

নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা পাভেল মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ
ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন।
গতকাল
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চণ্ডিতলা মন্দিরের
সংলগ্ন পৌর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন
তিনি।
নিহত পাভেল
মিয়া কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে ।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে কাঞ্চন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বায়েজিদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময়
পাভেল দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপরও হামলা করে বায়েজিদ
গ্রুপের লোকজন। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায়
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক পাভেলকে মৃত
ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে
নিহত পাভেলের বড় ভাই শাহীন মিয়া বলেন, কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপনের সঙ্গে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের ঝগড়া হয়। এ সময় আমার
ছোট ভাই চণ্ডিতলা মন্দিরের সংলগ্ন পাশে অবস্থান করছিল। পরে উভয় পক্ষের লোকজন পাভেলকে
পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার
ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। কোনো সন্ত্রাসী যেন কাঞ্চনের মাটিতে না থাকতে পারে। আর
যেন কারো ভাই হারাতে না হয়।
এ বিষয়ে
কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানী বলেন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের সংঘর্ষ বাধে। সে সময় কাঞ্চন
পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল তাদের ঝগড়া থামানোর জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় দুপক্ষের
লোকজনের পিটুনিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে
রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, অপরাধী যেই
হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে করে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি
না ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


পার্বতীপুর-রংপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মালবাহী বিজি ওয়াগন ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে আটটার দিকে পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথের গুলপাড়া এলাকায় বিজি ওয়াগন বগি (১০০৩২৬) লাইনচ্যুত হয়।
এ ঘটনার পর থেকে পার্বতীপুরের সঙ্গে রংপুরের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ সময় বোনারপাড়াগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস পার্বতীপুরে রেল স্টেশনে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী মেইল ট্রেন খোলাহাটি ও কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুর রেল স্টেশনে আটকা পড়ে।
পার্বতীপুর রেল স্টেশন সূত্র থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে গমভর্তি ৩১ বগি নিয়ে পার্বতীপুরে আসা মালবাহী ট্রেনটি রংপুরে যাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে মালবাহী উদ্ধার করে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার পথে আবার তা লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) আব্দুস সাফী জানান, রেললাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ করায় ট্রেন লাইনচ্যুতের এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ট্রেনের গতি কম ছিল।
রেল যোগাযোগ বন্ধ নিয়ে পার্বতীপুর রেল স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড় হতে পিস্তলসহ ২ তরুণ ও ২ তরুণীসহ ৪ জনকে আটক করেছে তাজহাট থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাজহাট থানা পুলিশ একটি প্রাইভেট কারসহ ওই তরুণ-তরুণীদের আটক করে এবং এরপর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন- নগরীর ধাপ কটকিপাড়ার তাসনিম স্বর্গ ও কলেজপাড়ার সাদিয়া, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার হারুনউর রশিদ মেহেদি ও একই এলাকার কাওসার আহমেদ সোলায়মান আলী।
আটকের বিষয়ে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সর্দার বলেন, পিস্তলটি আসল না নকল তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তার সাথে এই তরুণদ্বয় অন্য কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মহানগরী কালিয়াজুড়ি পিটিআই সংলগ্ন ‘তানজিমুল উম্মে হাফিজিয়া মাদ্রাসা’— নামের আড়ালে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা ও ধর্মীয় ব্যবসা। স্থানীয়ভাবে ‘ইলিয়াস হুজুর’ নামে পরিচিত মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন-এর বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ অভিযোগ।
দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী টিম রোগী সেজে প্রবেশ করলে শুরু হয় ইলিয়াস হুজুরের কথিত “আধ্যাত্মিক চিকিৎসা”। তিনি রোগীকে ভয় দেখিয়ে বলেন— ‘শয়তান, পুরি, জ্বিন ও যাদু টোনায় আক্রান্ত’। এরপর চিকিৎসার নামে দাবি করেন ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা, এবং ‘যাদু কাটার রশিদ’ হিসেবে হাতে তুলে দেন নিজস্ব সিলমোহরযুক্ত কাগজ।
তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার অবিকল নোট ছাপিয়ে “চাঁদ তোলার” নামে টাকার লেনদেন চলে। যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা আইনে গুরুতর অপরাধ।
প্রশ্নের মুখে ইলিয়াস হুজুর প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ভুল স্বীকার করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধর্মের নামে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ চিকিৎসার নামে একাধিকবার টাকা দিয়েও প্রতারিত হয়েছেন।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলছে, ধর্মের পোশাকে লুকানো এই ধরনের প্রতারণা সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ধর্মের নামে প্রতারণা ও শিশুদের দিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড— এ যেন এক অমানবিক ব্যবসা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা পুলিশের উদ্যোগে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
সভায় পুলিশ সুপার পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পূজা পূর্ববর্তী ও পূজাকালীন সময়ে করণীয়-বর্জনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ নিরাপত্তা জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা সকলে মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবো।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ এবং জেলা, মহানগর ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করেছে। এতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাগুয়ান গ্রামের আব্দুল লতিব মনিরুল ইসলাম (৪০), তার ভাই রবিউল ইসলাম (২০), মনিরুলের ছেলে সিফাত (১৮)।
জানা যায়, ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজাম মেম্বারের সঙ্গে আজিজুলের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রুহুল আমিন (৩৮) নামের এক কৃষক নিহত হন। তিনি সাগুয়ান গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তাহন্তর করেছে পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্ট এর টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮১/৪-এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর বড়বাড়ী নামক স্থান হতে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা আটক করে। আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ২,৪৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার) টাকা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ কেজি গাঁজা এবং মাদকের কাজে ব্যবহৃত ১টি এ্যাম্বুলেন্স সহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর এর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর হতে ১টি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে ১০০ কেজি গাঁজা সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো -ভোলা সদরের ধনীয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২১) এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঠাকুরতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৯)।
আসামি সাইদুলের বিরুদ্ধে আগে আটটি ও রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
বর্ণিত ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আইনানুগ ব্যবস্হা প্রয়োগ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরে চাকরির পরীক্ষার হলে বারবার সন্দেহজনক কাশি দিচ্ছিলেন এক পরীক্ষার্থী। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত মনে হওয়ায় এবং কিছুটা বিরক্তিকর লাগায় সেই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি করতে গিয়ে উদ্ধার হয় বারবার কাশির কারণ। ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ডিভাইস। তাকে এ ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় “ কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের “ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে। অন্যান্য কেন্দ্রের মতো এ কেন্দ্রেও খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের পরীক্ষা চলছিল।
আটক পরীক্ষার্থীর নাম “কৃষ্ণকান্ত রায়”। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্নাতক সম্পন্ন করা এ চাকরি প্রার্থী দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে ঢাকার একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এসব ডিভাইস পেয়েছেন এবং তা নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। যোগাযোগ ডিভাইসের অন্য প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে যেন কাশি দেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে বারবার কাশি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি।
জালিয়াতির প্রক্রিয়া বর্ণনা করে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরুর এক থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে চক্রটির হাতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি চলে আসে। শহরের ফকিরপাড়া ও সুইহারি এলাকায় দুটি ছাত্রাবাসে কোচিং সেন্টারের কয়েকজন শিক্ষক বিভিন্ন সেটের প্রশ্নগুলোর উত্তরপত্র প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নের সেট নম্বর জেনে নেয় চক্রটি। পরে ক্রম অনুযায়ী প্রশ্নগুলোর উত্তর (ক, খ, গ, ঘ) বলতে থাকে। পরীক্ষার্থী শুনে শুনে তৎক্ষণাৎ প্রশ্নপত্রে বিশেষ দাগ দিয়ে উত্তরগুলো চিহ্নিত করেন। পরে ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “আনোয়ার হোসেন ” বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আগে থেকেই তথ্য ছিল, ওই কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন; কিন্তু সেটি কোন কক্ষে এবং কোন পরীক্ষার্থী সেটি অস্পষ্ট ছিল। আমরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে ১০১ নম্বর রুমের ওই শিক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে আমরা তাকে তল্লাশি করে ডিভাইসগুলো উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার দিনাজপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে কমপক্ষে ৫৫ জন ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) “এস এম হাবিবুল হাসান ” বলেন, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এক পরীক্ষার্থীকে আমরা হাতেনাতে ধরেছি। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। পুরো চক্রটি ধরতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন