মুকুল বসু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে নকল শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল শিশু খাদ্য তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন মো. আশরাফ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই কারখানায় নকল শিশু খাদ্য উৎপাদন করে বিভিন্ন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, আশরাফ মল্লিক নকল শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। তাকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ১৩ ধারাই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ে স্রোতের কারণে
রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি এখন বিপদসীমার ঊর্ধ্বে।
শনিবার রাত ১০টায় খোলা হবে কাপ্তাই
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট। এ গেইট দিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া
হবে প্রায় ৯ হাজার সিএফএম পানি। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও
বৃদ্ধি পেলে ৩২ হাজার পানি নিষ্কাশিত করা হবে। অর্থাৎ কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি
টানা বৃষ্টি আর ভারত সীমান্তের পাহাড়ি স্রোতের কারণে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। পানির স্তর
বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী অঞ্চল অর্থাৎ রাঙামাটির
৫টি উপজেলা বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু ও বিলাইছড়ি। স্থানীয়দের তলিয়ে গেছে বসতঘর।
ফসল, ফসলি জমি, গবাদি পশু, দোকান পাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চাপ
বেড়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী গেইটে।
রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি
রয়েছে ১০৭.৬৬ ফুট এমএসএল। যা বিপদ সীমার কাছাকাছি। শনিবার রাত ১০টার দিকে ১৬টি স্পিলওয়ের
৬টি গেইটই খুলে দিয়ে ৯ হাজার সিএফএম পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া বর্তমানে
কাপ্তাই হ্রদের পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পানির চাপ বেশি থাকে, তাহলে আরও ৩২
হাজার সিএফএম পানি ছেড়ে দেওয়া হবে কর্ণফুলীতে।
মন্তব্য করুন
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়।
সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ খাজু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে (৩১ আগস্ট) রবিবার রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নিহতের বড় মেয়ে হাছিনা আক্তার শিউলি বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহতরা হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর গ্রামের মৃত আবু তাহের স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০) ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তার শিল্পী (৩৮)। গ্রেপ্তাররা হলেন নিহত লুৎফা বেগমের ছেলে শাহিন আলম ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত লুৎফা বেগম ও তার মেয়ে আয়েশা অভিযুক্ত শাহিনের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন। মা-ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মতবিরোধ চলছিল।
এ নিয়ে ছেলে শাহিন তার মা ও বোনকে প্রকাশ্যে একাধিকবার মারধরও করেছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালেও শাহিনের স্ত্রী লাকীর ভয়ে কেউ নিরসনে এগিয়ে আসেনি।
এসআই মোহাম্মদ খাজু মিয়া জানান, খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে আসামি শাহিন ও তার স্ত্রী লাকিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এর শুনানি হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং থানার চড়ানল এলাকার কুমিল্লা-টু-কসবাগামী
রাস্তার উপর হতে ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ছাব্বির হোসেন শুভ ও মোঃ
সোহাগকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানার পাঁচোড়া (আসকার বাড়ী) এলাকার মৃত আলম খান এর ছেলে ছাব্বির হোসেন
শুভ (২৫) এবং মৃত কবির হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৭)।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ফারজানা পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রবাস ফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সরকার (৩২)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সরকারবাড়ীর বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদনগরগামী ফারজানা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই যাত্রী ইব্রাহীম সরকার মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ও সিএনজি জব্দ করেছি এবং নিহতের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম সরকার একজন প্রবাস ফেরত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় কমিউনিটি পুলিশিং এর রাত্রীকালীন গ্রাম পাহারা দলের সদস্যদের সহায়তা ২টি অটোরিকশাসহ মহসিন হোসেন নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার ভোরে কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নিন্দপুর গ্রামের চৌরাস্তা এলাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত মহসিন দাউদকান্দি উপজেলার পিপিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ছামিল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, রবিবার ভোররাতে নিন্দপুর গ্রামের চৌরাস্তায় চেক পেয়েন্টে মহসিন ডাকাত ও তার সহযোগীরা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কমিউনিটি পুলিশং এর রাত্রীকালীন পাহারা দলের সার্বিক সহায়তায় ডাকাত মহসিনকে আটক করা হয় এবং দুটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এদিকে তার বিরুদ্ধে দাউদকান্দি, মতলব উত্তর ও কচুয়া থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
কচুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, কচুয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং এর ব্যবস্থাপনায় গ্রাম পুলিশ ও গ্রামবাসী যৌথভাবে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে নৈশকালীন পাহারা দেয়। এতে চুরি-ডাকাতি সহ নানা সংঘবদ্ধ অপরাধ বহুলাংশে নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে এ প্রক্রিয়া পুরো শীতকাল জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত
এক্সপ্রেস ট্রেনে মা-মেয়েকে জুস খাইয়ে অচেতন করেন এক অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাদের কানের
দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার সময় পাশের এক যাত্রী বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। পরে সেই সদস্যকে
আটক করে তার ব্যাগে থাকা জুস পান করানো হলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনিও।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বিরামপুর-সৈয়দপুর
রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফুল মিয়া (৫৫) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর
এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী যাত্রী দুজন ঠাকুরগাঁওয়ের
পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই গ্রামের কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, বিরামপুর
থেকে ট্রেনে ওঠেন কৌশিলা ও তার মেয়ে। তাদের পাশের আসনে ছিলেন ফুল মিয়া। আলাপের একপর্যায়ে
তিনি জুস খেতে দেন মা-মেয়েকে। জুস খাওয়ার পরপরই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের অলংকার
খুলে নেন তিনি। পাশের আসনের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বিষয়টি
বুঝতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করেন। অভিযোগ অস্বীকার করলে যাত্রীরা তাকে তার ব্যাগে থাকা
জুস পান করান। কিছুক্ষণ পর ফুল মিয়া নিজেও অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশকে
খবর দেওয়া হলে রেলওয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী মা-মেয়েসহ ফুল মিয়াকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে
ভর্তি করে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান এখনো পুরোপুরি ফেরেনি। ভুক্তভোগীর
ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে
থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা নগরীর বাজার মনিটরিং কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা। দাম বেশি নিলে করা হচ্ছে সতর্কও।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে নগরীর টমছমব্রীজ বাজার মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন। তাদের এ কাজে সহায়তা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বাবুল আহমেদ বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং এ প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে এবং নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা টাউন হলের মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারে 'ইভেন্ট ৩৬০' কুমিল্লায় প্রথম বারের মতো আয়োজিত 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন ও প্রতিযোগিতার তারিখ ঘোষণা করেছে। 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতাটি আগামী ২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বছরব্যাপি এ-কার্যক্রম নিয়ে বিশদ বর্ণনা করেন 'ইভেন্ট ৩৬০' এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইক্লিস্ট মাহমুদুল হাসান ইফাজ।
কুমিল্লাকে ব্র্যান্ডিং করতে ও সুস্থসবল তরুণ প্রজন্ম গড়তে বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি ও মাদক বিরোধী সমাজগঠন এবং কুমিল্লা ম্যারাথনকে সফল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দীপ্ত অঙ্গিকারের কথা উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি কুমিল্লার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেত্রীবৃন্দ ও আয়োজক কমিটির তরুন-তরুনিরা।
আবৃত্তিকার রুবেল কুদ্দুস এর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহজাহান চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, সংবাদিক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সংগঠক দেলোয়ার হোসেন জাকির, সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক মোঃ রফিকুল ইসলাম সোহেল, লোগো ডিজাইনার ও রোটারিয়ান আল মাহমুদ, রোটরিয়ান ও সমাজকর্মী আবদুল্লা হিল বাকী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আয়োজন সহযোগে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সাইক্লিস্ট ও কুমিল্লা রানার্স এর অর্ধশত সদস্য।
মন্তব্য করুন
ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি
ও অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় অভিযানে
উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং ভুয়া র্যাব চক্রের ব্যবহৃত সরঞ্জাম
ও একটি মাইক্রোবাস।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিদার
(২৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মিন্টু গাজী (৪৫), মো. জামিল (৩২) এবং স্বপন খান (৪৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ
করা হয় ৪টি ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট, ৩টি র্যাব ক্যাপ, ২ জোড়া হাতকড়া, ১টি স্টেনগান,
১টি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইট, ২টি ওয়াকি-টকি সেট, ১টি পিস্তল কাভার, মোবাইল ফোন এবং
একটি মাইক্রোবাস।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী জয়দেব
আধ্য (৫৩) ও বিশ্বনাথ আধ্য (৫৭) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তারা রাজধানীর তাঁতীবাজার
থেকে জুয়েলারি তৈরির যন্ত্রাংশ কিনে সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া
এক্সপ্রেসে করে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার
জয়বাংলা মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস র্যাব পরিচয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। মাইক্রোবাস
থেকে র্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৩-৪ জন ব্যক্তি বাসে উঠে দুই ভাইকে জোরপূর্বক নামিয়ে
মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তাদের চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ২,৭০০ টাকা ও কেনা যন্ত্রাংশ।
র্যাব-১০ এর একটি দল ঘটনাস্থলে
অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত দুই ভাইকে
অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। অভিযানের সময় সাইফুল ইসলাম ও স্বপন খান পালানোর চেষ্টা করলে
উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা তাদের সেখান থেকে
উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার
দিদারের বিরুদ্ধে রয়েছে ৮টি মামলা, মিন্টু গাজীর বিরুদ্ধে ৩টি, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে
৩টি, জামিলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা এবং স্বপন খানের বিরুদ্ধে রয়েছে চুরি, ডাকাতি,
অস্ত্র ও ৪টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০
অধিনায়ক কামরুজ্জামান বলেন, বাসে ভ্রমণের সময় যাত্রা শুরু ও গন্তব্যস্থলে ভিডিও ধারণ
বা সিসিটিভি স্থাপন করলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করা সম্ভব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ সন্দেহজনক আচরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন