

মন্তব্য করুন


মাঘের শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গায়। বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে, মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আরো কমতে পারে তাপমাত্রা।
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সকাল ৯টার দিকে কোনো রকম সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই তাপ। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে বহুগুন। হাড় কাঁপানো এই শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা আবার কমে আসবে। ওদিন রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গায় গত দুইদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এর উল্টো চিত্র বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে। আগের নিয়মেই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, উপ-পরিচালক ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাপমাত্রা কম থাকলে বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকবে জেলার ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, গত দুইদিন জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় এমনিতেই স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সকল ক্ষেত্রে যদি আল্লাহ’র দাসত্ব করতে পারি, তাহলেই ইসলামের শান্তি কায়েম হবে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বৈষম্যমূলক একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠিত এবং পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ও দেশ এবং জনগনের সমৃদ্ধির জন্য জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার রক্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু মানুষের সেই কাঙ্খিত আশা এখনো পূরন হয়নি। ছাত্র-জনতার প্রানের বিনিময় ও রক্ত-চোখের পানির বিনিময়ে নতুন বিপ্লব হয়েছে। এ বিপ্লব পূর্বের বিপ্লবের মতো কোনো ধরনের নস্যাৎ করা যাবে না। তাই আল্লাহ’র বিধান অনুযায়ী এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তিনি শুক্রবার বিকালে কচুয়া ৭নং সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ঘাগড়া বাজারে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে পধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুস ছামাদ আযাদীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিয়াজীর পরিচালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও হাজীগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,উপজেলা আমীর এ্যাডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, শাহ মুহাম্মদ জাকির উল্যাহ শাজুলী,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহ-সেক্রেটারী হাফেজ দেলোয়ার হোসেন,মাওলানা আমিনুল হক মীর আযাদী প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় সবজি ক্ষেতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুললেন কৃষক মিজানুর রহমান। জাতীয় পতাকার আদলে তার সবজি ক্ষেত ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। কৃষক মিজানুর রহমান কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া এলাকায় রাস্তার পাশে সবুজ পালং শাক ও লাল শাকের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। জাতীয় পতাকার আদলে করা এ সবজি ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশেপাশের মানুষজন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তা তিনি সবজি ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেন জাতীয় পতাকা।
তাছাড়া কৃষক মিজানুর রহমান মনেপ্রাণে ভালোবাসেন কৃষিকাজ। তেমনি ভালোবাসেন লাল-সবুজের পতাকাকেও। তার কৃষিকর্মের মাধ্যমে ফসলি মাঠে ফুটিতে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে কৃষকের এমন শিল্পকর্ম দেখে থমকে দাঁড়ান পথিক। আগ্রহ নিয়ে জাতীয় পতাকার সৌন্দর্য দেখেন।
স্থানীয়রা বলছেন, কৃষক মিজানুর রহমান সবজি ক্ষেতে জাতীয় পতাকা তৈরি করে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, তেমনি দেশের প্রতিও দেখিয়েছেন অকৃত্রিম ভালোবাসা।
কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে জাতীয় পতাকার আদলে সবজি ক্ষেতটি রোপণ করতে বলা হয়। পরে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও উৎসাহে আমি সবজি ক্ষেতে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুলতে পালং ও শাল শাক দিয়ে এ চিত্রকর্মটি বানাতে সফল হই। দেশের প্রতি দেশপ্রেম উদ্ধুদ্ধ করতে আমি জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুলেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সবজি চাষ থেকে শুরু করে মিজানুর রহমানকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশে সবজি ক্ষেত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। তার সবজি ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে এমন দৃশ্যে যে কারও চোখ আটকে যাবে। বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি তৈরি করে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এতে করে যারা কৃষক রয়েছেন তাদের মাঝেও দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হাসান বলেন, মা, মাটি আর দেশকে মনেপ্রানে ভালেবাসেন সবাই। দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সম্মান জানিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে সবজি ক্ষেতেই ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। এভাবে দেশের প্রতি দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে ভবিষতে আরো নিদর্শন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও মুর্যালসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন প্রতিকৃতি চিত্র ফুটিয়ে তুলতে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও রোগমুক্তি কামনায় কুরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লা–০৬ আসনের জননেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এর উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর কান্দিরপাড়ে কুরআন তেলাওয়াত ও খতমের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশেষ দোয়া-মাহফিলে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশনেত্রী বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতার জন্য মোনাজাত করা হয়। এতে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি, জেলা বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
দোয়া-মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এ বারী সেলিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, আতাউর রহমান ছুটি, মাহাবুবুর রহমান দুলাল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, জাসাস মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম ভূইয়া।
এ ছাড়া অংশ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রনি, সালমান সাঈদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক কাজী শাহিনুর, সদস্য সচিব ইকরাম হোসেন তাজ, যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় হাজী ইয়াছিন গত ১১ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে করআন খতম, দোয়া, খাবার বিতরন, পশু সদকাসহ ধর্মীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীরা এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন এবং দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।
মন্তব্য করুন


উজান থেকে নেমে
আসা
পাহাড়ি
ঢল
ও
অতিবৃষ্টির কারণে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও
দুধকুমার নদীর
পানি
বিপদসীমার উপর
দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ায়
সাময়িক
বন্যা
পরিস্থিতি সৃষ্টি
হয়েছে।
এতে
প্রায়
৫০
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়েছে
বলে
জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির
ফলে
গত
তিনদিন
ধরে
ঘরের
ভিতর
মাচা
ও
চৌকি
উঁচু
করে
আশ্রয়
নিয়েছে
বানভাসি মানুষ।
চৌকিতে
রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত
কাটছে
তাদের।
বাড়ির
চারপাশে থৈথৈ
পানিতে
অসহায়
দিন
কাটছে
নারী,
শিশু
ও
প্রতিবন্ধী মানুষের।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান,
গত
তিনদিন
ধরে
পানিবন্দী অবস্থায় আছি।
ছেলে
মেয়েকে
উঁচু
জায়গায়
রেখে
গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো
কেউ
খোঁজখবর নিতে
আসেনি।
একই ইউনিয়নের ফকিরের
চর
গ্রামের রমিচন
জানান,
ঘরে
পানি।
রান্না
করতে
সমস্যা
হচ্ছে।
গরুকেও
কিছু
খাইতে
দিতে
পারছি
না।
বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।
একই গ্রামের ফরিদা
জানান,
চারটে
ভাত
ফুটাচ্ছি। তরকারি
নাই।
লবন
দিয়া
খাইতে
হইবো।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান,
আমার
ইউনিয়নের ১০
টি
গ্রামের প্রায়
এক
হাজার
মানুষ
পানিবন্দি রয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
গফুর
জানান,
আমার
ইউনিয়নে ১৫শ
মানুষের বাড়িঘর
তলিয়ে
গেছে।
এছাড়াও
৮
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়ে
আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল
হামিদ
শেখ
জানান,
আমার
ওয়ার্ডে দেড়শ
ঘরে
পানি
উঠেছে।
এছাড়াও
এই
ইউনিয়নে প্রায়
৮শ'
পরিবার
পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি
আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায়
৮০টি
পরিবার
আশ্রয়
নিলেও
তারা
বিশুদ্ধ পানি
ও
ল্যাটিন সমস্যায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর
উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
আতাউর
রহমান
জানান,
আমি
বিষয়টি
জানলাম। এখনেই
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান,
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮
এবং
ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯
এবং
পাটেশ্বরী রেল
সেতু
পয়েন্টে দুধকুমার নদীর
পানি
০১
সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর
দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল
আরিফ
জানান,
বন্যা
কবলিত
কুড়িগ্রাম সদর,
চিলমারী, উলিপুর
ও
নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার
পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত
এলাকায়
এক
হাজার
২শত
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
সহ
অন্যান্য বিতরণ
করা
হয়।
এর
মধ্যে
উলিপুর
উপজেলার থেতরাই
ইউনিয়নে ১০০
জনের
মাঝে
১০
কেজি
হারে
চাল
বিতরণ
চলছে।
চিলমারী উপজেলার রমনা,
নয়ারহাট ও
চিলমারী প্রত্যেকটি পয়েন্টে ১০
কেজি
হারে
মোট
৬
মেট্রিক টন
চাল
বিতরণ
হয়,
উপকারভোগীর সংখ্যা
৬শত।
কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার বিকালে
চরভগবতীপুর, খেয়ার
আলগা,
কালীর
আলগা,
পোরার
চরে
১৫০
প্যাকেট ত্রাণ
বিতরণ
করা
হয়
(প্রতি
প্যাকেটে থাকবে
১০কেজি
চাল,
ডাল
ও
তেল)। নাগেশ্বরী উপজেলার গরুভাসার চর,
ফকিরগঞ্জ, নুনখাওয়ার চরকাপনা ও
নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০০শ পরিবারের মাঝে
পরিবার
প্রতি
১০
কেজি
হারে
চাল,
১
কেজি
ডাল,
১লি:
তেল
ও
১
কেজি
লবণ
বিতরণ
হয়।
এছাড়া
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় ১৫০
জন
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
বিতরণ
করা
হয়।
মন্তব্য করুন


আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণভাবে জানি, সমাজের দু’টি শ্রেণি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে ধনী শ্রেণি, আরেকটি হচ্ছে জ্ঞানী বা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি যাদেরকে সাধারণ মানুষ অনুসরণ করে। বুদ্ধিজীবীরাই একটি সমাজ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করে রাখেন। আমাদের শত্রুরা পরিকল্পনা করেছিলেন, এই দুই শ্রেনিকে ধ্বংস করে দিতে পারলেই একটি জাতি ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।আমরা সেই সকল বুদ্ধিজীবী যাদেরকে ৭১-এ হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এই দুই শ্রেণি ছাড়াও আরও একটি শ্রেণি আছে, সেটি হলো যুব সমাজ যেটি আমরা জুলাই বিপ্লবে দেখলাম। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের সমাজের পরিবর্তন এনেছে। সেই সকল শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট
লেডি জিল বাইডেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১২টার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা
জানান তারা।
টুইটে বাইডেন লেখেন, বৈশাখী, নবরাত্রি, সংক্রান এবং এই সপ্তাহে আসন্ন নববর্ষ
উদযাপনে সারা বিশ্বে জড়ো হওয়া সবাইকে জিল ও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের
আনন্দ কামনা করছি।
সবশেষে তিনি লেখেন, শুভ বাংলা, খেমার, লাও, মায়ানমারিজ, নেপালি, সিংহলি, তামিল,
থাই ও বিষু নববর্ষ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার কৃতি সন্তান তাহিব হোসাইন ওসমান খেলতে যাচ্ছে তৃতীয় যুব এশিয়ান গেমস যা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাহরাইন।
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা কুমিল্লা তায়কোয়ানডো এসোসিয়েশনের একজন প্রশিক্ষিত খেলোয়াড়। জানা গেছে তিনি ২২ ও ২৩ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী তায়কোয়ানডো ইভেন্টে অংশ নেবেন। পুরো প্রতিযোগিতা চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। বাহারাইন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ১৪ দিনের মেয়াদি ভিসা প্রদান করা হয়েছে, যার মেয়াদ শেষে তিনি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
কুমিল্লা তায়কোয়ানডো এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, তাহিব হোসেন ওসমান আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন গর্বিত ছাত্র। তার এই অর্জন আমাদের সকল তরুণ খেলোয়ারদের জন্য অনুপ্রেরণার এ প্রসঙ্গে এসোসিয়েশনের প্রধান শিক্ষক “ মো.রাসেল উদ্দিন মজুমদার “ বলেন, তাহিব অত্যন্ত পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড়।আমরা বিশ্বাস করি, সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো কিছু করবে।
সহকারী প্রশিক্ষক “রাহিমা ইসলাম রিপা” বলেন, তাহিব আমাদের ক্লাব কুমিল্লা ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন


বান্দরবনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের জয়নবের বাড়ীতে শোকের ছায়া।
আজ (২১ জানুয়ারি) সকালে রৌমারী উপজেলার মন্ডল পাড়ার বাড়ীতে তার মরদেহ নিয়ে আসলে পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম দেখা যায়।
জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিদ্যা বিভাগের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভ্রমণ করা ছিল তার শখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের সংগঠন ভ্রমণকন্যা’র সদস্য তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট সাইটে কাজ করতেন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শহরের মন্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল মিয়ার তিন সন্তানের সবার ছোট জয়নব।
অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে জয়নব কোনো প্রকার কোচিং, টিউশনি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। পড়া লেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাতো।
জয়নবের বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রি। মেয়েকে উৎসাহ ও সাহস দিতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া মেয়ের মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা জুলেখা বেগম।
শুক্রবার সকালে ৫৮ জন ভ্রমণকন্যার একটি দল ৫টি জিপ গাড়ি করে রুমা উপজেলায় যায়। ঘোরাফেরা শেষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানের উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কেওকারাডাং থেকে বান্দরবান সদরে ফেরার পথে বগালেক-কেওকারাডং সড়কের দার্জিলিং পাড়া এলাকায় তাদের বহন করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়নবসহ দু’জন। এসময় আহত হয় ৮ জন।
নিহত জয়নবের মরদেহ জানাজা শেষে রৌমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় শিহাব খান নামের একজন বলেন, জয়নব খুবই মেধাবী ছিলেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তার পরিবার তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যুতে তার পরিবার খুবই ভেঙে পড়েছে।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, রৌমারীর মন্ডল পাড়া এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী জয়নবের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ জানান, আমি পরিবারটির খোঁজখবর নিয়েছি। পরবর্তীতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন