

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে একুশে পরিবহনের একটি বাস উল্টে যায়। সায়েদাবাদ টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। পরে বাসটি মেরামত করে বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাসটির চালক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একুশে পরিবহন নামের বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে যায়।
একুশে পরিবহনের এক কর্মী জানিয়েছেন, বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না। দুপুর ২টার কিছু আগে বাসটি শনিরআখড়ার একটি গ্যারেজ থেকে মেরামত শেষে বাস টার্মিনালের দিকে নেয়া হচ্ছিল।
এরপর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার কাছাকাছি আসলে বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে উল্টে যায় বাসটি। এতে বাসচালকের হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার কারণে টোল প্লাজার চার লেনের একটি লেন বন্ধ হয়ে যায়। বাকি তিনটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে থাকে। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পরে বিকেল ৪টার দিকে রেকার দিয়ে বাসটি দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর তার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ভাবি ও ভাতিজাকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দেবর সাদিকুর রহমান সাদেকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, ২০২২ সালের ২ জুলাই রাতে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই রাতে সাদিকুর রহমান তার ভাবি রাজিয়া সুলতানা কাকলীর কাছে কিছু টাকা ধার চান। কিন্তু কাকলী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাদিকুর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। মুহূর্তের উত্তেজনায় তিনি ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে রাজিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এরপর ঘরে ঘুমিয়ে থাকা রাজিয়ার আট বছর বয়সী শিশু পুত্র তালহাকেও একইভাবে হত্যা করে সে। হত্যার পর আলমারিতে রাখা কিছু স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাদিকুর।
পরদিন নিহত রাজিয়ার মা তাসলিমা বেগম আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্তে সাদিকুর রহমান সাদেকের সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটন করে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
দীর্ঘ দুই বছর ধরে সাক্ষ্যপ্রমাণ, তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আসামির অপরাধকে ‘নির্মম ও পরিকল্পিত’ বলে মন্তব্য করেন এবং তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটলেও নিহতদের পরিবার এখনো শোকে মূহ্যমান। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চান্দিনায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদেরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেফতারকৃতরা হলো- চান্দিয়ারা ভূইয়া বাড়ির মৃত তৈয়ব আলী ভূইয়ার ছেলে ফারুকুল ইসলাম ভূইয়া, সে চান্দিনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি। বেলাশ্বর কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত জলফু মিয়ার ছেলে চান্দিনা পৌর তাঁতী লীগ সভাপতি মো. মাহাবুব আলম, হাসিমপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে বাতাঘাসি ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটন। এদিকে মাধাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নাওতলা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে কামরুল হাসান (কুট্টি) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে বেলাশ্বর গ্রামের কুটু মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম কে বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান, আটককৃতদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। অপর ৩ জনকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লার
মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে রাহাত (১৯) ও সুজন
মৃধা (২১) নামের দুই যুবককে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার
(৪ মে) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বেগম সুফিয়া শওকত কলেজ কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের মাধ্যমে এ শাস্তি দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
সাকিব হাছান খান।
দণ্ডপ্রাপ্ত
রাহাত উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার ছেলে এবং সুজন মৃধা একই গ্রামের মো.
মতিউর রহমানের ছেলে।
পাবলিক
পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৬০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে মোট ৪০০ টাকা
অর্থদণ্ড এবং ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে বিকেলে পুলিশি নিরাপত্তায়
তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার
বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান জানান, “পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে
বহিরাগত দুই যুবক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকল সরবরাহ করছিল। ঘটনাস্থলেই তাদের আটক করে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি
আরও বলেন, “পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ধরনের অপরাধ
প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে আছি।”
স্থানীয়
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে সচেতন মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পরীক্ষার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর
নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ (১৫ জানুয়ায়ী) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আবু তাহের ভুইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ রহমানিয়া হোটেল এর সামনে চট্টগ্রাম—ঢাকাগামী মহাসড়ক এর উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ জন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা ২টি চটের বস্তার নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার কে ২০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: শেরপুর জেলার শেরপুর থানার চকপাটর এলাকার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং একই থানার লছমনপুর এলাকার শ্রী প্রভাত চন্দ্র দে সরকার এর ছেলে শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৪০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন কার্যক্রমগুলো দ্রুত হয়। এছাড়া
সারাদেশে যে মামলাগুলো রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই গ্রহণযোগ্য নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান রয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই যেন মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই যেন পুলিশসহ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ৬টি সংস্কার কমিটি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিটির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকেই সংস্কার কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রূপরেখা তৈরি করবে। তখন সব রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষ মিলেই আমরা রূপরেখা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের বড় দুর্যোগ এসেছে আমাদের দেশে। আমরা দেখেছি, এ দুর্যোগে দেশের জনগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ছাত্ররাসহ একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমের দিকেই যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। পানি কমছে, মানুষজনও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চলে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে পানি দেরি করে কমছে, কারণ এখানে খালগুলো দখল হয়ে গেছে। সে খালগুলো যদি দখলমুক্ত করা যায়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা হবে। এখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সে বরাদ্দ অনুযায়ী খুব শিগগিরই গৃহ নির্মাণ করা হবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে এ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার সার্বিকভাবে কাজ করবে।
লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বার উদ্বার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। স্বর্ণের বার গুলো সহ ফজলে রাব্বী নামে এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আনুমানিক ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেন।
বারগুলো ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। শুল্ক আইনে আটক ফজলে রাব্বীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন


জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান মালা-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেনাসদরের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা এরিয়ার ব্যবস্থাপনায় প্রায় দেড় হাজার অসহায় গরীব ও অসুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
সোমবার
(২৮ জুলাই) কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার দ্যা
ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা সেনানিবাস হতে আগত মেডিসিন, সার্জারী, গাইনি, শিশু রোগ, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল অফিসার ও প্যারামেডিক্স এর সমন্বয়ে বিশেষায়িত মেডিকেল দলের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পুরুষ,
স্ত্রী ও শিশুসহ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার
স্থানীয় জনসাধারণকে বিনামূলো চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা
হয়েছে।
এছাড়াও একটি ফিল্ড অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইনর অপারেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এই মহতী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করায় স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন