বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে
যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের ধান চাল ভাঙার একমাত্র অবলম্বন ঢেঁকি। গ্রাম বাংলার
ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। সময়ের বির্বতনে বিলীন হতে চলেছে ঢেঁকি।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দেখা মিলতো ঢেঁকির। এখন ঢেঁকির কদর
কমে যাওয়ায় তেমন আর দেখা মেলে না। অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে
হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর ঢেঁকিতে ভাঙা চাল খুব সুস্বাদু ও
পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব কদর ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান, গম, ভাঙার
মেশিনের কারণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জে গেলে
এখনো দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে
করেন সচেতন মহল। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটা বাড়ি ঘুরলে দেখা মেলে ঢেঁকির।
সেগুলো আবার রয়েছে অযন্তে। অথচ একদিন ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিনতর ছিল। যেখানে
বসতি সেখানেই ছিল ঢেঁকি। কিন্তু আজ তা আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে
যাচ্ছে। এক সময় বোয়ালমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি পরিবারেই
ধান-চাল গুঁড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। ঢেঁকি থেকে উৎপাদিত চালের ব্যাপক প্রচলন।
তখনকার সময়ে পরিবারের নারীরা ধান, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য ভাঙার কাজ
ঢেঁকিতেই করতেন। বিশেষ করে ঈদ, নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে
পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকির নতুন ধানের চালের গুঁড়া তৈরির ধুম
পড়ে যেত।
কেওয়াগ্রাম বাসিন্দা আবু সায়েদ মৃধা বলেন, একসময় এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকি ভাঙার চালের ভাতে অনেক পুষ্টি ও অনেক সুস্বাধু ছিলো। এখন মেশিনের ধান ভাঙার চালে ও ভাতে কোনো স্বাদ নেই। বিভিন্ন উৎসবের সময় প্রতিটি বাড়িতে নতুন জামাই মেয়ে ও অতিথিদের উপস্থিতিতে বাড়ি ছিল কোলাহল পূর্ণ। গভীর রাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দ শুনা যেত। কিন্তু কালের বির্বতনে ও সময়ের চাহিদা অনুয়ায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। তারপরও সেই ঢেঁকির কদর বোয়ালমারী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দু-একটি বাড়িতে এখনো দেখা গেলেও অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শান্ত মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির কান কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন তার স্ত্রী। শান্ত মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কানের বিচ্ছিন্ন অংশ আর স্থাপন করতে পারেনি চিকিৎসকরা। পরে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে এখানেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরে এ ঘটনা ঘটে। মো. শান্ত মিয়া মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরের বাসিন্দা। শান্ত মিয়ার স্ত্রীর নাম রাহেলা বেগম।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নানা বিষয় নিয়ে শান্ত মিয়া ও তার স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে রাহেলা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত মিয়ার কানে জোরে কামড় দেয়। এতে কান প্রায় পুরোটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্রুত শান্ত মিয়াকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এসময় বিচ্ছিন্ন কানের অংশটুকুও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মমেকের চিকিৎসকরা চেষ্টা করে কানের অংশ স্থাপন করতে পারেননি। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার তাকে ফের মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শান্ত মিয়া বলেন, আমার কান পুরোটা কামড়ে ছিড়ে ফেলেছে। ময়মনসিংহ গিয়েও আর লাগানো যায়নি। স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের সংসার জীবন। সবসময় ঝগড়া করে। কিছুদিন আগে বড় ছেলে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি তাই তার ভালোমন্দ জানার অধিকার আমার আছে। এসব জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমার স্ত্রী আর ছেলে মিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছে। এখনো থানা–পুলিশে অভিযোগ করিনি। একটু সুস্থ হই পরে যা যা করা দরকার সব করব।
মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার জানান, শান্ত মিয়ার কানের সিংগভাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু নিচের কিছু অংশ রয়েছে। এটা একটা অঙ্গহানির ঘটনা। মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানেও কানের কাটা অংশ স্থাপন করা যায়নি। এখন আর কিছু করার নেই। তার সুস্থ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেই এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
আনন্দ
ভ্রমণে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পয়সাখোলা থেকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার
স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যাচ্ছিল হাই চোয়েস পরিবহনের একটি বাস।
আর
সেই বাসের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানক্ষেতে উল্টে গেলে আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে
পরিণত হয়, এতে আহত হন ৫৫ জন।
সোমবার
(৪ মার্চ) দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের
মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পয়সাখোলা গ্রামের লায়লা বেগম (৩৫), মতিয়ার রহমান (৩৮),
তার মেয়ে মৌসুমি পারভিন (১২) ও মোজ্জামেল হকের মেয়ে মোস্তাকিমার নামে ৪ যাত্রীকে ফুলবাড়ী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ
জানায়, সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পয়সাখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ জন বাসে করে স্বপ্নপুরীর
উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে চলন্ত বাসটির
সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে
উল্টে গেলে ৫৫ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
নবাবগঞ্জ
থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী ও পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ০৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫), ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) এবং ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) নামক ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৬,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) ও ২। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৩,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে, ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারা গ্রামের মৃত জহির মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ খায়ের মিয়া এর ছেলে, ৪। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত দুলা মিয়া এর ছেলে এবং ৫। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফজরের নামাজের যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় শাহজালাল (২৫) নামে এক প্রবাসী যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত প্রবাসী শাহজালাল (২৫) উপজেলার চান্দিশকরা গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে চৌদ্দগ্রাম লাকসাম আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হেলাল উদ্দিন আহমেদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসার জন্য দেশে আসা প্রবাসীর প্রাণ গেল ট্রাকচাপায় নিহতের বড় ভাই শাহাদাত জানান, আমার ভাই প্রবাসে অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য দেশে আসে। সোমবার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। মসজিদে যাওয়ার পথে পিছন থেকে অজ্ঞাত নামা ট্রাকচাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক লিটন জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৩০ কেজি গাঁজা ও ৩ বোতল বিদেশী মদ সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
২৮ আগস্ট রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন
উত্তর রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ মোজাম্মেল
হোসেন (২৯) এবং ২। মোঃ মাসুদ (৩২) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময়
আসামীদের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, ৩ বোতল বিদেশী মদ ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
প্রাইভেটকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মোজাম্মেল
হোসেন (২৯) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার বিন্না দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত কালাচাঁন
মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ মাসুদ (৩২) ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার বারহা গ্রামের মৃত হারুন
অর রশিদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও বিদেশী
মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ নিয়ে ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হল এ জেলায়। এদিন সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার
তাদের নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫
শতাংশ। তবে আজ কুয়াশা কম রয়েছে। এদিন সকাল ৬ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রী
সেলসিয়াস কমে গেছে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মত
এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা
কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা
জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক
দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান। শুক্রবার
(১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা
হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
মুকুল বসু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
:
ফরিদপুরের
বোয়ালমারীতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে এসে বোরহান উদ্দিন (২৭) নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শক
(এসআই) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা
লাগায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
শনিবার
(১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে মাজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী পৌরসভার
সোতাসী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বোরহান উদ্দিন যশোরের অভয়নগর থানার পায়ড়া
গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। গত প্রায় এক বছর ধরে তিনি পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার মহম্মদপুর
থানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বোরহান উদ্দিন মহম্মদপুর থানা
থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে বোয়ালমারীর দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে বোয়ালমারী পৌরসভার
সোতাসী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে
এবং তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডাঃ মোরশেদ আলম বলেন, সম্ভবত তার মাথায় হেলমেট ছিলো না। মাথার পেছনে আঘাত লেগে মস্তিষ্ক
বের হয়ে যায়। হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন,
তিনি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ বর্তমানে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। মহম্মদপুর থানায় জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ
করছে। বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ :
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আন্তঃজেলা ডাকাত
আ. ছালামকে গ্রেফতার করেছে সানন্দবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ টিম।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে
৮টায় উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের সোনাকুরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আ. ছালাম সোনাকুরা এলাকার
বাসিন্দা মমতাজ আলীর ছেলে। সে জামালপুর আন্তজেলায় পেশাদার খুনি হিসেবে পরিচিত। তার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতি, খুন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খুন, ডকাতি
দেওয়ানগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। মাঝেমধ্যে সে ভারতেও পালিয়ে থাকতো।
পরোয়ানাভুক্ত ওই আসামী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর তার গ্রেফতারের খবরে সন্তুষ্টি
প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ছালাম প্রথমে ছোটখাটো
চুরি-ছিনতাই করতো। এক পর্যায়ে দুর্ধর্ষ ডাকাত হয়ে ওঠে। এলাকার লোকজন তার ভয়ে তটস্থ
থাকতেন। ক্রমান্বয়ে সে একজন পেশাদার ডাকাত ও খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাকে উপযুক্ত
বিচারের আওতায় আনা জরুরি।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
নাজমুল হাসান জানান, আ. ছালাম একজন কুখ্যাত চোর, ডাকাত এবং ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে
খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। ওই আসামী বেশিরভাগ ভারতেই পলাতক
থাকে। তার একাধিক স্ত্রীও রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সে নিজ বাড়িতে
এসেছে। পড়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের আলেখারচর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থসহ মোঃ রাশিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে ।
এ সময় তার কাছ থেকে ২৯০ পিস ইয়াবা, ৫০ কেজি গাঁজা, ৮০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৯ ক্যান বিয়ার, দুটি মদের বোতল, নগদ ১,৭৩,৫৩০ টাকা এবং ২টি
পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নামের একজন পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১১ টায় সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মোঃ রাশিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের ব্লক-এ এর মোঃ শামীমের ছেলে
পলাতক রফিকুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী এলাকার তুসহি গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আলামতসহ আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত
হয়েছে আরও ৩ জন। একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার
(১০ অক্টোবর) রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত
রাজিব হোসেন উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।
আহতরা
হলেন, নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০)
ও জসিম উদ্দিন(৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল
থেকে মারুফ (১৯) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক মারুফ উপজেলার
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত
আক্তার হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের
শিড়িনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকা দিতে না পারায় এই টাকার জন্য
বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকা জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার)
রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিড়িন ৮/১০ জনের একটি বখাটে দল নিয়ে আমার
শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার
জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাষ্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিড়িনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত, কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এসময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফ্ফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারী আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ
বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে
আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন