পাবনা আমিনপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।ধর্ষণের এ জঘন্য এঘটনাটি ঘটেছে আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ঢালারচর গ্রামে।ঘটনার ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পুর্বেই ধর্ষক কে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, ২২শে মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাচ্চু সরদার। এসময় শিশুর চিৎকারে পরিবারের সদস্য গণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও কৌশলে পালিয়ে যায় ধর্ষক। মুমূর্ষু অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় শিশুটির ছোট চাচা বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের কিছু সময়ের মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নুরুজ্জামান।
মন্তব্য করুন
১৮মে ভোররাতে চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র,
মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন ।
ডিউটি করাকালীন সময় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোলপাশা ইশানচন্দ্রনগর দীঘির উত্তর পাড় কাশেম ষ্টোর এর সামনে চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ০১টি কাভার্ডভ্যান আসতে
দেখে সন্দেহ হলে কাভার্ডভ্যান থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানের
ভিতরে থাকা অজ্ঞাতনামা চালকসহ আরও ২জন কাভার্ডভ্যান থামিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তখন আশপাশে উপস্থিত লোকজনের
এর উপস্হিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশী করে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং কাভার্ডভ্যানটি
জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজস্বের আলোচিত সেই মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মীর আহমেদ আলী সালাম।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি তাকে সোনালী ব্যাংক থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী পিস্তলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাজমুল হাসান(২০) ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন(২০)। ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
চৌদ্দগ্রাম থানার কর্মরত এসআই(নিঃ)লিটন চাকমা ও এএসআই(নিঃ)মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে (৬ই মার্চ) দুপুর ১২.১৫ মিনিটে উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি কাগজের বক্সের ভেতর কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগজিন, ২২ রাউন্ড গুলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান (২০)ও আব্দুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন(২০)। পলাতক আসামি মোঃ রাহাত(২০) ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা তন্ময় বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
হঠাৎ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে কর্মস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছাড়াও তার নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল।
এদিকে ওসির কর্মস্থল ত্যাগের খবর দেরিতে পেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। এর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক রাতেই তুচ্ছ ঘটনায় পাঁচটি অভিযোগ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে এ ওসির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার
মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে পুরো উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবার কারবার, গ্রেপ্তার
বাণিজ্য চলছিল নির্বিঘ্নে।
বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ। অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত।
এমন অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।
এসব বিষয়ে জানতে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘ওসির কাছে সাধারণ লোকজন টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আর এক রাতে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত
হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো দুটির কথা বলা হয়েছিল। বাকিগুলো তো
জানাননি।’
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ
২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত
১১টায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা
করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ৫নং পাঁচতুবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ডুমুরিয়া
চাঁনপুর ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তার উপর
হতে ৫২(বায়ান্ন) কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মামুন মিয়া (৫২) ও মোঃ সুজন
মিয়া (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মধ্যবাড্ডা বেপারিপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুসাম্মাৎ মাকসুদা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাত ৪টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোছা. ফাতেমা সিদ্দিকা জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত চারটার দিকে মধ্যবাড্ডা বেপারিপাড়া ২২/১ চারতলা বাসার পূর্ব পাশের রুমের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা জানতে পেরেছি, নিহত মাকসুদা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। রাতে তিনি বিছানাতেই পায়খানা করলে তার মেয়ে স্মৃতি আক্তার বাথরুমে গোসলের জন্য নিয়ে যান। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে ধাক্কা দিলে ট্যাপের সঙ্গে লেগে মাথা কেটে যায়। পরে তাকে নিয়ে যায় বিছানায়। অসুস্থ অবস্থায় ওই বিছানাতেই তার মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় স্মৃতি আক্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত নারীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানায়।
মন্তব্য করুন
চারটি সোনার বারসহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডা. এম জেড এ শরীফ নামে এক বিসিএস কর্মকর্তাকে আটক করেছে কাস্টমস। তাকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে আটক করা হয়।
এম জেড এ শরীফ ২৭তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসে। ওই ফ্লাইটে আসেন বিমানবন্দরে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এম জেড এ শরীফের এক আত্মীয়।
নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী একটি সোনার বার আনতে পারেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওই আত্মীয় বেশি সোনার বার আনেন। ফ্লাইট থেকে এসব বার এম জেড এ শরীফকে দেন। তারপর এরমধ্যে তিনি চারটি সোনার বার বাইরে পাচার করছিলেন।
এসময় বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে এলে এম জেড এ শরীফকে চ্যালেঞ্জ করেন তারা। আর এরপরেই তার দেহ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে চারটি বার পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সী এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১টি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বানুর হাট থেকে মূর্তিটি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
জানা যায়, জব্দ করা কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭কোটি টাকা।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তেঁতুলিয়ার উপজেলার কৃষ্ণ কান্ত জোত গামের মৃত আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) , দেবীগঞ্জের বন্দীরাম গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০) ও তেঁতুলিয়া এলাকার একামুল হকের ছেলে শহিদুল (৫৫)।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কষ্টি পাথরের মূর্তি ক্রয়-বিক্রয় হবে এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন ব্যক্তি বানুরহাট এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বানুর হাটবাজারে আশপাশ ও দোকানে ওৎ পেতে থাকেন। পরে ১টি ফার্মেসিতে প্রবেশের সময় ১৭ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জব্দকৃত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি এবং ওজন ১৭ কেজি। মূর্তিটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকা।
তাদের বিরুদ্ধে পুরাকৃর্তি আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন