

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ আজ মঙ্গলবার ধসে পড়েছে আর এ ঘটনায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
মূলত নিচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, তা দেখতেই এই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
উদ্ধার এ কাজে যুক্ত আছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রকৌশল দপ্তর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ তলা ভবনের কাজ শেষের দিকে। এই হলের সামনে দুই পাশে শেড হচ্ছে। এর পূর্বপাশের একতলা শেডের সাটারিংসহ ঢালাই ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সাতজনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিকেল চারটার দিকেও ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছিল। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর শোনার পরই তাঁরা সেখানে উপস্থিত হন। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। সাটারিংসহ ঢালাই পড়ে গেছে। এগুলো সরাতে সময় লাগছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসংশ্লিষ্ট লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । সহ–উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। তবে তাঁর জানামতে সেখানে কেউ চাপা পড়েননি। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। পরে একটি তদন্ত কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জানতে হবে, নির্মাণাধীন ভবন কেন ধসে পড়ল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিন শ্রমিক হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আজাদুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুপনগর এলাকার সিফাত ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার সিহাব। এ ছাড়া সুরেজ ও রাসেল নামে দুই শ্রমিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ১১ জন নির্মাণাধীন ভবনটিতে কাজ করছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মাদক ট্যাপেন ট্যাডল ট্যাবলেট আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের টহলদল সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে সীমান্ত পিলার ২০৮১/৮-এস থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর এলাকায় চোরাচালানকৃত মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মাদকদ্রব্যের সংখ্যা ২,৪০০ পিস এবং বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এগুলো সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আটককৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল:
কুমিল্লা টমছম ব্রিজ বাজারে অনিয়মের
অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
আজ ডিমসহ নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি
কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় অনিয়মের অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
করা হয় এবং একটি পরিমাপক যন্ত্র বিনষ্ট করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট
ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ তদারকি কার্যক্রমে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রতিনিধি, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইব্রাহিম মাসুম (২৭) নামের ছাত্রদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ
হন। আহত হন আরও ৬ জন।
ছাত্রদলের আহত নেতা
ইব্রাহিম মাসুমকে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯
অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের মহেশপুর
ও কাচিহাটা সর্দার দিঘির পাড় এলাকায় কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়। খবর
পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশপুরে
জামায়াতের সমর্থক মো. সোহেলকে (৪০) ছাত্রদলের একদল কর্মী মারধর করেন। এ ঘটনার পর বিকালে
শিবির কর্মী মো. রাশেদের ওপরও হামলা চালান ছাত্রদলের কর্মীরা। এর জেরে শিবিরের একদল
কর্মী ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা সর্দার দিঘির পাড় এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের
ওপর হামলা চালান। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ছাত্রদলের
ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মাসুম পায়ে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।
আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মাসুম জানান, দুপুরের দিকে একই এলাকার মো: সোহেলকে
ইয়াবা সেবনকালে ছাত্রদলের কয়েকজন হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় এলাকার মুরব্বিরা তাকে হালকা
মারধর করে তার পরিবারের কাছে সোপর্দ করেন। সোহেল একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।
গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করেন। যে কারণে
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তার পক্ষ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অতর্কিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের
ওপর হামলা চালান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের
আমির আবু জাহের জানান, ছাত্রদলের কর্মীরা ৫ আগস্টের পর থেকে আমানউল্যাহপুরে আমাদের
অনেক নেতাকর্মীকে মারধর করেছেন। আজ বিনা কারণে মারধর করা হয় জামায়াতের সমর্থক মো. সোহেল
ও শিবির কর্মী মো. রাশেদকে (২৪)। হামলায় রাশেদ অচেতন হয়ে যান। আমাদের কর্মীরা যখন রাশেদের
চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত, তখন তৃতীয় কোনো একটি পক্ষ ছাত্রদলের নেতা মাসুমের ওপর হামলা করে।
তবে তারা শিবিরের কিনা, আমি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কাচিহাটা বাজারে দুর্বৃত্তদের
হামলায় ছাত্রদলের একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী স্বাধীনতা সড়কে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের দারিয়াপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৩৫) ও একই উপজেলার সাজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছা. কোহিনুর (৪৫)।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার বলেন, ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
সাবেক
রাষ্ট্রপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর
রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আলোচনা সভা, খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার
শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ও বিভিন্ন স্থানে দোয়ার আয়োজন
করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকী
উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আলোচনা সভা
ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর
রশিদ ইয়াছিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আশিকুর রহমান
মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী
আবুসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এসোসিয়েশন অব ইউনির্ভাসিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এর আয়োজনে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় আন্তার্জাতিক ইংলিশ স্টুডেন্ট ডিবেট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আরাফাত কবির, তাফহিমুল ইসলাম স্বপ্ন এবং মাহির তাজওয়ার আকাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ফিলিপাইনে পদার্পন করেন। প্রথমবার অংশগ্রহন করেই নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াই করে সেরা পাঁচ-এ অবস্থান করে নেন কুমিল্লার সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ৩য় রানার আপের গৌরব অর্জন করেন টিম-সিসিএন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফিলিপাইনের রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট রানার আপ ফিলিপাইনের ভিসায়াস স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় রানার আপ কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লার সবুজে ঘেরা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভাকাঙ্খীরা আনন্দিন, উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব জয় করার এ যেন অনন্য প্রেরণা।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী অনুভূতি ব্যাক্ত করে জানান, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসে পাঠদান করে আসছি। ফিলিপাইনে আমাদের বিতার্কিক টিমটির আজকের অর্জিত সফলতা তারই অংশ বিশেষ। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েকটি সেমিনার করে থাকি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। সর্বোপরি আমরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক করে একাডেমিক সিলেবাস সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন-আজকের অর্জন অনাগত দিনে বিশ্বপরিমন্ডলে সিসিএন-এর বিচরণ বৃদ্ধি পাবে, সফলতার ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। আমাদের স্বপ্ন আকাশ সমান। সিসিএন-ইউএসটি ডিবেট টিম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষত তিনজন বিতার্কিক নিহাদ, স্বপ্ন ও আকাশের প্রতি আমাদের অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের
স্মরণে কুমিল্লা সরকারি কলেজে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসময় নিহতদের
স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনসহ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার
দিকে কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে
জড়িতদের বিচার করতে হবে। আমাদের শহীদ ভাইদের জন্যই স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে মুক্তি
পেয়েছি আমরা। আমরা তাদের সারাজীবন মনে রাখব। আমরা শহীদ ভাইদের স্মরণে এখানে উপস্থিত
হয়েছি। ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে আমরা স্মরণ করি, ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ভাইদেরও
আমরা সেভাবে স্মরণ করবো। তাদের এই ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবো না। আমি চাই, তাদের
এই অবদান যেন সবাই মনে রাখে, এই বিষয়ে যেন কোনো বৈষম্যের সৃষ্টি না হয়।
কর্মসূচিতে কুমিল্লা সরকারি কলেজের
বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সবাই মিলে সমস্বরে
দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


অভিনব
কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৪২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
২ ডিসেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপ
ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। আলী
করিম রিয়াদ এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৪২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আলী করিম রিয়াদ (৩৩) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন
এর ছেলে এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা (৩৭) একই থানার ছাঁন্দকরা গ্রামের মৃত দেলোয়ার
হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা -৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য আনওয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলাসহ আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা -৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম।
এসময় তিনি সামিরা আজিম দোলাসহ আহত অন্যন্যদের খোঁজ নিয়ে সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। পাশাপাশি হামলায় জড়িত সকল দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় আবুল কালামের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান আমিরসহ দক্ষিণ জেলা, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে লাকসামের ছনগাঁও এলাকায় গণসংযোগকালে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সামিরা আজিম দোলার গাড়িবহরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ১০জন আহত হন। এদিন সন্ধ্যায় এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম। তিনি বলেন, এটি নির্বাচন বানচাল করতে একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রকারীদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম।
মন্তব্য করুন