তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের
রক্ষাকবচ।
তিনি
তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘কয়েকটি কথা’শিরোনামে
আজ (৯ মে) একটি পোস্টে এই কথা বলেছেন।
তিনি
সেখানে লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে
ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার।
আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে
ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি-না। এই যুক্তি যিনি
দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের
কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা
করে কোনো লাভ নেই।
বলে
রাখা ভালো, দু’জন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের
উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও
পক্ষে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন
অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।
মিথ্যা
বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের
দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও
কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।
পুনশ্চ:
আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।
আপনারা
যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান
থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি। তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের
ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি,
সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের
সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!
আমরা
উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের
মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা
রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল
ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের
নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সাথে চলবেন।
ঐক্যবদ্ধ
হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না।‘এই
প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।’
মাহফুজ
আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম
সংগঠক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির একজন সমন্বয়ক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতেহা ই ইয়াজদাহম,
লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে নয় দিন। তবে সাপ্তাহিক
ছুটি সহ বর্ধিত ছুটি হবে ১১ দিন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের
তথ্য বলছে, শারদীয় দুর্গা পূজার ছুটি শুরু হবে আগামী ৯ অক্টোবর। যা চলবে ১৭ অক্টোবর
(বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে পরবর্তী দুই দিন শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। এর মধ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতেহা
ই ইয়াজদাহম এর ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা ছুটি ১৬ অক্টোবর।
আর এ দিকে শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক
ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা তিন দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর
সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে
এ ছুটি থাকবে।
তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের
নিজস্ব নিয়মকানুনে নিয়ন্ত্রিত হয় বা যেসব চাকরি সরকারিভাবে অত্যাবশ্যক তাদের ক্ষেত্রে
নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে সেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন অনুযায়ী
জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
এর বিপরীতে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে জানায়,‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করবে তারা।
এদিকে আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার
দুদক কার্যালয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেয়ারম্যানের সঙ্গে তারা কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ শেষে সমন্বয়ক হাসনাত
আবদুল্লাহ বলেন, অনেকের নামে দুদকে মামলা হচ্ছে এসবের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের
কোনো সম্পর্ক নেই। দুদক স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের নাম
ব্যবহার করে কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করে তাহলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে
দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান তাকে স্বাগত জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তার মন্তব্যসহ স্বাক্ষর করেন।
শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার নিজ কার্যালয়ে প্রথম কর্মদিবস পালন করেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মহাপরিচালকরা প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যালয়ে স্বাগত জানান। এরপর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছয় জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে শহিদ হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চকরিয়া এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে শহিদ হন তিনি।
পরে ওই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অবশিষ্ট দুজন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
আটকরা হলো- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)।
ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের আটক করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
আগামী ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে
দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলটি ১০ দিনের কর্মসূচিও
ঘোষণা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য
ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমরা এর গুরুত্ব এ প্রজন্মের কাছে
পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য আমরা ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে,
৬ নভেম্বর আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা
উত্তোলন, সকাল ১০টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক
অর্পণ। ৮ নভেম্বর বিকেল ৩টায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি। প্রতিটি সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন
স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা আয়োজন করবে। এ দিবস উপলক্ষে পোস্টার, লিফলেট ও ক্রোড়পত্র
প্রকাশ করা হবে। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাসাসের উদ্যোগে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
হবে। এ অনুষ্ঠান বিভাগীয় শহরগুলোতেও করা হবে। পাশাপাশি জেলাগুলো যে ধরনের কর্মসূচি
নিতে চায়, তা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারবে।
পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতেও
যে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান
মির্জা ফখরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
উদ্যোগে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে
ঢাকার মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনী
প্রধান সবাইকে শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেই সাথে
পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে
উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত।
একইসাথে তিনি সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে
অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে আগত ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের সম্মানিত
কূটনীতিকগনকে ধন্যবাদ জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলা সমূহে শান্তি ও
সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায়
বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন। এছাড়াও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যমন্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয়
ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য জেলাসমূহে অধিকতর স্কুল, কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে
ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
সবশেষে তিনি সারা দেশব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ
কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সকল
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করায় বুদ্ধিস্ট
ফেডারেশনের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সেনাসদরে
সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
প্রতিনিধি দল। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা
ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার
ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব সমূহ পালন করার
জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ
বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক
অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ
সারাদেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর
দান পালিত হয়েছে।
পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব
জেনারেল স্টাফ ও জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সভাপতি
শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের মহোদয়, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথের
মহোদয়সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের কূটনীতিক ও
সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গন এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
সোমবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা রয়েছে। ফুট পেট্রোলিং, ড্রোন পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ের
মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো
তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিয়েছে। একুশে বইমেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একটি
কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে, সিসি ক্যামেরার দিয়ে, সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট, সিকিউরিটি ইউনিট
সব সেখানে কাজ করছে। আর যে ছোটখাটো ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে সেগুলো বইমেলা কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময়
সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই মানুষজন এখানে আসবেন। যানজট নিয়ন্ত্রণের
জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় কিছু কিছু গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে৷
আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। সাধারণত পলাশীর মোড় থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই এলাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সেটি
জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আমাদের একটি ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া আছে। যারা আসবেন তাদের প্রতি
আমাদের অনুরোধ, শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এখানে রেখে আসবেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বব্যাপী আলোচিত এবং সমাদৃত প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ এবং ‘সামাজিক ব্যবসায়’ ধারণাটি
বাস্তবায়নে সমবায় অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী
উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভুঁইয়া।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকায় সমবায়
অধিদপ্তর পরিদর্শন এবং পায়রা সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী
গৃহীত ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যার ভিত্তি হচ্ছে
শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এ সময় ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’
এবং ‘সামাজিক ব্যবসায়’ ধারণাটি বাস্তবায়নে কাজ করতে সমবায় অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের
প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এবং পারফরম্যান্স নিম্নমুখী বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা ঊর্ধ্বমুখী
করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমবায় আইন সংশোধন এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার
বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমবায় অধিদপ্তরের সদস্যদের
নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে পাইলটিং প্রকল্প গ্রহণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এছাড়াও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সুষম সম্পদের বণ্টনের
জন্য সমবায় অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় সভার শুরুতে সমবায় অধিদপ্তরের
নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সমবায় কার্যক্রম সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন
দেন যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মোখলেছুর রহমান। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা সহজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুবাই ইমিগ্রেশনের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ারস (জিডিআরএফএ)-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আহমদ আল মারীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জিডিআরএফএ’র সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করে কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান, ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ডিরেক্টর জেনারেল মারী নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেলকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান এবং তার দায়িত্ব পালনকালে দুবাই ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিরেক্টর জেনারেল আহমদ আল মারী ও কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ এবং অধিক সংখ্যক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা সহজ করাসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় দুবাই ও অন্যান্য আমিরাতসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদানের বিষয়ে ডিরেক্টর জেনারেল আহমদ আল মারী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন।
মন্তব্য করুন