলেকশন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা
যদি থাকে তাহলে ভোট
পাবে। জনগণ যাকে ভোটে
নির্বাচিত করবে সেই সরকার
গঠন করবে।
আওয়ামী
লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদেরসহ
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী নেতাদের জয়-পরাজয়ের কষ্ট ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি সবার সঙ্গে। হয়তো কেউ হেরেছি অথবা কেউ জিতেছি, কষ্ট আছে কারো, কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না সব মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোভাবে হারিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলটা সবচেয়ে বড়। সংগঠন যদি পাশে না থাকে তো, কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না। প্রতিটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামীলীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা নির্বাচনে সবসময় মনোনয়ন দিই, মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেজন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যে-যারা করতে চায়, করুক।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা, কার কী অপরাধ সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দল ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সজাগ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে যারা রেলগাড়িতে মা-শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুন মানুষ মারে, ওই অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ
করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো
শুভেচ্ছা বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোয় অস্ট্রেলিয়া ও
বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ। ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন,
অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা
করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে
চান বলেও উল্লেখ করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক,
গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
এ ট্রেন কোথাও থামবে না।
শুক্রবার
(১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির
রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে
ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক,
গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
এ ট্রেন কোথাও থামবে না ৷ বিএনপি
দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও
তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয়
নেতাসহ ৩০ জন সাবেক
এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনকে
ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর
পরিবেশ সারা দেশে লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। ২/১টা রাজনৈতিক
দল নির্বাচনে অংশ নিল কি
না তারচেয়ে জনগণের অংশগ্রহণটা কেমন সেটা বেশি
করে ভাববার বিষয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের শাহজালাল (রহ.) এবং হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে জনসভার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সিলেটে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জননেত্রীর আগমনকে ঘিরে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে সিলেট নগরী। জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম করতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জনসভার মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। মঞ্চের পেছনে ব্যানার লাগানোর কাজও শেষ। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাকি কাজ শেষ করতে তৎপরতা চলছে। এছাড়া সমাবেশ স্থলের চারপাশে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেট সফরে আসেন। এসময় বৃহত্তর সিলেটের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০ ডিসেম্বর আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসমাবেশ স্মরণকালের বৃহৎ করার নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের সকল নৌকার প্রার্থীকে অন্তত ১০ হাজার করে লোক নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভা শেষে আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটবাসী। এরমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার জননেত্রীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষার পালা। সিলেটবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। জনসভায় সিলেটের উন্নয়নে কথা বলবেন। তাছাড়া নির্বাচন নৌকায় ভোট চাওয়ার বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে এই বার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে যাচ্ছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এজন্য তিনি গত কয়েকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেছেন, আমরা নির্বাচনের আচরনবিধির প্রতি খুবই যত্মবান। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর নিয়ে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ করছি না। তবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আলিয়া মাদরাসা মাঠে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
কুমিল্লার ১১টি আসন থেকে ভোটে ৯৩ প্রার্থী অংশ নেন। কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসন
থেকে অংশগ্রহণ করা ৭৭ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারমধ্যে কুমিল্লা জেলায়
ভোটের মাঠে থাকা জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ১৬ প্রার্থী জামানত হারাননি। কুমিল্লায় এবার ২১টি দল
নির্বাচনে অংশ নেয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা
রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা
বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে
কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তার
জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে
বিকেল ৪টা পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লায় ২১টি দল থেকে প্রার্থী হন
৭৪ জন আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করেন ১৯ জন। কুমিল্লায় জেলার ১১টি আসনে আওয়ামী
লীগ থেকে ১১ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১১ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে ৭জন,
ইসলামী ঐক্যজোট থেকে ৫জন, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণফ্রন্ট থেকে ৪জন
করে, গণফোরাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ
সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ৩জন করে, বিএনএফ, বাংলাদেশ
খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে ২জন করে, ন্যাপ, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী আন্দালন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও
বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে ১জন করে প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। ১৯ জন
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। তাদের
মধ্যে ৪জন বিজয়ী হয়েছেন।
৪জন জামানত হারিয়েছেন। আর একজন
নির্দিষ্ট ভোটের .০২ (দশমিক শূন্য দুই গুণ) ভোট কম পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী
ব্যারিস্টার নাঈম হাসান কুমিল্লা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পান।
সেখানে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৮১৫। নাঈম বৈধ ভোটের প্রায় ৭.৯৮ ভাগ (সাত
দশমিক ৯৮ ভাগ) ভোট পান।
জামানত থাকতে হলে বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১
ভাগ ভোট পেতে হয়।
কুমিল্লা-৫ আসনের প্রার্থী বিএনপি
থেকে বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এখানে বৈধ ভোটের
সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৯। শওকত মাহমুদ পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৯৮০ ভোট।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক
(আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
দায়িত্ব পালনের জন্য সারাদেশে পুলিশ বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে, নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি)
দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ আগামী ৭ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্রিফিং পরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি
এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি সদস্যকে আমরা ব্রিফ করেছি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে। আমরা সকলের সহতায় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। আমরা সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫ টি ভোট কেন্দ্রে নিরাপদ দিব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে । আজ ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।এর আগে ১৪ নভেম্বর রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।
নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে বিজিবি,র্যাব, আনসার এবং পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।
ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর সাথে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে এ সৌজন্য সাক্ষাতে কুমিল্লার আরো উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় ।
এ সময় কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু , জেলা প্রশাসক মুশফিকুর রহমান সহ উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নিয়ামুল করীম, জেলা পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পাপড়ি বসু, সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর উল আনোয়ার, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ, বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের মহাসচিব কাজী মাহতাব সুমন, কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, সংগীত শিল্পী একরামুল হক, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহতাব সোহেল, বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের কুমিল্লার আহবায়ক রুবেল কুদ্দুস, বাসব বিশ্বকমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এ এম আল মামুন, নির্বাহী সদস্য ফয়সাল আহমেদ অনন্ত, সাংবাদিক আলমগীর কবির, সালাউদ্দিন সুমন, সংগীত শিল্পী ওমর ফারুক ।
মন্তব্য করুন