বন্যার্তদের সহায়তায় জন্য বিএনপি নগদ
আড়াই কোটি টাকাসহ ১০ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ত্রাণ
তহবিলে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। গত ৫ দিনে নগদ আড়াই
কোটি টাকাসহ প্রায় ১০ কোটির ত্রাণ সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
বন্যার পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকায় রোগবালাই বেড়ে যাবে। সেজন্য
আমাদের চিকিৎসকগণ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো ওইসব এলাকায় ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম
শুরু হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় উপদ্রুত মানুষদের সাহায্যার্থে শুকনো খাবার,
শিশুদের কাপড়, মানুষের ব্যবহৃত কাপড়, মোমবাতি, দিয়াশালাই, বিশুদ্ধ পানি দেশের সর্বস্তরের
জনগণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। রিকশাচালক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ
সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বিবেক হচ্ছে কুমিল্লাস্হ একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ বছর ধরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামে অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
বন্যায় কুমিল্লার আমড়াতলি ইউনিয়নের একটি পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারটির ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু ।
সহযোগিতার
হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষার্থীদের সৎ ও ভাল মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি এবং অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা এখন থেকেই তৈরি করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজউদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,গত ১৬ বছরে আমাদের দেশে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি ঘটেনি। অফিস-আদালতে ঘুষ আর দুর্নীতি একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মন্ত্রী ও এমপিরা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যারা এসব করছে, তারা একসময় তোমাদের মতোই ছিল। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা পাননি। কোনো শিক্ষক তার ছাত্রদের অন্যায় শিক্ষা দেয় না। তোমরা যারা এখানে আছো, তোমাদের নিজেদের আগে দুর্নীতিমুক্ত এবং সৎ মানুষ হতে হবে। যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, তবে আগে তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের দেশে যারা দুর্নীতিবাজ, তারা বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং ভালো ফল অর্জনকারী। তারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা না পাওয়ায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। একজন রিক্সাওয়ালা পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি করতে পারে না, কারণ তার কাছে সেই সুযোগ নেই। সুযোগ না থাকার কারণে দুর্নীতি না করা এবং সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি না করা এক নয়। যারা সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে, তারা আসল সমাজ সেবক। দুর্নীতি ও অপরাধ না করার চর্চাগুলো এখন থেকেই তোমাদের শুরু করতে হবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহিয়া মাহিকে ১
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করেন।
চিত্রনায়িকা
শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার প্রতীক হচ্ছে ট্রাক।
নির্বাচনি আচরণবিধি ভেঙে অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার করে মাহির ট্রাক প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চলছিল। এ সময় খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং বিল্লাল হোসেন জানান, আচরণবিধি ভেঙে একসঙ্গে ৭টি মাইক ব্যবহার করছিলেন মাহির প্রচারকাজের সঙ্গে জড়িত লোকজন। এ কারণে জরিমানা করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
মন্তব্য করুন
ফ্যাসিস্ট
লীগের বিচার হবেই বলে অঙ্গীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
তথ্য
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দল হিসাবে লীগের বিচারের প্রভিশন যুক্ত করা হবে। ফ্যাসিস্ট
লীগের বিচার হবেই।
এর
আগে দুপুরে পতিত সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে একটি পোস্ট
করেন।
‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শিরোনামে নিজের ফেসবুকে
তিনি লেখেন- ‘ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার
অন্যান্য ভরকেন্দ্র। জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না, সম্ভব নয় নূতন রাজনৈতিক
বন্দোবস্ত।
রাজনৈতিক
দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই৷ কিন্তু, ঠিকই প্রশাসন, বিচারবিভাগ, পুলিশে
তারা স্টেইক নিয়ে বসে আছেন। এস্টাবলিশমেন্ট দ্বিদলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস
করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রায়
তিন ডজন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র মাত্র দু'জন। ছাত্র প্রতিনিধিদেরকেও এস্টাবলিশমেন্ট
রাষ্ট্রপতি অপসারণের ঘটনার পর থেকে কোণঠাসা করে রেখেছে। আমরা দু'জন সর্বোচ্চ ব্যালেন্সিং
অ্যাক্ট করতে পারছি, কিন্তু প্রভাবক হিসাবে কাজ করতে হলে সরকারে সুষম ছাত্র প্রতিনিধিত্ব
লাগবে।
মন্তব্য করুন
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বিকেলে শুরু হবে। কমিশনের প্রথম বৈঠক বিএনপির সঙ্গে হবে বলে জানা গেছে।
আজ
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।
বিএনপি জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে
বলে জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ রোববার (১১ মে) মিরপুরস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে
২৯তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা
বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পরবর্তী সময়ে, এই পট পরিবর্তনের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনে লেগেছে। যার ফলে মাঝে কিছুটা সময় ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা ছিল।
বর্তমানে ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন
ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সারাদেশে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা
পর্যায়ে ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছিল; সেগুলো পুনর্গঠনে কার্যক্রম চলমান আছে।
আমরা এখন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ক্রীড়া ফেডারেশন এবং সংস্থাগুলো পূর্ণরূপে
কার্যক্রম শুরু করেছে। ক্রীড়াঙ্গন আবারো পুনর্জীবিত হচ্ছে। খেলাধুলা সমাজ থেকে বিশেষ
করে তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে এবং একটি সুন্দর জীবন গড়তে সহায়তা করে। স্পোর্টস
সেক্টরে বাজেটের কিছু স্বল্পতা রয়েছে। তবে
বাজেট বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে যার সুষ্ঠু
বণ্টনের মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রগুলোকে প্রমোট করা সম্ভব হবে।
এ সময় বিভিন্ন কর্পোরেশন ও ব্যবসায়ীদের ক্রীড়াঙ্গনে বিনিয়োগের
আহ্বান জানিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম যদি সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে তবে ভবিষ্যতে আমরা একটি
সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ
বুধবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে
হাইকমিশনার কুক সম্মানজনক কিং চার্লস হারমনি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে
অভিনন্দন জানান।
পুরস্কারের
কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি মহান সম্মানের বিষয়।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৩ জুন ফিরে আসবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ঊর্ধ্বতন
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয়, যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, অভিবাসন এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে গঠিত কমিশন এবং
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং শিগগির তা শেষ
হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বাংলাদেশের সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্যের কারিগরি
সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া
মোরশেদ এবং ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী
লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানাধীন সাচার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত অন্য
একটি অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন কোয়া এলাকা হতে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ কামরুল হাসান
রিয়াদ (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সুয়ারুল গ্রামের আব্দুর রব পাঠান এর ছেলে এবং
২। বিল্লাল হোসেন (৪৫) একই থানার কোয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী
মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদ (৩১) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাচার
ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪৫) কচুয়া পৌর ০৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। তারা উভয়েই লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা কার্যক্রম পরিচালনার
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী
নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি
নারীর অংশগ্রহণ।
শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭
জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।
জাতিসংঘ
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের
একটি নীতিমালা রয়েছে।
তিনি
বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন
যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে
প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র্যাপিড
ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব
বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন
দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ
কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও
সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।
প্রধান
উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনে অংশ নেবে।
মিয়ানমারে
চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদী সংলগ্ন
এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি
সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি
করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন