ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ডিমের মূল্য
স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজারে অভিযান।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি
কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে অধিদপ্তরের ৪ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে
৪ টি টিম কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর মালিবাগ, কাপ্তান বাজার, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও
জুরাইন এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজ দেশের ৩০টি জেলায় অধিদপ্তরের ৩৩টি টিমের পরিচালিত এ অভিযানে
৮১টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৩২,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানান, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এসকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে
হিসেব করে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার
( ২৪ মার্চ) শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ
রেলওয়ে জানিয়েছে, ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের ভ্রমণের
টিকিট পাওয়া যাবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের
ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ মার্চ। এছাড়া ৭ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৮
মার্চ, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া
যাবে ৩০ মার্চ। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা
সময়ে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আর দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চলে
টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
এবারও
ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ
টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের
প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
এ
বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি
হবে। কালোবাজারি রোধে সহজ.কম যেন টিকিট ব্লক করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিঙ্গাপুর, চীন এবং ভারত থেকে আগত ২১ জন চিকিৎসক ও নার্সের একটি প্রতিনিধিদল রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিদেশি মেডিকেল টিমগুলো সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিতে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
চিকিৎসকরা দ্রুত সাড়া দেওয়ায় এবং চিকিৎসা সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি এই জাতীয় সংকটকালীন সময়ে তাঁদের নিষ্ঠা ও সংহতির প্রশংসা করেন এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
‘এই টিমগুলো কেবল দক্ষতা নয়, হৃদয় নিয়েই এসেছে’ বলেন অধ্যাপক ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, তাঁদের উপস্থিতি আমাদের মানবিক ঐক্যের প্রতিফলন এবং বিপদের সময় বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মূল্য প্রমাণ করে।
আহত—যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু— তাদের জরুরি চিকিৎসা এবং ট্রমা কেয়ার নিশ্চিত করতে এই মেডিকেল টিমগুলো স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে মিলেমিশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিমগুলোর দ্রুত আগমন এবং কাজ শুরু করার জন্য কূটনৈতিক সমন্বয়ের প্রশংসা করেন।
তিনি সফররত চিকিৎসকদের মিশন বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ জানান যে, তারা যেন ভার্চুয়ালি হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বজায় রাখেন—প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা, চিকিৎসা শিক্ষা বিনিময়, এবং স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে স্থায়ী সম্পৃক্ততার জন্য।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের অংশীদারিত্ব জনস্বাস্থ্য এবং জরুরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এই দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বিদেশি চিকিৎসকরা দ্রুত সাড়া দেওয়ার কারণে অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আবারও প্রমাণ হলো, চিকিৎসকের কোনো সীমান্ত নেই।’
সাক্ষাতে সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসকদের ১০ জন, চীনের ৮ জন এবং ভারতের ৪ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সিঙ্গাপুর মিশনের প্রধানও উপস্থিত ছিলেন।
(সূত্র-বাসস)
মন্তব্য করুন
নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমার ওপর ভরসা রাখুন, দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না ।
দুপুর ২টার পর ড. ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।
এ সময় শুরুতেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে স্বরণ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, নতুন এই বাংলাদেশ যাতে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে।
নোবেলবিজয়ী আরো বলেন, এই স্বাধীনতাটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। শুধু রক্ষা না এর সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তা নাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দেশ তরুণ প্রজন্মের হাতে। তোমরা যেভাবে এটা স্বাধীন করেছো, তোমরাই এটা গড়ে তুলবে।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার
(চৌধুরী রফিকুল আবরার)।
তিনি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন ।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক
সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক ছিলেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন,
কাল (বুধবার) উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি
একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং
মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এজন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা
পরিষদে।
প্রসঙ্গত,
বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করে আসছেন।
তবে
নতুন কতজন উপদেষ্টা শপথ নেবেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন
মাহমুদ অনেকদিন যাবত বলে আসছিলেন, তার পক্ষে একই সঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে তার বদলে অধ্যাপক আবরারকে সম্ভবত শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জুলাই
শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস
আলম বলেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য বিগত ১৬ বছরে মানুষ বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে
পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল
নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা
যাবে না। শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি আর এ অভ্যুত্থানও হয়নি।
আজ
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের
হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক
সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও
বলছি না আগামী ৫-৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা যৌক্তিক সময়
লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে
সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা হয়েছে,
সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর
ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’উপহার দিতে পারেনি।
আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। প্রত্যেক পাঁচ বছরের জন্য বড় বড় ইশতেহার দিয়ে
প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরপরই তারা ইশতেহার ভুলে যায়। তারা
ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার। শুধু একটা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে
না। এর পাশাপাশি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে।
ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এ নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেজন্য একটা
বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।
শহীদ
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার
৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। আপাতত যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের
পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে
শহীদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন
তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
চেক
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বাংলাদেশের কর্মকর্তা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে
বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকটের উদ্বেগ তুলে ধরতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে
বলেছেন।
জাতিসংঘের
বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে আজারবাইজানের রাজধানীতে
পৌঁছার পরপরই বাকুতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি
বাকুর একটি হোটেলে সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা
হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলি কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা’।
বৈঠকে
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ সম্মেলনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও প্রশমন এবং শুধু রূপান্তর ও
অভিযোজন প্রক্রিয়াসহ সকল প্রধান ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য নয়টি দল গঠন করেছে। বাংলাদেশের
অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী কপ২৯-এ যোগ দিচ্ছে। গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর
আশ্বাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার ঋণ জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে পেয়েছে।
এর
আগে বিকেল ৫.১৫ মিনিটে স্থানীয় সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বাকু পৌঁছান।
তিনি
আগামীকাল (মঙ্গলবার) কপ২৯-এর মূল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থনের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোন কোম্পানিও চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার সভাটির সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন