রোববার ভোরে রাজধানীর পল্টনে বাস ও পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাকির হোসেন ভুইয়া (৫৪) নামে ১ বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে পল্টন মোড়ে।
মুমূর্ষু অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জাকির মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নোয়াখালী সেনবাগ শাখার সেকেন্ড ম্যানেজার। তার বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায়। বর্তমানে দুই মেয়েসহ পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পাশের এলাকায় থাকতেন।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফউল্লাহ জানান, ভোরের দিকে পল্টন মোড়ে একটি ট্রাক ও ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি রিকশাও চাপা পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হন রিকশাচালক ও এক আরোহী। খবর পেয়ে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন। রিকশাচালক স্বপন (৩৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনার পর ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক দুজনই পালিয়েছেন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীন জানায়, পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রাকটি উল্টে পাশে থাকা একটি রিকশার ওপরে পড়ে। এতে রিকশায় থাকা ওই ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান। এ ঘটনার পরপরই দুটি যানবাহন পুলিশ জব্দ করলেও ট্রাক ও বাসের চালক এবং হেলপার পালিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ৩৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) বি.বাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার লালপুর গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেন এর ছেলে এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নওগাঁ জেলার সদর থানার দশপাইকা গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ 'নৈপুণ্যর' আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
গতকাল বুধবার এ অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অ্যাপটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাপটির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদসহ শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ অ্যাপটি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অ্যাপটিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। একইসঙ্গে এ অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করবে।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালুকৃত মূল্যায়ন পদ্ধতির তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য ‘নৈপুণ্য’ নামের অ্যাপটি উন্নয়ন করা হয়েছে। এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর দায়িত্বে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এনসিটিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অ্যাপে শিক্ষকদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাপে লগইন করা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়েছে। তা ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকরা অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। শিক্ষক ব্যবস্থাপনা অপশন থেকে শিক্ষকদের যুক্ত করা যাবে এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করা যাবে। কোনো শিক্ষককে যুক্ত করা হলে তার মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চলে যাবে। যা দিয়ে ওই শিক্ষক অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে পারবেন। এতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ এটি ব্যবহার করেই সক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরো বলছেন, এ অ্যাপে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীর শিখণকালীন ও সামস্টিক মূল্যায়নের (পরীক্ষা) তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অ্যাপে সংরক্ষিত তথ্য শিক্ষার্থীর একটি আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। যা পরবর্তী শ্রেণিতেও শিক্ষকরা দেখতে পারবেন।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ ‘নৈপুণ্য’ গত শনিবার শিক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ অ্যাপে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল ও মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন করতে স্কুল ও মাদরাসাগুলোর প্রধানদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আয়নাঘর বলতে এখানে কোনো কিছু থাকবে না বলে বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন এখানে কোনো ভাতের হোটেলও থাকে না।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন।
৫ আগস্টের আগে ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ইউনিটে টর্চার সেল বা আয়নাঘর ছিল, ডিবিতে এখনও কোনো আয়নাঘর আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর বলতে এখানে কোনো কিছু নেই। আর কোনো ধরনের আয়নাঘর থাকবেও না। এখন ডিবি পুকুরটা একটু ময়লা আছে। আমরা তাদের বলেছি দুপুরটা যেনো আয়নার মতো করে পরিষ্কার করা হয়। এখানে কোনো আয়নাঘর থাকবে না। এখানে কোনো ভাতের হোটেলও থাকে না বলে। এছাড়াও ডিবি পুলিশদের বলা হয়েছে, তারা সিভিল পোশাকে কোনো অভিযান বা আসামি গ্রেফতার করবে না। তারা অবশ্যই ডিবি জ্যাকেট ও আইডি কার্ড পড়ে অভিযানে যাবে। আইনের বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, আপনারা দেখেন আমরা কোনো দুর্নীতি বা আইন বহির্ভূতভাবে কোনো কারছি না। আমরাদের কাছে যদি আমাদের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রকাশ করে দেন। তবে অবশ্যই সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন। আপনারা ভারতের বিষয়ে অনেক সত্যি সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত। আপনাদের সত্য সংবাদ প্রকাশের কারণে ভারতের অপপ্রচার অনেক কমে গেছে। এভাবে আপনারা সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে, আমাদের জন্য অ্যাকশন নিতেও সুবিধা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি।
ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
লিবিয়াতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা লিবিয়া গিয়ে আটকে আছে। তারা কিন্তু আমাদের অনেক বড় সোর্স অব ইনকাম। তারা অনেক কষ্ট করে আমাদের দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। তারা আমাদের বড় সম্পদ। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে তথ্য প্রয়োজন। ভুক্তভোগীদের আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ রইলো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় যতজন অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনারা জানেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় দখল করে রেখেছে। সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো নিযন্ত্রণ নেই। এখন আমাদের দু'পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা সীমান্ত নিয়ে কোনো বৈঠকে বসতে পারছি না। আবার আরাকান আর্মি কোনো স্বীকৃতি পায়নি। ফলে আমাদের দু'পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমান্ত এলাকা শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের সীমান্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সীমান্ত এলাকায় অপহরণ ও মাদক চক্র সক্রিয় আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিয়ানমার সীমানা এলাকায় অপহরণ চক্রের পাশাপাশি কয়েকটি মাদক চক্র সক্রিয় আছে। শুধু এক বদি ধরা পড়েছে। তবে বদি চক্রের অনেক সদস্য এখনও সক্রিয় রয়েছে৷ আমরা সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছে কাজ করে যাচ্ছি বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম ।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
চীন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক
ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের
মধ্যে এটি একটি।
আজ
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, আগামী ২৯ মার্চ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাখবেন ড. ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি
দেওয়া হবে। চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। চীনের
সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। চীন এরইমধ্যে জানিয়েছে,
তারা বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করবে। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, চীনের
চেইন হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে এসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে
হাসপাতাল পরিচালনা করুক।
মন্তব্য করুন
ভোটের আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ আসছে কমনওয়েলথের প্রি অ্যাসেসমেন্ট দল । আর এরপরেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষকও পাঠাতে পারে কমনওয়েলথ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে কমনওয়েলথের এই চিঠি পেয়ে সিইসি জবাবও দিয়েছেন ।
সংস্থাটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ নিয়ে তিনি বলেন, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কমনওয়েলথের একটা প্রি অ্যাসেসমেন্ট টিম পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের পরিচালক (ইলেকশন মনিটরিং), একটা বার্তাও পাঠানো হয়।
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমনওয়েলথ ছোট পরিসরের পর্যবেক্ষক দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবে বলে আশা করেন সিইসি।
তিনি বলেন, প্রি অ্যাসেসমেন্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচনের সময়ও তাদের একটা দল আসবে আশা করছি আমরা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কাছে আবেদন আহ্বানের বিষয়টি অবহিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সংবাদ মাধ্যমের জন্য আবেদন জানানোর আহ্বান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল' অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুলা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে, জনসাধারণের সেবা করতে এবং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে রাবি আইন অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা স্মরণ করি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের, যাদের অসীম সাহসিকতায় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অসীম আত্মত্যাগ এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছে। তাদের আর্তনাদ ছিল 'আমরা ন্যায়বিচার চাই'। এখন একটি ন্যায্য সমাজের অন্বেষণ প্রতিধ্বনিত হয়। আইনজীবীরা সংবিধানের প্রথম সারির রক্ষক। আইনজীবীরা কণ্ঠহীনদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অসীম ভূমিকা রাখেন আইনজীবীরা। তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচার বিভাগ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন। বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি ব্যাপক রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি। এই উদ্যোগটি আমাদের বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং সততা ও দক্ষতার সাথে জনগণের সেবা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার ভিত্তি। বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য মূল লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা। বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় তৈরির প্রক্রিয়া ঘোষণা করেছি। যা বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কাউন্সিল গঠনে সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তিতে দিনটিকে
স্মরণীয় করে রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৪টায়
মার্চটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়। এর আগে বেলা ২টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিভিন্ন হল এবং আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল
নিয়ে বিভিন্ন টিএসসির দিকে আসতে থাকে। এ সময় তাদের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিভিন্ন
স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
শুরু হয়ে এই মার্চ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট,
কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হবে।
এর আগে, গতকাল (বুধবার) দুপুরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মার্চে শহীদদের স্মরণ
করে ছবি, উক্তিসহ বিভিন্ন স্মারক নিয়ে ছাত্র-জনতাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান
জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা নিজ
জায়গা থেকে শহীদী মার্চে অংশ নেবে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরসহ দেশের প্রতিটি
জেলা ও উপজেলায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শহীদী মার্চ পালনের কথা জানান। সরকার পতনের এক
মাস পূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের শহীদদের
ছবি থাকতে পারে। যে কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, সেসব কথা প্ল্যাকার্ডে
থাকতে পারে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কী চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
কাছে কী চাই- এসবও থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বলেছেন, লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, অর্কিটেক্ট হতে হবে তেমনি
পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ,একজন পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পীও
তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের
বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল
প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এটি ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্ট’র
৬ষ্ঠ তম আসর।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার
বিদায় করেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়তে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র
হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরী করতে
হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশপাশি ভাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী তৈরির কাজ
করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের
মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা
কমাতে হবে। সবকিছু হবে সরকারিভাবে।
এ প্রসঙ্গে, উদাহরণ হিসেবে শহিদ জিয়ার
আমলের ‘নতুন কুড়ি’
অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব এবং ভাল শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী
বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-ই
ফসল।
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ভাল খেলোয়াড়
বের করে আনতে আমাদেরকে ৮ থেকে ১০ টি খেলা পছন্দ করে এসব খেলার ওপর জোর গুরুত্ব দিতে
হবে। যিনি যে ধরণের খেলায় ভাল করবেন, তাদেরকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। যাতে
করে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আমাদের খোলোয়াড়রাও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
বিএনপি’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার বলেন,‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসতে
পারি তাহলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের সাথে-সাথে খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব। মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট বানানোর
পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরী করতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ব্যক্তি যে
বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে নতুন
বাংলাদেশ তৈরি করবে বিএনপি।
‘আমরা যদি বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড়
এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরী করতে পারি’ তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলেও
তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ
আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির
রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় বিএনপি
একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ’র
মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে এক শূন্য গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ
বিজয় লাভ করে।
‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পদক আসাদুল হাবিব দুলু।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী
এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ ও ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন ।
মন্তব্য করুন
নতুন বছরের প্রথম দিনে বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে জানুয়ারির ৩য় সপ্তাহে করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
জানা যায়, ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর ইপিবিতে বৈঠক হয়। নির্বাচনের আগে মেলা পরিচালনা, ক্রেতা সমাগম ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়। জানুয়ারির ৩য় সপ্তাহের যে কোনো দিন মেলা শুরু করা যায় বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। তবে ঠিক কবে থেকে মেলা শুরু করা যায়, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর।
ইপিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেছেন, এবার নির্বাচনের কারণে ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে না। এখনও চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সংস্কার-নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা
হলে সংশয় কেটে যাবে।
আজ
শনিবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার
দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন।
সেখানে
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে কিছুটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তার
ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের একটা বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে প্রধান
উপদেষ্টা একটি মেসেজ জাতিকে দিতে চেয়েছিলেন।
জামায়াতের
আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তিনি (প্রদান উপদেষ্টা) সেটা দেননি। কিন্তু এটা খুব দ্রুত
সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে এক ধরনের আশঙ্কা বিরাজ করে। আমরা সেটাকে আমলে নিয়েছি।
একই সময়ে একজন রাজনৈতিক নেতা তার জনপ্রতিনিধিদের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আরেক
জায়গায় অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিষয়টা কিছুটা
কষ্টের ও বিরক্তির। যে কারণে তিনি তার দায়িত্বের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন এমনটি প্রকাশ
করেছিলেন।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। দেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনে এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকারের তাদের পরিচয় হলো তারা কোনো দলকে ধারণ করবে না। এটাই হওয়া উচিত নয়। আমাদের সবার দাবি ছিল অর্থবহ একটি সংস্কার হবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা অর্থবহ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের সুস্থ মাঠ থাকবে, যারা অংশগ্রহণ করবে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হবে না, পেশী শক্তির প্রবণতা থাকবে না। সাড়ে ১৫ বছর জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এবার তারা ভোট দিতে পারবে সেটা নিশ্চিত হবে এটাই ছিল আমাদের দাবি।
জামায়াতের
আমির আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে কয়েকবার বলেছেন, নির্বাচন তিনি দিতে চান
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ
দেননি। দিন মাস ঘোষণা করেননি এটাকে কেন্দ্র করে। আমরা বলেছি, দুটি বিষয় স্পষ্ট করা
দরকার- গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে, এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। আমরা মনে করি, সংস্কার
ও নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা হলে অনেকটাই সংশয় কেটে যাবে।
মন্তব্য করুন